somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম ও ঈমানের নুর হায়াতুন্নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লাম বই ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলাম ও ঈমানের নুর হায়াতুন্নবি সাল্লাল্লাহু
আলাইহেওয়াছাল্লাম
উৎসর্গ , সকল পাঠকের হৃদয়ে ।

বই সর্বষত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত ।।
।*********************************************
ডঃ আল্লামা মাওলানা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহী
কবি ও সুবক্তা
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
কোরআন , হাদিস এবং তাফছির সহ ব্যখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সহজ বাংলা ভাষায় পাঠকের উপযোগী করে প্রনিত ।
লেখক ।
*********
পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ** ।
********************************************


সুচিপত্র
ঁঁঁঁঁঁঁঁ
* মুজেজা নবীজীর প্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।
* সত্য জানুন , কাফের বেঈমানদের নিকট মাথানত নয় ।
* *** নবীজীর উত্তম আদর্শ ও শিশুদের শিক্ষা ।
* দয়াল নবীজীর নির্দেশিত ইসলাম আর বর্তমান ইসলাম কি এক ।
* আল্লাহকে চেনা বান্ধার হক এবং মোহাম্মদ সা কে চেনা দুনিয়া ও
আখেরাতের মুক্তি ।
* আল্লাহই ধর্ম ও মানুষের প্রভু সেই রক্ষক আমরা কেন ক্ষতির দিকে

* শান্তির সুপান ইসলাম এবং মুক্তির কাণ্ডার রাছুল সা

* নবীজীর নিকট কবি এবং তার ঈমানি চেতনা ।
* ইসলামের উত্তম আদর্শ সাহাবাদের সাহাদত বরন ।
* নবীজী ও সাহাবা গনের ঈদ উৎসব ।
* আল্লাহর কালামের গুন ও নারীর পর্দা ।
* আল্লাহর জাতী নুর এবং হায়াতুন্নবি মোহাম্মদ সা

* সয়ং নবীজী ইসলামের মুর্শিদ
*************************
তৌহিদেরও মুর্শিদ আমার মোহাম্মাদের নাম

*: জগত জননী মা ফাতেমা রা হইতে বর্ণিত ।
* : সাহাবাগনের সময়ে ঈদে মিলাদুন্নবি সাঁ পালন এবং এর গুরুত্ব ।
* নবীজীর কিয়ামত তথ্য ভবিষ্যৎ বানী

*ভুমিকা / নবী রাছুল গনের উপর আল্লাহ প্রদত্ত ১০৪ কানা কিতাব নাযিল হয় । এর মধ্য প্রধান ৪ টি । আমরা কিতাবের ওপর বিশ্বাস স্থাপন রাখি । আলাহ পাক উল্লেখ করেন, আমার মনোনীত ধর্মই ইসলাম এবং কোরআন নাজিলের সাথে সাথে অন্যান্য কিতাব সমুহ বিলিন হয়ে যাবে ।যারা এই কিতাবকে ধরে রাখবে তারাই সফলকাম । আদম আ এর উম্মত বলত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আদামু সাফিউল্লা ।নুহ আ এর উম্মত বলত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু নুহ নাবিউল্লা . ইভ্রাহিম আএর উম্মত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ
মুসা আ এর উম্মত বলত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুসা কালিমুল্লা ঈশা আ এর উম্মত বলত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ঈশা রুহুল্লাহু.>

সকল নবীদের কলমা ছিল লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ ।
শেষ বিচারে সব নবী গন বলবে ইয়া রাব্বি নাফছি হে আল্লাহ আমাকে বাচাও ।
হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াচ্ছাল্লাম বলবে
ইয়া রাব্বি হাব্লি উম্মতি
হে আল্লাহ আমার উম্মত কে বাচাও , এজন্য ঈসা আ আমাদের নবীর উম্মত হয়ার জন্য আল্লাহর নিকট আবেদন করেছিলেন এবং তাঁকে জিন্দা আসমানে উটিয়ে ছিলেন এবং কিয়ামতের পূর্বে তিনি উম্মত হিসাবে আসবেন ।
সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে . যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট ।

নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা কে
আল্লাহ পাক সব আসমানি কিতাবে নবীদের নবী রাছুল গনের রাছুল
এবং আওয়াল আখের যাহের বাতেন ও শাফায়াতের কাণ্ডার
হিসাবে উল্ল্যখ করেছেন ।

****** ।।

মুজেজা নুর নবী হযরত মোহাম্মাদ সাঁ এর প্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।
*******************************
জাবের রা হইতে বর্ণিত ।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা সাহাবিদের নিয়ে মদিনায় পরিখা খনন করছিলেন । শত শত সাহাবি প্রানান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটি মাথায় বহন করে শক্ত বাধ নির্মাণ এবং মদিনাকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করতে খাল খননে নিয়োজিত ।
নবীজীর প্রিয় সাহাবী লক্ষ্য করলেন নবীজীর পেট মোবারকে পাথর বাধা ।সাহাবী নুর নবীজীর শুকনো মুখ মোবারক লক্ষ্য করে বাড়ি চলে আসে এবং
একমাত্র সম্ভল মেষ ছাগ জবাই করে স্ত্রীকে কিছু যব পিষে খামি ও রুটি বানাতে তাগদা দেয় ।
নবীজীর কানে কানে দাওয়াত দেয় সাহাবী । নবীজী ঐ সাহাবীর দাওয়াত গ্রহন করলেন এবং তাৎক্ষনিক কর্মরত সব সাহাবাকে দাওয়াত দিতে বললেন সাহাবী দাওয়াত দেন সবাইকে । যথা সময়ে দলবল লয়ে নবীজী ঐ সাহাবীর বাড়িতে উপস্থিত । আবুআইয়ুব আনসার রা এর স্ত্রী হতবাক , খাবার মাত্র ২/৩ জনের জন্য কিন্তু লোক ৪ হাজারের অধিক হবে । সাহাবাকে ডেকে নবীজী রান্না করা মাংস এবং খামির মধ্য কিছুটা থুথু মোবারক মিশিয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে বললেন ।সাহাবী তাই করলেন এবং সমস্ত সাহাবিদের মধ্য বিতরন করার পরও আরও খাবার অবশিষ্ট রইল ।এবার সাহাবীকে ডাকলেন দয়াল নবীজী , তোমার ২ সন্তান কোথায় ? ডেকে নিয়ে এস ।
সাহাবীর মৌনতা দেখে নবীজী কিছু আচ করতে পেরে ডাক দিলেন
হে নাতি ইব্রাহিম ও সাদি তোমরা চাদরের নিচ থেকে আমার নিকট চলে এস । ঘরের কোনে চাদর দিয়ে
ঢাকা মৃত দুভাই জিন্দা হয়ে নবীজীর পাশে চলে এল এবং নবীজীর কথার জবাব দিল ।

