এই অসহ্য গরমে আমাদের করণীয়-
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বেশ গরম পড়েছে। এখনও তেমন ভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। এই চরম গরম পরিবেশে হরহামেশাই হিট-স্ট্রোক হতে দেখা যায়। প্রচণ্ড রোদে পথ চলতে চলতে হঠাৎ করে নিজে বা অন্য কেউ এতে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। দেহের তাপমাত্রা কোন কারণে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে স্নায়ু-তন্ত্রের কিছু পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় এবং শারীরিক কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সংক্ষেপে একে হিট-স্ট্রোক বলা হয়। এটি জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ কিছু কৌশল জেনে রাখাটা সবার জন্যই ভাল। হিট-স্ট্রোকের লক্ষণগুলো কখনো কখনো বেশ দ্রুত ও হঠাৎ করেই প্রকাশ পায়। আবার সবার ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো একই রকম নাও হতে পারে।
বেশ কিছু সাধারণ উপসর্গ রয়েছে, যা দেখে হিট-স্ট্রোক নির্ণয় করা হয়-
শরীরের তাপমাত্রা বেশ বৃদ্ধি পায় (পায়ু পথে ১০৪ ডিগ্রি হতে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট কিংবা এর চেয়ে বেশিও হতে পারে)। ঘাম হয়না। তাই গায়ের ত্বক শুষ্ক ও তপ্ত থাকে এবং লাল বর্ণ ধারণ করে। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। পাল্স বেড়ে যায়। অস্বাভাবিক আচরণ করে। দৃষ্টিভ্রম হতে পারে। অস্থিরতা বেড়ে যায়। খিঁচুনি হতে পারে। অচেতন হয়ে পড়তে পারে। চোখের তারারন্ধ্র সংকুচিত হয়ে যেতে পারে।
হিট-স্ট্রোক প্রতিরোধে কি কি করবেন?
প্রচন্ড রোদে একনাগারে পরিশ্রমের ফাঁকে মাঝে মাঝে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর তরল খাবার যেমন পানি, ফলের রস, ডাবের পানি, সরবত পান করতে হবে। রোদে বের হলে সঙ্গে ছাতা ব্যবহার করতে হবে। খুব গরম পড়লে দিনে দু-তিন বার গোসল করলে আরাম বোধ হবে। ব্লাডপ্রেশার কম থাকলে আহারের সময় সামান্য পরিমাণে কাঁচা লবণ খাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে খাবার স্যালাইনও খেতে হবে। এ সময় হালকা রঙের পোষাক পরিধান করাই ভাল। বৃদ্ধ ও শিশুরা গরমের সময় সহজেই আকান্ত হয়। তাই তাদের ব্যপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
হিট-স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা-
দ্রুত ছায়াঘেরা ঠান্ডা স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিত করে শুইয়ে দিতে হবে। পা-দুটি ও নিতম্ব কিছুটা উঁচুতে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। মাথার কাছে ফ্যান চালিয়ে দিতে হবে। শরীরের কাপড় খুলে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। বগল ও দুই উরুর খাঁজে কিছুক্ষণ আইস-ব্যাগ রাখলে ভাল হয়। খেতে পারলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘন ঘন পানি ও তরল খাবার দিতে হবে। মাঝে মাঝে শরীরের তাপমাত্রা মেপে দিখতে হবে। ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে না নামা পর্যন্ত ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে। মুখে খেতে না পারলে ও শরীরের তাপমাত্রা কিছুতেই না কমলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ
গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন