somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রকাশিত কবিতার বই , মেঘ বালিকার দেশে । মোড়ক উন্মোচন ।২১ শে বইমেলা ২০১৫ ং

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবিতার বই
*** মেঘ বালিকার দেশে
মোড়ক উন্মোচন উদ্ভুধন করেন বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক আনিসুল হক ও সামুর বন্ধুগন উপস্থিত ছিলেন ।
স্থান লিটল মেঘ ছত্তর । নজরুল মঞ্চ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকাশক নীলসাধু ।
স্টল এক রঙ্গা এক ঘুড়ি ।
বই এর প্রচ্ছদ


মেঘ বালিকার দেশে ।
বইটিতে ৭০ টি কবিতা ।

কাব্য ভুমিকা
পাঠকের আনন্দ দেবে কি ?
তবুও আমি সৃষ্টি সুখের মালা গেঁথে যাই
আমার মাতৃভাষায় ।
ভাষার ফুল , গানের সুর
আর মুক্ত জগতের লিলাখেলায় ,
বৈচিত্র্য কাব্য রসে
আমি বর্ণমালার একজন কাব্য রসিক স্রস্টা ।
জাগরনে , চেতনায় আমি জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ের পটভূমিকা এঁকে যাই সৃষ্টির আনন্দে ।

ইতিহাস ঐতিহ্য , লোক সংস্কৃতির মাধ্যমে যুগ যুগান্তরে
আমার ভাষা, সুর, রূপকল্প, কাব্য কাহিনী থাকবে কিংবদন্তি হয়ে মানুষের মনের মনিকোটায়
তাই আমার বিশ্বাস । সকল পাঠক হৃদয়ে জানাই আমার অবারিত অভিনন্দন ।।



উৎসর্গ ,আমার নানা মরহুম গিয়াসউদ্দিন আহম্মদ [ সাবেক সরকারের উপদেষ্টা সদস্য ]

এম , জিল্লুর রহমান মাসুদ রানা ওরফে পরিবেশ বন্ধু
কবি ও সাহিত্যিক
জন্মতারিখ , ৬/১০//১৯৭৭ ইং

পিতা * মোঃ দেওয়ান আলী
মাতা * মোছা ঃ শামছুননাহার মাহমুদ ।
গ্রাম, সৈয়দ পুর ।
ইউনিয়ন , বাদশাগঞ্জ ।
উপজেলা , ধরমপাশা সুনামগঞ্জ ।
বিভাগ সিলেট । ঢাকা বাংলাদেশ ।


পুস্তিকা , লেখক কর্তৃক সর্বস্বতঃ সংরক্ষিত ।

এছাড়া অনলাইনে প্রকাশিত বই এর তালিকা ,
কবিতার বই সংখ্যা ***
******************
সত্যর মুক্তি ,
ফুলেল সুভাস ,
অচেনা ভারি মুখ ,
বাংলার হৃদয় ।

উপন্যাস ***
*** প্রিয়মুখের ছায়া
*** ভাঙ্গা গড়া এ সমাজ ।
নাটক *** ** দেশ গড়ার সংগ্রাম ।
*** গ্রামিন লোকজ কথা ও পল্লী মেঠু সুর ।
কাব্য *** মন মহুয়া ।
গবেষণা গ্রস্থ *** ইসলাম মানবের মুক্তি ।
*** নুর নবী হযরত এবং আউলিয়া কেরামগনের হেদায়েত প্রসঙ্গ ।
বাংলার লোকগাথা , ও গ্রামবাংলার গল্প সমগ্র সহ নানা বিষয়ে ।
সম্পাদক *** একুশে ম্যাগাজিন
" উদ্ঘাটন ও সুচেনা বার্তা ।
আহবায়ক সংঘটক *** কবি সমাজ বাংলাদেশ ।
সংশ্লিষ্ট
জাতীর প্রেস ও ইন্টারন্যাট সমন্বয়
কমিটি ।





এক / : ঈমানের জ্যুতি নুর নবী হযরত
*********** পরিবেশ বন্ধু কবি

কহ সত্য সাধক , ঈমানের আলো ফুটে ঐ মদিনাতে
যার পবিত্র নাম খুশবো বহে ব্রহ্মাণ্ডে অমিয় মধুর বুলিতে
আযানের ধ্বনি হয়ে যে নাম সুধা ঢালে মুমিনের কানেকানে
মসজিদ পানে ছুটে মুমিন এক পারলৌকিক মহা আহবানে
আল কোরআনের বানী যার নিকট বয়ে আনে জিব্রাইল হেরা গুহায়
সব সৃষ্টিরা তার নামে দরূদ ছালাম ভেজে তাজিমে কত প্রশংসায়
আসমান হতে যত জ্যুতি ফুটে তার চরণ মোবারক চুমি
ধন্য লভিল আরশ মহল্লা আর পদানত যত সৃজিত ভুমি
তার পবিত্র সুবচন ও মাধুর্য আদর্শে এল ইসলাম রবি দুনিয়ায়
রহমত কত ঝরে তার পদস্পর্শে মুমিন লুটায় সেজদায়
আর ফেরেস্তা , হুর গিল্মান তারি তরে জানায় তাজিমে ছালাম
খোদার দুস্ত সেরা নেয়ামত
মানবের মুক্তি হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম ।
দুই / আমার গ্রাম
************************


দুচোখ জুড়ায় শ্যামল ছায়ায় এমন গাঁয়ের ছবি
সবুজ মাঠে তরুছায়া মুগ্ধ লাগে সবি
মেটু পথের ডানে বায়ে দুলে বনলতা
জড়াজড়ি করে হেন কহে মনের কথা
বাঁশবন বেতবন মিশে রয় হেথা আপন করে
সাজে পাতা পত্তর কোমল ও বাহারে
বুনু ফুলে মৌ মৌ গন্ধে কত আকুলতা মনে
ভ্রমর অলি প্রজাপতি মধু লোভে ওড়ে গুঞ্জনে ।
গাছের শাখায় পাখ পাখালি গায় মধুর গান
মাঠে রাখালিয়া বাজায় বাঁশি তুলে সুরের তান
পাড়ায় পাড়ায় অপরূপ সাজ পার্শে রয় ছুট বিল
জলের আরশিতে সূর্য কিরণ করে ঝিল্মিল
মাঠের বুকে চিত্র আঁকে শস্য ও ফসলের মেলা
নিত্য নতুন চমক আনে সাজে সবুজ ঢালা ।
ছোট্ট নদী নিরবধি বয়ে যায় সুদুরে
গাঁয়ের নামটি সৈয়দপুর জাগে নিত্য ভোরে
এই গাঁ খানি চাঁদনী রাতে জোছনা কত মাখে
কৃষাণ জেলে সবাই মিলে সেথা কত স্বপ্ন আঁকে । ।

তিন / মন রাঙানো ভোরের আলো ।
*********




আমি যদি ভোরের বেলায় উটে
ধুলির মাঝে আয়েশে যাই ছুটে
সবুজ কানন ডাকবে আমায় দুলে
চৈতি হাওয়া বইবে ফুলে ফুলে
মন পবনে সাঁজায়ে দৃশ্য ঘুড়ি
দূর দিগন্তে উড়ব গগন জুড়ি
পাখির ডানায় আবির রাঙ্গা পালক
ভোরের চিঠি খুজব রবির ঝলক
মুটু মুটু স্বপ্ন ছায়া এঁকে
উড়িয়ে দেব এই বাংলার বুকে
নিত্য তাই নদীর জলে ভেসে
মন রাঙ্গাব ভোরের আলোয় হেসে ।

চার ।

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে
মায়ের জন্য মমতা
*********************************
পরিবেশ বন্ধু কবি




মধুর আমার মায়ের হাসি
জগত মাঝে তাই
এমন মায়ের মমতা ছবি
আর যে কোথাও নাই


সুখে দুখে মা যে আমার
স্নেহ মধুর পাই
কষ্ট সয়েও সবসময়ে তার
আচল মাঝে ঠাই ।

যা ছিলনা বুঝতে অভাব
শিখতে ভাষা চলা
ভাল মন্দ , ক্ষুভ আনন্দ
স্বাধীন সত্য বলা

আজ মনে হয় সবই
মোর সাজানো জীবনটাই
তারি ছোঁয়ায় হল গড়া
তুলনা যে নাই ।


*মায়ের দোয়া *

মধু ভরা এমন হাসি কোথা খুজে পাই
জগতে মা তোর তুলনা যে নাই
সকল শুন্য তোমা ছাড়া
তোর হাসি যে চাঁদ তারা
দেখলে একবার হাসির সে মুখ
জুড়ায় যে অন্তরা
আমি দেখব এমন মধু হাসি নয়নে সদাই ।
কাছে থাকলে প্রদিপ জ্বলে
না দেখলে আধার
শুনে তোমার মধুর বানী
প্রানে আঁকি আসার সঞ্চার
থাকলে সাথে মায়ের দোয়া কোথাও ভয় নাই ।

পাঁচ । বাংলা নববর্ষের আগমনে
১লা বৈশাখ উপলক্ষে কবিতা

হে বৈশাখ
**********
হে বৈশাখ তুমি এলে
নতুন দিনের নব্বারতায়
নব উচ্ছল ও আনন্দ দ্বারায়
নতুন দিনের কুসুম ও কলি
ধরনির বুকে তাই রাঙ্গালে

নব সুখে সৃষ্টিরা হাসে
অনিন্দ্য সুন্দরও উল্লাসে
জাগে নব রূপে বসুন্ধরা
নব দিগন্তের দোয়ার খুলে ঐ

সাজে পত্র পল্লব সজিবতায়
ফুটে পুস্প মল্লিকা অজস্র দ্বারায়
বাজে কত রাগ রাগিণী
নব নবীন হাসে প্রান খুলে

মাঠের বুকে কত বিচিত্রতায়
নতুন ধানের গন্ধ বিলায়
স্বপ্ন ছবি আঁকে কৃষাণেরা
সবুজ আঙ্গিনা ভরিয়ে নিলে ।

ছয় । : মে দিবস উপলক্ষ্য কবিতা

শ্রমিকের মর্যাদা
*******************



কত ভালবাসা কত মমতায়
গড়ে উটে জগত তাদের শিল্পছোঁয়ায়
শক্ত কটিন ইট ওরা ভাঙ্গে
পুস্কা পড়ে গাঁয়
ধরে হাল খাটে নিপুন কারিগরে
দুর্বার স্বপ্ন সাজায় ।

ধুকধুক শ্রম কিনাঙ্ক প্রান ভাঙ্গে মরিচিকা
ওরা তিলে তিলে নিঃশেষ হয়
গড়ে রাজপথ সৌধ সমাধি আর অট্টালিকা
রুদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে
ধরনিরে কভু করে বরণীয়া
আর মরে বিলাসিদের নিষ্পিষ্ট যাতাকলে

দুবেলা দুমুটুঁ অন্ন তাও জুটেনা কপোলে ।

ওরা কাজ করে মনের মাধুরী মিশিয়ে
দেশের তরে নগর শহর বন্দর সাজায়
প্রহর গুনে গুনে
রাঙ্গে ধরণী কভু ওদেরই লৌহ খুনে
শক্ত মুষ্টিতে হাতুড়ি শাবল গাইতি কভু
বং বেরংগের লয়ে হাতিয়ার
দিগ্বিজয়ে দেয় পাড়ি বানায় সামুত্রিক জাহাজ
লঞ্চ স্টিমার আর মহাশূন্যর যাত্রী নানা আবিস্কার ।

