#আমি শামীম। পেশায় পুলিশ। আজ সারাদিন হরতাল ছিল। আমার ডিউটি ছিল সায়েদাবাদে। আজ আমি খুব ভাল একটা কাজ করেছি। এ্যাম্বুলেন্সে করে একজন গর্ভবতী মহিলা যাচ্ছিল। কিছু পিকেটাররা পিকেটিং করার জন্য এগিয়ে এলে আমি সামনে থেকে তাদের তাড়িয়ে দিই যেন তারা এ্যাম্বুলেন্সে কোন প্রকার হামলা করতে না পারে। পরে গর্ভবতী মহিলার পাশে থাকা তার সব আত্মীয়স্বজন আমাকে অশেষ ধন্যবাদ দেয়। আশা করি আল্লাহর রহমতে এতক্ষনে ঐ মহিলা একটি ফুটফুটে সন্তানের মা হয়েছেন।
#আমি জাহিদ। বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে আজ সারাদিন পিকেটিং করেছি। উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে তিনটি বাস ভাংচুর আর একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছি। কিন্তু সবকিছুর ভীড়ে আজ আমি একটি ভাল কাজ ও করেছি। একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে একজন গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। আমাদের পুরোটিম এ্যাম্বুলেন্সটাকে ঘিরে ফেলে। আমি লক্ষ কললাম মহিলার অবস্থা বিশেষ ভালনা। সবাইকে অনুরোধ করে সরিয়ে নিলাম। এখন খুব ভাল লাগছে। এতক্ষনে হয়তো ঐ মহিলার কোল জুড়ে পৃথিবীতে এসেছে একটি ফুটফুটে শিশু।
#আমি পাশা। পেশায় ড্রাইভার। জীবনে অনেক ভাড়া খাটছি, কিন্তু আইজকা নতুন একটা অভিজ্ঞতা হইছে। এই হরতালের দিনে মানুষ নিয়ে গাড়ী চালাইছি। জীবনের ঝুঁকি ছিল, কিন্তু কেন জানি বারবার বাইচা গেছি।
#আমি তমা। আজ আমার জীবনের অন্যতম একটা সেরা দিন ছিল। আমাদের গ্রুপের একটা নাটকের শো ছিল নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু হরতালের কারণে সবাই খুব অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে যাই শো টা করার ব্যাপারে। পরে টুকু ভাইয়ের বুদ্ধিতে আমাকে গর্ভবতী মহিলা সাজিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পথিমধ্যে বেশ কয়েকবার বড় বড় ঝামেলার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আমার সাবলিল অভিনয়ে সব শঙ্কা দূর হয়ে যায়। ভাগ্যিস শো টা ভালভাবে করতে পেরেছিলাম!
#আমি টুকু। আজ নাটকের শো ছিল। হরতালে শো করার অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম। খুব বিপদ ছিল। কিন্তু তমার দুর্দান্ত একটিং আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। একবারতো পিকেটাররা আমাদের ঘিরেই ফেলেছিল। ভাগ্যিস ঠিক সেই সময়ে তমা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দিল, আর তখনি পিকেটার গ্রুপের একটা ছেলে সবাইকে সরিয়ে নিল। আরেকবারতো প্রায় পিকেটারদের হাতে মার খাবার উপক্রম হয়েছিলাম। কিন্তু একজন পুলিশের জন্য বেঁচে যাই।