এক নির্জন পাহাড়ী সন্ধ্যার গল্প । একজন চেনা মানুষকে খুব অচেনা লাগছিল সেদিন। অচেনা অপার্থিব পাহাড়ের মাঝে বয়ে চলা ছোট্ট ছিমছাম নদী, তার উপর ঝুলে থাকা সেতু, আর প্রশান্তির বাতাস। সেতুর উপর আসর জমিয়ে বসা সকলের মধ্যমনি হয়ে কি অদ্ভুদ সুরে খালি গলায় গাচ্ছিল সে! বেড়াতে আসা দলটির সবাই তখন তাকে ঘিরে আছে নিশ্চুপ। সবাইকে অস্তিত্বহীনতায় ডুবিয়ে সে গাচ্ছিল, যেন পাহাড়ের মাঝে খুঁজে পেয়েছে সেই প্রকৃতিকে যার জন্য জমানো ছিল হাজারো নালিশ, অভিমান, অর্ধজীবন পুষে রাখা চাপা কষ্ট। যেন ঠিকরে ঠিকরে কাঁদছিল সে। মমতা জড়ানো কন্ঠের ঘোরে সবাই নিরব, তার কান্না কেউ দেখছেনা। শুধু আমি দেখছি আর কেউনা। কেউ না....
ওই মুহূর্তে শত অপরাধ, প্রতারণাকে মিথ্যা মনে হয় । বরং নিজেকে অপরাধী মনে হয়, নিজের উদাসীনতাকে দায়ী করা যায়। ভুল ভেবে কাটানো সময়গুলোকে আর ভুল মনে হয়না। বরং নষ্ট সময়ের জন্য অনুতাপ হয়। এই অচেনা নতুন মানুষটির হাতে হাত রাখতে ইচ্ছে হয়। মনে হয়, বাকিজীবন কাটিয়ে দিব এক নিমিষেই। তবুও এই রেশগুলো স্থায়ী হয় না । এক জীবন যে অনেক বড়, সময়গুলো যে অনেক হিসেবি । আর মস্তিষ্ক বার বার স্মৃতি খুঁড়ে কষ্ট খুঁজতে ভালোবাসে।
[ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত]
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৫