ওরাই মাটে সোনা ফলায় বিকিয়ে দিয়ে দেহ
তোমরা কারা স্বার্থ লোভী সুখের স্তব গাহ ।

পরখ করে দেখ
অধিকাংশ তাদের নেই একটু মাথা গুজার টাই
নাই বিছানা , শিতের কাপড় ,
ঔষধ পত্র , ভুগ বিলাসের ঘর
এমনকি কখনও জুটেনা অন্ন দানা তাও ।

ওরাই খাটি সোনার মানুষ তবু দেখি
ওদেরই মুখে স্নিগ্ধ ভরা হাসি
ললাট আভায় দিপ্ত ক্ষনে সাজে
হে প্রিয়জন নিরেট ভালবাসা পাবে ওদের মাঝে
যদি শান্তির স্বর্গ চাও সব ভুলে
মাথানত কর ওদের শ্রদ্ধাভরা কাজে ।

সাত । ** নজরুল বঙ্গে বিশ্ব সাহিত্য তার অঙ্গে
***** জাতীয় কবি র জন্মদিনে শ্রদ্ধা

কম বুঝ সম্পন্ন এক মুল্লা নজরুল কে নিয়ে নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন ।
বলতেন মুসলিম কাজী পরিবারের ছেলে উচ্ছন্নে গেল ।
বাঁশি বাজায় বেলা অবেলায় , গান গায়
পালামঞ্চে নাছে আর কয় পদাবলি
আর সব বুদাই মানুষ যায় তার সাথে চলি ।

একদিন অনেক মানুষকে লয়ে কাজী নজরুল কে
করতে জব্দ ,পথিমধ্য দিল বাধা ।
মুল্লা বাহিনী ,দাড়াও কাজীর বেটা
আমাদের প্রশ্নের উত্তর দাও নয় দেশ ছেড়ে পালাও ।
নজরুল ,সুজা কি কথা তাই যাও কহে
নয় পড়ে গেঁড়া কলে মরবে দহে ।
মুল্লা , সারাটি পথ হাঁটি গাছের তলে মেল ছাতা
সূর্যের ঝাজ পড়ে মুখে ,উলটুঁ কেন তা ।
নজরুল , মুক্ত আকাশ নহে তাতে কোন ক্ষতি
যাব মসজিদে পাখিরা অযু ভঙ্গ করে যদি ।
বিষ্ঠা দিয়ে করে যদি যাত্রা ভঙ্গ
রইবে ক্ষুভ আশা থাকবে কি প্রভুর ন্যায় সঙ্গ ।
মুল্লা , সত্য কথা নহে মিছে অনু পরিমান
আচ্ছা এবার শুনি , সারাটি পথ চালিয়ে রথ
জুতা জুড়া লয়ে , যেথা কাদা সেথা কেন বাড়ালে ইজ্জত ।
নজরুল , হা হেসে কহে ভাল রাস্তা চোখে দেখে যাই
কাদাময় পথে থাকে যদি কাঁটা সেথায় দেই পায় ।
তবে থাকবেনা ভয় , হয়ে নিরাপদ
শত ক্রুশ দিয়ে পাড়ি মিলিবে ভুত ভবিষ্যৎ ।
মুল্লা জীবে দাগ কাটি মাথা নত করে
ছালাম দিল তারে জবাবের তরে ।


চিনের গভর্নর এলেন বাংলাদেশে কবিকে দেখতে ,
পথিক পথদেখালে রাজকিয় বেশভুসায়
দেখল বনের কুটির এক ।
নজরুল তখন মিষ্টি গলা কুলে গাচ্ছিল গান ,।
গভর্নর নজরুল কে দেখে জিজ্ঞাসে কোথায় নজরুল
বিশ্ব কাঁপিল যার কণ্ঠের বজ্র ধ্বনিতে
মুচকি হাসি কহে নজরুল পার কিনা দেখ চিনিতে
থাকলে নয়ন সাথে।
কুর্ণিশ আর অভিবাদনে মিলিত হয় দুজন
চলে আলাপন ।
গভর্নর , বন্ধু কেন কুঁড়েঘরে পড়ে রও
তোমার দেব স্বর্গের রাজ প্রাসাদ
দেব মিটিয়ে যত রয় জগতের সাদ
যদি রাজি হও ।
নজরুল , বন্ধু সবি মিছে রয় যত স্বপ্ন
যাবে একদিন ধুলিস্যাৎ হয়ে
এই মাটির ধুলিকনা স্বর্গের চাইতেও বেশি প্রিয়
জেনে নিও ,এই মাটিতে মিশে্‌ , সবি যাবে ক্ষয়ে ।
জবাবে মাথা নিচু করে
দিল ছালাম পৌঁছায়ে জবাবের তরে ।

[একদিন মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক
এম এ জি ওসমানী এল কবিকে দেখতে ] ।


কি হে মহারথি আজি নিরব কেন হায়
তোমার রন হুংকারে ডাক ডুল বাজে
প্রেরনা জুগায় সৈনিকের গুড় রন সাজে
উট আবার গেয়ে সেই শিখল ভাঙ্গার গান এই অবেলায়
নজরুল নির্বাক চাহিয়া ক্ষনিকের তরে
ঝাড়িল কিছু সঞ্চিত অশ্রু বন্ধুর নেত্র হরে
নিরব রন সজ্জা নিরেট ভালবাসায়
লভিল ছালাম বীরের জাগ্রত ভাষায় ।
বাংলার বন্ধু আর যত বিদেশী আগত রাস্ট নায়ক
দিল সম্মান প্রান যখন লুটাইল খোদার দরবারে
লক্ষ কোটি প্রান তার আত্তার গমনে
রাসটীয় মর্যাদায় জাতীয় কবি দিয়ে স্বীকৃতি
বিনম্রে ছালাম ভেজে তার বিদ্রোহী আত্মায় ।


আট ।
আষাঢ়ে বাদল
************

সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
এল আষাঢ়ে বাদল
নদী জলে পড়ে ছায়া
আকাশ তরু ফল
কদম ডালে হলুদ ফুলে
মন কেড়ে নেয় কার
বাঁশীর সুরে হৃদয় খাঁড়ে
সখির নজর ভার
কাশবনে
ঝিলের জলে হাঁস
কুলবধু কলসি লয়ে নদে
পুড়ায় মনের আঁশ ।
রঙ ধনু রঙে সাজে
আকাশের গায়ে তায়
রুদ্র ছায়ার ভাসে ফানুস
মাঠের ঐ কিনারায় ।
বাগানে সাজে নতুন কুঁড়ি
মৌ অলিরা ভাসে ফুলে
আষাঢ়ে মেঘ ভিজিয়ে কেশ
আসে বাংলাদেশের কুলে ।


নয় । কাল বৈশাখী বাংলার বুকে
*************
গুরু গুরু ডাকে
কাল মেঘ পুঞ্জ ঘিরে আকাশটাকে
হটাৎ বহে বায়ু শন শন
বাজে ঘূর্ণি নাছন
লোকালয় তরু দ্বয়ে কাঁপন ধরে
কাঁপে পাতা পত্তর থরথরে

কড় কড় সড়াৎ ক্ষনে পড়ে বাজ
পাহাড়ের গাঁয়ে কভু ভেঙ্গে পড়ে সাজ
বিদ্যুৎ চমকায় এদিক ওদিক
মাঠ ঘাট হতে লোক ছূটে দিক বিদিক
বাড়ি ঘর পাতা খড় ওড়ে টিন চাল
ভেঙ্গে পড়ে হরেক বৃক্ষ লতা ডাল
গরিব নিঃস্বদের নড়ে বড়ে ঘর
ওড়ায় ঘুড়ীর মত , আসে সে খবর
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয় মাঠের ফসল
দুমড়ে মুচড়ে পড়ে শস্য তরু ফল
ধুয়ার আবেশে ওড়ে শোকনো পাতা
পথিকের উড়ে যায় হাতের ছাতা
পাখীরাও নীড় হারা অশান্ত ডাকে
বাংলার বুকে বজ্রনিনাদ আওয়াজ কাল বৈশাখে ।

দশ । জাগে মরিবার সাধ

*************




অনেক আধার হল এবার
এখন সাধ শুধুই মরিবার
কবে জানি হয়েছিল ভোর
সেকথাও আজ গেলাম ভুলে
মৃদু মন্দ বাতায়নে জানালার দ্বারে
অশথের ডাল ফুড়ে বারবার
নিশুতি পেঁচার অনাহুত চিৎকার

তবে কি সময় এল ঘনিয়ে
জীবনের হিসাব লুফে নিতে
তন্দ্রাচ্ছন্ন আকাশ গেঁড়া টুপ খুলে
উঁকি দেয় ইন্দ্রাণী শশী
হালকা বাতাসও আজ স্পর্শ করে শিরদাঁড়া
ভুল সবই ভুল
যেকথা জানান দেয় মনে
ক্ষনিকের জগত বড় ভিসময়
অন্ধকার মনে হয়

তবে কেন সাধ নিঃস্বার্থ গমনে
যে ঠিকানা না ফেরার
সেই অমৃত অদৃশ্য লোকে নিজেকে হারাবার ।

এগার


বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জলসায় মুহূর্ত ক্ষনের কবিতা

**********************************
কবিতাটি মিরপুর ক্যানটরমেন্ট উচ্ছ বিদ্যালয় এর বার্ষিক ক্রীড়া
এবং পুরস্কার বিতরনি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সব ছাত্র / ছাত্রিদের সৌজন্য লেখা
ঁঁঁঁঁঁঁঁ


প্রানভরা চঞ্চলে , কুসুম কোমলে
ফুলেল কুঁড়ি হয়ে বিদ্যালয়ে আসে শিশুদলে
শিক্ষা গুরুদের নজরে
এরা বিদ্যাপ্রদিপ জ্বালে অন্তরে
স্তরে স্তরে পাঠ কত শেখে
আদব নেহান বুঝে অনুকরন দেখে ।
বিনোদন খেলাধুলা সংস্কৃতির সাজে
ওদের কত প্রতিভা ফুটে কারুসাজে
তেমনি বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে
তাদের সাথে মিশে গেলুম জাগরিত মনে ।

শিশুদল অবিকল ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে
যেমন খুশি তেমন সাজে দিল মন ভরায়ে
আমি তখন কবিতার ভাষা খুজে খুজে
উৎসাহ যুগিয়ে প্রান দিলুম সেথা নবসাজে
সবার ভালবাসা আর গুণীজনদের বাহবায়
কত না আনন্দ জাগে এই নব জলসায়

গান হল চিত্তে সাঁরা , নাছল বালিকা ছন্দে
বালক বুড়ূ হাততালি দেয় অজানা আনন্দে
দেখি কত নব নব শিশুর মুখ স্বপ্ন রাশি রাশি
চেতনারি রঙ ফুটাল ছন্দ তালে ভাসি
যখন পায় তায় প্রতিভার পুরস্কার , হয় কত যে খুশি
বিদ্যাশালায় ফুলের বাগান ফুটলে সেথা হাসি ।


বার । ভুল দেখা




অন্ধকার নিয়ন আলোয় দেখেছিলুম তার মুখ
তমাসাব্রিতা চাঁদ ম্লান হয়েছিল তার আগমনে
নিভু নিভু জোনাকির ঝিলমিল রাঙা যে বন
খুনসুটি মেখে এঁকে দিয়েছিল বার্তা সেই লগনে

তারারা হেসে ছিল আকাশের গায়ে চুপি চুপি
রিনিঝিনি বৃষ্টির মত হাতের চুরি বাজিল চমৎকার
উদাসি হাওয়া লুটালে এ গায় , অদৃশ্য কটাক্ষ করে
কেন জানি সেদিন চিনিতে ভুল হল আজও খুজি বারবার

