somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সভ্য
আমি একজন শখের ব্লগার, ব্লগ লিখছি প্রায় বারো বছর হবে, তবে কোনো ব্লগে বেশীদিন থাকতে পারিনি, কেননা, লেখার কারণে হউক, বা ব্লগের নিয়ম কানুনের কারণে হউক, বার বার থেমে যেতে হয়েছে, ব্লগ লেখার বা হেল্প চাওয়ার কারণে সব কিছু হারিয়েছি।

ব্লগিং আমার চাকরী নয়, বরং আমার অধিকার, সাংবাদিকতা আমার চাকরী এখানে আছে আমার দায়বদ্ধতা। সম্পূর্নিটি পড়ুন তারপর যা বলার বলুন।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছোটবেলায় বাল্য শিক্ষা পড়েন নি এমন ব্যাক্তিদের দেখা খুব কমই পাওয়া যাবে, আর যারা বাল্য শিক্ষা পড়ে পরবর্তী লেখাপড়া চালিযে আজ নিজ আসনে প্রতিষ্ঠিত তারা আর যাই হোক বাল্য শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীতার কথা বার বার স্মরণে নিচ্ছেন, কেননা তারা তাদের সন্তানাদিকে মানুষের মতো মানুষ বানাতে ও সমাজে তাদের সৃজনশীলতাকে বাল্যশিক্ষার মত করে উপলব্ধি করে বাকী জীবন কাটাক এমনটাই চান বলে জানা যায়। বাল্য শিক্ষার গুরুত্ব কতখানি, যা সৎ নাগরিক গড়তে বড় ভূমিকা রাখছে একটু বিস্তারিত আলাপ চারিতার প্রয়োজন অনুভব করছি নীচে।

কঠোর পরিশ্রম করলে ভাল ফলাফল সম্ভব।
কোন কিছু পেতে হলে আধো আধো চেষ্টা না করে পুরো মনোযোগ দিয়ে চেষ্টা চালাতে হবে
সামাজিক গুনাবলী সম্বলিত মানুষ না হলে তাকে আমরা মানুষ বলে গণ্য করি না।

এখন দেখি কি এই সামাজিক গুনাবলী?

চলুন দেখা যাক-

একতা সংঘবদ্ধতা সহযোগীতা সত্যবাদিতা
ন্যায়বোধ কর্তব্যবোধ শৃঙ্খলাবোধ শিষ্টাচার
সদাচরণ সহিষ্ণুতা সহমর্মিতা সময়ানুবতির্তা

উপরোক্ত আলাপে যা পরিস্কার হয়, একজন ভাল ও মানসম্পন্ন মানুষ গড়তে উপরের সামাজিক গুনাবলী সমৃদ্ধ মানুষের বিকল্প নেই। আর যারা লেখালেখির অঙ্গনে পা রেখেছেন, যেমন পত্র-পত্রিকা, উপন্যাস, গল্প, কলামলেখক, গদ্য ও পদ্য লেখক ইত্যাদি। এখানে যে বিষয়টিকে আমি এড়িয়ে গেলাম তা হলো ব্লগ কেননা ব্লগ এমন এক সামাজিক মাধ্যম যা থেকে ব্লগ লেখক বা লেখিকা সম্পর্কে
ধারণা সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়। কারণ যিনি ব্লগ লিখছেন তিনি যা খুশী তাই লিখছেন। ফলে লাইভ প্রোগ্রামের মতো তিনি তার উপস্তাপন শৈলী ব্যবহার করে পাঠক’কে একটা মিনিমাম ম্যাসেজ দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে আর পাঠকরা ব্লগারের জ্ঞানের ভান্ডার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারেন।

যেমন একজন সাংবাদিক সংবাদের উৎস সহ উক্ত সংবাদের পরিপূর্ণ পরিসংখ্যা দিয়ে থাকেন। তিনি সাংবাদিক হলেও আমরা বলি কলম যোদ্ধা, সমাজের সকল ন্যায় অন্যায় জুলুম ইত্যাদির বিবরণ বিনা বাক্য ব্যয়ে তার কলমে উঠে আসবে এমনটিই হয়ে আসছিল যুগ যুগ ধরে, কিন্তু বর্তমানে কলম যোদ্ধাদের অনেককে হলুদ সাংবাদিকতার দোষে দুষ্ট বলেই আমার মনে করা হচ্ছে, একটি উদাহরণ দিলাম যেমন কয়েক বছর আগে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক আদালতে কিছু মামলা করেছেন তদ্রুপ অভিযোগ দিয়ে, সম্পাদক সাহেবের বক্তব্য হলো, দৈনিক কালের কন্ঠ ও তার গ্রুপের অন্যান্য পত্রিকা যেমন দৈনিক সান, দৈনিক আমার দেশ ইত্যাদি পত্র-পত্রিকায় একাধিক বার নাকি উক্ত সম্পাদক ও তার পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলো’কে নিয়ে বেশ কভার স্টৌরি লিখেছেন যা পরিপূর্ণ
মিথ্যা ও বানোয়াট, এই বিষয়ে প্রেস মিডিয়া নাকি একাধিকবার সর্তক করা সত্ত্বেও বর্ণিত কালের কন্ঠের মালিক নাকি কানে নেই নি যার দরুণ বিষয়টি আদালতে উঠেছে, প্রথম আলো সম্পাদক উক্ত পত্রিকাগুলোকে হলুদ সাংবাদিকতার দায়ে দুষ্ট বলেছেন। যা আদালতে বিচারাধীন ছিলো এবং পরে তারা প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদকের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছিল, তদ্রুপ খবর তারা আর প্রকাশ করবে না।

