১৮২৬ সালে ফ্রান্স এ তোলা এই ছবিটিকে বিশ্বের প্রথম ছবি বলে ধরে নেওয়া হয় যার অস্তিত্ব এখনও বিলীন হয় নি।
ভূমিকম্প তথা আগুনের লেলিহান শিখায় ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছিলো সানফ্রান্সিসকো,১৯০৬ সালে ধার করে আনা ক্যামেরাতে সেই দৃশ্য ধারণ করেছেন Arnold Genthe
এই ছবিটি শিশুশ্রম বন্ধে তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলো।যুক্তরাষ্ট্রের একটি কয়লা খনি থেকে ১৯১০ সালে Lewis Hine ছবিটি তোলেন।
এক সাদা মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে ২ জন কালো লোককে এভাবেই ফাঁসি দেওয়া হয়, ফাঁসি কার্যকর করার সময় এভাবেই ভিড় জমায় মানুষ।
অভাবের তাড়নায় মানুষের হতাশার দৃশ্য ফুটে উঠেছে Dorothea Lange র তোলা এই ছবিতে,এখানে দেখা যাচ্ছে ৩২ বছর বয়সী ৭ সন্তানের জননী Florence Owens Thompson কে যিনি কিনা নিজের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে থাকা তাঁবুখানিও বিক্রি করে দিয়েছেন সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য।
হিটলারের সাম্রাজ্যবাদ চলছেই,নতুন নতুন ভূখণ্ডে উড়ছে নাৎসি বাহিনীর পতাকা।এবার দখলে এসেছে ফ্রান্স,তাই হিটলার তার সারগেদদের নিয়ে চলে এসেছেন প্যারিসকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে।
এক Einsatzgruppen সৈন্যের ব্যক্তিগত ডায়েরী থেকে এই ছবিটি সংগ্রহ করা হয়,এই ছবির পেছনে লিখা ছিল ''ভিনেস্তার সর্বশেষ ইহুদী'', ঐ সময় প্রায় ২৮০০০ ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিলো।
মে, ১৯৪৫,ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুই সোভিয়েত সেনা বার্লিনের রেইছস্তাগ বিল্ডিং এর উপর নিজেদের পতাকা স্থাপন করছে।
ছবির এই মেয়েটির নাম Anne Frank,১৯৪২সালে এই ছবিটি তোলা হয়।ইহুদী এই মেয়েটি তার ডায়েরীতে হিটলারের হলোকস্ট এর কথা বর্ণনা করেছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস স্কয়ার থেকে অক্টোবর ১৫,১৯৪৫ সালে এই ছবিটি তোলা হয়।জাপানিজদের আত্মসমর্পণ করার কথা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ আনন্দে রাস্তায় নেমে এসেছিলো।আনন্দের আতিশয্যে এই সৈন্য একজন নার্সকে ধরে চুমু খাচ্ছে,রসিক ফটোগ্রাফার সেই দৃশ্যই ধারণ করেছেন।
এই ছবিটির সম্পর্কে কি বলবো বুঝতে পারছি না।তবুও বলছি,চে গুয়েভারার মৃত্যু রহস্য আজও উম্মোচিত হয় নি।১৯৬৭ সালে চে গুয়েভারাকে মেরে ফেলার পর এই ছবিটি তোলা হয়,ধারণা করা হয়েছিল চে গুয়েভারার মৃত দেহের ছবি দেখে তার অনুসারিদের মনোবল ভেঙ্গে পড়বে কিন্তু না,এই ছবিই তাকে অমরত্ব প্রদান করে,বিদ্রোহীদের চেতনায় আজও বেঁচে আছেন চে গুয়েভার।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তোলা হয়েছিলো এই ছবিটি,ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন সৈন্য এক সিভিলিয়ানের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছে।
এই ছবিটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতীকী ছবিতে পরিণত হয়েছিলো।বোমা হামলার পর প্রান বাঁচাতে তৎপর ৯ বছরের শিশু Kim Phúc কাঁদতে কাঁদতে নিরাপদ স্থানের দিকে ছুটছে,মেয়েটির ঠিক সামনেই তার বড় ভাই।
অবশেষে চাঁদে পা রাখল মানুষ,চাঁদে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন।
আজ এতটুকুই,আগামী পর্ব নিয়ে ফিরে আসবো শিগ্রই।
আগের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৮