আমার নয়নে পানে দীপশিখা জ্বলে তারি পড়ে ছায়া
সমুত্র গর্জনের মত নিশুতি জাগা বুকের দীর্ঘশ্বাস
অসীম কুয়াশার ইন্দ্র হতে এক ভোরের বাতায়নে
রুদ্রস্নান ঘুম ভাঙ্গা আবীর জলসানিতে আজ শুধুই হা হুতাশ ।




তের * স্বপ্ন ছুয়া আকাশ
মাসুদ্ রানা


বরফের রাজ্য থেকে ভোরের বার্তা লয়ে

পালিয়ে বেড়ায় ঘন নীল আকাশে স্বপ্নেরা
আমি রই জেগে মেঘমালা হতে যদি ঝরে কিছু সুখ বৃষ্টি
রাখিব আঁখির তুলিতে ফুটিয়ে শুন্য মেলে দৃষ্টি

ঝরা পালকের গাঁয়ে যদি এঁকে যায় পবন
কিছু স্পর্শ রুদ্র দিপালিকার পঙ্গপালে
সেথায় খুজে নেব আকাশের ঠিকানা
মন হারাবার ভয়ে সে কথাও আজি বড় অচেনা ।


একুশ আমার অহংকার
***********




ফাগুন আসে রাঙা হয়ে
বাংলা মায়ের হৃদয় পানে
বাংলা ভাষার বোল ফুটে
বাঁশের বাঁশী পাখির গানে ।

বাউল সাধক বাংলা ভাষায়
সুরে সুরে মন মাতায়
কবির চেতনা এই ভাষাতে
কত রঙ্গিন কাব্য সাজায় ।

এই ভাষারও ধবনি তুলে
হাল ধরে মাটে চাষা
ছন্দ তালে মাঝির বৈঠা
নদীর বুকে ফুটায় ভাষা ।

এই ভাষা ছালাম রফিক , শফিউর
ঝব্বার , বরকতের রক্তে লেখা
আজ বিশ্ব বুকে বাংলা ভাষার
ফুটে বুলি মধু মাখা ।

ফুলে ফুলে ভ্রমর অলি
এই ভাষারই বার্তা আনে
তাইতো স্মৃতির মিনার সাজাই
বাংলা মায়ের প্রানে প্রানে ।

*
** পনের । একটি বিপ্লবী কাব্য
মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানির উদ্দেশ্য প্রনিত ।।


বিপ্লব আসে যাদের শানিত আহবানে
তারা আমরন সংগ্রামে বিজয় গড়তে জানে
সম্মুখ সমরে পায়ে ধলে শোষক জালিমের সিংহাসন
বয়ে আনে জনতার মুক্তি উপড়ে শৃঙ্খলিত বাধন ।

রক্ত চক্ষু ঘূর্ণি মম প্রানে
ছুটে মহতি মহা অভিযানে
নাশিতে কালঅপশক্তি
আনিতে জনতার উদয় মুক্তি

তাই জাগে বিপ্লবী ভেঙ্গে দুর্বার বাধা ভয়
এক সাম্যর সমাজ সাজাতে ছুটে সম্মুখ পানে অকুতভয় ।



শোল * জাগ জাগ জাগ বাঙালি
***********

জাগ জাগ জাগ বাঙালি
শুকুনের নাগপাশ ছিন্নমুলে
ওরা মানুষের রক্ত চুষে
জীবন্ত প্রানেরে ত্রাসে হিংশ্র ছোবলে ।
জাগ জাগ জাগ বাঙালি
যালিম শোষকদের পদধলে
ওরা লুটেরা ওরা পশু
নিঃস্বদের দানাপানি কেড়ে গিলে ।
জাগ জাগ জাগ বাঙালি
শ্বাপদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলে
মা বোন কে উলঙ্গ করে
ওরাই ক্ষমতার খেতাব খুলে ।
জাগ জাগ জাগ বাঙালি
শয়তানের কালহাত ছিন্ন করে
এঁরাই সমাজ ভেঙ্গে দিয়ে
মানবতা সম্প্রীতির কবর খুঁড়ে ।
জাগ জাগ জাগ বাঙালি
জাগ দুর্দিনের যাত্রি হয়ে
অন্যায় অসত্য ছিন্নমুলে
আমাদের সংগ্রাম চলবে অকুতভয়ে ।
তাই আজি একতার বন্ধনে
এসএস ছুটে যাই কাধে কাধ রেখে
নব ভোর আবার দেখিব বাংলায়
চল চল চল সব সম্মুখ দিকে ।
আর নয় স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত
ওড়বে এবার বিজয় নিশান
নবপ্রজন্মের ঐ সে আওয়াজ
ধিকে ধিকে চালাও অভিযান ।

* :সতের । আমি কবি মননশীল ছবি
*********


আমি কবি আঁকি জগতের স্বপ্ন ছবি
আঁখির তুলিতে মননে ও মেধায়
আমি শিল্পির সুর , লয় তাল , ছন্দ
জাগি লোকজ উৎসবে আনন্দ জলসায় ।
আমি কবি শিক্ষার প্রসাদ , বিদ্যারত্ন
শিক্ষার্থীর পাঠ , শিক্ষাগুরুর তপস্যা
বিদ্যাশালা আর তেজস্বী ভাষণ
আমি দ্বিপ শিখা সমাজের আলোক অন্নেশ্বা ।
আমি গনজাগরনের মঞ্চ , নাটকের নটবর
স্বাধীনতার চেতাগ্নি দিপ্ত কণ্ঠ
আকাশ মৃত্তিকার যত রহস্য উদ্ঘাটন
আমি বিপ্লবী জনতার শিখল ভাঙ্গার অবগুনঠ ।
আমি বিধাতার সেরা উপহার
সৃজনশীল সত্ত্বায় , সত্য ও ন্যায়ে
ধরণীর প্রান সজীবতায় , ফুল ফুটায়ে
ঘুম ভাঙায়ে যাই সব হৃদয়ে ।
আমি দেশ আমি সমাজ আমি পরিবেশে লড়ি
অন্ধ ,কুসংস্কার পদধলে , মানুষ নামের প্রতিভা গড়ি ।

* আটার । নারি দিবসের কবিতা
************



নর আর নারি
জগতের গড়ি
মিলে মিশে সাজায়
বাগান বাড়ি
অধিকার সমান
সুন্দর কাননে
ওরা পূর্ণতা আনে
সমাজের বাহনে
এরা , ক্ষনে মা , বোন
এরা জীবন সাথি
আধারে জালায় কভু
জীবন বাতি ।

উনিশ ।
* বিশ্ব শিশু দিবসে তাদের জন্য কবিতা


মায়ের জঠর ছিরে কার চিৎকার
জগতের রূপ , রঙে মিশে একাকার
তারি বুকের উত্তাপ স্নেহ মায়ায়
শিশু মন বেড়ে উটে স্নিগ্ধতায়

কোমল কুসুম স্বর্গের শোভায়
কত মমতা বহে দিপ্ত আভায়
সব মন মজে শিশুর সরল প্রানে
ফুটে মুখে আধু বুলি মধু তানে ।

জগত মাঝে তার কত অজানা
বিচিত্রতায় আর রহস্য দেয় হানা
নব নব সব কিছুর লয়ে দিক্ষা
এগিয়ে চলে শিশুর বিদ্যা শিক্ষা ।

সমাজের দর্পণে যা কিছু রয়
সবি তাদের মগজে পুস্পটিত হয়
তাই আজি আহবান শিশুর মেধায়
এস দেই পরিবেশ মনন ও মজ্জায় ।

অধিকার আদায়ে কত শিশু প্রান কাদে
রাস্তায় , ফুটপাতে , বস্তিতে রোধননিনাদে
শিতে ভোগে বৃষ্টিতে ভিজে একাকার
অনাহারে ছটফটায় নেই কেহ দেখার ।

ওরা শিশু , ওরা সম্মুখ যাত্রিদল
নব কাণ্ডারি নির্ভীক ওদের বাহুবল
ওদের রক্তে মিশে থাকবে বিজয় উল্লাস
নব নব আয়োজনে গড়বে নতুন ইতিহাস ।

বিশ ।

** আমার দেশ মমতায় আকা


বাংলা আমার জন্মভুমি গৌরব মায়ের সমান
ভোরের আলোয় নিত্য জুড়ায় মোর মন প্রান ।
সবুজ শ্যমল গায়ের ছবি গাছে গাছে ঢাকা
মেটু পথ নজর খাঁড়ে কোথাও আঁকাবাঁকা ।

বনে বনে ফুল ফুটে সুভাস ছড়ায় কত
মাটে মাটে সোনার ফসল ফলে অবিরত ।
স্নিগ্ধ শোভা শান্ত দ্বারায় নদী বয়ে যায়
দুকুলে তার বসত বাড়ি বন উপবন রয় ।

হাওর বিল পাহাড় ঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর ছবি
নানান রঙ্গের মানুষদের দেখি নিত্য হবি
নীল আকাশে মেঘের ভেলা পাখিরা মেলে ডানা
হিমালয় সুন্দরবন সমুদ্র সৈকত দৃশ্য বড় চেনা ।

বিশ্ব বিবেকের তীর্থভূমি আমার এদেশ ভাই
নয়ন জুড়ানো এমন দেশ আর কোথাও নাই ।
গভীর মমতা দিয়ে গড়া এই যে চিত্র আঁকি
তার বুকে স্বপ্ন সাধ ঘুমিয়ে আমি থাকি ।

বাংলা আমার জন্মভুমি বাংলা মায়ের সমান
ভোরের আলোয় নিত্য জুড়ায় মোর মন প্রান ।


একুশ ** নদীর সনে


আপন বেগে নদী বললে আমায় ডেকে
এত বহে জলদ্বারা সঞ্জিত এই বুকে
তৃপ্তি নিয়ে সবাই নামে সুধা করে পান
দুকূলে যে উথাল পাতাল সর্বনাশা বান
সবাই আমায় প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকে
কেহ সোনার ফসল ফলায় নানা চিত্র আঁকে
কেহ কুল দখল নিয়ে বানায় প্রাসাদ বাড়ী
কোথাও আবারব্রিজ বানিয়ে চালায় সেথা গাড়ি
যখন আমার বিনাশ বেলায় কেউ হয় না সাথি
বৃষটির দিনে মেঘলা ভেলায় হয় মাতামাতি ।

এবার সুধাই নদী চিরটি বয়ে নিরবধি
ভোরের আলোয় তোমার নিকট আসি চলে যদি
কি দেবে ভাই শান্ত নয়ন নীলাভ তনুমন
নাইতে যাব সঙ্গী হবে জুড়াইব অঙ্গন ।

সন্ধ্যাতারার হাতছানি তায় বুকে পড়ে ছায়া
চাদের হাসি লুটায় কভু জোছনা ঝরায় মায়া ।
পাখির ডানায় দেখি কভু নীল আকাশের ছবি
কল্পনাতে আঁকে ভাষা কোন নিরব কবি ।
রাখাল বালক গান শুনায়ে ছন্দ তালে হাটে
আমায় নিয়ে কাব্য সাজায় চাষি পাশের মাটে
আর ললনাময়ি কোন নারি মিতালী যায় এঁকে
দেহ মন সবি বিলায় নেমে কলসি লয়ে কাকে
দুরের দেশে কতজনা এই বুকে জমায় পাড়ি
অস্ত রবিও কয় যে কথা বিচিত্র রঙ মাখি ।

মিথ্যা নয় সবই সত্য জানি হে নদী
রঙ ধনু রঙে তোমায় আবার সাজিয়ে দেই যদি
কি দেবে ভাই সবই যে পাই তোমার নৃত্য ছন্দ
নদী কহে রোদেলা হাসিতেও আজি বৃষ্টির গন্ধ ।