এই থেকে আমরা যে বিষয়ে সম্যখ জ্ঞান লাভ করছি তা হলো সাংবাদিকতায় হলুদ সংবাদ পরিবেশনের সুযোগকে অস্বীকার করার জো নেই।
ব্লগের ক্ষেত্রে একজন ব্লগার তার মনের মাধুরী মিশিয়ে ব্লগ লিখেন, ব্লগে তার যে দায়বদ্ধতা সে বিষয়ে তার আদৌ জ্ঞান আছে কিনা সে বিষয় দেখার জন্য কোন আদালত তৈরী হয়নি, বিষয়টি যেহেতু ভার্চুয়াল, তাই ভার্চুয়াল ভাবে নিতে হচ্ছে সবাইকে। যিনি পাঠক তিনি পাঠ করে কোন জ্ঞান লাভ করছেন কিনা সেটা বিবেচনা করার মতো অভিভাবক যখন ব্লগার নিজেই তখন কোন খবর পরিবেশন করার আগে তার নির্ভরযোগ্য উপাদানও যে দেওয়া প্রয়োজন আছে এমনটি কেউ মনে করে না, বিষয়টি দেখা হচ্ছে এই ভাবে যে চিলে কান নিয়ে উড়াল দিয়েছে, অতএব চিলের পিছনে ছুটে কান উদ্ধার করা চাই।

শুরু করেছিলাম একজন মানুষ বনাম একজন ব্লগার বিষয়ে, একজন মানুষ তার সমস্যা ক্ষেত্রবিশেষে নিজেই সমাধান করে, আর নিজে না পারলে আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকেন, কিন্তু ব্লগার যদি কোন সমস্যায় পড়ে তখন কোন আইন নেই উক্ত ব্লগারকে তদ্রুপ আইনের আওতায় আনা।আলোচনায় প্রাসঙিকভাবে যে বিষয়টি এসে যায় তা হলো একজন ব্লগার এবং একজন মানুষ সমান নয় বা হতে পারে না।

একজন মানুষ তার চারিপাশের সমাজ নিয়ে বসবাস করেন, একজন ব্লগার তার চারিপাশে ব্লগার পাচ্ছেন না, একজন মানুষ তার সমস্যার সমাধান করছেন আদালতে গিয়ে, কিন্তু একজন ব্লগার তার সমস্যার কথা অন্যান্য ব্লগারদের ছাড়া তার সমস্যার কথা জানাতে পারছেন না। একই ভাবে একজন মানুষ সারাদিন কুৎসা রটাতে পারেন না যা একজন নিক সর্বস্ব ব্লগারের বেলায় তেমন সুযোগ থাকে। সামুর বেলায় অনেক লেখক এখনও তাদের প্রোফাইলে ছবি ও পরিপূর্ণ ভাবে শূন্য স্হান গুলো পূরণ করেন নি, যার ফলে সেই লেখক সম্পর্কে আমরা থাকছি অন্ধকারে।

সর্বপরি যে বিষয়টি না উল্লেখ করলে আমার লেখা সম্পূর্ন হবে না তা হলো, ব্লগিং আপনার অধিকার, ব্লগিং আমাদের আত্মার খাদ্য, যদি ভাবেন আপনি একজন স্নেহপ্রবন ব্লগার তাহলে আপনার ব্লগ হবে মানুষকে ভালবাসা, সর্বপরি আপনার লেখা হবে মানুষের উপকারের জন্য, কাউকে বির্তকিত করার জন্য ব্লগিং নয়, যা হবে সকল ব্লগারের জন্য একটি উপদেশ, একটি বানী সমৃদ্ধ।

এই ব্লগে ও কিছু ব্লগার আছে যাদের কান্ড জ্ঞান, লেখার প্রতি দায়বদ্ধতা, অন্যান্য ব্লগারদের প্রতি সন্মান ইত্যাদি দেখলে মাথায় রাগ উঠে যায়, মডারেটর হলে হয়তো তক্ষুনি তাদেরকে আমি ব্যান করে দিতাম, কিন্তু ব্লগের ট্রাফিক পাওয়ার জন্য হউক বা যে কোনো কারণেই হউক সামুকে বেশ উদার ভাবাপন্ন মনে হয়। যদিও বিষয়টা সম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত তাই এই বিষয়ে আর না বলাই ভালো, আমি বিশ্বাস করি, যেদিন ব্লগার'রা সমাজকে কিছু দিতে পারবে, সেদিন আবার ব্লগার হিসাবে নিজের সন্মান আমরা সবাই পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। সেদিন আসবেই আসবে। এই বিশ্বাস বুকে ধারণ করে আজ এখানেই রাখছি, ধন্যবাদ।

শুভ ব্লগিং।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×