ঘটনা ক্রমে সাহাবীর ২ ছেলে ইব্রাহীম ও সাদি নবীজীর খুব প্রিয়ভাজন ছিল । পিতার মেষ জবাই কেমন প্রশ্ন শুনে বড় ভাই সাদি ছুট ভাই ইব্রাহিম কে মেষ জবাইয়ের অনুকরণ করে এবং চুরি লয়ে পাশের জংগলে গিয়ে এক ভাই অপর ভাইকে খেলাচ্ছলে জবাই করে বসে ।
অন্য ভাই ভয় পেয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে সেও মারা যায় । অথচ কেমন সাহাবা রা যিনি ছেলেদের মৃত্যু শোক ভুলে নবীজীর খেদমতে হাজির ছিল শুধু নবীজীকে রাজি খুশি রাখার জন্য। মৃত ছেলেদের লাশ চাদর দিয়ে ডেকে রেখেছিলেন ।

আল্লাহু আকবার / ছুবহান আল্লাহ বলুন

নবীজী দাওয়াত খেয়ে আবার পরিখার কাজে গেলেন তার প্রিয় সমস্ত সাহাবাদের নিয়ে ।আর আশ্চান্নিত হলেন অনেকেই ।
পরের দিন ১০০ শত নব্য বেদিন সাহাবির মর্যাদা লাভ করেন পাক কালমা পাঠে ।
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুররাছুলুল্লাহ ।
ইসলামের আলো মুক্তির বানী
********** পরিবেশ বন্ধু কবি
ঈমানের অমুল্য ফসল পাক কালমাতে লুকানো রয়
সুদ্ধ দিলে একবার পড়লে সেইজন খাটি মুসলমান হয়
জপিলে পাক কাল্মা লাইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মাদ রাছুলাল্লাহ
দূর হইবে দিলের ময়লা
ওরে দেহ হবে নুরে উজ্জলা দিন কাটিবে বরকতময় ।
যেজন পাঞ্জেখানা ছালাত আদায় করে
তার সর্ব অঙ্গে নেকি ধরে
পাপ তাপ যায় ঝরে
সে মুমিন খোদার প্রিয় মিলবে তার জান্নাতের পরিচয় ।
যেজন আত্তসুদ্ধি লাভে রাখে রোযা
পরকালে তার রাস্তা সুজা
থাকবেনা পাপের বুঝা
পাবে সে জান্নাতে সয়ং মাবুদের দিদারের বিনিময় ।
যেজন করবে হজ , যাকাত আদায়
নেকি লিখা হবে তার আমলনামায়
পার হইবে নিধানের পুলছেরায়
পাবে নবীজীর শাফায়াত কবর মিজানে থাকবেনা ভয় ।



কাফের বেঈমানদের নিকট মাথানত নয় ।
**************************************
আল্লাহ পাকের ঘোষণা আর যদি তোমরা সন্দিহান হও , আমার খাছ বান্ধার দুস্তেরবা নবীজীর উপর নাজিল অবধারিত কিতাবে তবে তোমরা অনুরূপ একটি সুরা রচনা কর ,তোমাদের সঙ্গী যারা খোদা হইতে পৃথক । যদি তোমরা সত্য বাদি হও , অনন্তর যদি তোমরা তাহা করিতে না পার এবং তোমরা কখনও তাহা করিতে পারবেনা । তবে তোমরা আত্ত রক্ষা করিও দুযখ হইতে যাহার খোরাক বা খাদ্য হবে অবিশ্বাসী মানুষ ও কাফের । সুরা বাকারা আয়াত ২২/২৩।২৪।
আল্লাহই অবিশ্বাসীদের কাফের ডাকিয়াছে । আল্লাহ অবশ্যই বিভ্রান্তি কারিদের পছন্দ করেন না ।

সূরা নমল ২৭:৭৫ আয়াতে বলেছেনঃ
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।


সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর

আল্লাহ পাক সকল আসমানি কিতাবে তার হাবিব নুর নবী হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লামকে নবীদের নবী রাছুল গনের রাছুল এবং আওয়াল আখের যাহের বাতেন ও শাফায়াতের কাণ্ডার
হিসাবে উল্লেখ করেছেন ।তিনি প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টির ঈমান । হে মুমিনগন তোমরা সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামে দাখিল হও সুরা বাকারা ২০৭ /


আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিওনা , নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু । যখন আদম আ কে সৃষ্টি করলেন ।আল্লাহর হুকুমে সব ফেরেস্তা
আদম আ এর সম্মানে সেজদা দিল । শয়তান বিরুধিতা করল আল্লাহর হুকুম না মানার কারনে আল্লাহু পাক শয়তান কে শাস্তি দিলেন এবং দুযখের আগুনে শ্রিংখলিত করে রাখলেন ।খালিকিচ্ছামাওয়াতি অয়াল আরদিন । আচ্ছালামু আচ্ছালাতু আলামান খানা নাবিয়াও অয়া আদামু বা মায়ে অয়াত্তিন । নবীজীর মুখ নিশ্রিত বাণী / আল্লাহর ক্ষুদ্রতে আদম যখন কাদা মাটি পানি মিশ্রিত তখনই আমি আল্লাহর রাছুল । হাদিস

আল্লাহু বাম পাজর থেকে হাওয়া আ কে সঙ্গিনী বানালেন । এবং বহু দিন যাবত বেহেস্তে বাস করতে লাগলেন । আল্লাহ আদম আ কে বেহেস্তি সব কিছু জ্ঞান শিক্ষা দিলেন যা ফেরেস্তাগন পর্যন্ত জানতনা । আদম আ কে নিষেধ দিলেন সবস্থানে যাইও কিন্তু নিষিদ্ধ গন্দম ফল ভক্ষন করনা ।

