somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলুন দেখে নেই ইতিহাস এর পাতায় জায়গা করে নেওয়া কিছু ছবি

১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ প্রতিনিয়ত ইতিহাসের জন্ম দেয়,একমাত্র ইতিহাস হচ্ছে কালের সাক্ষী। এই পোস্টে যেই ছবিগুলো রয়েছে এরা নিজেরাই একেকটা ইতিহাস,একটু ভিন্নভাবে বললে বলা যেতে এই ছবিগুলোর জন্মই হয়েছিলো ইতিহাসে স্থান করে নেবার জন্য।''ইতিহাস ভোলা যায় না,ইতিহাস কখনও ছাড় দেয় না'' এই ছবিগুলো আমাদেরকে সেই কথাই মনে করে দিয়েছে।

১৮২৬ সালে ফ্রান্স এ তোলা এই ছবিটিকে বিশ্বের প্রথম ছবি বলে ধরে নেওয়া হয় যার অস্তিত্ব এখনও বিলীন হয় নি।

ভূমিকম্প তথা আগুনের লেলিহান শিখায় ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছিলো সানফ্রান্সিসকো,১৯০৬ সালে ধার করে আনা ক্যামেরাতে সেই দৃশ্য ধারণ করেছেন Arnold Genthe

এই ছবিটি শিশুশ্রম বন্ধে তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলো।যুক্তরাষ্ট্রের একটি কয়লা খনি থেকে ১৯১০ সালে Lewis Hine ছবিটি তোলেন।

এক সাদা মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে ২ জন কালো লোককে এভাবেই ফাঁসি দেওয়া হয়, ফাঁসি কার্যকর করার সময় এভাবেই ভিড় জমায় মানুষ।

অভাবের তাড়নায় মানুষের হতাশার দৃশ্য ফুটে উঠেছে Dorothea Lange র তোলা এই ছবিতে,এখানে দেখা যাচ্ছে ৩২ বছর বয়সী ৭ সন্তানের জননী Florence Owens Thompson কে যিনি কিনা নিজের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে থাকা তাঁবুখানিও বিক্রি করে দিয়েছেন সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য।

হিটলারের সাম্রাজ্যবাদ চলছেই,নতুন নতুন ভূখণ্ডে উড়ছে নাৎসি বাহিনীর পতাকা।এবার দখলে এসেছে ফ্রান্স,তাই হিটলার তার সারগেদদের নিয়ে চলে এসেছেন প্যারিসকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে।

এক Einsatzgruppen সৈন্যের ব্যক্তিগত ডায়েরী থেকে এই ছবিটি সংগ্রহ করা হয়,এই ছবির পেছনে লিখা ছিল ''ভিনেস্তার সর্বশেষ ইহুদী'', ঐ সময় প্রায় ২৮০০০ ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিলো।

মে, ১৯৪৫,ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুই সোভিয়েত সেনা বার্লিনের রেইছস্তাগ বিল্ডিং এর উপর নিজেদের পতাকা স্থাপন করছে।

ছবির এই মেয়েটির নাম Anne Frank,১৯৪২সালে এই ছবিটি তোলা হয়।ইহুদী এই মেয়েটি তার ডায়েরীতে হিটলারের হলোকস্ট এর কথা বর্ণনা করেছিলো।

যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস স্কয়ার থেকে অক্টোবর ১৫,১৯৪৫ সালে এই ছবিটি তোলা হয়।জাপানিজদের আত্মসমর্পণ করার কথা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ আনন্দে রাস্তায় নেমে এসেছিলো।আনন্দের আতিশয্যে এই সৈন্য একজন নার্সকে ধরে চুমু খাচ্ছে,রসিক ফটোগ্রাফার সেই দৃশ্যই ধারণ করেছেন।

এই ছবিটির সম্পর্কে কি বলবো বুঝতে পারছি না।তবুও বলছি,চে গুয়েভারার মৃত্যু রহস্য আজও উম্মোচিত হয় নি।১৯৬৭ সালে চে গুয়েভারাকে মেরে ফেলার পর এই ছবিটি তোলা হয়,ধারণা করা হয়েছিল চে গুয়েভারার মৃত দেহের ছবি দেখে তার অনুসারিদের মনোবল ভেঙ্গে পড়বে কিন্তু না,এই ছবিই তাকে অমরত্ব প্রদান করে,বিদ্রোহীদের চেতনায় আজও বেঁচে আছেন চে গুয়েভার।

ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তোলা হয়েছিলো এই ছবিটি,ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন সৈন্য এক সিভিলিয়ানের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছে।

এই ছবিটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতীকী ছবিতে পরিণত হয়েছিলো।বোমা হামলার পর প্রান বাঁচাতে তৎপর ৯ বছরের শিশু Kim Phúc কাঁদতে কাঁদতে নিরাপদ স্থানের দিকে ছুটছে,মেয়েটির ঠিক সামনেই তার বড় ভাই।

অবশেষে চাঁদে পা রাখল মানুষ,চাঁদে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন।

আজ এতটুকুই,আগামী পর্ব নিয়ে ফিরে আসবো শিগ্রই।

আগের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৮
৩৫টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×