বছর ঘুরে আসে পবিত্র মাহে রমজান । আমাদের মুসলিমদের জন্য এই মাসটি অত্যন্ত পবিত্র আর তাৎপর্যপূর্ণ । এই মাসের প্রত্যেকটি নেক আমল সত্তুর গুন বেশি হিসাব হয় তাই আমরা সবাই কম বেশি নেক আমল করার চেষ্টা করি । এই মাসেই আমরা আমাদের ফরজ রোজাগুলো পালন করি । দীর্ঘ এক মাস আমরা এই সিয়াম সাধনা করি । আমরা বাঙ্গালীরা স্বভাবতই একটু ভোজনরসিক । অনেক সময় আমাদের এই ছোট শখটির কারনে পড়তে হয় চরম বিপদে । চলুন জেনে নেওয়া যাক এই রমজান মাসে আমাদের করনীয় কিছু কাজ যা আমাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে
*আমরা অনেকেই ইফতারে বাহারি ফল খেয়ে থাকি । তবে আমাদের দেশে যেহেতু ফরমালিন আর কার্বাইড ছাড়া ফল পাওয়া মুশকিল তাই যতটা সম্ভব ফল পরিহার করতে হবে ।
*শুরুতেই বলেছি আমরা ভোজনরসিক,ভাজা পোড়া আমাদের ইফতারের ঐতিহ্য। ভাজা পোড়া একেবারেই পরিহার করা হয়তো সম্ভব না তাই আমরা একটু খেয়াল রাখব যেন একই তেল দিয়ে খাবারগুলো প্রতিদিন ভাজা না হয় । ভাজা শেষে যেন পুরনো তেল ফেলে দেই । পুরনো তেল এর সাথে নতুন তেল মিশিয়ে কোন কিছু না ভাজি ।
*সারাদিন রোজা রেখে আমরা অনেকেই শরবত খেয়ে রোজা ভাঙ্গি । বর্তমানে বাজারে নানান স্বাদের শরবত এর উপকরন পাওয়া যায় । এগুলো না খেয়ে লেবুর শরবত অথবা টক দই এর শরবত খেলে আমাদের শরীরের জন্য উপকার বেশি হবে
*যেহেতু এবারের রোজা গরমকালে পড়েছে তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি খান । প্রয়জনে ৮ গ্লাস পানি মেপে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করুন এবং সেহরির আগ পর্যন্ত পুরো পানিটা শেষ করুন ।
* আমাদের মাঝে অনেকেই সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে পরিমানে অনেক বেশি খান । এই একবারে বেশি খাওয়ার প্রবণতাটা বন্ধ করতে হবে । এক বৈঠকে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খান ।
*চা/কফি/কোমল পানীয় যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।(যদিও আমি নিজেই পারিনি )
*তোকমা এবং ভুসি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ইফতারের পর খেলে পেট ঠাণ্ডা থাকবে
*ইফতারের সময় ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাবেন না ।
*সেহরি অথবা ইফতারের পরপরই ঘুমাবেন না অথবা শুবেন না । কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে এরপর বিশ্রাম নিন ।
*সারাদিন অলস সময় কাটাবেন না । এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে
*পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ । প্রতিদিনের গোসল আপনাকে রাখবে সতেজ ।
সবকিছুর মূলে আছে সুস্থতা। শরীর সুস্থ থাকলে আমরা অতি সহজেই সবকিছু করে ফেলতে পারি । প্রতিদিনের ব্যাস্ত জীবনে সামান্য অসুখ আমাদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় কেড়ে নেয় । তাই আসুন, একটু নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করি আর প্রতিটি মহামূল্যবান সময়কে কাজে লাগিয়ে জীবনটাকে করে তুলি আরও সুন্দর আর প্রাণবন্ত ।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন