বিশ্বের সবচেয়ে উপকারী বিষয়, পরমত সহ্য করা। আর বড়দের খেয়াল রাখতে হবে শিশুরা যেন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ বুঝতে না পারে। শিশু মনে করে কেউ তার কাকা, কেউ তার মামা, এটাই সে বুঝুক। সে এটা না বুঝুক যে তার ডাকা মামা বা কাকা তার শত্রু মতের মানুষ! শিশুর গায়ে এ সংক্রান্ত কোন আঁচড় যেন না লাগে। যে যে মতের হোক শিশুরা যেন তাকে মানুষ মনে করতে পারে। যেমন ইহুদী শিশু যেন হিটলারী মতের মানুষকে মানুষ ভাবতে পারে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে শিশুর মনজগতকে সুন্দররূপে গড়ে তুলতে পারলে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ ভালো হতে পারে।
কেউ বলে ইমাম মাহদী এসে চলেও গেছেন। কেউ বলে ইমাম মাহদী(আঃ)এখনো আসেনি। এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে মারামারি মোটেও নয়। এমনকি অশালিন কথাও নয়। আহমদীদেরকে আপনি মুসলীম স্বীকার করেন না। তো তারপর আর তার সাথে মারামারি কেন? তাদের এমন অভিযোগ কেন যে তাদের সব লন্ড-ভন্ড করে দেওয়া হচ্ছে? মানুষ সে যে মতের হোক তার সাথে শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান কাম্য। জানি না এ কথার পর কেউ কেউ আমাকে তাদের দলের বাইরে ঠেলে দেয় কি না। কেন জানি আমরা কিছুতেই উদার হতে পারি না।
পৃথিবীর সব মানুষ মুসলমান নয়। এমনকি সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান নয়। তো বেঠিক ইমাম মাহদীর না হয় কিছু অনুসারী থাকল, তাতে ক্ষতি কি? আর এ সংখ্যা মুসলমানের সংখ্যার অধিক হলেও ক্ষতি নেই। কারণ মুসলমান সংখ্যার অধিক অন্য মতের মানুষতো রয়েছে।
সঠিক মাহদীর (আঃ) অনুসারী হোক, আর বেঠিক মাহদীর অনুসারী হোক, মাহদীর অনুসারীরা নামাজ পড়ে। এটা ভালো দিক।
ভিন্ন মতের মানুষ হলেই মারামারি করতে হবে এটা নৈতিকতা পরিপন্থি। আর কারো অনুভুতিতে আঘাত করাও নৈতিকতা পরিপন্থি। তবে তোমার মত সঠিক নয়, আমার মত সঠিক, এটা বলা যায়। এরপর মতের সঠিকতার পক্ষে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়। তবে পরমতে মন্দ কথা বলা যায় না। এটা সংঘাতের কারণ। এটা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
আমি নিজ মতের পক্ষে কথা বলব ঠিক আছে, তবে আমার অবস্থান হবে বিশ্ব শান্তির পক্ষে। শান্তির বেলায় কোন পক্ষ নয়, একদম নিরপেক্ষ এবং যে অশান্তির পক্ষে তার প্রতিপক্ষ হতে হবে প্রত্যেক শান্তিবাদীকে।
কোন মতের মানুষের মনে (মত সংক্রান্ত বিষয়ে বাজে কথা বলে) আঘাত দিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। সবার মতের প্রতি সবার সহানুভুতি থাকতে হবে। মত থাকবে মতের জায়গায়, মানুষ থাকবে এক জায়গায়, হাটে মাঠে ঘাঠে রাস্তায় বাজারে পরিবহনে একসাথে। তখন সবাই সুস্থ্যভাবে থাকবে। মানুষ সুস্থ্য মনের মানুষ হোক। মানুষেরা মিলে শিশে শান্তিতে থাকুক। এরপর যে শান্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে সবাই মিলে তাকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তবেই শুধু বিশ্ব শান্তি সম্ভব। নতুবা তা’ কিছুতেই সম্ভব নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১