বস্তুত শয়তান আদম আ কে প্রলোভনে ফেলে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ালেন ।সাথে সাথে আল্লাহ পাক আদম আ ও হাওয়া আ কে বেহেস্ত হতে দুনিয়ায় নামিয়ে দিলেন ।
শত শত বছর আদম আ ও হাওয়া আ আল্লাহর দরবারে ভুলের জন্য কাদলেন । ৩৬০ বছর পর আরাফাতের ময়দানে তারা মিলিত
হলেন এবং মুনাজাত করতে লাগলেন
হে আমার সৃষ্টি কর্তা আরশ মহল্লায় তোমার নামের পাশে যার নাম মোহাম্মাদ তার খাতিরে আমাদের ক্ষমা করুণ । আল্লাহ পাক তাদের দোয়া কবুল করলেন বললেন দুনিয়ায় বাস করতে থাক এবং আমাকে সরণ কর নিশ্চয় তোমাদের প্রভু অতি ক্ষমা শীল ।
আদম আ এর বংশ বৃদ্ধি হতে লাগল । শয়তান দুনিয়ায় আসার আগে আবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইলেন । আল্লাহ ক্ষমা মঞ্জুর করেনি শয়তান হতাশ হয়ে বলেন প্রভু আমি চির জাহান্নামি তাহলে আমাকে ঐশী তিনটি শক্তি দাও ১ , সেকেন্ডে সব স্থানে যাতায়াত করার শক্তি দাও ২ । সব জীব জন্তুর আকার ধরার শক্তি দাও । ৩ । সব মানুষের রগে রগে বিছরন করার শক্তি দাও / আল্লাহ বলেন দিলাম । কিন্তু
হে শয়তান আমার প্রক্রিত ইমানদার গনের চুল পরিমাণ ক্ষতি করার ক্ষমতা তোর নাই ।যারা তোর পথ অনুসরণ করবে তারাই জাহান্নামী ।
শানে খোদা / শানে আদম
**********
ওহে মাওলা বানাইলা আদম ছবি কারখানা
রূপে মজে নিজেই তুমি দিওয়ানা
ফুকারিলায় রুহ তাতে ছিল বড় অন্ধকার
মোহাম্মাদী নুর ফুটিলে দেখায় বড় চমৎকার
প্রান পাখি উটে ডাকি আলহামদুলিল্লাহ শব্দে ঘোষণা ঐ
ফেরেস্তাদের আদেশ দিলায় সিজদা কর তারে
সিজদা দিল ফেরেস্তারা মাটির আদমেরে
শয়তান গেল কাফের হইয়া না মেনে আদেশ খানা ঐ
সাধন ভজন যা কিছু রয় মুরশিদ ভজ মুমিনে
মিলবে খোদা প্রেম জোদা দিল ক্বাবারই আসনে
মাসুদ কয় রাছুল বিনে নাইরে উদ্ধার তাজিম কর মদিনা ঐ

আল্লাহু এবং তার রাছুলের বাণী আমরা মানি তাহলেই আমাদের ইমান ইসলাম /মুক্তি আসবে । আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দিন রাছুল আমাদের রহমত দিন । প্রথমে জানাই মদিনায় লক্ষ কোটি দরূদ ছালাম ।

ছালাতুনিয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম
ছালামুনিয়া হাবিব আল্লা আলাই কুম

আসলে ইমান রুহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহমাতুল্লিল আলামিন ।

অর্থ ইমানের মুল কোরআনের রুহ দিনের মগজ
তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত । আল্লাহর দুস্ত নবী পাক হজরত
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে অয়াচ্ছাল্লাম ।




*** নবীজীর উত্তম আদর্শ ও শিক্ষা ।
********************************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
নবীজী সা বলেন সমাজ একটা আয়না , শিশুরা তা থেকে যা দেখবে তাই শিক্ষা নেবে । হে মানবজাতী তোমাদের সন্তানদের উত্তম আদর্শ শিক্ষা দাও । হাদিস বায়হকি , নবীজী শিশুদের ভালবাসতেন এবং তাদের নিয়ে খেলা করতেন । শিশু নবীজী রাখালের বেশে মরুর বুকে পাহাড়ে পাহাড়ে বেদুইন বালকদের আচার আচরন লক্ষ করতেন । কখনও তাদের মধ্য ঝগড়া লাগলে তিনি মিটিয়ে দিতেন । সবার প্রিয়ভাজন ছিলেন বিশ্বাসী ছিলেন বলেই তিনির এক নাম আলামিন । ভাল খেলা ধুলা ইসলামে নিষেধ নয় ‘ সমাজে হারাম জুয়া ,মদ , ব্যবিচার , বেপর্দা হয়ে নানা কৌশল ও যাদু টুনা করা ।

নবী পাক সা একদিন নামায রত, মদিনার বেশ কিছু শিশু কিশোর নবীজীর দরবারে উপস্থিত , তারা নামায রত নবীজীকে ঘিরে রাখল এবং ছোট শিশু ইব্রাহিম নবীজীকে ঘোড়ার পিট ভেবে চেপে বসল সাহাবায়ে কেরাম রা রাগান্বিত হলেন । নবীজী ছাহাবা কেরাম কে বুঝালেন,। ওরা শিশু যা দেখবে তাই শিখবে ওদের আদর করবে এবং উত্তম চরিত্র গটনে গড়ে তুলবে ।
আল হাদিস। বস্তুত নবীজী খেলা ধুলার মাধ্যমে তাদের আদর করতেন তাদের দ্বীনই শিক্ষা দিতেন । নাতি ইমাম হাছান রা / ইমাম হুছাইন রা নবীজীর সাথে এমনি ভাবে খেলা করতেন, যে নবীজী ঘোড়া সাজতেন আর ইমাম হাছান হুসাইন তাদের নানার পবিত্র পিট মোবারকে সওয়ার হতেন । খেলা অবসর মুহূর্তের জন্য । টিকা এবাদত বর্জন করে খেলা ধুলা নিষেধ ।

শিক্ষার প্রদীপ

নবীজীর আদর্শে এস শিখি দ্বীন
লয়ে তার অমৃত বানী
সত্য সরল পথ চিনি
আধার কেটে হবে জীবন রঙ্গিন ।
সত্যআদর্শে গড়ব চরিত্র গঠন
শিখি সত্য কথা বলা
ভাল কাজে পথ চলা
ন্যায়ের নিরিখে এস করি পন ।
দূর করি লোভ, হিংসা
ছুড়ে ফেলি কুহকের যত অকল্যান
এস শিশুর ফুটাই জ্ঞান
আনি সমাজে শান্তি ও ভালবাসা ।
: হে ইসলাম ের কাণ্ডারি আমাদের ক্ষমা কর /
*************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

দয়াল নবীজীর নির্দেশিত মানবতার ইসলাম আর বর্তমান ইসলাম কি এক । কয়েকটি মুজেজা ।।
*********************************************
এক বুড়ী নবীজীর গমন পথে কাঁটা পুঁতে রাখত আর নবীজী একটা একটা করে কাটা তুলে আবার গন্তব্য যেতেন । একদিন পথিমধ্য খাঁটা দেখতে না পেয়ে তিনি খুজে খুজে বুড়ীর বাড়ি
উপস্থিত হলেন , দেখলেন বুড়ি অসুস্থ হয়ে বিছানায় , তৎক্ষণাৎ বুড়িকে সেবা দিলেন , বুড়ি অবাক হয়ে নবীজীর প্রতি শ্রদ্ধায় নত হলেন এবং ইসলাম গ্রহন করলেন ।
*********
মক্কা বিজয়ের পর বিখ্যাত মুনাফিক সরদার আবু সুফিয়ান কে হাতের মু টুয় পেয়েও ক্ষমা করে দিলেন এবং ঘোষণা করলেন যারা
মক্কার কাবায় এবং আবু সুফিয়ানের ঘরে অবস্থান নেবে তারা অধিক নিরাপদ । অথচ এই আবু সুফিয়ান ইসলামের প্রাথমিক প্রচারে প্রধান বাধা ছিল । নবীজীর মহানুভবতায় সেও তওবা করে খাঁটি মুসলমান হয়ে গেল
**********
আবু জাহেলের পুত্র ইক্রামা নবীজীর প্রতি দুর্বল ছিল , জানতে পেরে তাকে বহু নির্যাতন করা হয় । চোখ বেধে পাহাড়ের উপর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এমনকি পাথরের সাথে বেধে সাগরে নিক্ষেপ করা হয় তবুও ঈমান থেকে তিনি বিচ্ছুতি হয়নি । আল্লাহর রহমতে তার কিছুই হয়নি ।

