ফকিহগণের বিবেচনায় ইজমা বা অধিকাংশ আলেমের মত ইসলামের তৃতীয় মূলনীতি, আহলে হাদিস যা স্বীকার করেনা।‘মেজরিটি মাস্টবি গ্রান্টেড-সংখ্যা গরিষ্ঠতা অবশ্য গ্রহনীয়’, সারাবিশ্বে আইনসিদ্ধ।মাইনরিটি কি আইনসিদ্ধ হতে পারে? কোন ফোরামে যখন মতামত গ্রহণ করা হবে তখন মাইনরিটির উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে কি? কোন ফোরামে মাইনরিটির উপর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় কি? মূলত এটা রীতি বিরুদ্ধ।এ ক্ষেত্রে মাইনরিটির আলাদা দল গঠিত হবে। সে দলে মেজরিটি বহাল হবে।তারমানে দল সংখ্যা বেড়ে হলেও সর্বদা মেজরিটি বজায় থাকবে।সে জন্য মাইনরিটি কখনো আইনসিদ্ধ হবেনা।
বদর যুদ্ধের বন্দীদের কি করা হবে? এ ক্ষেত্রে অধিকাংশের মত ছিল মুক্তিপন নিয়ে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া। একজনের মত ছিল বন্দীদের হত্যাকরা। আল্লাহ বললেন, অধিকাংশের মত সঠিক নয়, একজনের মত সঠিক। আল্লাহ অধিকাংশের বেঠিক মত বাতিল করেননি। বরং সেই বেঠিক মত অনুযায়ী বদরের বন্দীদের মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কাজেই কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী ইজমা ইসলামের মূলনীতি যা অস্বীকার করা অন্যায়।যেখানে পরিস্কার অধিকাংশের মত বেঠিক বলেও আল্লাহ সে বেঠিক মত বাতিল করেননি তাতে ইজমা বিষয়ে আল্লাহর অবস্থান পরিস্কার এবং নবির (সা.) অবস্থানও পরিস্কার। তাহলে আহলে হাদিস কিসের ভিত্তিতে ইজমা অস্বীকার করে? তাদের মত আমার নিকট অদ্ভুত মনে হয় কারণ কোন শালিশে আমি কম সংখ্যকের মতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে দেখিনি। কোন সংসদেও এমনটা হয়না।বরং ভুল হউক আর শুদ্ধ হোক সকল ফোরামে অধিকাংশের মতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।যদি এক অধিকাংশের সিদ্ধান্ত ভুল হয় তবে আরেক অধিকাংশ সে ভুল সিদ্ধান্ত বাতিল করে। কম সংখ্যক কোন সিদ্ধান্ত বাতিল করলে তাকে জবরদস্তি বলে।আর কম সংখ্যক যদি মনে করে তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক তবে তাদের ফোরাম আলাদা হয়ে আবার অধিকাংশের মত গৃহীত হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২১