ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের যথেষ্ঠ আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি এখনো উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে নি। দেশের প্রতিটি সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল করতে হবে। একটা ফাইল জমা দেয়ার জন্য ঘন্টার ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয় অনেক প্রতিষ্ঠানে। অনেক প্রতিষ্ঠানের কোন অনলাইন সেবাই নেই। একটি সেবা নেয়ার পর গ্রাহক অনলাইনে ফিডব্যাক দেয়ার ব্যবস্থা রাখাও উচিত। হয়রানি বন্ধে সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটাল ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। প্রতিটি কর্মকর্তা প্রতিদিনের কাজের আপডেট অনলাইনে রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। তবে আশার কথা হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই প্রসেস শুরু হয়েছে যদিও তা খুবই সামন্য। শুধু ন্যাশনাল আইডি কার্ড আর জন্মনিবন্ধন কার্ড অনলাইনে ফরম ফিলাম করলেই ডিজিটাল হয়ে যায় না। কলেজে ভর্তির আবেদন অনলাইনে করা হলেও কলেজে গিয়ে ডাউনলোড কপি জমা দিতে হয়। কলেজ কি সেটা ডাউনলোড দিতে পারে না? পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করা যায়, অফিসে গিয়ে হাতের চাপ দিয়ে আসার পরও কেন আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে? পুলিশ ভেরিফিকেশন করার কারণ যদি হয় এড্রেস ভেরিফাই করা তবে সেটা আসলে কতটা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে সেটাও দেখা উচিত!
প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয় , তেমনী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েবসাইট থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত। প্রতিটি ওয়েবসাইটে একটি এসেস প্যানেল থাকা উচিত প্রশাসনের জন্য। আয় ব্যায় , আয়কর তথ্য ইত্যাদি তথ্য সেখানে রাখার ব্যবস্থা থাকা উচিত। খাবার হোটেলগুলো কিভাবে খাদ্য প্রস্তুত করছে এবং তা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তাও আরো ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় তদারকি করা উচিত। ক্লিনিক সেন্টারগুলো বর্তমানে অনিয়মের শীর্ষে। মিশিনগুলোর মান যাই হোক একটি রিপোর্ট দিয়ে দিলেই টাকা দিতে হচ্ছে।
মাননীয় মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনার দিকে আমরা ফ্রিলেন্সারা তাকিয়ে আছি। এখন আপনি আমাদের অভিবাবক। আমরা পেপালের পরিপূর্ণ সার্ভিস চাই। ফ্রিলেন্সারদের জন্য একটি আলাদা কমিউনিটি সেবা দেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। তাহলে ভূয়া প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নতুন ফ্রিলেন্সাররা বিভ্রান্ত হওয়া এবং শেষ সম্বল হারানো থেকে বাচানো উচিত।
চাকরি দেয়ারও একটি নিয়ম থাকা উচিত। চাকরী দেয়ার নাম করে অনেকেই কোটিপতি হচ্ছে আবার অনেকেই নিস্ব হয়ে ঘরে ফিরছে। বেকারত্ত্ব দূর করার লক্ষে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করা উচিত। অলস টাকা ব্যাংকে জমা রাখা যাবে না। প্রতিটি টাকাই সঠিকভাবে ব্যবহার হওয়া উচিত। আরো অনেক বিষয় রয়েছে যা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। আমাদের অসংখ্য ক্ষেত্র রয়েছে যা উন্নতি করলে দেশ সত্যিই স্বপ্নীল হয়ে উঠবে। নামে অনলাইন আসলে অন্যালগ এমন সেবা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