somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজিটাল সেবায় মুঠোফোনে কৃষিতথ্য

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কৃষি হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প। জিডিপির প্রায় ২৩ শতাংশ আসে কৃষি হতে। অন্যদিকে সরকারের রয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগান। তাই কৃষিতে নয়া তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার খুবই কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। সরকারের রয়েছে কৃষি তথ্য সেবা (আইইএস) এবং ই-কৃষি সেবা। বাংলা ওয়েবসাইট, কৃষি কল-সেন্টার, মাল্টিমিডিয়া ই-বুক, টাচ স্ক্রিন কিয়স্ক ইত্যাদি হল এসকল সেবার উদাহরণ। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষিবিষয়ক তথ্য পুরাতন পদ্ধতিতে এবং নয়া তথ্যপ্রযুক্তির মধ্য দিয়ে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার প্রবর্তন করেছে তিনটি অ্যাপ—‘কৃষকের জানালা’, ‘কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা’ ও ‘বালাইনাশক নির্দেশিকা’। এই তিনটি অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হতে পারে। কৃষককে কেবল এই তিনটি অ্যাপ তার মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করতে হবে। নিঃসন্দেহে এটা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই ধরনের উদ্যোগের ফলে কৃষিজ তথ্য ও কৃষকের মধ্যকার ব্যবধান একেবারে ঘুচে যাবে। বিনিয়োগ ব্যতীত মধ্যস্বত্বভোগীরা এতকাল যে সুবিধা নিয়ে কৃষককে ঠকিয়ে আসছিল, তা দূর হতে চলল। কারণ ফসল ফলানোর তথ্য এখন কৃষক নিজেই সংগ্রহ করতে পারবে, আবার ফসল বাজারজাত কবার ক্ষেত্রে তার দখল অনেকখানি প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ কৃষক এসকল অ্যাপ হতে বিভিন্ন বাজারের সর্বশেষ দর বা খবরাখবর জানতে পারবে। এইভাবে কৃষকের নানান দুর্ভোগ কমে আসবে। এতদিন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান ও রেডিও-টেলিভিশন ইত্যাদির মাধ্যমে কৃষক তথ্য পেয়েছে। তথ্য জানার জন্য তথ্যপ্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ছিল ওয়েবসাইট কিংবা ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র। ওয়েবসাইট ব্যবহারে ছিল নানান সীমাবদ্ধতা। একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে প্রয়োজন ইন্টারনেটের সংযোগ ও কিছুমাত্রায় ইংরেজি জ্ঞান। কিন্তু সাধারণ কৃষকের পক্ষে তা অনেকখানি অসম্ভব ছিল। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র হতে তথ্য পেতে কৃষককে কেন্দ্রে যেতে হয়। আবার সকল কেন্দ্র যে ভালোমতো চলছে তাও নয়। তাই এই দুইটি সেবার তুলনায় মুঠোফোনে তথ্য পৌঁছাইয়া গেলে তা অধিক কার্যকর হবে। কারণ আজকাল সব কৃষকই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর ফলে কৃষি তথ্যসেবার সর্বোচ্চ সুবিধা কৃষক পাবে। এতে একদিকে কৃষক যেমন উপকৃত হবে তেমনি দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে হবে সমৃদ্ধশালী।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×