****************
নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা একদা মদিনায় বৃক্ষ নীড়ে অবকাশ যাপন করছিলেন । সুযোগ মত এক এহুদি উম্মুক্ত তরবারি তার উপর তাক করে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলেন হে মুহাম্মদ আপনাকে এখন কে বাচাবে । নবীজী বললেন আল্লাহ , সাথে সাথে তার হাত হতে তরবারি খসে পড়ল এবং নবীজী ঐ ইহুদির গাড়ে চেপে বললেন এখন তোমাকে কে বাচাবে । ইহুদি কাপতে কাঁপতে বললেন আপনি ।
দয়াল নবীজী তরবারি দূরে নিক্ষেপ করে লোকটিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন ।লোকটি ইসলাম গ্রহন করে নবীজীর একজন বিশিষ্ট সাহাবা হয়েছিলেন তার নাম হিশাম এবনে মুয়াজ রা ।
শাফায়াতের কাণ্ডার নুর নবী হযরত সাঁ
*********** পরিবেশ বন্ধু । কবি ও সাহিত্যিক ।
তোমার দিদার বিহনে গো
পার হইব কেমনে
দয়াল নবীজী তরাইও নিধানে ঐ
যখন মরন জ্বালা ভিসময় আসিবে সামনে
সেই সময়ে দয়াল আমায় রাখিও নয়নে গো ঐ
কবর দেশে দেবে হায় রে সাজাইয়া কাঁপনে
ভাই বেরাদার গুনের স্বজন রেখে একা অন্ধকারজমিনে গো ঐ
মিজানেতে নেকি বধি যখন করিবে ওজন
হিসাব নিকাশ না করিও দেখিও রহমতের নয়নে গো ঐ
ফুল ছেরার ঘাঁটে হায় গো হবেঅগ্নি পরিক্ষাখানি
হিরার দার চুলের চেয়ে চিকন রাস্তা পার হইব কেমনে গো ঐ
হাসরের মাটে হায় গো জ্বলবে দুযকের আগুনে
মাসুদ কয় রহমত দিও শান্তি দিও নবীজী সেই সংকট ক্ষনে গো ঐ






নুর নবী হজরত মোহাম্মাদ সাঁ এর কয়েকটি মুজেজা।


**************

একদিন এক বাজ পাখি একটি বাবই কে দৌড়ায়ে নবীজীর দরবারে উপস্থিত , পাখিদের জবান খুলে গেল , বাবই আরজ করল ইয়া রাছুলুল্লাহ বাজ আমাকে ভক্ষন অভিপ্রায়ে পিছু লেগেছে । নবীজী বাজ পাখিকে ডেকে বলল হে বাজ ঘটনা কি সত্য । বাজ সায় দিয়ে বলল ইয়া রাছুলুল্লাহ আজ থেকে এক মাস যাবত অভুক্ত কোন উপায়ান্তর না দেখে ঐ বাবই কেই আমি তারা করছিলাম । নবীজী বাজ কে ডেকে বললে হে অভুক্ত প্রানি আমার গাল থেকে কিছুটা মাংস তুমি নিয়ে ক্ষুদা নিভ্রিত্তি কর । দয়াল নবীজীর এহেন উক্তিতে পাখিদের চোখ দিয়ে দর দর পানি গড়াতে লাগল , ইয়া রাছুলুল্লাহ আপনার নুরানি চেহারা মুবারক দেখে দেখে আমাদের পেটের ক্ষুদা নিবারন হয়ে গেছে ,।
*****************
এক বুড়ি ভারী একটা পুটুলি বহন করে খুঁটিয়ে কুড়িয়ে হাঁটছিলেন ।নবীজী নিজে তা বহন করে পাহাড়ে পৌঁছে দিলেন । বুড়িকে জিজ্ঞেসিলে বলল আব্দুল্লার পুত্র মোহাম্মদের ভয়ে আমরা পালাচ্ছিলাম । আমিই সেই মুহাম্মদ । বুড়ির সঙ্গীরা আগেই সেথায় ছিল , বুড়ি চিৎকার করে জানিয়ে দিলেন হে আমার কউমেরা মুহাম্মদ মানুষ নন নিশ্চয় আল্লাহর বাছুল আমি এক্ষনি
তার নিকট মুসলমান হইব । পরবর্তীতে বাদ বাকিরাও মুসলমান হয়েছিল ।
*******************
বনের দ্বারে বৃক্ষ মাঝে এক হরিণ বাধা ছিল ।নবীজীকে দেখে হরিণীর জবান খুলে গেল ইয়া রাছুলুল্লাহ আমার সদ্যপ্রসব জাত বাচ্ছা দুধ বিহনে মারা যাবে ,এক ইহুদি আমাকে বেধে রেখেছে । আমাকে ছেড়ে দিন , দুধ খাইয়ে আবার আপনার নিকট ফিরে আসব । দয়াল নবীজী হরিণের জাবিন হয়ে তাকে ছেড়ে দিলেন । শিকারি ফিরে এসে হরিণ না পেয়ে জিজ্ঞাসিলে । নবীজী বললেন আমি ছেড়ে দিয়েছি তার বাচ্ছাদের দুধ খাইয়ে আবার ফিরে আসবে ।ইহুদি অবাক হয়ে বলে বনের পশু চলে গেলে ফিরে আসে সে কথা ত আর কভু শুনিনি । ইহুদি লক্ষ্য করে হরিনির সাথে আরও তিনটি সদ্যজাত বাচ্ছা । হরিণী নবীজীর পায়ে দরশন দেয় , আপনার জাবিনের কথা শুনে আমার দুধের বাচ্ছারাও দুধ খায়নি ইয়া রাছুলুল্লাহ ।ইহুদি ঘটনা দেখে সাথে সাথে কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে যায় এবং হরিণীকে ছেড়ে দেয় ।এমন দয়ার সাগর যার দয়া ব্যতিত দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি লাভ কি সম্ভব ।


