আজ ফোনে মেয়ের সাথে কথোপকথোন হচ্ছিলো। আমি জেনেও জানতে চাইলাম ১লা বৈশাখীতে কি তোর ক্লাস আছে?? মেয়ে জবাব দিলো শুধু ক্লাসই না পরীক্ষাও না কি আছে।। আমাকে জবাব শুনে হাসতে দেখে জানতে চাইলো,আব্বু তুমি হাসছো কেন?? জবাবে জানালাম, একদিন আমার মাকে আমি মিথ্যে বলে ঠকাতাম র আজ আমার মেয়েও আমাকে সেই ভােই ঠকাচ্ছে দেখে।। ধরা পড়ে ওর চেহারা যা হলো না। মায়া লাগলো দেখে। একটা মাত্র মেয়ে এই বয়সে কত কথা থাকে। থাকে বেড়ানোর শখ। কিন্তু কে নিয়ে যাবে?? ওর মা টাও ঘরকুনো। তাছাড়া বয়সেরও প্রভাব পড়েছে। তাই মেয়েটার ক্লাসমেটরাই ভরসা। এটা আমি ভাল করেই বুঝি। তাই বললাম যা, পরীক্ষা যেন ভাল হয়। মেয়ে হাসতে হাসতে বললো আব্বু তুমি জানো যে আমি মিথ্যে কথা বলছি,তারপরও ভান করছো যেন কিছুই বুঝতে পারো নি।। হাসতে হাসতে বলি আব্বু আমিও তোর বয়সে তোর দাদু-দিদির কাছে এমন হাজরটা মিথ্যে বলেছি,সেকথা মনে পড়ে গেলো। তারর বাপ-বেটীর মলিত হাসির বাধ ভাঙ্গা জোয়ার।। মেয়ের মা দৌড়ে এলো,জানতে চাইলো কি এমন মজর ঘটনা নিয়ে এমন করে হাসছি।। সাথে সাথে আমরা বোবা ও কালা হয়ে গেলাম।। সে বারবার জানতে চাওয়াতে বললাম তুমি কি কখনো কোন কারনে তোমার মার সাথে মিথ্যে বলেছো?? হাসতে হাসতে উত্তর দিলো কত্তবার।। বললাম আমিও র আজ তোমার মেয়েও।। এবার তিনজনই হসিতে ফেটে পড়লাম।।
আমরা তিনজন কিন্তু স্বামী-স্ত্রী-কন্যা নই।। আমরা তিন বন্ধু।। যারা পরস্পরের সাথে কিছুই লুকোই না। থাকেও না লুকানোর কিছু।। মাঝে মধ্যে আমার প্রেমিকার কথাও উঠে আসে যাকে আমার মেয়ে মা বলে ডাকতো।। স্ত্রীর প্রেমিককে নিয়েও আমি র মেয়ে মাঝে মাঝেই ওকে পচাঁই।। তখন বউটা রনে ভঙ্গ দিয়ে পালায়,একটা বাহানা দিয়ে।।
আমার শত দুঃখ আর কষ্টের স্থানে এই মুহুর্তগুলিই ভুলিয়ে দেয় সবকিছু।।