বাইশ ** প্রেম ও বিরহের সুর সখির সনে আড়ি


আমার বাড়ী আইস সখি ফুল তুলে দেব গলে
মনের কথা কইমু নিরলে
আঁকা বাকা মেটুঁ পথের চির চেনা গায়
নিশিরাতে তারার প্রদীপ ডাকবে ইশারায়
মৃদু হাওয়া কানে কানে ঘুমটা দেবে খুলে ঐ
ছোট্ট নদীর জল টলমল ঢেউ খেলে দূতীরে
কার বা বাঁশি শুনি ক্ষনে আজব মধুর সুরে
ভাবুক মন রয়না ঘরে বুঝবি সেথা এলে ঐ
ভোরের পাখি জাগায় আমায় কণ্ঠে গানের মেলা
ফুলে ফুলে স্বপ্ন সাজাই ভাসিয়ে হৃদয় ভেলা
কেমন করে স্বরন রাখি সবি যাই ভুলে ঐ ।

যারে আমি ভাবি আপন সে যে মোরে ভাবে পর
এই কি রিতি জগত মাঝে বদল হয়ে যায় অন্তর
সোনা দানা বাড়ী গাড়ী
সবি রবে পথে পড়ি
বন্ধ হলে দমের গড়ি
থাকবেনারে মায়ার নজর ঐ
পলকে যা যায়রে দেখা
সবি রঙ্গের স্বপ্ন আঁকা
আসা যাওয়া সবি একা
কোন আশায় বান্ধরে ঘর ঐ
ভাবুকে কয় বুকে বান্ধে
সাথিরা সব মায়ায় কান্দে
ঘনায়ে আসবে যখন সন্দে
একাই যাত্রা অসীমের ওপর ঐ



তেইশ *** বাংলার চেনা মুখ [সনেট
***********


ঊষার আকাশে ফুটে উটে রাঙ্গা রবি
সবুজ এক দেশ যেন শ্যামল ছবি ।
মাটে মাটে দুলে কত সোনার ফসল
গাছে গাছে ফুলে ফলে রঙ্গিন চিত্রল ।
হাজার শাখা নদী বয় আপন বেগে
সুর তুলে মাঝি গায় ভাটিয়ালী রাগে ।
মাটি খুঁড়ে কৃষাণ সোনার স্বপ্ন বুনে
রাখাল বাজায় বাঁশি হাসি আর গানে ।

এদেশের রুপ দেখে দুচোখ জুড়ায়
শান্তির অমিয় সুধা নদী বয়ে যায় ।
বিশ্ব মাঝে গৌরবের এদেশ আমার
কত মমতায় গড়া নেই জুড়ি তার ।
এদেশের বিরুচিত ইতিহাস গাঁথা
শেষ নেই তাই জানি এত রুপকথা ।


চব্বিশ *** বাংলার ভোর


হাতছানি দেয় ভোরের আকাশ
ঘুম আসেনা চোখে
বর্ণালী ঐ আলোকচ্ছটা
কপোলে চুমো আঁকে ।

কলতানে পাখিরা সব
উটে মেতে ভোরে
মধুর আযান আসে ভেসে
মুয়াজ্জিনের সুরে ,

শিশির মাখা ফুল কলিরা
পাপড়ি মেলে গাছে
কল গুঞ্জন করে অলিরা
পাখনা মেলে নাছে ।

শিশু দলে বাধন খুলে
বেরুয় মেটু পথে
প্রকৃতি তায় নব রুপে
আঁচল দেয় সাথে ।

গাঁয়ের ধুলু জড়ায়ে পায়ে
মাটে চলে চাষি
ঘুমটা টানা কলসি কাঁকে
বধুর মুখে হাসি ।

মৃদু মন্দ বহে বায়ু
বনে সবুজ পাতা দুলে
নব বার্তা বয়ে আনে
বাংলা মায়ের কুলে ।

এমন ভোরে মধুর ঝরে
মন যদি হয় ভালো
বাংলা আমার জন্মভুমি
নিত্য চাঁদের আলো ।


পঁচিশ *** বাংলার চাষি


দূর্বা ঘাসের ছুঁয়া নগ্ন পায়
চাষি মাটে স্বপ্ন সাজায় ।
কচি কচি লতা তারি ছোঁয়ায়
সাজে কত সজীবতায় ।

চাষির প্রতি দাও নজর সবার
ফলিয়ে তারা জুগায় আহার ।


ছাব্বিশ । কবি মমিনুল মউজুদ্দিন স্মরণে
যিনি হাছন রাজার উত্তর সুরি , সড়ক দুর্ঘটনায় সপরিবারে নিহত ।

আলোক বর্তিকা লয়ে তুমি ছিলে
সুনামগঞ্জ বাসীদের অতি পাশে
সকল প্রান চঞ্ছলতায় উদ্দ্যম উল্লাসে ।

তোমার ছুটে চলা অবাক নয়ন
মিশে রয় চাঁদের জোছনায় প্রকৃতি মাঝে
কত আকুল হৃদয় আজও তোমায় খুজে ।

আজও রাজপথ রঙ্গিন শোণিতে তোমার
সুরমার বুকে ভাসে সেই হাহাকার ।


সাতাশ । আমি কি শুধুই ছবি
************

বাহিরের আবরনে মানুষ সেজনা
ভিতরের চেনা টুকু আগে জানা চাই
জাগ্রত বিবেকে চিন নিজেকে
সত্যর দ্বীপ শিখা মগজে ফুঁটাই ।

চেনা জানা কত হয় যে জগত মাঝে
কে আপন কেবা পর বুঝিনা যে
যদি কাউরে হায় বুঝতে শিখি
নিরব গহনে ভিজাই আখি

কভু হৃদয় নীড়ে শুন্যতা পাই ।

বুক ভরা যত কথার মালা
ছন্দ সুর ভাষা আর কাব্য ডালা
দিয়ে সুর অপরের কণ্ঠে তাই
দিক দেখায়ে নব ধরণীর হায়
আমি কি শুধুই ছবি হয়ে যাই ।

আটাশ ।

সৃষ্টি বৈচিত্র্য ১
*********

কত অনুপম তোমার সৃষ্টি বৈচিত্র্য হে অন্তর্যামী
কি সুন্দর অপরূপ শৈলী এই লীলাভূমি ।
সাজায়ে বিশ্রিত ঢালী সবুজ ও শ্যামলে
প্রানের স্পন্দন জাগে সকল তরু ফলে
পাহাড় পর্বত সমভূমি অরন্য ছায়ায়
সাগর নদী সৈকত জাগে অমিয় সুধায় ।
আকাশ বাতাস রবি শশি মৃগ মৃত্তিকায়
অনন্তে ভাসে মেখ পবন তাহাতে লুটায় ।
জাগে প্রান মুখরিত লাগে কি দোলা
মানুষ সেরা সাজায়ে দিলে গড়ে বিশ্ব মেলা ।

রঙ বেরঙের জগত তাই মানুষের বাসযোগ্য
সাধ দিলে সাধ্য দিলে দিয়ে নানা আহার্য ভোগ্য
সকল অস্তিত্তের উদ্ধে তুমি মানবের চিন্তা চেতনার
প্রতিনিধি বানায়ে দিলে সকল অধিকার ।
সাম্য ন্যায়ের পথ চিনতে দিলে জ্ঞান আলো
বুঝতে শিখি ভালো মন্দ অন্ধ কাল ধলো ।
সকল জীবে সকল তৃণে মানুষ সবার সেরা
মানুষের সমাজ গড়ে উটে নবরূপে সাজে বসুন্দরা ।
হে বিধাতা সত্য ন্যায়ে কর মোদের ক্ষমা
সেরা জাত মানুষ মোরা গাই তোমার মহিমা ।

ক্ষুত্রতে তাই দুঃখ সুখের দেখ পরিমাপ
স্বর্গ নরক চিনতে দিলে কি ভাল কি পাপ ।
জ্ঞানি গুনি জাত ব্যবধান ধনি নিঃস্ব কত
ভেদ ভেদাভেদ উচু নিচু দৃশ্য ফুটে তত ।
দিক থেকে দিগন্তে ছুটে খুজে রহস্য মানব
জানতে শিখে আবিস্কার করে বিচিত্র কতসব
এরি মাঝে ঘাত প্রতিঘাত লড়াই করে বাঁচা
কেহ শিখে কেহ শিখায় বাড়ে ইতিহাসের খাঁচা ।
হে দয়াময় এর পরেও মানুষ হয় কেন বিদিশা
সব মাঝে দয়া দাও একমাত্র তুমিই ভরসা ।

আশার প্রদীপ জ্বালে সবে প্রতি পদে পদে
ভুলে কেহ পথ হারায়ে রাস্তায় পড়ে কাঁদে
কেহ খাটে কেহ খাটায় বিচ্ছিন্ন নয় কেহ
কেহ সমাজে চির অমর বিলায়ে মমতা স্নেহ ।
শ্রেণী বিভেদ রয় বহু কেউ কারও অধিন
কেহ থাকে উগ্র সুখে কেহ থাকে স্বাধীন ।
মনের সাথে মিলে মন কেহ কারও আপন
আবার কেহ চির দাম্ভিক ঘটায় নানা প্রহসন ।
হে বিধাতা নাই বা বুঝি তোমার মহান শান
মানুষ নামে সেরা কিসে দাও মগজে জ্ঞান ।

ধীরে ধীরে অজানার যা হয় আবিস্কার
জীবন সংগ্রামে লিপ্ত থাকে দিক চিনে বাঁচার ।
চষে পাহাড় নামে সাগরে গড়ে প্রাসাদ ইমারত
হিসাব কষে লুটে কেহ খোদার নেয়ামত ।
আবার কেহ মোহের বশে ধংশ করে প্রান
শান্তি বাচাতে আবার কেহ গায় সাম্যর গান ।
রক্ত লুলপ মত্ত পাগল কেহ সাজায় সমর
মিথ্যা ক্ষমতা লোভ হিংসায় ধংশ আনে প্রহর ।
এসব হতে নিষ্কৃতি চাই হে দয়াময় প্রভু
অনন্ত আহবান যেন ভঙ্গ না হয় কভু ।

ফকির সাধু তাপস তোমায় চিনতে নামে পথে
বক্ষ মেলে বুক যে মেলায় নিঃস্ব মেট রথে ।
মৃত্তিকারি গন্ধ শুঁকে কাঁটায় কেহ বেলা
রঙ বেরঙের স্বপ্ন সাজায়ে চলে উটসবে খেলা ।
আবার কেহ দূর্বাঘাসে ক্লান্ত দেহে এলায় দেহখানি
কেহ কত অন্নের দায়ে করে সুযোগ সন্ধানী ।
এসব দেখে আবার কেহ মুখ টিপে হাসে
আবার কারও জীবন কাটে মুসাফির হয়ে পরবাসে ।
হে বিধাতা জ্ঞানি গুনিদের মত সটীক দিশা দাও
আমরা মানুষ রাখি যেন হুশ দিলে বাতি জ্বালাও ।

উনত্রিশ ** সৃষ্টি সুখের দৃষ্টিপাত

সৃষ্টির মাঝে উত্থান ও পতন প্রকৃতি রঙে ভাসে
ভুবন জুড়ে ফুটে উটে রঙ ক্ষনে ,পলে , বারমাসে ।
নক্ষত্র খচিত নিশুতি জাগে জোছনা চারিদারে ফুটে
জোনাকির আলোয় ঝিলমিল বনপথ আধার লুটে ।
বিশ্রিত রহস্য লোকে রঙ ঝরে রবি শশির আলোয়
বিশ্ব প্রকৃতি এঁকে কবি মন তার মহাকাব্য সাজায় ।

