# আল্লাহর অবাধ্য হওয়া অসম্ভব। তিনি বলেছেন, ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক সবাই তাঁকে মেনে চলে।বেঁচে থাকার জন্য সবাই তাঁর নিয়মে গ্রহণ, ত্যাগ, পরিশ্রম ও বিশ্রামের মাধ্যমে অনিবার্য ভাবে তাঁকে মান্য করে থাকে।এমন কেউ নেই যে তাঁর এ সংক্রান্ত বিধি লংঘন করে তাঁকে অমান্য করে।কাজেই আল্লাহর সম্পূর্ণ অবাধ্য কেউ নয়; বরং কিছুটা হলেও আল্লাহর বাধ্য সবাই।
# ৭২ হুরের কারণে অনেকে জান্নাতে যেতে আগ্রহী নয়।আল্লাহ বলেছেন, সেখানে যা চাইবে তাই পাবে। যার হুরের প্রয়োজন নেই সে বলে দিলেই হবে যে আমার হুরের প্রয়োজন নেই। তাহলে তার জান্নাতে হুর থাকবেনা। আল্লাহতো বালেননি যে বাধ্যতা মূলক ভাবে হুর নিতেই হবে।কাজেই হুর নিয়ে অহেতুক কেন এত দুশ্চিন্তা?
# যে মহিলা চাইবে হুর না থাক, অথচ তার স্বামী যদি হুর চায় তাহলে দু’জন আলাদা হয়ে গেলেই হয়ে গেল। আল্লাহতো বলেননি যে তাকে সেই স্বামীর সাথে থাকতে বাধ্য করা হবে।
# স্বামী স্ত্রী দু’জন যদি হুর চায় তবে তাদের হুর থাকাতে অন্যকারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
# মহানবি (সা.) অনেকগুলো বিয়ে করেছেন। অল্প বয়স্কা আয়েশাকে (রা.) বিয়ে করেছেন সে জন্য অনেকে জান্নাতে যেতে চায়না্ তো তাদেরকে তাদের অনিচ্ছায় জান্নাতে যেতে বাধ্য করছে কে? জাহান্নামে কি যায়গার অকুলান পড়েছে নাকি? তো উক্ত কারণ সত্ত্বেও যারা একান্তই জান্নাতে যেতে চায় তাদের এ জান্নাতে যেতে চাওয়ার পিছনে যারা জান্নাতে যেতে চায়না তাদের অসুবিধা কোথায়? নাকি লেজকাটা শেয়ালের মত তারা জাহান্নামে যেতে চায় বলে তারা চায় অন্যরাও তাদের মত জাহান্নামগামী হোক? তো তারা কি বলদ নাকি যে তারা তাদের সাথে জাহান্নামে যেতে চাইবে?
# মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সব তাঁর নবুয়ত পরবর্তী ইস্যু নিয়ে। আর নবুয়ত পরবর্তী কোন কাজ মহানবি (সা.) নিজের ইচ্ছায় করেননি বরং নবুয়ত পরবর্তী সব কাজ মহানবি (সা.) আল্লাহর ইচ্ছায় করেছেন বিধায় এসংক্রান্ত কোন দায় মহানবির (সা.) নয়।কাজেই বলদের ঘরের বলদেরা নবুয়ত পরবর্তী কাজের জন্য মহানবিকে (সা.) দোষারফ করে।
# কিছু সংখ্যক লোকের নিকট ইসলাম এতটাই মন্দ যে তারা জাহান্নামে যেতে রাজি তথাপি তারা ইসলাম মানতে রাজি নয়।আর যারা জাহান্নামে যেতে রাজি নয় ইসলাম যতই খারাপ হোক তারা ইসলাম মানবেই মানবে।তো এদেরকে জোর করে জাহান্নামগামী করার মানেটা কি?
# তবে খাস কথা হলো যত ধর্ম বা মত রয়েছে তার মধ্যে একমাত্র ইসলামকে সঠিক প্রমাণ করা যায়।। অন্য ধর্ম বা মত যদি ইসলামের চেয়ে অধিক সঠিক না হয় তবে ইসলাম ছেড়ে মানুষ কোথায় যাবে? আমি বলেছিলাম এটাতো ভাল নয় বুঝলাম তবে ভাল কোনটি? কিভাবে ভাল সে ব্যাপারে তোমাদের কথা তোমরা বলে যাও যার পছন্দ হয় তারা তোমাদের ধর্ম বা মত গ্রহণ করবে। কেই যদি স্বেচ্চায় মন্দ ধর্ম বা মতে থাকতে চায় তবে তাকে আর ডিস্টার্ব করোনা।কিন্তু অহেতুক কারো ধর্ম বা মতের সমালোচনা করতে গিয়ে তুমি নাই হয়ে গেলে এর দায় কেউ নিবেনা।
# এক বেকুব বলছে মৌমাছি সূরায় মৌমাছির কথা এক লাইন কেন? আমিতো মনে করি এক শব্দ থাকলেই চলে। কারণ সূরায় মৌমাছি যেমন নিজ দায়িত্ব সূচারু রূপে সম্পন্নন করে অন্যদেরকেও নিজ দায়িত্ব সূচারু রূপে সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। কোরআন কি রচনার বই নাকি, আর সূরা কি মৌমাছির রচনা নাকি যে এতে মৌমাছি ছাড়া আর কোন কথা বলা যাবে না?
# আজকের এ কোরবানীর দিনে মানুষের মনের পশুত্বের কোরবানী হোক। তারা আর ইসলামের অহেতুক সমালোচনা না করুক।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