[ ২য় অংশের পর ]
কোন ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করবেনঃ
বর্তমানে ওয়েবসাইট মানে শুধু লেখা আর তথ্য নয়, বরং অনেক বেশি ইন্টারেকটিভ মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার হয় সেখানে, আর প্রায় সব ওয়েবসাইটই ডায়নামিক ( যে ওয়েবসাইটে কন্টোল প্যানেলের মাধ্যমে খুব সহজে কনটেন্ট যোগ করা যায়) । তথ্য শুধু সেখানে প্রদর্শ করা হয় না, বরং ইউজার ইনপুট ডাটাবেজ, আউটপুট সব মলিয়ে তা করা হয়, কমিউনিকেশনের মাধ্যমে । তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে চান তবে আপনাকে একটা স্ক্রিপিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে হবে । অনেক স্ক্রিপিং ল্যাঙ্গুয়েজ আছে, তবে জনপ্রিয় কতগুলো হলো পিএইচপি, এএসপি, পার্ল, জাভাস্ক্রিপ, সিজিআই ইত্যাদি । এর সাথে ওতোপ্রোতবাবে জড়িত হলো কোন ধরনের ডাটাবেজ সার্ভার ব্যবহার করবেন এবং যেখানে হোস্টিং করবেন সেখানকার অপারেটিং সিস্টেম কি কি ধরনের স্ক্রিপিং ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট করে । সব সার্ভার সব ধরনের স্ক্রিপিং ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট করে না । অনেক সময় আপনি অনেক থার্ড পার্টি লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন, সেখানেও কোন স্ক্রিপিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করবেন তা জানা দরকার ।
ব্যান্ডউইথের পরিমান:
ওয়েবসাইট হোস্টিং করার সময় যে বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে, তা হলো আপনাকে মাসে কি পরিমান ব্যান্ডউইথ দেয়া হবে তা । এখানে ব্যান্ডউইথ বলতে বুঝানো হয় যে ইউজাররা সেই ওয়েবসাইট থেকে মাসে কি পরিমান ডাটা ডাউনলোড করতে পারবে তার পরিমান ।
ব্যান্ডউইথ হিসাব আপনি খুব সহজে করতে পারবেন । ধরা যাক, আপনার ওয়েবসাইটিতে প্রতিটি ওয়েবপেজের টেক্সট সাইজ ৩ KB(কিলোবাইট) এবং গ্রাফিক্স সাইজ ১০ KB(কিলোবাইট) । প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন ভিজিটর গড়ে ৩টি করে পেজ ভিজিট করে । তবে মোট ব্যান্ডউইথ দরকার = (৩ KB+ ১০ KB)*১০০*৩*৩০ = ১,১৭,০০০ KB(কিলোবাইট) = ১১৪.২৬ MB (মেগাবাইট) । আপনাকে অবশ্যই আনুপাতিক হিসাবের চেয়ে বেশী ব্যান্ডউইট কিনতে হবে শুরুতেই । আপনি জেনে নিবেন ভবিষতে আরো বেশী ব্যান্ডউইথ কিনতে চাইলে কত মূল্য পরিশোধ করতে হবে । আজকাল অবশ্য অনেক ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে । সেক্ষেত্রে তাদের সার্ভারের ম্যাক্সিমাম ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি এবং লোড সম্পর্কে জেনে নিন ।
স্পেসের পরিমাণঃ
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো অর্থ্যাৎ টেক্সট, গ্রাফিক্স, ডাটাবেজ ইত্যাদি রাথার জন্য সার্ভারের স্পেস কিনতে হবে । আপনার ওয়েবসাইট তৈরির পর প্রোপাটিজ জেনে নিন নূন্যতম কতটুকু জায়গা দরকার হবে এর । তবে মাত্র ততটুকু জায়াগা কেনা উচিত হবে না । ওয়েবপেজনি স্টাটিক হয়, তবুও আপনি কিছু দিন পরপর নতুন কিছু যুক্ত করতে বা পরিবর্তন করতে চাইতে পারেন । আর যদি এতে ইউজারদের ইনপুট দেয়ার ব্যবস্থা থাকে বা নিয়মিত আপডেট করতে হয়, তাহলেতো কথাই নেই । ডাটাবেজ ব্রবহার করে তাকলেও আশা করা যায় দিনে দিনে তার সাইজ বাড়বে । তাই আপনার যতটুকু দরকার তার কমপক্ষে দ্বিগুণ জায়গা কিনুন । আর যদি ডাটাবেজ নির্ভর ওয়েবসাইট হয়ে থাবে, তবে হিসেব করুন আগামী কয়েক বছরে ইনপুট কত হবে । তার ওপর ভিত্তি করে আরো বেশ কিছুটা বেশি হার্ডডিস্ক স্পেস কিনুন । আর যদি ভবিষ্যতে আরো বেমি হার্ডডিস্ক স্পেস কিনতে হয় তবে কত টাকা দেতে হবে সেটাও আপনার ওয়েব হোস্টিং কোস্পানির কাছ থেকে জেনে নিন ভালভাবে ।
ওয়েব সার্ভারে ওয়েবসাইট আপলোডঃ
যে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করছেন, সেগুলো আপনাকে এর জন্য দরকারী ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেবে । তাহলেই আপনি এফটিপি(ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল) ব্যবহার করে এ কাজটি করতে পারবেন । এ কাজটি সহজ করার জন্য রয়েছে আরো বেশ কিছু সফটওয়ার, যেগুলো সাধারণভাবে ওয়েব বিল্ডার নামে পরিচিত । অনেক হোস্টিং কোম্পানি ও ডোমেইন নেম প্রোভাইডার এটি ফ্রি দিয়ে থাকে বা আপনি অনলাইনেও ব্যবহার করতে পারেন । এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট পাবলিশ করার আগে তার প্রিভিউ দেখেও নিতে পারবেন ।
১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
৪র্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৯