ত্রিশ ।


** সৃষ্টি সুখের দৃষ্টিপাত মহাকাব্য থেকে


আমি এক ঐতিহাসিক নব প্রান দৃষ্টি
ভয়ে কম্পমান ভূমণ্ডল আর যত সৃষ্টি ।
অন্যায় অহং এর সমাজ যাই করে চূর্ণ
ভাঙ্গি ভ্রান্তি আনি শান্তি পরিপূর্ণ ।
আমি কভু বিপ্লবি হুংকার
মহা জন জাগরণ জনতার ।
বিশ্ব ভূলোকে অগ্নি জ্বলকে
বজ্র বিস্ময় চিত্র সুরভী একে
যেখানে যা প্রয়োজন
সেথাই গড়ি সাম্যর বাধিন ।
শত প্রেম শত দুঃখ কত সাহিত্য সভায়
ছন্দ আনন্দ সুর লহরি তানে জাগি
কত জলসাগরে সুবচন ভাষায় ।
উপহার দেই কত কবিতা গল্প কাহিনি
আমার সনে মিতালি গড়ে
সব শিশু কিশোর আর নিরব আভিমানি ।
আমি মস্ত দুরন্ত দূর্বার এক অনন্ত অক্ষয়
চেতনায় সাগ্নিক বারবার হই দৃশ্য লোকে উদয় ।
মম প্রান মাঝে দীপশিখা জ্বলে বহ্নি দাবানল
সৃষ্টির উল্লাসে ভাসে ছবির মত
আকাশ মাটি যত তরু ফল ।
উদ্ধাকাশ হতে যত জুতি ফুটে রোশনাই বহে অন্তরে
নবজাতকের আকৃতি দিয়ে
কত না হ্রদয় দেব স্নেহাশিস ভরে ।
যুগে যুগে যত প্রেম যত স্মৃতি যত ইতিহাস
পুস্প হয়ে ফুটবে কথার মালায়
কত বিদ্যাশালায় আমার ভাষা হবে চাষ ।
অনন্ত ময় হয়ে সব প্রানে প্রানে ফুটিবে সে স্বপ্ন ছবি
মহা উন্নত মম এক আমি পরিবেশ বন্ধু কবি ।

একত্রিশ ।
** সে যে ঢেউ তুলে হৃদনীলে
*********** পরিবেশ বন্ধু
সে যে কোন এক লগ্নে এল হৃদকাননে
দিয়েছিল কিছুটা ভালবাসার ছুঁয়া
ভাবলুম তারে ক্যামনে যাবে পাওয়া
লাবন্য অধরে অনন্য বাহারে বাড়ায় মায়া ।
ছুটি মেটূ পথ ধরে বাসনা অন্তরে
যদি মিলে দেখা
কব কথা প্রান খুলে রঙিন স্বপ্ন দুলে
ফাল্গুনে জাল বুনি সেথায় একা ।
হেঁড়ে গলা ছেড়ে গান গাই জুড়ে
কোকিলের সুরে নিজে চুপসে যাই
দেখি কলসি লয়ে এক বালিকা এসে
খুজিল কি যেন মনে ছুট পাই ।
বাঁকা কাজল আঁখি মেলে
ঢেউ তুলে হৃদনীলে
স্মিত হাসি দিয়ে সে ওড়ায় সোনার কেশ
বনের যত ফুল কলি
তারি রূপে গেল ডলি
চারিদারে দেখি শুধুই তারি মোহিনী আবেশ
নাম কি খুকি সুধাই তারে
বাঁকা নয়নে নজর কাঁড়ে
মিষ্টি ভাষায় কহে নামখানি বসন্ত
আকাশে বাতাসে ওড়ায় পাখাসে
তার ছবি আঁকা হয় মনের ক্যানভাসে
বাতায়নে লাগে দুলা বেজায় অনন্ত ।
বত্রিশ ।
ভিক্ষুক
*************
ধুকে ধুকে প্রান ক্ষয় জীর্ণ বসন
ফু্টপাতে ঘুমায় কভু না খেয়ে কখন ।
রোদ বৃষ্টি মাথায় লয়ে ভিক্ষা করে
কতনা লাঞ্চনা কটাক্ষ তাদের উপরে ।
কখনও ক্ষুধার জ্বালায় পড়ে থাকে টায়
বাসীখানা কুকুর ও তারা ভাগাভাগি পায় ।
রোগে ভুগে বারমাস আসে জীবনের ক্ষয়
বড় লোক এদের দেখে ঝাড়ে সংশয় ।
রাস্তায় কেন ভিক্ষুকেরা করে জ্বালাতন
তারাও মানুষ জাতী দেখেনা সুক্ষ নয়ন ।
ওরা অসহায় নিঃস্ব না দেখে পথের দিশা
উপায় না পেয়ে হাত পাতে করে ভরসা ।
ওদেরও রয় দেখ সংসার, সন্তান্‌ , ঘর
হয়ত জীবনের ফাঁকে পড়ে হয় সব পর ।
ভিক্ষার ঝুলি লয়ে এরা কিছু আশা করে
দিন শেষে খাবে বসে অতি পেট পুরে ।
সারাদিন চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত দেহ টেনে
খুশি হয় পাইলে কিছু সঞ্চয় জনে জনে ।
এরি মাঝে লাথি গুতা খেয়ে ভিক্ষুকেরা
জীবনের ঘানি টানে করে চলাফেরা ।
এদের সুখ দুখ মরনে কেহ লয়না খবর
একই মানুষ জাতী কেন ? ওরা পর ।
তেত্রিশ ।
মেঘ বালিকা
*********** হিমালয়ের পাদদেশ ভাটি বাংলা ।।
[কবিতাটি উৎসর্গ হল বিশিষ্ট গল্পকার মামুন রশিদ কে ]
মেঘ বালিকার দেশে পাহাড় দিগন্ত বিশ্রিত
আকাশ জুড়ে তার ভেলা ভেসে বেড়ায়
যেন রমনির কাল কেশ হাওয়ায় ওড়ায়
নামে জলের প্লাবন কভু ঝর্নায় নিঃসৃত ।
মেঘ বালিকা কাঁদে কত দুঃখ ঝরা লয়ে
সুখ গুলু তার সবুজপাতা কাননেতে দুলে
রবি শশি গ্রহ তারারা নিরবে কথা বলে
রঙধনু উটে কখনও রূপের ঝলক দিয়ে ।
মেধ বালিকা এসে কভু শিতল করে মাঠি
আজব তারি স্পর্শে ধরনির যত বৃক্ষ তৃণলতা
ফুলে ফলে নজরানা দেয় পায় সজিবতা
তারি ছোঁয়ায় সবুজ ঢালি স্নিগ্ধ পরিপাটি ।
মেঘবালিকার দেশে হটাৎ এ মন ছুটে যায়
মিতালী তার নদীর সনে কাজলা বসন পড়ে
শ্রাবনে তার বিয়ের পিঁড়ি বৃষ্টি অঝর দ্বারে
আবির রাঙা বিজলী হাসিতে জগত রাঙায় ।
চৌত্রিশ । বালিকার চোখে জল
********* পরিবেশ বন্ধু
কি মনোহর ছায়াঢাকা সবুজ গাঁ খানি
মায়া ছাড়তে বালিকার চোখে আসে পানি
বাপজান পাঁশের গাঁয়ে টিক করেছে বিয়ে
সেথায় চলে যেতে হবে সব ভুলে গিয়ে
মুক্ত মনে সারা পাড়া ঘুরে ফিরে দেখা
ভর দুপুরে সখিগনে লয়ে খেলায় মজে থাকা
সবই ছিল নিত্য মজা আরও কত যে কাহিনী
মায়া ছাড়তে বালিকার চোখে আসে পানি ।
দুষ্টুমিতে কতই পাখা জিভে আসত জল
চুপিসারে খাওয়া হত বন বাধারের ফল
মিয়া বাড়ীর পেয়ারা গাছে দিয়ে কভু হানা
খেয়ে দেয়ে খুজা হত মগডালে পাখির ছানা
ভোরের বেলায় কলসি লয়ে ছেড়ে মাথার বেনি
লাগত ভাল সাতার কাঁটা ছিটিয়ে নদীর পানি ।
মনে ব্যাথা এই গাঁ খানি ছাড়তে লাগে ভয়
কত যে ভাব ধুলি মাঠির সনে মস্ত পরিনয়
মনে পড়ে আজি বালিকার অজানা সব কথা
জীবনের যত সুখ দুখ জড়িয়ে রয় যে হেথা
দাদু ছিল মাটির মানুষ করত জমি চাষ
ফলাইত স্বপ্ন ফসল হাসি লয়ে মুখে বারমাস
কত যে দাদু করিত আদর আজও অন্তর পুরে
একদিন হটাৎ ভিসুম খেয়ে সে গেল পড়ে
সেই যে বিছানায় আর উটেনাই দিলঘুম চিরতরে
শুয়ে আছে গো প্রানের দাদু নিরবে কবরে
আজও তার লাগি পরান কাঁদে ভাসে সেই মুখখানি
মায়া ছাড়তে বালিকার চোখে আসে পানি ।
ছিল এক ছুট বোন শেফালি নাম তার
সেই যে একদিন দিল জলে ডুব উটেনি আর
গলে গলে পিছু লইত যেথায় যেখানে যাওয়া
উপহার ফেলে মাটির পুতুল ভুলিত নাওয়া খাওয়া
সারাদিন ফুলের বাগানে বসে গাথিয়া মালা
মিছামিছি করত সেযে বর পুতুল বিয়ে খেলা
জনমের দুখ থাকিবে মনে উটরে শেফালী অভিমানী
গ্রাম্য মায়া ছাড়তে বালিকার চোখে আসে পানি ।
পঁয়ত্রিশ । শাপলা জাতীয় ফুল
******** পরিবেশ বন্ধু
কিযে শাপলা ফুলের বাহার
মন কেড়ে নেয় সবার
বিলে ঝিলে ফুটে
জলে বেড়ে উটে
কচি চিরল পাতা
লম্বা তার লতা
বৃন্তে হলুদ গাঁদা
পাপড়ি গুলু সাদা
সবে দেখে হয় আকুল
শাপলা মোদের জাতীয় ফুল ।।
ছত্রিশ । তার ছবি আঁকি
************* পরিবেশ বন্ধু
কাননে সৌরভ বালিকা তুমি কেন এসে
নিরব গহন টারে যাও ভালবেসে ।
এখানে সবুজ পাতার চিত্রালি বাহার
সেথা উদাসি মন ছুটে বারবার ।
ফুল ফুটে বনময় আহা কি শোভা
গাঁথ মালা একেলা উদয় ক্ষণপ্রভা ।
যখন লাগে একা কুপায় বেধে ফুল
মনেরই সুখে সেথা দাও গাছে দুল ।
ধুলু উড়িয়ে যখন আসে নিজ সখিগন
লুকুচুরি কর তায় বিস্ময়ে হেরি দুনয়ন ।
নাকি সুরে হও কভু ভুতের মাসি
তোমারে দেখি তারা বুকে জড়ায় আসি ।
পাখিদের গানে কভু মুগ্ধ হয়ে
সখিগন উটে কখন গুনগুন গান গেয়ে ।
ফুলে ফুলে যখন মৌ প্রজাপতি ওড়ে
মন ছুঁয়ে যায় তবু পাখা মেলিবারে ।
কখনও পথিকের গমনে ছুড়ে দিয়ে ডিল
দুষ্টুমি ভরা চোখে সখি হাসে খিল খিল ।
কখনও পাখির ছানা খুজে মগডালে
বহুদুর আবির নয়ন দাঁও তুমি মেলে ।
মুক্ত বাতায়নে বসে সেই ছবি আঁকি
নিরব লগনে মুক্তমনে তারে আমি ডাকি।
সাইত্রিশ । শরতের শুভ্রতা
***************
নীল আকাশে পুঞ্জ সাদা মেঘের বেলা
রঙ্গিন , বর্ণীল তার দৃশ্যছবি
যৌবনা নদীজলে পড়ে তার ছায়া
পাখির ডানায় আঁকা সূর্য রবি ।।
পথিকের শ্রান্তিসুধা বৃক্ষ ছায়ে
সজিবতা নিয়ে আসে নানা ফুল ,ফল
ঝিলে ফুটে শাপলা শালুক
চারিদিকে থৈ থৈ জল টলমল ।
কাশবনে বকের সারি ছুটে দূর গাঁয়
কভু বা আটকা পড়ে শিকারির ফাঁদে
জেলের জালে মাছ করে জল কেলি
কভু হটাৎ বিজলি নামে বজ্র নিনাদে ।
অপলক ভাললাগার আসে যে লগন
তাল পড়ে টুপ করে নিরব ক্ষনে
উদাস এ মন ছুটে বিশালতা খুজে
শরতের শুভ্রতা আঁকে আবীর নয়নে ।।
আটত্রিশ । বিশ্ব কবির প্রতি
++++++++++++++++++
আজ কবি গুরু রবি ঠাকুরের জন্মদিন
ধরণীর বুকে বাজে তাই আনন্দের বীণ
বাংলা সাহিত্যর প্রবাদ পুরুষ খ্যাত কবি
জয় করল বিশ্ব কি যে মায়াময় ছবি ।
কত রচনা কত গানে গানে জাগরিত প্রান
দিয়েছে মানবের পথের দিশা হয়ে অম্লান
কত যে রূপ মাধুর্য আঁকা তার বধনে
অমিয় সৃষ্টির বানী রচিল মানবের কল্যানে
চিরদিন বেচে থাকবে কবি সাহিত্য আসরে
এস আজ তারে করি গো স্মরণ প্রান ভরে ।
তার জন্ম জয়ন্তিতে কবিতাটি উৎসর্গ
উনচল্লিশ ফুল
*********
। কি যেন মায়াবী ঠানে হৃদয় করে আকুল
ছড়ায়ে সুভাস হে কাননে দুল প্রিয় ফুল
তোমার ও বাহার দেখি সখিরও খোপায়
আরও দেখি কত না বাসর ও সজ্জায়
ফুলের আশে কভু প্রেমিক মিতালি গড়ে
তাই দিয়ে সম্ভাষণ কতনা প্রিতির আসরে
কত তারুন্য প্রান ফুলের মেলায় জাগে
তাই ফুল প্রিয় সকলের আনন্দ সোহাগে ।।
চল্লিশ । একটি চিঠি ,
প্রিয়তম হে
তুমি হীনা হৃদয় মোর খাঁ খাঁ বালুচর
মেঠূ পথে রাত জাগা একাকি প্রহর
তুমি নেই পাশে তাই
মনে হয় কিছুই নাই
বেদনার নীলাকাশে ফুটে মিশ্র জ্বালা
দিন শেষে পাঠে বসে জীবনের বেলা ।।
প্রিয়তম হে
এসেছিলে যদি ফুল হয়ে হৃদয় কাননে
আজ কেন শুধু মরুভূমি ধু ধু সিক্তমনে
ছিল মুখে নম্রতা সহাস্য লাজ
নয়ন ভরা ছিল মায়াবি সাজ
সেই সে কবে কথা কলি বলে গেলে
ভালবাসি , ভুলবনা প্রিয় রাখবে এ দিলে ।।
প্রিয়তম হে
আজ তুমি ভাসায়ে এই জীবনের চড়ে
মেতেছ নতুন খেলায় আছ কোথা পড়ে
জানিনে সব থাক অজানা
চূর্ণ হতে পারে হৃদয়বীণা
মন যদি চায় খুজে এস বারবার
এখনও খোলা আছে ভালবাসার দোয়ার ।

