আম উৎপাদনের দিক থেকে রাজশাহী প্রথম হলেও স্বাদের দিক থেকে মেহেরপুরের আম প্রথম। মাটি ও আবহাওয়ার কারণে মেহেরপুরের সুস্বাদু হিমসাগর আম এবারও দেশের বাইরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত দেশগুলোতে রফতানি হতে যাচ্ছে। গত বছর আম রপ্তানি করা দেশে এবারও মেহেরপুরের আমের চাহিদা বেড়েছে। এবার ইউরোপের আটটি দেশে দ্বিতীয়বারের মতো মেহেরপুরের আম তার স্বাদ ছড়াবে। আম চাষের জেলা হিসেবে মেহেরপুরের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। বিশেষ করে মাটি ও আবহাওয়ার কারণে মেহেরপুরের হিমসাগর, ল্যাংড়া আমের রয়েছে আলাদা পরিচিতি। গত বছর প্রথম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পর চলতি বছর ২০০ টন আম যাবে ইউরোপের দেশগুলোয়। এজন্য জেলার বিভিন্ন আমবাগানে ব্যাগ পদ্ধতিতে আম চাষ হচ্ছে। আমের রাজা হিমসাগরকে আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে দিতে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ২০১৫ সালে উদ্যোগ নেয়। সেই উদ্যোগে জেলার ১৫টি বাগান নির্বাচন করা হয়। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সেসব বাগান থেকে প্রথমবারের মতো ৪৫ হাজার আম (১২ টন) সংগ্রহ করে। এবার যাবে ২০০ টন আম। নির্ধারিত বাগানগুলোয় গাছের আমে কার্বন ব্যাগ পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আম চাষিদের প্রতিটি কার্বন ব্যাগ কিনতে হয়েছে ৪ টাকা করে। এসব ব্যাগ দুই বছর ব্যবহার করা যাবে। আম চাষিরা বিদেশে রপ্তানি করার জন্য উৎসাহিত হয়ে আম গাছ পরিচর্যায় যত্নবান হয়েছেন। চাষিরা জানান, আমে আটি আসার পর থেকেই বাছাই করা আমে বিশেষ এই ব্যাগ পরানো হয়েছে। এই ব্যাগ পরানোর ফলে বাইরের কোনোরকম রোদ, বৃষ্টি এমনকি পোকামাকড় ওই আমের ক্ষতি করতে পারে না। এ ধরনের নির্বাচিত বাগানগুলোয় আম বাছাই করে ব্যাগে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। রপ্তানি করা হবে শুধু হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপলি জাতের আম। ফলে বিদেশে ফলজ পণ্য রপ্তানিতে আমকে উজ্জ্বল সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে দেশের মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