আল্লাহকে চেনা বান্ধার হক এবং মোহাম্মদ সা কে চেনা দুনিয়া ও
আখেরাতের মুক্তি ।
শানে নুর নবী সাঁ এর নাত
***********
মধুর বাণী শুনি গোঁ দয়াল মধুর বাণী শুনি
আকাশে বাতাসে ভাসে মোহাম্মাদ নামের ধ্বনি
ঐ নামে ফুল ফুটে ভ্রমর অলি ওড়ে
মন জুড়ায় সৌরভে বিশ্ব জগত জুড়ে
তামাম মাখলুক পয়দা হল পাইয়া যে রুহানি ঐ
ঐ নামেতে রবি শশী জগতে ফুটায় গো হাসি
নুরে নুরে দিবা নিশি জ্বলে আলোক রাশি
সেই আলোকের দ্বীপ জ্বেলে পথের দিশা জানি ঐ
ঐ নামেতে পাখিরা গায় উটে নতুন ভোঁর
বৃক্ষ লতা শস্য ফলে রস খাইতে কি মধুর
মাসুদ কয় রিঝিক দানে করাও আহার তুমি রহমতের খনি ঐ


*****************শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বড় জিহাদ


হাদিস আবু হুরাইরা রা ঝবানে বর্ণীত
এক ইহুদি খুব বদকার ছিল । তখনকার যুগে এমন কোন অপরাধ বাকি ছিলনা যা তার দ্বারা সংঘটিত হয় নাই । হত্তা ব্যবিচার যিনা সব ছিল তার নিত্য কর্ম ।মদিনার নিকটবর্তি অঞ্চল বনি হেজাজ স্থানে বাস করতেন নবীজীর এক প্রিয় সাহাবা ইবনে খুবায়ব রা তিনি নিয়মিত নবীজীর শানে দরুদ পড়তেন ।
প্রতিদিনের মত বেশ কিছু লোক নিয়ে তিনি মধুর সুরে দরূদ শরিফ পড়তে লাগলেন । তো পাপি লোকটি এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন , মধুর দরুদের সুর ও নবীজীর রহমত তার মনে ধাক্কা লাগল তিনি মনে মনে নিয়ত করলেন নবী পাক সা এর দরবারে এসে তওবা ও কলমা পড়ে নিবেন । মাত্র দুই এক কদম পা রাখলেন , সাথে সাথে মালিকুল মউত তার জান কবজ করে নিলেন । বেহেস্ত ও দুযখের ফেরেস্তা এল , কোথায় তার স্থান হবে আমল নামা দেখে দুযখের ফেরেস্তা হাসি দিল জান্নাতি বেজার হল । আল্লাহর পক্ষ থেকে আওয়াজ এল হে জান্নাতি ফেরেস্তা নিরাশ হইওনা আবার আমল নামা খুল দেখ মৃত্যুর আগে সে মনে মনে তওবার নিয়তে নবীজীর দরবারে পা বাড়িয়েছিল এজন্য তা র জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ এবং সে জান্নাতি । ছুবাহান আল্লাহ ।
টিকা মনের মধ্য যে শয়তান বাসা বাধে ও দাগা দেয় বা ভুল পথে চালায় সে শয়তানকে দূর করে হ্রদয়ে ঈমানের প্রদীপ জ্বালানোই বড় জিহাদ ।

: আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহ মাতুল্লিল আলামিন
অর্থ ঈমানের মুল কোরআনের রোহ বা নুর এবং দিনের মগজ মানে ইসলামের মগজ তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা । কবি আল্লামা মাওলানা রুমি রা এর জগত বিখ্যাত কিতাব মসনবি শরিফ থেকে যা কোরআন এর সার বস্তু আবার শাহ জালাল ইয়েমেনি রা এর বয়ান
খোদা ভি হায় রেজা জুয়ে মোহাম্মাদ
খোদা মিলতা হায় দরবারে মোহাম্মদ
আল্লাহ হইতে মোহাম্মদ দূরে নয়
আল্লাহ কে লাভ করতে মোহাম্মদের দরবারে আস ।
কোরআনের আয়াত , কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাজি ফাত্তাবিউনি ইবিবকুমুল্লা এয়াগ .।.।.।.।.।.।.।।
অর্থ যদি তোমরা আমি আল্লাহকে পাইতে চাও সর্ব প্রথম আমার হাবিবকে ভালবাস /মোহাম্মদের অনুসরণ কর । তবেই আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব ।
কুন তু কাঞ্জাম মাগফিয়ান হাদিসে কুদসি
আল্লাহ বলেন আমি একটা গোপন ধন ভাণ্ডারে নিহিত ছিলাম ।ব্যখ্যা , যখন আল্লাই আল্লাহ আর কেহ ছিলনা তখন ইচ্ছা পোষণ করলেন আমার নাম কে ডাকবে / আল্লাহর জাতী নুর হইতে সৃষ্টি করলেন মোহাম্মদ যার অর্থ প্রশংশিত যিনি শুধু প্রশংশারই যোগ্য । মোহাম্মদ সৃষ্টি হইয়া মাবুদের নাম দিলেন আল্লাহ । কারন আল্লাহ তার নাম নিজে ডাকবে কেমন করে ।
বাংলা শের
আল্লাহর নুরে হইল সৃজন নুর নবীজীর নুর বধন
নবীজীর নুরে হইল সৃজন কুল মাখলুখাত ত্রিভুবন ।
আওয়াল আখের যাহের বাতেন এক আল্লাহ ছাড়া তার সমান আর কেহ নাই / নিজে খোদা প্রেমিক সাজে কলমাতে তা দেখতে পাই ।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহামমাদুররাছুলুল্লাহ ।
এত এব প্রমানিত তিনিই ঈমান ও ইসলামের মগজ । আল্লাহ ও তার রাছুল সা কে আমরা জানি ,ভয় করি , এবাদতের মাধ্যমে
অবশ্যই আল্লাহ তার বান্ধার প্রতি ক্ষমাশীল ।

শানে এলাহিয়াত ও ঈমান ভাণ্ডার নূর নবী
******************
মাওলা তোমায় চিনতে জানে এমন আশেক কয়জনা
ধ্যানে রাখে কেবলা কাবা নয়নে ফুটায় সোনার মদিনা
ঈমান সাথি পাখা সম্বল দয়াল নবীজি রহমতের ফুল
সূভাস নিলে সুদ্ধ দিলে ভ্রমর মিলে অলি মুল
পড় নামাজ এক মনে হওরে যদি মমিনা ঐ
পাইতে হলে নবীজির চরন ভজ মুরশিদের পায়
মানুষ কে বাস ভাল দিল মোকাম যে সুদ্ধ হয়
ভাঙ্গিবে শয়তানের বাসা সদা আল্লাহু নাম জপনা ঐ
ভাবুক কয় চিনে আসল কোরআন রাখ মগজে
হারাম ছেড়ে হালাল খেও দেখনা প্রেমিক/সাধু সেজে
মাসুদ কয় খোদা নবীজির খাতিরে সাজাইল ত্রিভুবন খানা ঐ
আল্লাহই ধর্ম ও মানুষের প্রভু আমরা কেন? ক্ষতির দিকে
*******************************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

