somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পলিটিকাল ইসলামের দুই মুখ। বাঙালি মুসলমানের মুখ কোন দিকে? - ১

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“স্বয়ং হযরত মুহম্মদ নবুয়ত লাভের পূর্বে মধ্যে মধ্যে নিভৃত চিন্তায় মগ্ন থাকতেন হেরা পর্বতের গুহায়। ভোগ বিমুখতা ও বিষয়ে অনাসক্তি তার চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট”। - আহমদ শরীফ (বাঙলার সূফীসাধনা)

ফিরে যাও, আমি কোন মুশরিকএর সাহায্য নেবোনা –হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ( বদরএর যুদ্ধে মুসলিমদের পক্ষে যুদ্ধ করতে আসা এক অমুসলিমএর উদ্দেশ্যে। সহিহ মুসলিম)

আবু উমাইয়া, আমরা আগামীকাল যুদ্ধে যাবো। তোমার অস্ত্র আমাদের ধার দাও ( অমুসলিম সাফওয়ান ইবনে উমাইয়ার উদ্দেশ্যে হযরত মুহাম্মদ। ইবনে হিশাম)

হাদিস সমালোচনায় বর্ণনাকারীকে গুরুত্ব না দিয়ে যদি হাদিসএর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়া হতো তাহলে হাদিসগুলোর বড় অংশই বাতিল হয়ে যেতো – ইবনে খালদুন ( মুকাদ্দিমাহ)


সহিহ মুসলিমএর হাদিসটা ছাগুদের পছন্দ হবে। এই হাদিসএর রেফারেন্স টেনে তারা বলতে পারবে যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রামে মুশরিক ইন্ডিয়ার সাহায্য নেয়া ঠিক হয়নাই। হিজুরাও এই হাদিসে খুশি হবে, সারা দুনিয়াকে মুসলিম বনাম অমুসলিম মেরুকরণে এই হাদিস তাদের কামে দিবে। তবে মডারেট মুসলমানদের পছন্দ হবে ইবনে হিশামএর রেফারেন্স। কারন সাফওয়ান ছিলেন মুহাম্মদএর মহাশত্রুদের একজন, মক্কা বিজয়এর পরেও তিনি মুসলমান হন নাই দীর্ঘদিন এবং অমুসলিম থাকা অবস্থাতেই মুহাম্মদ তার কাছে সাহায্য চাইছেন। এই রেফারেন্সএর সুবাদে সহিহ সেক্যুলার বঙ্গিয় মডারেট আওয়ামী মুসলমানের মন্ত্রী মিনিস্টারগণ বিশ্ব ব্যাংকএর কাছে এই দেশীয় জনগণএর নিতম্ব বিক্রি করে দিয়াও সাহায্য নেয়া জায়েজ করতে পারেন।

আহমদ শরীফএর উক্তিখানা ব্লগিয় ও ফেসবুকিয় ক্রম যুদ্ধরত আস্তিক এবং নাস্তিক দুই গ্রুপের জন্যেই কিঞ্চিত অস্বস্তিকর হবে। আহমদ শরীফএর কোন লেখা জীবনেও পড়ে নাই, এবং বাঙালি মুসলমানএর মান সম্মান রক্ষার্থে তার অবদান সমন্ধে বিন্দুমাত্র ধারনা না থাকলেও আহমদ শরীফএর লাশ নিয়া আজব গুজবে যারা বিশ্বাস করেন তাদের অস্বস্তির কারন বুঝা সহজ। নাস্তিকএর অস্বস্তির কারন বুঝা তার চেয়ে একটু কঠিন। আধুনিক ব্লগিয় নাস্তিকগণ মুহাম্মদএর বউএর সংখ্যা, বয়স ইত্যাদি বিষয়ে বেশি আগ্রহী। আহমদ শরীফ সেগুলা নিয়া লিখলে তাদের বড় অংশই স্বস্তিবোধ করতো। আহমদ শরীফ যদি লিখতেন যে মুহাম্মদ ভোগবিলাসী, ক্ষমতা আকাঙ্খি ও লম্পট ছিলো সেইটাতে তারা স্বস্তিবোধ করতো। কিন্তু আহমদ শরীফ উলটা লিখেছেন।

