অন্ধকার অনিশ্চিত অনিবার্য ভবিষ্যত চোখের পাতায় নিয়ে যখন দীর্ঘ রাত্রি জাগরণের ক্লান্তিতে পরিশ্রান্ত তখনও কাটে না আমার ভ্রান্তবৃত্ত। আমি ললাট লিখনের মতো মেনে নিতে পারিনা আমার অবিশ্বাস্য কে।
চিরজন্মের মতো পাশে না থাকার চরম সত্যিটা জেনেও কি এক অমোঘ আকর্ষণে যখন দুঃখের মতো গলে নিয়েছিলাম প্রিয় বন্ধুকে, তখনও মুদ্রার ওপর পিঠের মতো করে ভাবিনি অঙ্গার হবার অপেক্ষায় থাকা দেহটার শেষ যাত্রার আগেই আর একটিবার পুড়ে যাবে।
যে জীবন আগাছার মতো করে বেড়ে উঠে, সে কখনো চকমকি পাথর হয় না। অন্দরে কাঁটার চেয়ে গোলাপের মূল্যই বেশী। তবুও কেউ কেউ কাঁটাকেই বন্ধুর মতো বুকের কৌতূহলী তটিনীতে ভাসিয়ে রাখে আর তাতেই বা কারো কারো শান্তি মেলে। আমি তেমনি করে কারো কারো দাবার ছকে শান্তি হয়ে উড়েছিলাম। ভুলে গেছিলাম বৃষ্টির জন্ম আকাশ থেকে কৃত্রিমতায় তার প্রয়োজন মেটে না।
ফিরে যাবার জন্যই তো জন্ম আমার, তাহলে কেন ক্ষত-বিক্ষত হই বিবেকের তরবারিতে? কেন জাগ্রত ঘুমকুমারের দোহাই দিয়ে প্রণিপাত করি। কেন বসন্ত বাতাসে ধূপের গন্ধে মাতাল হই? এত কেন প্রশ্ন করি নিজেকে? কুলুপ আটার জন্য কি এবার তবে...
জন্মসূত্রে পাওয়া প্রিয় উপহার আমার “অন্ধকার অনিশ্চিত অনিবার্য ভবিষ্যত” চোখের পাতায় করুক বসবাস। ভালো থাক, ভালো থাক প্রিয় বন্ধু আমার...
==============
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১২