মহানবি (সাঃ) বলেছেন, যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বল্ল সে যেন জান্নাতে প্রবেশ করলো। কিন্তু ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ মিথ্যা কথা হিসেবে বল্লে জান্নাত মিলবে না। যেমন আল্লাহ বলেছেন, মোনাফেকরা বলে আপনি আল্লাহর রাসুল। আল্লাহ খুব ভালোকরেই জানেন আপনি আল্লাহর রাসুল কিন্তু নিশ্চয়ই মোনাফেকরা মিথ্যাবাদী। তারমানে মিছেমিছি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে কোন লাভ নেই। সত্যি সত্যি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বললে জান্নাত মিলবে। আর সত্যি সত্যি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা মানে এর প্রতি সম্পূর্ণ আস্তা থাকতে হবে। আস্তাহীন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা মানে মোনাফেকী বা প্রতারণা।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন তাঁর উম্মত তিহাত্তর কাতার হয়ে এক কাতার জান্নাতে যাবে।বাহাত্তর কাতার জাহান্নামে যাবে। যারা মহানবি (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) অনুসারী তারা জান্নাতি। তো মহানবী (সাঃ) ও সাহাবয়ে কেরাম (রাঃ) সত্যি সত্যি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতেন, মিথ্যা মিথ্যি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতেন না। মিথ্যা মিথ্যি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতো মোনাফেকরা। উভয় হাদিস অনুযায়ী জান্নাতি কাতার হলো যারা ইয়াকিনের সাথে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে।আর যারা মানুষকে ধোকা দেওয়ার জন্য ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে নিজেদেরকে উম্মতে সামিল করে যদিও বাস্তবে যারা উম্মত নয় তারা জাহান্নামী বাহাত্তর কাতারে সামিল হবে। আর ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে গুনাহগারী করলে গুনাহ এর শাস্তি ভোগের পর জান্নাতি হবে। কিন্তু মিথ্যা মিথ্যি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বললে কখনোই জান্নাতি হওয়া যাবে না। হাদিস দ্বারা সে কথায়ই অনুমেয়। এর চেয়ে বেশী বুঝা বেদরকারী।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৫