ব্লগার বিশ্লেষণ ধর্মী প্রতিবেদন ।
************
লেখক কবি সাহিতিকগন হল পরিচ্ছন্ন সমাজের দিক নির্দেশ বা দর্পণ । ইমরান সরকার আসলে সে কোন লেখক নয় । একটা ব্লগে সে দুএকটা লিখা দিয়েছিল
তাও কতটা সিদ্ধ ছিল বিষয় বস্তু কি ছিল আমাদের দৃষ্টিগোচর নয় ।
গনজাগরন মঞ্চের নেতৃত্বে প্রথমে যারা ছিল বিশিষ্ট ব্লগার রাজিব নুর ছিল তার
অন্যতম ।
রাজাকারদের বিচার চাই শ্লোগানে যখন শাহবাগ ও সারাবাংলা উত্তাল , তখন
৭১ এর মানবতা বিরুধি অপরাধের কারন ও ইসু গুলি সবার কাছেই স্পষ্ট । ছোট বড় সবার মুখে একই শ্লোগান রাজাকারের ফাঁসি চাই । কারা কারা রাজাকার তাও
সবার কাছে স্পষ্ট কারন তারা বিচারের সম্মুখিন ।
তালিকার শীর্ষে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদির নামও একসময় জ্বলজ্বল করে উটল ।
গজাগরনের ডাক যখন বাংলা ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে তখন এ ডাকে দল মত নির্বিশেষে সবাই জানান দিল ।
কারন ইসু ছিল একটাই রাজাকারের ফাঁসি , কোন দল নাই । এতে উদ্ভুদ্য হয়ে দেশের লেখক সমাজ ছুটে গেল । গণজাগরণ মঞ্চের ডাক এক থেকে
হাজার গুন বেড়ে গেল । আজ বক্তব্য দেন বিশিষ্ট লেখক জাফর ইকবাল স্যার
তো কাল বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকি স্যার
বা বিশিষ্ট জনেরা ।
এখানে সরকার দলিও এম্পি মন্ত্রিগন ও পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ পায়না । নিরপ্রেক্ষতার মধ্য দিয়ে একটা শক্ত ইউনিটি গড়ে উটে শাহবাগে । দিনরাত মিডিয়া গুলু তা নানা ব্যাঞ্জনায় প্রচার করে যেন বাংলার এক চিরন্তন মহা উৎসবে রূপান্তরিত হয় শাহবাগ চত্বর ।
১ম কাদের মোল্লার রায় আসে , রায়ে অসন্তুষ প্রকাশ করে গনজাগরন মঞ্চ ।
শুরু হয় আন্দোলন , নব নব কর্মসূচি ।
আন্দোলনের দশম দিনে নিজ বাসার সামনে নির্মমভাবে খুন হয় ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দার ।
ঐ দিন আমি শাহবাগে ছিলাম । সয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর ১০ এ রাজিব নুরের বাসায় যান এবং রাজিবনুরের পরিবারের প্রতি শান্ত্রনা ও সমবেদনা জানান । বিকাল ৫ ঘটিকার সময় তার লাছ গণজাগরণ মঞ্চে আনা হয় । তাঁর মৃত্যুতে সব ব্লগার এবং লেখক সমাজ স্তম্বিত হয়ে যায় ।
মঞ্চে এ সময় রক্ত লাল রক্ত লাল গানটি গাইছিলেন ফকির আলমগির সহ অনেকেই । আমি ভিড় টেলে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাই ।
ক যেন একজন এ সময় বলল রাজিব হায়দার কে নাকি এখানেই জানাজা শেষে সমাহিত করা হবে । আমি পাশের এক সতীর্থ কে প্রশ্ন করলাম এতে রাজিব নুরের পরিবারের কোন সায় আছে কিনা । তাৎক্ষনিক সে বলল গনজাগরন মঞ্চের লোকেরা রাজিব হায়দারের লাছ টি মোটা টাকা দিয়ে কিনে এনেছে ।
আমি ঐ লোকটির মুখ চেপে ধরলাম । আর ওদিকে শুরু হল চিৎকার চেচামেচি ।
লাকি মাইক ধরল শ্লোগান শুরু হল সব টাণ্ডা হয়ে গেল । মাগরিবের আযান পড়বে ঘোষণা এল সবাই জানাজার জন্য দাঁড়ানোর । অনেক সময় দাড়িয়ে কাটালাম কিন্তু দেরি কেন , জানতে গিয়ে আবারও আশ্চর্য হলাম কোন ইমাম
সাহেব রা নাকি তাঁর জানাজা পরাবেনা । কেন ? উত্তর এল যারা শাহবাগি
তারা সবাই নাস্তিক ।
একজন আল্লামা মুফতি সাহেব কে ধরে আনা হল এবং তার নিকট সমাধান
ছাওয়া হল , তিনি বললেন মুসলিম পরিবারের সন্তান হলে সে নাস্তিক নয় তার জানাজা পড়ানো যাবে ।
অবশেষে একজন ইমাম আসলেন এবং নাস্তিক উপাধি প্রাপ্ত শাহবাগি আন্দোলনের অন্যতম ব্লগার রাজিব নুর এর জন্য সবাই আল্লাহর নিকট তার
আত্মার শান্তি কামনা করলাম । মাঝ পথে চলে গেছে অনেক দিন ।
অনেক ইতিহাসের জন্ম দিয়ে , গন জাগরণ মঞ্চের মুখ পাত্র ডাঃ এইচ এম সরকার আর নিরপ্রেক্ষ রইলনা । গণজাগরণ মঞ্চ অবশেষে কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে গেল । মাঝ পথে পেখক রা হল নিগৃহীত জামাত শিবির কর্তৃক আখ্যায়িত নাস্তিক । আসলে এখানে নাস্তিক বলতে কেহই নাই সবি পরিস্থিতির শিকার ।
আজ সাইদির রায় হল , মনে হল রাজিব হায়দারের কথা তার শহীদ আত্মার প্রতি
জানাই লালছালাম ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৯