মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গড়াই নদীর উপর দিয়ে কখনও গিয়েছেন কি? ও আপনি তো আবার আকাশ দিয়ে চলেন তাই গড়াই নদী দেখার কথা অবান্তর বটে। আবার সড়কে গেলেও থাকেন কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে। তাই ঐ নদী দেখার কথা একেবারেই অবাস্তব। শুধু এতটুকু বলতে চাই, গড়াই নদীর উপর দিয়ে যতবার গেছি মনের অজান্তে চোখের কোনে এক ফোটা জল জমেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী শহররক্ষা বাঁধ আইবাঁধ বা টিবাঁধে কখনও গেছেন কি? কি সব আবোল তাবোল লিখছি। শুধু জেনে রাখুন যে কয়েকবার ঐ আইবাঁধ বা টিবাঁধে গেছি বুকটার ভিতর হাহা কার করে উঠেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে পরামর্শ তো দুরের কথা আপনার নাম নেওয়া ও আমার মত সাধারণ জনগনের জন্য পাপ। শধু আজ আপনাকে একটা অনুরোধ জানাতে চাই। আপনি জানেন টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ভারত। তাই জাতির মনে আপনার সরকারকে নিয়ে যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে তা খোলাসা করতে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আপনার অবস্থান পরিষ্কার করুন। জাতির এই ক্রান্তিকালে অনতিবিলম্বে তাদের উদ্দেশ্যে ভাষন দিন। আপনার সরকার বা বাংলাদেশের কোন দুর্বলতা থাকলে তাও জাতিকে সত্য ও সরল ভাষায় প্রকাশ করে যান।
পরিশেষে বলি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলার মাটি এবং জনগনের সাথে বেইমানি করবেন না। তারা বড় আশা নিয়ে আপনাকে দেশের নেতা নির্বাচিত করেছিল। আপনি না বললে ভারত কেন ভারতের বাবার ও ক্ষমতা নেই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করার।
ভেবে দেখুন এটা তো শত সিডরের চাইতে ও ভয়াবহ!! জনগনকে সাথে নিয়ে দেশের এই দুর্যোগ মোকাবেলা করুন। আর তা যদি না করেন ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।
তাই দয়া করে টিপাইমুখ বাঁধ ঠেকাতে অতিসত্তর নিম্নে উল্লেখিত ব্যবস্থাগুলো সহ যত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা গ্রহন করুন। আপনি জানেন হাতে সময় খুব কম...................রোগী যেন আই সি ইউ তে:
১) ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াগুলো জরুরিভাবে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ধারাবাহিক প্রচার শুরু করুক।
২) টিপাইমুখ বাঁধের উপর সর্বত্র গনসচেতনতা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফোরামে যথাযথ ভাবে উপস্হাপনের জন্য আসন্ন বাজেটে বরাদ্ধ দেওয়া হোক।
৩) বিদেশ অধ্যায়ণরত ছাত্র-ছাত্রী সহ সমস্ত প্রবাসিরা প্রতিবাদে অংশ নিক এবং প্রয়োজনে বিশ্বের সকল দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করুক।
৪) বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে তলব করা হোক এবং কড়াভাষায় ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের সমালোচনা করা হোক।
৫) বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের প্রতিবাদ সভা করা হোক।
৬) জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন পলিটিক্যাল পার্টির যে সব সংগঠন ও অংগসংগঠন রয়েছে তারা স্ব স্ব জেলা/ উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করুক।
৭) বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশে অবস্হিত সমস্ত রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণের মাধ্যমে একটি জায়গায় ডাকুন এবং টিপাইমুখ বাঁধের ভয়াবহতা তাদেরকে অবহিত করুক এবং দেশী বিদেশী এক্সপার্টদেরকে সেখানে হাজির করিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করানো হোক।
৮) বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো বিশ্বের সমস্ত সংবাদ মাধ্যমগুলোকে টিপাইমুখ বাঁধের ভয়াবহতা নিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করতে অনুরোধ করুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:০৬