সুরা ফিল শানে নুযুল ও বাংলা ব্যখ্যা
নবীজী দুনিয়ার আগমনের বেশ কিছুদিন আগে বিধর্মী হেজাজের বাদশা আবরাহা মক্কা আক্রমন করে । তখনকার সময়ে জগতের শক্তি শালি বাদশাহ ছিলেন আবতাহা । ৭০ হাজার সাজুয়া হস্তি বাহিনী ছিল তার যুদ্ধ রন কৌশলের প্রধান উপকরন ।
আরবের কুরাইশরা ছিল সে সময়ে পৃথিবী বিখ্যাত শ্রেষ্ঠতম বংশ । বিশ্বের সব দেশের লোকেরাই মক্কায় এসে বানিজ্য স্থাপন এবং কোরাইশদের সাথে ছিল ভাল সম্পর্ক ।
এমনকি কাবা ঘরের সম্মানে তারা কুরাইশদের খিরাজ প্রদান করতেন ।
কুরাইশদের আভিজাত্য কে হেয় করার মানসে বাদশা আবরাহা তার হস্তি বাহিনী লয়ে হটাৎ মক্কা আক্রমন করে এবং ধংশ যজ্ঞ চালাতে থাকে ।
সে সময় নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা এর দাদা কুরাইশ গোত্রপতিদের প্রধান ছিলেন । তার ছিল কয়েক হাজার উট । বাদশা আবরাহার লোকেরা সব উট হস্তগত করলে নবীজীর দাদা আব্দুল মোতালিব বাদশার নিকট গিয়ে উট ফেরত চাইলেন । বাদশা আবরাহা বললেন হে কুরাইশ সরদার আপনার দেশ এবং কাবা এখন আমার হস্তগত
আর আপনি এসেছেন নিজের উট ফেরত নিতে । তৎক্ষণাৎ কুরাইশ সরদার চিৎকার করে বললেন , কানায়ে কাবা আল্লাহর ঘর সেটা রক্ষা করবে যিনি মালিক তিনি । আমি উটের মালিক আমার উট ফেরত না নিয়ে এখান থেকে যাচ্ছিনা । বাদশার বুক ভয়ে কম্পিত হল । আরবের লোকেরা দেখল একধরনের ছোট ছোট আবাবিল পাখি
তাদের নখরে পাথর । তারা আকাশ থেকে লক্ষ লক্ষ পাথর বৃষ্টি হস্তি বাহিনীর মাথায় ছাড়তে লাগল । পাথরের আঘাতে ধুলুয় মিশে গেল আব্রাহা এবং তার হস্তি বাহিনী । নিমিশেই আব্রাহার জাঁকজমক সবি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল ।
ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম রক্ষা করবে সেই । আমরা শয়তানের কুমন্ত্রনা হতে নিজেদের রক্ষা
করি .


*************
খোদা হও বলতেই হয়ে যায় সকল সৃজন
তার ক্ষুত্রতি শান বড়ই মহান
সর্বত্র তিনি রয় বিরাজমান
মহামহিম মহানুভব তিনি অতি দয়াবান ।
তিনি তার সৃষ্টির মাঝে সুক্ষ সুনিপনে
দেখায় সুপথ
নিরূপণ করে ভুত ভবিষ্যৎ
সুখে দুখে আহার জুগায় প্রতিক্ষনে ।
তোমার ক্ষুত্রতি পায়ে সকলেই নত হয়
সকল উদ্দ্যত শীর তোমাতেই নত রয় ।
সাদ্দাদ , নম্রুদ , ফেরাউন কে দিলে মহাশাস্তি
আবার মুমিনেদের জন্য তুমি বিলাও শান্তি
হে দয়াময় সকল সময় তুমি দাও দিশা
সকল আপদ বিপদে দয়াল তুমিই ভরসা ।



শান্তির সুপান ইসলাম এবং মুক্তির কাণ্ডার রাছুল সা
********************
আয়াত / লাওলাকা মা খালাক তুল আফলাক
আল্লাহ বলেন যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না । হাদিসে কুদসি
উহুদের যুদ্ধে কাফের রা শক্তিশালি দল নিয়ে মুসলমানদের মোকাবেলা করে , নবীজী সকল সাহাবীদের আদেশ দেন , তোমরা গিরি প্রান্তরে দলে দলে অবস্থান নাও । আল্লাহর সাহায্য নিকটেই , খবরদার সিমা লঙ্গন করিওনা ।
যুদ্ধের প্রাথমিক সময়ে সাহাবা কেরামগন ছিল দক্ষ এবং নুর নবীজীর নির্দেশিত রন কৌশলে শক্তিশালি সুসজ্জিত হয়েও অল্পসময়ের মধ্য মুসলিম বাহিনীর নিকট কাফের বেদিনগন পরাস্ত হয় ।
কিছুসংখ্যক সাহাবাগনের যুদ্ধে ফেলে যাওয়া ধন রত্ন মালামাল ইত্যাদি সংগ্রহের লিপ্সা জাগে । বিজয় নিশ্চিত জেনে এরা ধুকায় পড়ে এবং কিছুসংখ্যক সাহাবী যুদ্ধের ধন সম্পদ সংগ্রহে নেমে পড়ে ।কাফের রা এই সুযোগে আবার সংঘটিত হয়ে মুসলমানদের উপর মোক্ষম আঘাত হানে । এবার মুসলমান গন অনেকাংশে পরাস্ত হয় এবং সয়ং নবীজীর
দন্ত মোবারক শহীদ হয় ও মাথা মোবারকে আঘাত লাগে ।
।নবীজী বলেছিলেন যুদ্ধে ধরয ধারন কর এবং লোভের মোহে তোমরা সিমা লঙ্গন করিওনা অথচ যুদ্ধের বিজয় জেনে কিছু সংখ্যক সাহাবাগন নিজেদের বিজিত ও গর্বিত মনে করেছিল এবং সিমা লঙ্গন করে যুদ্ধ লুটের মাল নিয়ে নিজেদের কে লিপ্সার অতলে দাবিয়ে দিয়েছিল যার পরিনতি পরে হল সম্পূর্ণ বিপরিদ ।
কি শিক্ষা পাইলাম , রাছুল সা কথা অমান্য করলে সেথা আল্লাহর সাহায্য আসেনা ।
অথচ রাছুল সা এর নিকট এক সাহাবা দৌড়ে আসল ইয়া রাছুলুল্লাহ যুদ্ধে আমার তরবারি ভেংগে পড়ল কি দিয়ে যুদ্ধ করব ।
নবীজী খেজুরের এক ডাল তার নিকটে তুলে দিয়ে বললেন । এই নাও মনে কর এটাই তোমার হাতিয়ার । সাহাবা ইবনে মুয়াজ রাজি রা এই খেজুরের ডাল দিয়ে যুদ্ধ করে শত শত কাফের নিধন করে
নিজেদের বিজয় কে নিশ্চিত করেছিলেন ।
আমরা এবার কি শিক্ষা ফেলাম ।নবীজীর আদেশ মান্য করলে আল্লাহর রহমত সামান্য বস্তুর মধ্যও অনেক বড় বিজয়ের কারন হয় ।
দয়াল নুর নবী হযরত সা আল্লাহর প্রেরিত উম্মতের জন্য রহমত ও মুক্তি ।
আয়াত , আল্লাহ বলেন আমি আপনাকে সমগ্র জাহানের রহমত
স্বরূপ প্রেরন করিয়াছি .