একচল্লিশ ।

: ঋতু রাজের সাজ
******************


ধরিত্রির ঘুম ভেঙ্গে আজি নব সাজ
আসিল জাগরন নব বসন্ত ঋতু রাজ ।
আকাশের মেঘদুত আলো ছায়া মেখে
দেবে ধরনির ধমনিতে রাজ টিকা এঁকে ।।
তরু পল্লবে সবুজের নিবিড় বারতায়
হিল্লোল ডুলা চাল লাগিবে হাওয়ায় ।।
যৌবনা নদী তীরে সাজে কাশবন
বকের ডানায় মিশে বহিবে পবন ।।
আঁকাবাঁকা মেটূ পথ লতা পাতায়
দেখাবে বসন্ত বার্তা ঘূর্ণি হাওয়ায়
ফুলে ফুলে হবে লাল শিমুল পারুল
সাজবে কৃষ্ণ চুড়া আর আমের মুকুল
মানবের হৃদয় হরে আনন্দ ভেলায়
ঋতু রাজ ধরে সাজ জগতের মেলায় ।।
১/১২ / ১৪২০ বাংলা

বিয়াল্লিশ । স্মৃতির মিনার / স্মৃতিসৌধ
***********

ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে রয় দ্বারায়ে স্মৃতির ,মিনার
দেশের স্বাধীনতা আর গৌরব সেথা মিশে একাকার ।।
লক্ষ প্রানের রক্তে ভেসে আঁকা হয় মোদের মানচিত্র
শোষকদের ছিন্নমুলে ছিল মুক্তির চেতনা ক্রুদ্ধ নেত্র
মায়ের দোয়া আর বাবার জায়নামাজ ভিজে রক্তগঙ্গায়
দামাল ছেলেদের বুকে দিপ্ত শপথ মুক্তির বারতায়
কত প্রান যালিমদের বেয়নেতে হল তাজা খুন
সম্ভম কেড়ে নেয় খান সেনারা নির্যাতন হয় মা, বোন
ঘর বাড়ি , স্থাপনা এদের আগুনে পুড়ে হয় ছাই
কত স্বজন হারাদের মর্মর হাহাকার ঠিকানা যে নাই
অবারিত অশ্রুমাখা মায়ের আচল আজও দিন গুনে
ছেলের প্রতিক্ষায় মা আশার প্রদিপ জালে দীর্ঘশ্বাস মনে
কচি কচি প্রান চঞ্চল শিশুদের দেখে মা সাত্রনা পায়
তাদের ভিড়ে ছেলের আপছা মুখ উটে ভেসে ক্ষনে লুকায়
সব আনন্দ জলসা গৃহ , বিদ্যাশালা মাঠ আঙিনায়
শহীদ দামাল ছেলেরা শিশুদের মাঝেই নব জীবন পায় ।।
আজও স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করে মাথা তুলে স্মৃতিসৌধ
রক্ত লেখা স্বাধীনতার কথা,ওড়ে পতাকা দূর্বার প্রতিরোধ ।।

তেতাল্লিশ ।
মুক্ত স্বাধীনতার বিজয়
**********
স্বাধীনতা মানে সবার কথা মুক্ত মায়ের হাসি
নিত্য ভোরের উদয় রবি রাখালিয়া বাঁশি
স্বাধীনতা মানে মেটু পথে ঘোমটা টানা বধু
কাননের ঐ ফুলের শোভা ভ্রমর ওড়া যাদু
স্বাধীনতা মানে নদীর ঘাটে অবাধ কিশোরের সাতার
চাষির পায়ে রাঙা ধুলু কচি ফসলের বাহার
সাধিনতা মানে জেলের জালে নানা রঙের মাছ
গাঁয়ের ছবি সবুজ ছায়া সজীব তৃণ গাছ ।।
স্বাধীনতা মানে শিশুর মুখে অ আ , শেখা বুলি
চাঁদনি রাতে জুনাক জ্বলা রসের কথাকলি
স্বাধীনতা মানে রদ্রছায়া বটবৃক্ষের নীড়
উদাস বাউলের সুমধুর কণ্ঠ স্রোতাদের নৃত্য শীর
স্বাধীনতা মানে বিদ্যাশালার মগজ ধুলা শিক্ষার্থীর পাঠ
শিশুর আনন্দ লাটাই ঘুড়ির উৎসব মুখরিত মাঠ ।।
স্বাধীনতা মানে কবির ছন্দ , সুর লহরি তান
পুস্প মল্লিকা বসন্ত বাতায়ন ,ভোরের সুমধুর আযান ।
স্বাধীনতা মানে স্বপ্নের নীড়ে উদাস ক্ষনের হাওয়া
চিত্ত সরবে জলসাঘরে মুক্তমনে গান গাওয়া ।।
স্বাধীনতা মানে জনজাগরন এর প্রান চঞ্চল আওয়াজ
দেশ রক্ষা বাহিনীর কটিন শপথ তালে তালে কুজকাওয়াজ ।।
স্বাধীনতা মানে শ্রমিকের ঘাম রোদে পুড়া মুখ
বালিকার নয়নে প্রেম বিয়ের পিড়ি নব জীবনের সুখ ।।


৪৪ ।
আমাকে ছুঁয়ে দাও
**************
এই মেঘ , ঘূর্ণি হাওয়া আমাকে ছুঁয়ে দাও
আমি অজান্তেই ভিজে যাব
এই পাহাড় , সবুজ গালিচা আমাকে ছুঁয়ে দাও
আমি অনেক রঙিন হব ।
এই বন তরু লতা আমাকে ছুঁয়ে দাও
আমি তোমাদের সাথে জড়িয়ে যাব
এই নদী , ঝরনা দ্বারা আমাকে ছুঁয়ে দাও
আমি তোমাদের বুকে ঘর বানাব ।
এই ফুল এই পাখি আমাকে ছুঁয়ে দাও
আমি তোমাদের পাখনা হব
এই নির্জন , চাঁদ তারা আমাকে ছুঁয়ে দাও
আমি আধারের জোছনা হব
এই ভোর , এই আকাশ আমাকে ছুঁয়ে দাও
আমি ভোরের আলো হব ।।
এই রংধনু , গুধুলি আমাকে ছুঁয়ে দাও
আমি সাত রঙ ছায়া হব
তারপর ভালবাসা সবার নিকট বিলিয়ে দিয়ে
নিছক একদিন ফুরিয়ে যাব ।।
৪৫। ।। অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা ।।
******[ কবিতাটি ঐতিহাসিক বাদশাগঞ্জ খেলার মাঠে
জাতীয় তেল , গ্যাস রক্ষা কমিটি ও জাগফ এর ডাকে
লং মার্চ এর উদ্দেশ্য নিবেদিত । ]

আর কত বাঙালি হবে অবরুদ্ধ
অরক্ষিত স্বাধীনতার বল্গাহিন সয়ারে
দেশ আজ লুটতরাজ
দখলদার আর দালালদের খপ্পরে
ফেলানির সম্ভ্রম ঝুলে থাকে সিমান্তে
নিরহ যুবকের লাছ পড়ে গুলিতে
টিপাইমুখ দখলে সুরমা নদী যাবে শোকীয়ে
বিশাল হাওর বিল হবে মরুভুমি
কৃষাণের সোনার ফসল আর হবেনা উৎপাদন
গরীব জেলে ধরে মাছ
করত রুজি রোজগার
সেইসব বিল ঝিল কেঁড়ে নেয় এঞ্জিও
আর বিদেশি ইজারাদার
দেশি পন্য বাদ দিয়ে শ্রমিকের বেতন ভাতা
ভোগ করে শেয়ার বাজার ,
একচেটিয়া সাম্রাজ্যবাদী দালাল চুর
দেশের যত খনিজ তেল গ্যাস , এমন কি সুন্দর বন
লুটেরার নখরে , নিতে চায় শোষণে
প্রকাশ্য প্রহরে ।।

৪৬। জাগ এই দুর্দিনে

হে বিবেকবান আজ ও নিরবে কাদে কত প্রান
পৃথিবীর মায়াজাল ছিন্ন করে ওরা বহুদূরে ,
স্মৃতি ১লা বৈশাখ শিল্পির কণ্ঠে বাংলার গান সেই রমনার বটমুল
বোমার আতংকে কম্পমান প্রতিটি হৃদয় দৃশ্যপটে রক্তাক্ত ।
ময়মনসিংহ ছিনামা হলে একই গঠনার পুনঃরাবৃত্তি বড়ই মন্মান্তিক
আজও হলের সামনে নির্বাক জনতা ,
ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় গৃহযুদ্ধের মরম বেদনায় এখনও ঢাকার
দরবার হল প্রশ্নাতীত মৌন সাক্ষী ।
সিলেটের পবিত্র মাঝার শরীফ সেথাও বোমাময় আতংক
খোদার সিংহাসন যেন ঢলে । দুষ্কৃতি কাল কেয়ামত নামে
গ্যাস ফিল্ড টেংরা টিলায় , নেত্রকোনায় উদীচী শিল্পীদের হত্তা
সারা বাংলায় একই সাথে আদালত সচিবালয় ও ময়দানে
পরিকল্পিত বোমারু জঙ্গি হামলা এখনও পরাধীনতার লগ্ন হানে .

