।। ১ ।।
গদা কহিল নব আমাকে নিয়ে একখানা কাব্য লিখ দিকি নি,
নব কহিল তুমি এমন কি ঘোড়ার ডিম হইয়াছো যে কাব্য লিখিব
গদা কহিল কবিতা হইবার জন্য আমাকে তাহলে কিছু একটা হইতে হইবে তো?
এই তাহলে আমি বস্ত্রহীন হইলাম, এইবার লিখ দিকি নি...
নব লিখিল একখানা মুখোশ বিহীন প্রাণী দেখিলাম, বস্ত্রহীন তবে উন্মাদ নয় মানুষ।
।। ২।।
এ তল্লাটে- কি হল্লাটে
মোললা কহিল কাটিব তোর কল্লা
তুই মানিস নে আল্লা
চাপাতি, দা’য়ে দেবো কোপ
এখুনি কান ধরে ভগবানকে করা চোপ
কি হল্লাটে-কি হল্লাটে
হে রহিম রাম
মানবধর্মের নেই দাম।
।। ৩ ।।
দুপুরবাসিনী দূর হইতে কি চোখে রহিয়াছ চাহিয়া
মোর চোখ অপলক তোমাতে রহিয়াছে মাতিয়া
কি হেতু এ ভাদ্র আজ উঠিছে জ্বলিয়া
দুপুর বৃষ্টির রেশ তাহাতে রহিয়াছে গাঁথিয়া
দূর হতে কি চোখে রহিয়াছ চাহিয়া
।। ৪ ।।
আসমানী এক ফরিঙ উড়ছিল দেয়ালে
_______________ খেয়ালে ছিলো না তাহার সীমানা কতখানি
_________________________________যতখানি তাহার উড়িবার আসমানী।
।। ৫ ।।
সুমেরু হতে এসে দাড়িয়ে দরজায় সুপ্রভা
মেয়েরা নাকি এ যুগে সন্ন্যাসিনী হইতে পারেনা
জটাধারী এ কোন সুপ্রভা?
নিজেরে বিসর্জিত করিয়া
জাগতিক দিক হইতে একেশ্বর সাধনায় দিয়াছে জীবনের চৌত্রিশ খানি বৎসর
সুপ্রভা বলিলো, মা মেয়েরা সবই পারে শুধু ইচ্ছের ব্যবহার মাত্র!
=================
পত্রিকা খুললেই দেখা যায় সেরা সাহিত্য, সেরা লেখক, সেরা রচনা এত সবকিছুর ভীড়ে হারিয়ে যাচ্ছে অ-সাহিত্য ও কু-সাহিত্য। সু সাহিত্য ছাড়া কোন লেখালেখির মুল্যায়ন হয়না। আমার অনেক লেখালেখিই সাহিত্যের কোন ধারায় পড়ে না অগত্যা সেগুলোকে কু সাহিত্যের তালিকায় ফেলা যায়। তেমনি কিছু এখানে যুক্ত করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৭