somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোদেলা'র সাথে ফোনালাপ - ১

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রোদেলা'র সাথে আজকে ফোনে কথা হচ্ছিল। আমাকে জিজ্ঞেস করলো, "এই, আমাকেতো বলনি কখনো তোমার লাইফের প্রথম ক্র্যাশ কে ছিল?

ফোনের এ প্রান্তে আমি মোটেও অপ্রস্তুত হলাম না। মৃদু হাসলাম।

গার্লফ্রেণ্ডকে লাইফের সব কথা বলাটা যদিও ঠিক না। তারপরেও কিছু কথা থেকে যায় যেগুলো বললেও বিপদ, না বললেও বিপদ।

পেইন রে ভাই। গার্লফ্রেণ্ড মানেই পেইন।

বললাম, "শোন বেইবি, তুমি ছাড়া আমার লাইফের বড় ক্র্যাশ আর কে হতে পারে বলো?"

সাথে সাথে রোদেলা ছ্যাঁত করে উঠলো। "এহ্! ন্যাকা? ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানোনা বুঝি? বলো বলো, কে কে ছিল?"

"ছিল একজন" - একটু দম নিয়ে বললাম আমি।

"কে? কে সেই জন?" রোদেলার কণ্ঠ এবারে উদ্ধত।

"আমি তখন ক্লাস থ্রি তে পড়ি। কো-এড এ। আমার সাথেই একটা মেয়ে পড়তো। ওর নাম ছিল মনিকা। উমমম... মিথ্যে বলবোনা। এই মনিকা-ই ছিল আমার লাইফের ফার্স্ট ক্র্যাশ। যদ্দুর মনে পড়ে মনিকা ছিল গোলগাল খুব সুন্দর একটা বাচ্চা। ক্লাসে সব সময় আমার পাশেই বসতো। আর ওকে আমি এতই ভালোবাসতাম যে, ওর সব জিনিসপত্র আমি আমার নিজের মনে করে অর্থাৎ মনিকার ছোঁয়া আছে ভেবে ওর জিনিসগুলো নিজের ব্যাগে ভরে নিতাম।

একদিন মনিকার মা স্কুলে এলেন। আমাকে আদর করে ডেকে নিয়ে বললেন, বাবু, যাওতো, তোমার স্কুল ব্যাগটা নিয়ে এসোতো।
আমি ভদ্র বাচ্চার মতো আমার স্কুল ব্যাগখানা আন্টির কাছে নিয়ে এলাম।

তিনি খুব যত্ন করে ব্যাগের চেইন খুলে আমার ব্যাগের মধ্যে রাখা মনিকার সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর জিনিসপত্র যেমন, ইরেজার, পেন্সিল, কলম হাবিজাবি আরও যা যা ছিল সেগুলো আমার চোখের সামনে নিয়ে নিলেন। আর আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, এরকম অন্যের জিনিস আর কখনো নিবেনা বাবু, বুঝলে?

আমিও মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক একটা ভাব দেখালাম।

এর পরদিন মনিকার সাথে আমার ব্রেক-আপ হয়ে গেল।"

ফোনের ও পাশ থেকে শুনলাম রোদেলার খিল খিল করে হাসি।

বাঁচা গেল বাবা!

https://www.facebook.com/mahee.chowdhury.75
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×