47 .
কবিতা *** শাহ্‌জালাল রাঃ *
ঈমানের প্রদীপ জ্বালালে বাংলাদেশে আসিয়া
ওহে শাহজালাল আউলিয়া ।
সিলেটে আসিলে তুমি ওহে প্রেমিক মাওলাজি
তোমার নামে জগত উজ্জল দেখালে কি কারসাজি
সুরমা নদী দিলায় পাড়ি জায়নামাজ বিছাইয়া।
সারা বাংলা আলোকিত পাইয়া তোমার পরশ
ধংশ হল রাজা গোঁড় গোবিন্দর খ্যাতি যশ
শয়তানের মূর্তি পায় পড়িল তোমার মধুর আযান শুনিয়া ।
কেরামত দেখালে কত সঙ্গী ছিল ৩৬০ সাহাবী
কবুতর বাতাস দিত দেখত রহমতের ছবি
কত বেদীনকে পড়ালে কলমা ইসলামের নিশান উড়াইয়া ।

48 .
ঈমানের প্রদিপ ।
ঈমানের ফুল ফুটাইয়া বাগদাদে লুকাইলা
বড় পীর আব্দুল কাদির জগত রৌশন করিলা ।
তব নামে র গুনে পায় শীর পড়িত লুতাইয়া
জীন পরী ফে রেস্তা সব থাকত অধীন হইয়া
কাদ রিয়া নিশান উরাইয়া কত ভক্ত বানাইলা ।
নবী বংশে জন্ম নিলা তুমি মহিউদ্দিন জিলানী
মরা মানুষ জিন্দা হইত পাইয়া তোমার রূহানী
অলিকুলের শীর মনি তুমি কত কেরামত দেখাইলা ।,
ভাবুকে কয় অ বর পীর দাও রহমতের দিদার
ঈমানের নক্ষত্র তুমি করিলা ইসলাম প্রচার
১৮সিপারা কোরআন মায়ের গর্ভে শিক্ষা নিলা ।

49. শহীদ বুদ্বি জীবী মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ স্ব রনে
[যিনি ৭১রে ঘাতক দালাল দের নির্মমতার শিকার ]
তুমি ছিলে বাংলার মুকুট সব মানুষের হৃদয় ইতিহাসের সুবর্ণ অধ্যায়
বিদ্রোহী কবি নজরুল কমরেড মজাফফর বন্ধু র তালিকায়
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি
হোসেন শহীদ সহরাওয়ারদি আব্দুল খালেক প্রমুখ তারা তোমার প্রেরনা
তোমাকে হারিয়ে বাংলার ভাগ্যকাশে শুধুই শুন্যতা ......
তাই তোমরা চির জাগরিত থাক কৃষাণের লাঙ্গলে মাটে
যৌবনা নদীর কলধ্বনি জেলের নায়ে জুনাক জলা রাতে
তোমরা চির জাগরিত থাক নব জাত শিশুদের কলতানে
রাখালিয়া বাঁশিতে আর মুয়াজ্জিনের মধু ভরা আযানে
তোমরা চির জাগরিত থাক পাট শালা আড্ডা চাখানায়
ফাগুনের অগ্নি ঝরা শহীদ মিনারে ফুল পাখির ডানায়
তোমরা চির জাগরিত থাক বৈশাখী ,পৌষ ,পার্বণে চিরটি এই বাংলায় ;;;;;;;;;; ।


৫০ *** শানে রেজভিয়া দরবার ।
ও রছ মোবারক সতর শ্রী নেত্রকোনা

ঈদে আজম ঈদে মিলাদ্দুন্নবি সব চাই তে সেরা
তাই রেজভিয়া দরবারে ছুটে ভক্ত আশেকেরা ।
শুক্রবারে দরজায় আযান ও কবরের পাশে
ঈমান দারগন জিন্দা সুন্নত কত ভালবাসে
আল্লাহু ও রাছুলের নামে দিয়ে যায় নাড়া ।
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সেরা দলিলে প্রমান
জানের জান দয়াল নবীজী সবার ঈমান
বেঈমানেরা না চিনিয়া হয় যে পন্থ হারা ।
লক্ষ লক্ষ আশেকগনা লয়ে ঈমানের ঘ্রান
মুর্শিদের দিক্ষা লয়ে জুরায় তব মন প্রান
ঐ মদিনায় জানায় ছালাম তাজিমে হয় দ্বারা ।

৫১ ।
*লোক সংগীত । ২৭শে /১২/১৪১৮বাংলা

শতরূপে অপরূপা আমার এ দেশের ঢালি
আমরা বাঙালি অমন আমরা বাঙালি

চির সবুজ মাটে মাটে তরু লতা পত্র পটে
ফুল ফসল কত ফুটে সাজানো মায়ের অঞ্জলি ।
কবি শিল্পী বাউলের দেশে অলি সাধক কত আসে
গগনে রবি শশি হাসে দিগন্তের দরজা খুলি ।

বট ছায়ে বসে মেলা কেনাবেচা চলে সারাবেলা
বাউল ছাড়ে রসের গলা দর্শক বাজায় হাতে তালি ।
ভরা নদী কুলে কুলে ফুল ফসল কত দুলে
পাখ পাখালি মধু বুলে মেট পথে সোনার ধুলি ।

৫২ ।
কবিতা * রাজধানী ঢাকা ।
৩০শে , চ,১৪১৮বাংলা। মিরপুর ১২ সেনাকুঞ্জ ,
ঢাকা শহর এক ঐ তিহাসিক নিদর্শন
কত স্বপ্নে রা ফানুস উড়ায়
নব আশায় মানব গড়ে নব জীবন
প্রতিনিয়ত থাকে ব্যস্ততায় ।
উত্তাল রাজপথ মাঝে মধ্য স্লে।গানে
কখন ও রঙ্গিন রক্তে আঁকে
সৃষ্টি হয় নতুন ইতিহাস বেদনা বিস্ময়
তব সবাই বেচে থাকে।
জীবন সংগ্রামে মানুষজন ব্যস্ত্
কাজ করে কাজ অফিস , কারখানায়
অবসর ফেলে আনন্দে জাগে
দেখ সব বিদ্যমান রাজধানী ঢাকা য়।
ইতিহাসের সাক্ষি আছে কত যে
ইমারত , পার্ক , মদজিদ ময়দান
দেখে লাগে বিস্ময় , আসে কত পর্যটক
বাড়ে জৌলুষ, জুড়ায় মমপ্রান ।

ইসলাম খুজে পাওয়া
*********************


হে মুসলিম জাতী চিত্তে ভয় জাগে আজি কার
প্রান সঞ্চারে দেখায় যিনি পথ শেখায় চলিবার

সংকটে বেভুলে যিনি জ্বালে জ্ঞানের আলো
মুক্তির বারতায় , অন্ধ পদধলে দেখ সব ভালো ।

জগতের মাঝে কত কারুকাজে যত সৃষ্টি সম্ভার
সকল নিপুনে সুক্ষ অভিযানে চেনায় বান্ধাকে আগুসার ।

তথ্য ও ভাবে পরিবেশ স্বভাবে সাজায়ে এক বাধন
হে বিধাতা কত না ক্ষুত্রতে বান্ধায় হও আপন ।

যুগে যুগে চিনতে তোমায় দিয়েছ বানী কিতাবে
কত নবী রাছুল ভেঙ্গে দিয়ে ভুল দিক দেখায়ে গেল মানবে ।

যারা সত্য বানী আঁকড়ে ধরে নিকটতম পাইল তোমায়
সাধু সজ্জন অলি আউলিয়া তারাই মুমিন সততায় ।

আর নাফরমান শয়তান ভ্রান্তিতে গড়া যার সব কাজ
হৃদয়ে কুহক জাগার অন্ধ অহমিকায় ভাঙ্গে সত্য সমাজ

ইবলিশ থেকে পানাহ চাই ভয়ে খোদার দরবারে লুটাই
দয়াল নবীজীর আদর্শ গড়ি ইসলাম সেথা খুজে পাই ।


৫৪ । ** অনির্বাণ শিখা তিন বাহিনী সশশ্র দিবস উপলক্ষ্য ***


গর্বিত জাতীয় অনির্বাণ শিখা লয়ে
হে বীর সেনানী সূর্য সন্তান
জেগে উট দ্বিগুণ তেজে
বয়ে আন দেশের সম্মান ।

জাগরিত চেতনায় দুরন্ত দুর্বার একতায়
শান্তি ন্যায় নিষ্ঠ অভিযাত্রায়
হও অগ্রসর
ফুটুক নব রবি এই বাংলায় ।

সেবার ব্রত লয়ে উদ্ধে তুলে বজ্র নিশান
হোক লং মার্চ নব উদ্দ্যমে
রনভেরি বাজে নবসাজে
নব আয়োজনে ধরাধামে ।



শান্তির বারতায় আমরা সবাই
এস এক হয়ে দেশটা সাজাই
নহে অন্যায় অসত্য সন্ত্রাস
নহে বিশ্রিংখলা আর অবিশ্বাস
গড়ব মিলে সুশীল সমাজ
জাগরন ও বন্ধনে এস সাম্যর পতাকা ওড়াই ঐ
সবার মুখে ফুঁটাতে হাসি
নব প্রজন্মের সপ্ন দিগন্ত খুজি
চির মমতায় নব আয়োজনে
পরিবেশ গড়ি এস সবাই সবার পাশে দ্বারাই ঐ
৫৫ । মুক্তিযুদ্ধ ৭১

পশ্চিমা শাসকেরা এই বাংলায়
কত শোষণ যুলুম বিভেদ ঘটায়
চাকরীর উচু পদ তাদের জুটে
বাঙ্গালীর ভাগ্য শুধু কুলি মুটে ,
যত সব ধান পাঠ ওদের গোলায়
মোদের কৃষানের ঘরে অভাব ভিসময়
আরও অনেক বৈষম্য দিল দেখা
ব্যংক কলখারকানা আর ভাষা শেখা
এল নির্বাচন ৭০ এ সংখ্যা গরিষ্ঠতায়
বিজয় এল বিপুল আসনে এই বাংলায় ।
এবার ষরযন্ত্র ক্ষমতা লয়ে
পশ্চিমা দেবেনা তা নেবে ছিনায়ে
এদেশের জনতা হল সোচ্চার
এল ডাক মহান স্বাধীনতার ।