ইবনে খালদুনরে নিয়া আরেক হ্যাপা। এই লোক ইতিহাস বিজ্ঞানের জনক বলে পরিচিত, পূর্বে পশ্চিমে সারা দুনিয়ায় সমান ভাবে সম্মানিত। ইতিহাসকে মিথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বিজ্ঞানের পর্যায়ে উত্তির্ণ করার অবদান তার। তিনি যখন বলেন এই কথা তখন শরিয়তী ইসলাম কায়েমএর মধ্য দিয়া যারা আধুনিক দুনিয়ায় খেলাফতএর স্বপ্ন দেখেন অথবা সেই স্বপ্ন না দেখলেও শরিয়তে ভরশা রাখেন তারা পরেন ফাপরে। বিভিন্ন হাদিস থেকে মুহাম্মদএর বিরুদ্ধে নানান আদী রসাত্মক এবং ভয়ঙ্কর উপাদান খুজে তারে নৃশংস, বর্বর, লম্পট বানানোতে যারা ব্যস্ত থাকেন তাদের জন্যেও হালকা ফাপর আছে। হাদিস, সিরা এগুলা যদি মুহাম্মদ বিষয়ে অথেন্টিক সোর্স না হয়, তাইলে মুহাম্মদের চারিত্রিক সনদ তারা ক্যামনে দিবে?

কে তাহারে চিনতে পারে?
“এসে মদিনায়, তরিক জানায়। তরিক জানায় এ সংসারে। কে তাহারে চিনতে পারে?” প্রশ্নটা লালনএর। এমনিতে আমরা অনেকেই ভান করি যে আমরা তারে চিনি, যারা তার উম্মত তারাও আবার যারা তার গিবত গাই তারাও। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ কে ছিলেন, কেমন ছিলেন সেই বিষয়ে নিশ্চিত ধারনা পাওয়া কষ্ট। তার শিক্ষা ও শিক্ষার ভাবাদর্শ কি কি তা নিয়াও বিভিন্ন ইসলামি মাজহাব এবং ইসলাম বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ আছে। এর পেছনে কারন আছে। ঐতিহাসিক তথ্য মতে মুহাম্মদএর জীবনী যেগুলা সিরা নামে পরিচিত সেগুলা রচিত হইছে তার মৃত্যুর অন্তত শখানেক বছর পরে। হাদিস গ্রন্থগুলা প্রায় দুইশ বছর পরে। আধুনিক যুগে মাত্র ৪০ বছর আগের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই আমাদের কাছে নানান বিকৃতি নিয়া হাজির, আর এইটা তো ১৪০০ বছর আগের কথা। গোয়াড় না হইলে এইখানে সমস্যা কোথায় তা বুঝতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা না।

পলিটিকাল ইসলাম ও মুহাম্মদ
মুহাম্মদরে চিনার চেষ্টা করা এই লেখার উদ্দেশ্য না। সেইটা অনেক বড় কাজ। তবে মুহাম্মদএর রাজনীতি এইখানে ধরার কিঞ্চিত চেষ্টা করা হচ্ছে। মুহাম্মদএর রাজনীতি বুঝার চেষ্টাও আধুনিক কালে ব্যবহৃত ‘পলিটিকাল ইসলাম’ শব্দের মুখ বা দিক খুজতে গিয়াই। পলিটিকাল ইসলাম কি জিনিস তা নিয়াও মতভেদ আছে। এই ব্লগেই কিছুদিন আগে এক পোস্টে বিভিন্ন মত পাওয়া গেলো। এমনিতে ইসলাম রাজনীতি বিযুক্ত কোন ধর্ম না। মুহাম্মদ নিজেও একজন রাজনীতিবীদ ছিলেন। সুতরাং ইসলাম এমনিতেই রাজনৈতিক হওয়ার কথা। সুতরাং ইসলামএর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেইকা বর্তমান দুনিয়ার রাজনীতিরে ডিল করার যেই রাজনীতি সেইটাই পলিটিকাল ইসলাম, এইটা পলিটিকাল ইসলামএর ব্যাখ্যায় আদর্শ বক্তব্য। আমিও এমনটাই বলছিলাম সেই পোস্টে। পোস্ট লেখক রাতুলবিডি কইলেন যে পলিটিকাল ইসলাম শব্দটাই পশ্চিমাদের বানানো। সেইখানে আমি যেই দাবি করেছিলাম তা হইলো যে পলিটিকাল ইসলাম আর ইসলাম নিয়া পলিটিক্স ভিন্ন জিনিস। আমার এই কথাটার ভালো কাউন্টার দিলেন গার্ডেড ট্যাবলেট, তিনি কইলেন যে আদতে আধুনিক দুনিয়ায় ইসলাম সংশ্লিষ্ট তাবৎ রাজনীতিই পলিটিকাল ইসলাম। বাস্তবতা বিচারে গার্ডেড টাবলেটএর এই বক্তব্য আমি উড়ায়া দিতে পারিনাই। কিন্তু এই বাস্তবতা গ্রহণ করলে পলিটিকাল ইসলামএর মুখ বা দিক বুঝা আরো কঠিন হয়। কারন ইসলাম সংশ্লিষ্ট রাজনীতি বারাক ওবামা থেইকা শুরু করে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, মতিউর রহমান নিজামী সবাই করেন। ইসলাম নিয়া রাজনীতি হিজুরাও করে এবং আওয়ামীলীগও করে। এইসবেরে মিলা পলিটিকাল ইসলামএর গতি প্রকৃতি বুঝা একটু কষ্ট হয় বটে। তাও বলা যায়যে বর্তমান দুনিয়ায়, বিশেষ করে ৯/১১ পরবর্তি দুনিয়ায় পলিটিকাল ইসলামএর মুখ বা গতি প্রকৃতির একটা সরল চেহারা আছে। সেই সরল চেহারায় বুশ আর লাদেনএ ফারাক নাই। সেই সরল চেহারায় ব্লগিয় হিজু, ছাগু এবং ভারতিয় বিজেপি ও সদা ইসলাম বিষয়ে গিবতে রত নাস্তিকে ফারাক নাই। কারন এরা সবাই মুহাম্মদএর রাজনীতির একি ইন্টারপ্রিটেশন মেনে নিয়েছেন। হাদিসএর যেই আয়াত ব্যাবহার কইরা একজন জিহাদ ডাকেন, অন্যজন সেই একি আয়াত ব্যাবহার করেন অপরজনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে। জিহাদী অথবা সন্ত্রাসী এই দুইএর এক হওনের বাইরে যেনো আধুনিক মুসলমানের আর কোন রাজনৈতিক দিকদর্শন নাই। মুহাম্মদ আর ইসলামএর এই পাঠ দুই পক্ষেই প্রচন্ড সাম্প্রদায়িক, এইখানে যেই রাজনীতি সেই রাজনীতির আসল শক্তিই সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি। পলিটিকাল ইসলামএর এই এক মুখ আমাদের সবারি অতিপরিচিত হইয়া উঠছে ইদানিং।