শানে রহমত নুর নবী সাঁ
***************
আমার জিন্দা নবী আছেন মদিনায়
আমার দয়াল নবী আছেন মদিনায়
অলিগনে সদায় দেখে তার দিলের ও আয়নায়

দয়াল নবীজী কামলে ওয়ালা
উম্মতের লাগি কান্দিলা
শাফায়াত করিবেন উম্মতেরে
কবর , হাসর , মিজান , পুলছেরায়

রবি , শশি , গ্রহ তারা
দয়াল নবীজীর নুরের দ্বারা
জীন , ইন্সান , আর ফেরেস্তারা
সদায় ছালাম ভেজে মোবারক রওজায়

যত নবী অলি , মুমিন , সাধু
লভিল সে নামের মধু
নামে ভরা রয় যাদু
ভেজে দরুদ সয়ং মাওলায়

কবি কহে হে রহমতের ভাণ্ডার
যেন মিলে রহমতি দিদার
নুর তোমার বধন মোবারক আনোয়ার
শান্তি দাও মোর কলিজায়

ইসলামের উত্তম আদর্শ সাহাবাদের সাহাদত বরন
**************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁযারা আল্লাহর রাস্তায় শাহাদত বরণ করেছে তোমরা তাদের মৃত বলিওনা বরং তারা জীবিত আর তাদের জন্য রহিযাছে অবধারিত জান্নাত । আল কোরআন । অন্যায় ভাবে আততায়ি কর্তৃক নিহত হলে সে শহীদের মধ্য গন্য
আল হাদিস ।জাবের রা হইতে বর্ণিত । কিছুসংখ্যক সাহাবি ইসলামের দাওয়াত নিয়ে মদিনা হইতে মক্কার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলেন ।পথিমধ্য আবুজাহেলের লোকেরা তাদের পাকরাও করে । সাহাবাগন যুদ্ধ করে বহু সংখ্যক কাফের নিধন করে তারা শাহাদত বরন করে ।বিশিষ্ট সাহাবি আবু খবায়েব
রা কাফের দের নিকট বন্ধি হলেন । একটা অন্ধকার কুটুঁরিতে তাকে রাখা হয় । সামান্য দানা পানিও তার জন্য বরাদ্ধ ছিলনা বরং নিত্য অনাচার অত্যাচার ছিল তার সঙ্গী ।
একদিন কাফেরদের দাসি গেল বন্ধি সাহাবি খুবায়েব রা খুজ খবর নিতে । গিয়ে দেখতে পায় আবু খবায়ব রা আঙ্গুরের ঝাঁক থেকে পাকা সুসাধু ফল ছিরে
খাচ্ছে । দাসি অবাক হয়ে জানতে চাইল আঙ্গুর ফল তিনি কোথায় ফেলেন । সাহাবি রা বললেন এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে বেহেস্তি খাবার নাও তুমিও খাও । দাসি সহ
আরও অনেকেই তৃপ্তি সহকারে ফল ভক্ষন করে । যার নিকট সাহাবি রা বন্ধি সেই বেদিন ছিল বদরের যুদ্ধে পরাজিত এবং তার দুই ছেলেকে ও চাচাকে আবু খবায়ব রা নিজে বদরের প্রান্তে হত্তা করেছিলেন । তাই কাফেরেরা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় । সাহাবি রা কে ঘোড়ায় চড়িয়ে যখন বেদিতে নিয়ে যাওয়া হবে তখন তিনি শৃঙ্খলিত ছিলেন । নবীজীর নাম লয়ে ঐ সাহাবী ফরিয়াদ জানালেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমার দেহকে হেফাজত করুন ।
সাথে সাথে লোহার জিঞ্জির ভেঙে যায় এবং খালি হাতে ওদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তিনি । সর্বাধিক কাফের নিধন করে তিনি শাহাদাতের কুলে নিজেকে সমর্পণ করেন । তার লাছ বিকৃত করার মানসে কাফের রা উদ্দ্যত হলে হটাত গায়েবী আওয়াজ আসে এবং সকলে পালিয়ে যায় এবং আবু খুবায়েব রা এর দেহটি ফেরেস্তাদের সমিব্যাবহারে জান্নাতুল বাকিতে চলে আসে ।
ইসলামের উত্তম যুগ , ও তফছিরে কবির ।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাশুদ রা আনহুম হইতে বর্ণীত , উঁহুদের যুদ্ধের সময় এক ইহুদি নাম তার হামযালা । তিনি মদিনার এক সাহাবায়ে কেরামের মেয়েকে ভালবাসতেন । ইহুদির ভালবাসা এবং বিয়ের প্রস্তাব সাহাবা রা গ্রহন করলেন না । হামযালা নবীজীর কদম মোবারকে চুম্ভন করে বললেন আপনি যদি উক্ত বিয়েটার ব্যাবস্থা করে দেন নিশ্চই আমি মুসলমান হয়ে যাব । নবীজী তার সাহাবা কেরাম কে ডেকে তার মেয়ের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দিতে বললেন । ঐ দিনই নবীজী এবং তার প্রিয় সাহাবাগন কে নিয়ে উহুদের ময়দানে যুদ্ধে লিপ্ত । হামযালা তার স্ত্রীর সাথে বাসর সজ্জায় । এমন সময় কে যেন বলল উহুদের যুদ্ধে নবীজীর দন্ত মোবারক শহীদ হয়েছে ।শুনে হামযালা চিৎকার করতে করতে মুক্ত তলোয়ার নিয়ে উহুদের ময়দানে উপস্থিত হয় । শত শত কাফের হত্তা করে এবার দয়াল নবীজীর খুজে বের হন । দেখতে পান পাহাড়ের গুহায় একদল কাফের নবীজীকে ঘিরে আছে এবং এক ইহুদী তলোয়ার দিয়ে নবীজীর গর্দান মোবারকে আঘাত করার জন্য প্রস্তুত । মুহূর্তে হামযালা তার গলা ঐ ইহুদির তরবারির সামনে বাড়িয়ে ধরলেন । নবীজীকে রক্ষা করে হামযালা রা শাহাদতের কুলে আশ্রয় নিলেন । যুদ্ধ শেষে নবীজী হামযালার দেহে পানি দেখতে পেয়ে জিব্রাইল আ কে প্রশ্ন করলেন তার দেহে পানি কথেকে এল । জিব্রাইল আ বললেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সাঁ যুদ্ধে আসার আগে হামযালা রা ছিল তার স্ত্রীর সাথে বাসর ঘরে ।আপনার খবর শুনে সে ফরজ গোসল না করেই যুদ্ধের ময়দানে চলে আসে এবং শাহাদত বরন করে আল্লাহ সয়ং তার লাছ আসমানে উটিয়ে ফেরেস্তাদের মাধ্যমে তার গোসল সম্পন্ন করেন । ছুবহানআল্লাহ । হাদিস ।



