somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদ্রাসায় সমকামিতা

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান এর ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং স্ট্যাটাস থেকে নেয়া। যদিও তিনি যেভাবে বলতে চেয়েছেন আমি সেরকম মনে করি না যে সব মাদ্রাসায় এই ধরণের আচরন অনেক। বিচ্ছিন্ন ঘটনা সবখানেই আছে। তবে এটাও সত্যি যে এই ধরণের আচরন গুলো হুজুর শ্রেণীর কিছু মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বললাম আর কি কারন বলতে লজ্জা নেই যে ছোট থাকতে, যখন আমার বয়স নিতান্তই কম তখন এইরকম দুই বার দুই হুজুর আমার সাথে এইরকম কুরুচিপূর্ণ আচরন করতে চেয়েছিলেন। যাই হোক এখানে লেখকের একটা ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শুধু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

"কৈশোরে পিতার চাপে পড়ে মাসখানেক ক্বওমি মাদ্রাসায় পড়তে হয়েছিল, ফেনী হোসাইনিয়া মাদ্রাসায়। সঙ্গে বাল্যবন্ধু আলী ও আমান। এতে আমাদের সুবিধাই হয়েছিল। বাড়ি থেকে দশ টাকা ট্রেন ভাড়া দিয়ে শহরে সিনেমা দেখতে আসাটা সহজ ছিল না। এই মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর দিনে আমরা মাদ্রাসায় ক্লাশ করি, সন্ধ্যার পর পাঞ্জাবির আর টুপিটা পলিথিনের ব্যাগে ভরে গেঞ্জি গায়ে দিয়ে ফেনী সুরত মহল সিনেমা হলে ছয় টাকায় থার্ড ক্লাশের টিকেট কেটে সিনেমা দেখি। আমরা থাকতাম হোসাইনিয়া মাদ্রাসার মসজিদে। এক রাতে সিনেমা দেখে চুপিচুপি মসজিদে ফিরলাম। লাইট জ্বেলে দেখি মাদ্রাসার এক মোদাররেস (শিক্ষক) এক ছাত্রের সঙ্গে সমকামে লিপ্ত! মসজিদের ভিতরেই! আমরা মিনিটখানেক ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। পরে তিন বন্ধু মিলে দুই সমকামীকে দিলাম ধোলাই। পরিণাম হয়েছিল খুব খারাপ। পরদিন আমানকে সিনেমা দেখার অপরাধে মাদ্রাসার মুহতামিম তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে ব্যাপক মারধর করে। পরের ধাপে আমাকে ও আলীকে মারার জন্য ডাকা হলো। বললাম, ‘আমার গায়ে হাত তুললে আমি কিন্তু মসজিদে লুচ্চামির কথা সবাইকে বলে দেব।’ হুজুর ভয় পেয়ে গেল। শেষে সিনেমা দেখার অভিযোগ এনে তিন বন্ধুকে সেদিনই মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হলো। এই ঘটনা আব্বাকে বলার পর তিনি জীবনে আর কখনও আমাদেরকে ক্বওমি মাদ্রাসায় পড়াবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিলেন এবং তিনি জমিয়াতুল মোদাররেসিন (ক্বওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের সংগঠন) থেকে পদত্যাগ করলেন।

শুধু হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় নয়, বাংলাদেশের সব ক্বওমি মাদ্রাসাতেই সমকাম চলে। মাদ্রাসার হোস্টেলে, মসজিদে, রান্নাঘরে এমনকি বাথরুমেও। শিক্ষক-ছাত্রে, ছাত্রে ছাত্রে। তারা এটাকে বলে ‘খেদমত’ "
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩১
২৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×