বঙ্গবন্ধুর শাসন কিছু সংখ্যক লোকের পছন্দ হয়নি।কিছু সংখ্যক উচ্চাভিলাষী এটাকে তাদের ক্ষমতা লাভের সুযোগ মনে করেছে।বঙ্গবন্ধুর শাসন যাদের পছন্দ হয়নি তাদের সাথে উচ্চাভিলাষীরা ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছে।গণতন্ত্র না থাকায় ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যার পথ বেছে নিয়েছে।কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানীরাও হত্যা করেনি যদিও বাঙ্গালীরা হত্যা করেছে।আমার মতে তাঁকে আরো সময় দেওয়া দরকার ছিল। কারণ যুদ্ধের কারণে দেশের অবস্থা ভালছিলনা।
ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিলবলেই মনে হয়। আর এ ঘটনায় তিনি লাভবান ছিলেন।শাসক হিসেবে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকে সময় দেওয়া দরকারছিল এমতে ছিল বিপুল জনগোষ্ঠি। তাঁকে সরানো দরকারছিল এমতেও ছিল বিপুল জনগোষ্ঠি। দ্বিতীয়মতের শাসকেরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার আইন করে বন্ধকরে রেখেছিল।
তারা হত্যা না করে বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে একটা নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করতে পারতো। সে ভোটে হেরে গেলে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর দল সেটা মেনে নিতে বাধ্য থাকতো।আর সে ভোটে জিতেগেলে বঙ্গবন্ধু ও তারদলকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেলে ভাল হতো। কিন্তু কূ-পথে তারা যা করেছে সেটাছিল জঘণ্য অন্যায়।হত্যার রাজনীতি কোনভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।এটা যে কোন জাতিকে শুধু পিছনে ঠেলে দেয়।
যেহেতু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট যা ঘটেছে সেটা ছিল জঘণ্য অন্যায় সেহেতু এ ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিল তারা সমর্থন যোগ্য নয়।
আমি জিয়াকে নিয়ে কবিতা লিখেছি শাসক হিসেবে তার সাফল্যের কারণে। কিন্তু তিনি যদি বঙ্গবন্ধুর হত্যার অংশিদার হয়ে থাকেন তবে সেটা আমি কোনভাবেই সমর্থন করিনা।তবে আদালত জিয়াকে এ হত্যায় দোষী সাব্যস্ত করেনি।
ফখরুদ্দিন ও মইনদ্দিন ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেনি। ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে এমন কিছু হলে তবু দোষ কিছুটা কম হত।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৩