যে ভাবে আমরা ‘আল্লাহু’ উচ্চারণ করিঃ- ‘আল- লা- হু’ তা’তে অর্থ ‘সব- নেই- তিনি’। তার মানে হিসেবের খাতা থেকে সব বাদ দিয়ে শুধু তাঁকে রাখতে হবে। যা মূলত ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু-আল্লাহ ছাড়া ইলাহ বা ইবাদত করার মতো মাবুদ নেই’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ইহা ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাই্য়ুম- আল্লাহ তিনি ছাড়া মাবুদ নেই তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী’ এটারও সংক্ষিপ্ত রূপ। মূলতঃ তাঁর ইচ্ছাতেই সব টিকে আছে নতুবা সব বিলিন হয়ে শুধু তিনি থাকবেন। তার টিকিয়ে রাখা ছাড়া কারো টিকে থাকার কোন যোগ্যতা নেই। যেমন বলা হয়েছে, সূরা আর রাহমানের ২৬ ও ২৭ নং আয়াতে, ‘কুল্লুমান আলাইহা ফান, ওয়া ইয়াবকা অজহু রাব্বিকা যুল জালালি ওয়াল ইকরাম – সব বিলিন হবে, শুধু বাকী বা অবশিষ্ট থাকবেন তোমার মহিমাম্বিত ও দয়াময় রব বা প্রতিপালক’। সূরা ইখলাছের প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কুলহু আল্লাহু আহাদ-বল আল্লাহ এক, একক বা অদ্বিতীয়। কাজেই আমি ‘আল্লাহু’ এর যা অর্থ করলাম ক্বোরআনের বিভিন্ন আয়াত তা’ সমর্থন করে।আর উপস্থাপিত আয়াত সমূহ আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ ও তাঁর অস্তিত্বের বিবরণ প্রদান করে। যা আমি আমার ‘আল্লাহর অকাট্য’ প্রমাণ গ্রন্থে বিস্তারিত উপস্থাপন করেছি।
আপনি যদি ‘আল্লাহু’ উচ্চারণ করতে হদর পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাহলে উচ্চারণ, ‘আল-লাহু’ অর্থ সব তাাঁর জন্য। তারমানে সব তাঁর গুণগত পরিচয় উপস্থাপনের জন্য। যেমনঃ সব সৃষ্টি তাঁর ‘খালিক বা সৃষ্টিকর্তা’ পরিচয় উপস্থাপনের জন্য। সবাই খায় তাঁর ‘রাজ্জাক-খাবার দাতা’ পরিচয় উপস্থাপনের জন্য।
কিন্তু উচ্চারণ যদি হয়, ‘আল-লা-হু’ (লাতে টান ছাড়া) তাহলে অর্থ হবে, ‘সব অবশ্যই তিনি’। সব তিনি হলে বাকী সব শূণ্য। তাাঁর সত্ত্বায় সব রয়েছে অসীম মাত্রায় বিলিন অবস্থায়। নিজ সৃষ্টির অংশ হিসেবে তিনি সব কিছুর সসীম মাত্রায় প্রকাশ ঘটান(সূরা আর রাহমানের ২৬ ও ২৭ নং আয়াত অনুযায়ী)। তার মানে অসীম মহাশূণ্য শূণ্য নয় বিলিন অসীম শক্তিতে পরিপূর্ণ। যাতে পদার্থ ও সসীম শক্তি অসীম শক্তি রূপে বিদ্যমাণ। অসীম প্রাণ থাকায় সে মহা প্রকৃতি জড় জাতীয় কিছু নন। মহা প্রকৃতিই প্রাকৃতিক পরিবেশের সব কিছুর প্রত্যক্ষ সৃষ্টিকর্তা আর সাংস্কৃতিক পরিবেশের সব কিছুর পরোক্ষ সৃষ্টিকর্তা। নিজে নিজে হওয়ার ক্ষেত্রে নেচারাল সিলেকশন শুধুমাত্র তাঁকে সিলেক্ট করেছে। এজন্য সূরা ইখলাছে তিনি বলেছেন,‘ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ-কেউ তাঁর মতো হতে পারেনি’। এখন বিশ্বাসের মামলায় যেমন এক ও একাধীকের মামলা, তেমন নেচারাল সিলেকশনেও এক বা একাধীকের মামলা। আমরা একাধীককে প্রত্যাখ্যান করে এককে প্রমাণ করেছি, আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ গ্রন্থে।
‘আল্লাহু’ শব্দের উচ্চারণ ভুল ও শুদ্ধ যাই হোক এর অর্থগত পরিবর্তন ঘটেনা। এটা এ জন্য যে কেউ ভুল করেও যেন তাঁকে তাঁর স্থানে অন্য কিছু বানিয়ে ফেলতে না পারে। এজন্যই বলা হয়েছে, ‘ফাজকুরুল্লাহা লায়াল্লাকুম তুফলিহুন-আল্লাহু জিকির বা উচ্চারণ কর তাহলে সাফল্য লাভ করবে’। তার মানে আল্লাহু উচ্চারণের মাঝেই সাফল্য বিদ্যমাণ।
সার্বিক ভাবে আল্লাহু শব্দটি এটা যাঁর নাম তাঁর পরিচয় ও এর প্রমাণসহ উপস্থাপিত।
# বিজ্ঞানী, জ্বীন ও ফেরেশতা
(মন্তব্যের কারণে পরে যোগ করা হয়েছে)
আমার বাসায় কি রান্না হলো, বিজ্ঞানী জানেনা বলেকি আমার বাসায় রান্না হয়নি?
বিজ্ঞানীতো বিশেষ জ্ঞান জান্তা, সব জান্তাতো নন।তাহলে কোন কিছু সত্য-মিথ্যা হওয়া বিষয়ে বিজ্ঞানী কিভাবে নির্ভর যোগ্য?
আল্লাহ অগ্নী শক্তিতে প্রাণ সঞ্চার করে জ্বীন ও আলোক শক্তিতে প্রাণ সঞ্চার করে ফেরেশতা তৈরী করেছেন। এদেরকে আল্লাহ যাদেরকে দেখিয়েছে তারা দেখেছে, যাদেরকে দেখাননি তারা দেখেনি।আর আল্লাহর প্রাণ অসীম সর্ব শক্তিতে সঞ্চারিত অসীম প্রাণ। এ সব বিষয়ে বিজ্ঞানীর জ্ঞান না থাকলে কার কি? সব সত্য বিজ্ঞানীর সামান্য জ্ঞান নির্ভর নয়।
# এককালে মানুষ দেব-দেবী বিশ্বাস করতো যা এখনো বজায় আছে। তবে সভ্যতার উন্নতিতে এবার তাদের বিজ্ঞানীতে বিশ্বাস শুরু হয়েছে। আল্লাহকে মোটে বিশ্বাস করতে মন চায় না। তারপর যখন দেখবে সব সত্য এবং তাদের মহা বিপদ, তখন তাদের কি উপায় হবে?
# কেরামতি সব ধর্ম ক্ষেত্রেই শুনা যায়। সে জন্য আল্লাহর অকাট্য প্রমাণের ক্ষেত্রে আমি কেরামতিকে গ্রহণ করিনি।
বিঃদ্রঃ ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ততার কারণে কিছু দিন হয়ত আমাকে ব্লগ থেকে দূরে থাকতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৪