*** সাম্প্রতিক পাক-ভারত উত্তেজনা নিয়ে বিভিন্ন ব্লগ ও অনলাইন মাধ্যমে বিস্তর আলোচনা চোখে পরার মত। প্রকৃত অবস্থা কি জানি না, তবে অতি উৎসাহী কিছু অনলাইন মিডিয়ার ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট সাধারন মানুষের মনে রীতিমত শংকা ধরিয়ে দিতে বাধ্য। সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল, শক্তিমত্তা নিয়ে। কে বেশি শক্তিশালী, কার কতটি যুদ্ধ বিমান, ট্যাংক আছে এই নিয়ে তুলনামূলক পর্যালোচনা চলছেই।পাক-ভারত যুদ্ধ লাগলে কে কার পক্ষে যাবে তাও অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। পাকিস্তানের পক্ষে চীন, রাশিয়া। আবার ভারতের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ নেপাল কিন্তু ভারতের গোদের উপর বিষফোড়া অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠল বলে।
*** অনলাইন মাধ্যমে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা আর উপভোগ করা দুটোই মজার হলেও বাস্তবে যুদ্ধ সবসময়ই ভীতিকর ও ব্যাপক বিধ্বংসী একটা ব্যাপার। সামরিক আগ্রাসন বা যুদ্ধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না। তবে হ্যা চাপিয়ে দেওয়া সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন কিন্তু সময়ের দাবী সেটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। যেমনটা 1971 সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা করেছিলাম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে।
*** দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী পারমানবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যাওয়া রীতিমত ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করবে। পারমানবিক বোমার ভয়াবহতা ও ব্যাপক ধ্বংসলীলা বিশ্ববাসী ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষ করেছে লিটল বয় ও ফ্যাটম্যানের কল্যাণে আর বিশ্ব মোড়ল আমেরিকার সৌজন্যে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় 1945 সালে 6 আগস্ট ও 9 আগস্ট জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমানবিক বোমার বিস্ফোরন ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছিল। সাম্প্রতিককালে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধংদেহী মনোভাব এতটাই প্রবল যে, তাতে পারমানবিক বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
25-9-2016 খ্রিঃ,।