সব পুড়িয়ে দিয়ে কাব্য কন্যা
জানতে চায়, কি লিখেছ কবি?
আমাকে?
যদি ভালোবাসো তবে
ক্ষুদ্র করো না!
কি আছে ওই কাগজের শব্দে?
আমাকে পড়ো,
আবৃত কর!
আমাকে ছুয়ে দাও,
দেখো আমি কতটা কবিতা?
হাজার শব্দে আমাকে বেধে
কেন তবে করছ তুচ্ছ?
ভালোবাসা কি রচনা করা যায়?
অসীমের তবে কিসের প্রয়োজন?
কেন খুজে বেড়াও ছন্দ,
দেখো আরো গভীরে,
আমার চোখে তাকিয়ে,
সেখানে কোন কবিতা নেই,
আছে তোমার নেশা!
যা লিখেছো আর যা লিখো নি,
সব উড়িয়ে দাও বাতাসে,
আসো আমার কাছে,
আমি কবিতা নই,
কবিতার চেয়েও সুন্দর!
আমাকে পান করো,
তোমার কবিতার নেশা পালাবে!
আমি পিছু হাটি,
এক জীবনের লিখা পড়ে থাকে,
আটকে থাকে কোন গর্তে,
বাতাস হয়ত উড়িয়ে নিয়ে গেছে
তারে কোন পাহাড়ের চূড়ায়!
আমি খুজি!
আমার কবিতা!
তোমাকে আমি প্রাণ দেই,
কখনো ক্ষুদ্র করি নি!
ভালোবাসি তাই বেধে রাখি
এ নয় আমার ক্ষৃণতা!
আমি জয় করতে চাই,
পেতে চাই না!
আমার করতে চাই না।
যাকে প্রাণ দাও তুমি তারে নিয়ে খেলো,
করুণ সুর বাজাও, বিদায় দিয়ে দাও!
কেন? কেন এমন কর?
কবিতায় কি অমর হয়,
অমর তো সময়,
চলে গিয়েও রয়ে যায়,
দূরে কিন্তু কাছে,
পাওয়া যায় না,
কিন্তু থেকে যায়।
যদি পেতে না চাও
তবে ছন্দের অবসরে
কাকে নিয়ে ভাবো?
তোমার কাছে হাজার বার!
আমি আগেও হেরেছি
আজও হারছি!
কবিতা ত্যাগ করে,
দেখো পাহাড় গড়ছি,
তোমাকে নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায়
আমার ভালোবাসা ঘর বেধেছে!
কেয়ামত পর্যন্ত সেখানে আমরা অমর!
আমি পড়ি তোমায় প্রতিদিন!
সত্যি , তুমি কবিতার চেয়ে উত্তম!
কবিতার ছন্দ , তোমার গন্দে,
আমার ছুটে চলা তোমার খুজে,
নিত্য নতুন রংয়ে!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:১৩