ফিতনা কি? ফিতনা হলো গন্ডগোল সৃষ্টি। ইসলামে কারা গন্ডগোল সৃষ্টি করে? তার একটা নমুনা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-
ইসলাম কেমন? সহজ উত্তর যার মনে যেমন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহাকেও সেজদা করা অনেকে বলে শির্ক, অনেকে বলে শির্ক নয়। যদি শির্ক হয় তবে আল্লাহ আদমকে (আঃ) সিজদা করতে বললেন কেন? তবে কি তিনি শির্কের নির্দেশ প্রদান করলেন? তবে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহাকেও মাবুদ মনে করে সিজদা করা অবশ্যই শির্ক।কারণ ইসলামে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই।অন্যকে মাবুদ মনেকরে সিজদা করা মানেই অন্যেকে আল্লাহর সাথে একই বিষয়ে শরিক বা শির্ক করা।এখন যে কাজের একটি হালত শির্কের মত জঘণ্য সে কাজের বেলায় আল্লাহর আদেশ না থাকলে তা’ না করাই শ্রেয়। ফিরিশতারা আদমকে (আঃ) সিজদা করেছেন আল্লাহর আদেশ ছিল বলেই।কিন্তু আল্লাহর আদেশ না থাকলেও ইয়াকুব (আঃ) ইউসুফকে (আঃ) সিজদা করেছেন, যদিও মহানবীর (সাঃ) কোন সাহাবা (রাঃ) তাঁকে সিজদা করেননি। কাজেই মহানবির (সাঃ) উম্মতের আল্লাহ ছাড়া অন্যকে সিজদা করার কোন অপশন নেই।তথাপি পীরকে সিজদা করা হয় এবং মাজারে সিজদা করা হয়। আল্লাহ যা আদেশ করেছেন মানুষ সেটা করেই কুল করতে পারে না।তো যে বিষয়ে আদেশ নেই তা’ করার কি দরকার থাকতে পারে? পীর ও মাজারকে সম্মান জানাতে কি এটা করাই লাগবে? তো পীর ও মাজারের সম্মান কি মহানবির (সাঃ) চেয়েও বেশী? মহানবি (সাঃ) যা পাননি, পীর ও মাজার সেটা কেন পাবে? সম্মান জানাতে মহানবি (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) যেমনটা করেছেন তার বাইরে যাওয়ার দরকার কি? আর এটাই হলো অতিরিক্ত ফাইজলামী। আর এটাই হলো ফিতনা। কারণ অনেকেই এটা করার যোক্তিকতা খুঁজে পাবেন না বলে এটা করবেন না, আর অতি বুদ্ধিমান এটা করে মুসলমানদের মাঝে বিভাজন তৈরী করে। কাজেই এখানে যারা আল্লাহকে ছাড়া অন্যকে সিজদা করে তারাই ফিতনা। যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে সিজদা করে না তারা ফিতনা নয়।কারণ তারা বিভাজন তৈরী করার জন্য দায়ী নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১৫