জাহাজ্ব ডুবি
সহসা জাহাজ্ব দোলে প্রচন্ড রকম
আরোহিরা কেঁদেচলে সুকরুণ স্বরে
এরাতেই তারা বুঝি যাবে সব মরে
জীবনের শেষ বুঝি হলো উপস্থিত!
তুফানের দাপটায় বিপদ চরম
কারা যেন জাহাজ্বটা কাত করে ধরে
নিমিসে ঢুকছে পানি জাহাজ্ব অন্দরে
পারিনা বুঝতে কিছু কি করা উচিত।
অবশেষে বালুচরে দেখি আমি শুয়ে
কি করে যে বেঁচে আছি বিস্ময়ে অবাক
চরের মানুষ জন আসে বস্ত্র লয়ে
পেটথেকে পানি বার করেছে বালক।
ডাল ভাত শাক খেয়ে পথে হেঁটে চলি
প্রচন্ড রোদ্রেতে যেন প্রাণ হয় বলি।
ঝড়ের রাতে
বিষন্ন দুপুরে রুঢ় খরতাপে হেঁটে
ক্লান্ত বিকেল বায়ুতে গাছের ছায়ায়
খানিক বিশ্রাম শেষে দেখেছি সন্ধায়
এখনো পথের বাঁকী রয়েছে অনেক।
এরাতে কোথায় যাব? কিচ্ছু নেই পেটে
পাখিরা ফিরছে সব নিজের বাসায়
পশুদল চলে যায় গৃহ ঠিকানায়
আমার এখনো বাঁকী পথের অর্ধেক।
ঝড়ে পড়ে গৃহস্থ্যের বারান্দায় বসি
অতঃপর খাবারের থালা এসে পড়ে
ভাত তরকারি লাগে খানিকটা বাসি
তথাপি গোগ্রাসে গিলি ঠোঁট ঘন নড়ে।
একটা চিলে কোঠায় হোগলা চাটাই,
তাতেই ঘুমিয়ে পড়ে সে রাত কাটাই।
প্রভাতের পর
ঘুম ঘোরে কানে শুনি কিচির মিচির
পাখিদের কলরবে আঁধার বিদায়
নেমে পড়ি প্রভাতের আধো আলো ছায়
ক্রমাগত হেঁটে চলি, দেহে ক্লান্তি ফুটে।
পদতলে ঝরাপাতা মচর মচর
পেটের গহিনে যেন ক্ষুদা মোচড়ায়
দেহকে সতেজ করি সামান্য নাস্তায়
ঠিকানার পানে যাই দ্রুত বেগে ছুটে।
কোথা থেকে গরু এক ক্রোধে তেড়ে আসে
চোখ মেলে দেখি সব আত্মিয় স্বজন
তবে কি এসেই গেছি আপন নিবাসে?
জাহাজ্ব ডুবিতে ঘোর দেখেছে নয়ন।
অবশেষে অবশান হয়েছে বিপদ
পেয়েছি আবার ফিরে সকল সম্পদ।
# সনেট গল্প
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