[ ৩য় অংশের পর ]
ডাটাবেজ সার্ভারঃ
বেশিরভাগ ওয়েবসাইটেই কোনো না কোনো ডাটাবেজ সার্ভার ব্যবহার করে হয় । এর ফলে তথ্য জমা রাখা, বের করে আনা, সার্চ করা সহজতর হয় । আবার অনেক ক্ষেত্রে ডাটাবেজই মুখ্য, ওয়েবসাইটি শুধু ডাটা প্রর্দশন করে । আপনি যে ডাটাবেজ সিস্টেম ব্যবহার করবেন আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিকে অবশ্যই সেটা সাপোর্ট করতে হবে । সবচেয়ে জনপ্রিয় ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS)- এর মধ্যে রয়েছে মাইএসকিউএল, ওরাকল, মাইক্রোসফট এসকিউএল সার্ভার ২০০৫ ইত্যাদি । ওয়েবসাইট ডিজাইন ও হোস্টিং করার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসাবে কোনটি ব্যবহার করবেন । কারন এর সাথে স্ক্রিপিং ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবহার ও ওয়েব সার্ভারের অপারেটিং সিস্টেমও জড়িত ।
ওয়েব সার্ভারের অপারেটিং সিস্টেমঃ
এটা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয় । কারন, এর ওপর নির্ভর করে কোন ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সার্ভার ও কোন ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করবেন । ওয়েব সার্ভারগুলোতে মূলত তিনটি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার হয় : লিনাক্স, উইন্ডোজ আর ইউনিক্স । লিনাক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমে পিএইচপি, পার্ল, পাইথন এবং অন্যান্য ইউনিক্সভিত্তিক স্ক্রিপিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয় । সাধারণত মাইএসকিউএল এবং পোষ্টপ্রিএসকিউএল ডাটাবেজ সার্ভার এক্ষেত্রে জনপ্রিয় । আর উইন্ডোজনির্ভর ডট নেট, এএসপি এবং মাইক্রোসফটের অন্যান্য টেকনোলজি ভালো সাপোর্ট করে । ইউনিক্সনির্ভর সার্ভারের ফিচারগুলো অনেকটাই নিনাক্স নির্ভর সার্ভারের মতোই । জেএসপি এবং ওরাকল-এর সাপোর্ট সব প্লাটফরমেই সম্ভব । সাধারণত দেখা যায় নিনাক্স বা ইউনিক্স নির্ভর সার্ভারে ওয়েব হোস্টিং খরচ উইন্ডোজ ভিত্তিক সার্ভারে হোস্টিংয়ের খরচ তুলনায় কিছুটা কম । কোন ধরনের প্লাটফরমে কাজ করবেন, তা আপনার প্রয়োজন ও ব্যবহার করা টেকনোলজির ওপর নির্ভর করবে ।
শেয়ারড নাকি ডেডিকেট সার্ভারঃ
মূলত দুই ধরনের হোস্টিং সার্ভিস আছে- শেয়ারড এবং ডেডিকেটেড । দাম ও পারফরমেন্সের বিশাল পার্থক্য জড়িত এখানে । শেয়ারড হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে একই ওয়েব সার্ভারে একাধিক ওয়েবসাইটকে হোস্ট করা হয় । ফলে খরচ অনেক কম হয় । কিন্তু এর ফলে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ও ব্যান্ডউইডথ সবার মধ্যে ভাগ হয়ে যায় । কারন, একটি সার্ভার সব ওয়েবসাইটের সব ভিজিটরকে হ্যান্ডেল করে । যদি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা এক হাজারের নিচে হয়, তাহলে এ ধরনের সার্ভিস বেছে নিতে পারেন । আর অন্য ধরনের সার্ভিস হলো ডেডিকেটেড হোস্টিং । এক্ষেত্রে একটি ওয়েব সার্ভারে শুধু একটি ওয়েবসাইই হোস্টিং করা হবে । ফলে স্টোরেজ, সিপিইই আর নেটওয়ার্কের পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করা সম্ভব হয় । এটি বেশ ব্যয়বহুল । প্রতিমাসে ন্যূনতম ৮০ থেকে ১০০ ডলার খরচ হয়ে থাকে ।
ম্যানেজড না আনম্যানেজডঃ
ডেডিকেটেড সার্ভার আবার দু’রকমের হয়ে থাকে: ম্যানেজড এবং আনম্যানেজড । ম্যানেজড সার্ভারের সব ঝামেলা হোস্টিং মোম্পানি নিজ দায়িত্বে সশাধান করে, আপনি শুধু অ্যাডমিন প্যানেলে গিয়ে বেসিক কনফিগারেশনটুকু করে দেবেন । যেমন ডোমেইন, মেইলবক্স সেটিংস ইত্যাদি । কিন্তু সার্ভার কনফিগার করা ও মেইনটেইর করার কাজগুলো হোস্টিং কোম্পানিই করে দেবে । আনম্যানেজড সার্ভারের ক্ষেত্রে সবকিছু আপনাকে ম্যানেজ করতে হবে । আপনি সার্ভার কনফিগার ও মেইটেইন করা, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল করা, ডোমেইন কনফিগার করা, মেইলবক্স সেটিংস করা সবই করবেন । এমনকি সিস্টেম সফটওয়্যারকে নিয়মিত আপডেট করতে হবে, যেন তা হ্যাকারদের আক্রমনে না পড়ে । এ অপশনটুকু ইউনিক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্যবহারকারী লোকেদের জন্য । এটা তুলনামুলক অনেক কম খরচবহুল ।
১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৬