কিন্তু অস্ত্র হাতে যুদ্ধই রাজনীতি না। আহমদ শরীফ মোহাম্মদএর যেই চরিত্র ব্যাখ্যা করেন তা করেন বাঙলায় সুফিবাদএর বিকাশ ব্যাখ্যা করতে গিয়া। এইযে ভোগবিমূখ মোহাম্মদএর চরিত্র তিনি আকছেন এই চরিত্রে কি রাজনীতি নাই? ভোগবিমূখতাও একটা রাজনীতির বিষয়। ঠিক যেমন আধুনিক পূজিবাদী ভোগবাদ একটা প্রচন্ড রকম রাজনৈতিক বিষয়। এই ভোগবাদ আধুনিক দুনিয়ার তাবৎ রাজনীতির মূল শক্তি। বদর, উহুদ, খাইবারএর যুদ্ধে মুহাম্মদরে নিয়া যেই রাজনীতি সেই রাজনীতির ডিসকোর্স প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধ পরিকর জিহাদী এবং সেই জিহাদীদের সন্ত্রাসী যারা বলেন তারা এইসব ডিসকোর্সএর পক্ষের হাদিসে ইন্টারনেট ভরে ফেলেছে। কিন্তু এর বাইরেও হাদিস আছে, এর বাইরেও সিরার বহু কাহিনী আছে। যেইসব কাহিনীতে দেখা যায় মুহাম্মদ খোদার দুনিয়ায় সবাইরে সমান দাবি করছেন, দরিদ্রদের সাথে নিয়া ধনীদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করছেন, দাসদের সম্মান দিয়া বুকে টাইনা নিচ্ছেন, সামাজিক ঐক্যের কথা বলছেন, সূদ ব্যাবসার বিরুদ্ধে রাজনীতি করছেন, ভোগবাদএর বিরোধীতা করছেন এবং পাড়া প্রতিবেশীর হক আদায়এর দাবি রাখছেন। এইখানেও ব্যাপক রাজনীতি আছে। সেই রাজনীতি হইতে পারতো পলিটিকাল ইসলামএর আরেক মুখ। কিন্তু তা হয়নাই। কারন পুজিবাদী মুসলমানেরা প্রতিবেশীর হক নিয়া চিন্তিত না, ভোগবাদ তাদের মজ্জাগত। তার তুলনায় মুহাম্মদ বিষয়ে পশ্চিমা রাজনীতির মঞ্চে রোল প্লে করা সহজ।

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯
৫৬টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×