ফয়ছালা বৈঠক বসল ঢাকায়
দুই নেতা মুজিব আর ইয়াহিয়ায়
মানেনি মোদের দাবি ওরা
ভিসময় দুরভিসন্ধি করল তারা
হল বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার
চালায় গুলি হায়নারা ঘুমন্ত মানুষের উপর
গনহত্তা করে মারে বাঙ্গালী
বোমা বেয়নেটে উড়ায় মাথার খুলি
বীর বাঙ্গালী তাই জাগে
অস্র লয়ে ছুটে সম্মুখ ভাগে ।
এক হয়ে শত মায়ের শত সন্তান
ছাত্র জনতা মুটে কুলি কৃষাণ
লাল সবুজের এক নিশান ওড়ায়
দিনে রাতে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপায়
দীর্ঘ নয় মাস লক্ষ শহীদের রক্তে ভেসে
বীর বাঙ্গালীর স্বাধীনতা আসে অবশেষে ।


৫৬। গনতন্ত্র

জনগণের ন্যায্য অধিকার লয়ে
মুক্ত স্বাধীন মতামত দিয়ে
যারা দেশ ও মানবের বয়ে আনে কল্যান
তাই গণতন্ত্র , তাই সংবিধান ।
বহু দল নির্দ্বিধায় ক্ষমতায় বাধে জুট
নেতা বা সেবক যারা
সেবা ও শান্তির দেয় প্রতিশ্রুতি
আদায় করে জনতার ভোট ।

আসলে কি এই হয়
গনতন্ত্রের পরিচয় ।

গণতন্ত্রের আজ কেমন রূপ
ক্ষমতায় বসেই করে বসে ছাতুরি
গলাটিপে হত্তা করে জনতার অধিকার
হয় লুটতরাজ , বাড়ে জুচ্ছুরি ।

একদল হিংসায় অন্যদল কে হটায়
হত্তা যুলুম দাঙ্গা ঘটায়
জনতার বুকে উটে নিধারুন হাহাকার
ধিক এ প্রহসনে , মানবতা ধিক্কার ।


৫৭। ** কাল বৈশাখ বাংলার বুকে

ঝড়ের সে কি তাণ্ডব
আকাশ মৃত্তিকায় বাধে ধা ধা
বাজ পড়ে ক্ষনে ক্ষনে
ধরণির ঘুম ভাঙ্গে বাতাসে বিদ্রোহী বাধা ।

ভাবনা ধরে ওসব জীন পরীর খেল
ঝমঝম বৃষ্টি সাথে বিজলির হাসি
লাল নীল দ্যুতি ছড়ায়
নামে আকাশের মেধদুত জমিনে আসি ।

আলোর নাছন , কভু গ্রাসে আধার
আতংকে মানবের কেঁপে উটে বুক
বজ্রনিনাদে প্রচণ্ড সৃষ্টির উল্লাস
ওড়ায়ে কত স্বপ্ন বয়ে আনে শোক ।

লাগামহিন ছুটে অসীমের উগ্রতায়
বাজে ভেরি ধংশের বিপন্ন শাখ
আচমকা ধেয়ে আসে , অভিসম্পাত হয়ে
নারকিয় শক্তিতে কাল বৈশাখ।







৫৮ । ** :হিমু ও বনের বুড়ী
[ কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর কল্পিত চরিত্র হিমু কে নিয়ে ]


মহাকাব্য লিখতে বসি নিঝুম রাতে একা
আঁখি মাঝে ভাষার ঝালর নাছে স্বপ্ন কেকা ।
বাঁশ বাগানে জুনাক জ্বলে ভাসে আধার রাতি
সন্ধ্যা ক্ষনে নিভিয়ে রাখে দুঃখ বুড়ীর বাতি ।
সারাদিন মান ছুটে খেটে যা করে সঞ্চয়
নেয়না কেউ খবর একলা রাধে খায় ।
নেড়ি কুকুর বুড়ীর সাথি সেথা রয় পড়ে
ধুলুবালি শুকনো পাতা ঘরটি নড়ে বড়ে ।
বাসন কুশন সেই আমলের মান্দা জীর্ণ অতি
বাকা ডালের লাটি ছাড়া নেই যে চলার গতি ।

মজার বিষয় হিমু একদিন সে ঘরে গিয়ে
ডাকলে আছ কেহ যাই একটু জিরায়ে ।
বুড়ি অবাক মহানন্দে অথিতি এক খাসা
নিশ্চয় স্বর্গ দুত এবার পুরাবে মনের আশা ।
শুন দুত ভাঙ্গা কুটির এমন দশা ছিলনা মোর
বাড়ি ভরা মানুষ ছিল আর অভিজাত ছিল ঘর
বাবা ছিল শৌখিন অতি দৌড়াত টাট্রু ঘোড়া
মা ছিল বুদ্ধিমতি একাই সরব রাখত পাড়া
ভাইয়েরা ছিল বীর কেশরী উচু বুকের পাটা
কেঁউ ছিলনা জুড়ি তাদের সব থাকত ভয়ে সাঁটা ।

হিমু কহে অহে বুড়ি বকছ আমায় পেয়ে
কান ধরেছি ভুল হবেনা গেলাম দিক হারিয়ে
বনে বনে ঘুরে ঘুরে কতই খেলাম চেকা
অবশেষে মিলল এসে আচ্ছা তোমার দেখা ।
যদি পার উদ্ধার কর দিয়ে ঘটা জল
দম বুঝি আটকে গেল খেয়ে শুকনো ফল ।
বিশ্বাস হয়না এই দেখ জামা ছেড়া কাঁটার গাঁরে
সাথিরা সব আমায় ফেলে ফিরল কলের নায়ে
আমি কবি আঁকতে ছবি বেড়াই মুক্ত মনে
আখির পাতায় আঁকা যা লিখি অনুক্ষনে ।

বুড়ি কহে আশা ছেড়ে ভেঙ্গে এহেন ভুল
লেখক তুমি উদাস কেন ? আউলা মাথা চুল
দিক চিনাবে নব নবীনের স্বপ্ন জ্ঞান জ্বেলে
দিক ভুলে সেই তুমি ভাঙ্গা কুটিরে এলে
একটু হাওয়ায় ঘর উড়ে যায় আবার তা বাধি
এমনি করে কতদিন কাটালুম একলা নিরবধি
বৃষ্টি এলে ভিজে যাই কভু থাকি ঝাঁকড়া ঝুপে
মশায় খায় শিতে ভুগি অধর কভু কাঁপে ।
বনের পশু মাঝে মাঝে দিয়ে দেখা ছুটে
উদাস হাওয়া ফুল পাখিরা তাই দেখে মজা লুটে ।

হিমুর পিপাসা উভে গেল শুনে বুড়ির ব্যথা
আবার কহ সেই সে দিনের সুখের যত কথা ।
দুচোখে জল টলমল কহে বুড়ি বাবা তুমি বাঁচ
বহুদিনের পরম আত্মীয় যেন খেই হারিয়ে নাচ ।
সেই সে দিনে এই বুড়ী থাকত কত নয়ন মাঝে
মিষ্টি কথা কইত কেহ ভাবুক রাঙ্গা লাজে
পথের যুবা শিস দিত শুনায়ে গানের কলি
নিত্য যেতাম পাটশালায় হেথা জ্ঞান প্রদিপ জ্বালি
আসবে কবি এক গুনিজন বিদ্যালয়ে জেনে
সাজিয়ে দিলাম সারাটি গাঁ মোরা মিলে কজনে ।

ভাষা জ্ঞান স্মৃতির আল্পনা হিমু শুনে ভাবে
এমন মানুষ কেমন হল না বুঝি তবে ।


৫৯ । রক্তের হোলি খেলা



যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ আজ মানবতা অবরুদ্ধ
অহেতুক বলি হয় যত তাজা প্রান
বিশ্ব বিবেকের নিকট আজি আহবান
এযে অন্যায় সমর লৌহ রাঙ্গা খুন
এতে বাড়ে ধংশ আর যাতনা করুণ
হে জাতী মানুষ নাম লয়ে কেন এ সমর
গড়া রেখে ধংশ আন ভেঙ্গে সব অন্তর ।

ধূর্ত শয়তানের সঙ্গী ওরা মানুষের পরিচয় কি রয়
ধুকে ধুকে মুসলিম মরে ইসলামের মহা সংশয় ।
কাল কেয়ামত এসে নামে ফিলিস্তিন আরব মিশর
ভয় নেই মুসলিম রাখ ঈমান মজবুত খোদার ডর ।
ধংশ আসবে বেদিন জালিমের বাজে সত্যর ভেরী
বিশ্ব মুসলিম এক হও নহে আর দেরি ।

ওরা বিধাতার দান জগত মাঝে বাড়ায় শুধু পাপ
স্বর্গ সুখ চাও ক্যামনে পাবে মাপ
হায় পরিতাপ
কর দিল ছাফ ।

৬০ । সৃষ্টির আদিযুগ থেকে নিরন্তর বয়ে চলা সময়
সবি দৃশ্য ছবি মহাকাব্য দিপ্তমান নয়নের আলোয় ।
স্রষ্টারে চিনিবারে তারি কত কারসাজি
সৃষ্টির আরশিতে বৈচিত্রতায় ভাসে আজি
দিক হতে দিগন্তে নিশি ও প্রাতে
তাই দেখিবারে পাই মোর আঁখিতে
রঙ জ্বলা সঙ ফুটে প্রকৃতির মাঝে
প্রবাহমান মেটু ঢালীতে দেখি অপরূপ সাঝে ।

হে ভাবুক যদি মিশে যাও প্রকৃতির ঘ্রানে
খুজে নিও স্রষ্টারে সেথা , সৃষ্টির তরু তাজা প্রানে ।

কথা
তোমাদের যত কথা কলি ফুল হয়ে ফুটে উটে হৃদয়ে
গহন আধারে কখন দ্বীপ হয়ে জ্বলে উটে সময়ে ।




৬০ । সৃষ্টির সেরা আবেদন মানুষের হৃদয়ের কথা থাকে কবিতায়
অনন্তময় জগতের যত বিস্ময়
শিল্পরূপ কাব্য আঁকা হয়
যুগে যুগে যত বেদনা যত প্রেম যত ইতিহাস
ফুটে ফুল কবিতায় বারমাস ।

হ্রিদরের গহন থেকে যত শব্দ চয়ন
সবি একরাশ পুস্প কবিতার কানন ।

যা দেখিবারে নীরবও পাথারে সঞ্চিত রাখি লিখনে
বিশ্ব ভ্রম্মানডে কবিতার ফসল ফলাই জাগ্রত মনে ,
আয়াত নয়নে ।



কবি ও সাধক.

***************
এস তবে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালি খোদার রহমতে.
যার ক্ষুত্রতের শেষ সিমা নেই ব্রহ্মাণ্ড এ জগতে.
তারি নিকট জ্ঞান গুনের রত্ন ভাণ্ডার কত রয়.
এ দান যার মগজে আসে সেই জগতে ধন্য হয় ।.
কবি কহে হে দয়াময় দাও সে জ্ঞান কল্যাণে.
মানব মুক্তির দিক চিনাও আজ সত্য মহৎ সন্ধানে.
পথহারা সব চিনতে তোমায় ভুল করে রয় আধারে.
দাও জ্বালিয়ে জ্ঞান প্রদীপ ভাঙতে ভান্তি বাধা রে.
সেই সে পথের অভিযাত্রী কর হে দয়াময়.
যে পথ শত পুন্য ভরা যারা তোমার প্রিয় হয় ।.

লেখক কবি সাহিত্যিকেরা হচ্ছেন সমাজের পরিচ্ছন্ন আলোর দিশারী
উক্তি কবি আল মাহমুদ ।,
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×