নবী পাক সাঁ এবং সাহাবাগনের ঈদ আনন্দ ।
*****************
মদীনায় যাওয়ার পর নবীজি (স) দেখলেন, সেখানকার লোকজন দুটি দিনকে উদযাপন করে খেলাধূলার মধ্য দিয়ে। নবীজি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? তারা বললো, আমরা জাহেলী যুগে এ দু দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন : ‘আল্লাহ রাববুল আলামিন এ দু দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দু’টো দিন দিয়েছেন। তা হল ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর।’ [সুনান আবূ দাউদ : ১১৩৪]



শুধু খেলাধুলা, আমোদ-ফুর্তির জন্য যে দু’টো দিন ছিল আল্লাহ তায়ালা তা পরিবর্তন করে এমন দু’টো দিন দান করলেন যে দিনে আল্লাহর শুকরিয়া, তাঁর জিকির, তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সাথে সাথে পরিমিত আমোদ-ফুর্তি, সাজ-সজ্জা, খাওয়া-দাওয়া করা হবে। বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ গ্রন্থে ইবনে জারীর রাদি আল্লাহু আনহুর বর্ণনা মতে, দ্বিতীয় হিজরিতে রাসূলুল্লাহ (স) প্রথম ঈদ পালন করেছেন।
ঈদের নামাজ
নবী (স) দিনে বের হয়ে দু’রাকাত ঈদের সালাত আদায় করেছেন। এর পূর্বে ও পরে অন্য কোন নামাজ আদায় করেননি।’ [সহীহ বুখারি : ৯৮৯] শুধু ছেলেরা নয়, ঈদের জামাতে মেয়েদের শামিল করানোর ব্যাপারেও নবীজি (স) তাগিদ দিয়েছেন।
উম্মে আতিয়া (রা) বলেন, ‘আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (স) আদেশ করেছেন আমরা যেন মহিলাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজের জন্যে বের করে দেই; পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনীসহ সকলকেই। ঋতুবতী নারীরা ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে সালাত আদায় থেকে বিরত থাকবে তবে কল্যাণ ও মুসলিমদের দোয়া প্রত্যক্ষ করতে অংশ নিবে। তিনি আরো বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে কারো কারো ওড়না নেই (যা পরিধান করে আমরা ঈদের সালাতে যেতে পারি)। রাসূলুল্লাহ (স) বললেন, ‘সে তার অন্য বোন থেকে ওড়না নিয়ে পরিধান করবে।’ [সহীহ মুসলিম : ২০৯৩]
ঈদের দিন গোসল করা
ঈদের দিন গোসল করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছছন্নতা অর্জন করাকেও নবীজি গুরুত্ব দিতেন। ইবনে উমার রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত যে,‘তিনি ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন।’ [সুনান বায়হাকী : ৫৯২০]
পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া
আলী রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : ‘সুন্নাত হলো ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া।’ [সুনান আততিরমিযী : ৫৩৩] উভয় পথের লোকদেরকে সালাম দেয়া ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য যে পথে যাবে সে পথে না ফিরে অন্য পথে ফিরে আসা। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন।’ [সহীহ বুখারী : ৯৮৬]
খাবার গ্রহণ
ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদের সালাত আদায়ের পূর্বে খাবার গ্রহণ করা এবং ঈদুল আজহার দিন ঈদের সালাতের পূর্বে কিছু না খেয়ে সালাত আদায়ের পর কুরবানির গোশত খাওয়া সুন্নাত। বুরাইদা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের পূর্বে খেতেন না।’ [সুনান আততিরমীযি : ৫৪৫]
ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভাষা
ঈদে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানো শরিয়ত অনুমোদিত একটি বিষয়। বিভিন্ন বাক্য দ্বারা এ শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। যেমন : (ক) হাফেয ইবনে হাজার রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, সাহাবায়ে কিরামগণ ঈদের দিন সাক্ষাৎকালে একে অপরকে বলতেন : ‘তাকাববালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অর্থ- আল্লাহতায়ালা আমাদের ও আপনার ভাল কাজগুলো কবুল করুন। (খ) ‘ঈদ মুবারক’ ইনশাআল্লাহ। (গ) ‘ঈদুকুম সাঈদ’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়।
ঈদের চাঁদ দেখার পর থেকে তাকবীর পাঠ করা
তাকবীর পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করা হয়। তাকবীর হলো : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
বাক্যটি উচ্চস্বরে পড়া। আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হয়ে ঈদগাহে পৌঁছা পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করতেন।’ [মুসতাদরাক : ১১০৬] যখন সালাত শেষ হয়ে যেত তখন আর তাকবীর পাঠ করতেন না। বিশেষভাবে ঈদগাহের উদ্দেশ্যে যখন বের হবে ও ঈদগাহে সালাতের অপেক্ষায় যখন থাকবে তখন গুরুত্বসহকারে তাকবীর পাঠ করতে হবে।
নতুন বা পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘আল্লাহ রাববুল আলামিন তাঁর বান্দার উপর তাঁর প্রদত্ত নিয়ামাতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন।’ [সহীহ আলজামে : ১৮৮৭] ইবনুল কায়্যিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন : ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু ঈদেই ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন।’ [যাদুল মায়াদ]
ঈদের খুতবা শ্রবণ করা
আব্দুল্লাহ বিন সায়েব রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : ‘আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদ উদযাপন করলাম। যখন তিনি ঈদের সালাত শেষ করলেন, বললেন : আমরা এখন খুতবা দেব। যার ভালো লাগে সে যেন বসে আর যে চলে যেতে চায় সে যেতে পারে।’ [সুনান আবূ দাউদ : ১১৫৭]
দোয়া ও ইস্তেগফার করা
ঈদের দিনে আল্লাহ তায়ালা অনেক বান্দাহকে মাফ করে দেন। মুয়ারিরক আলঈজলী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ঈদের এই দিনে আল্লাহ তায়ালা একদল লোককে এভাবে মাপ করে দিবেন, যেমনি তাদের মা তাদের নিষ্পাপ জন্ম দিয়েছিল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘তারা যেন এই দিনে মুসলিমদের জামায়াতে দোয়ায় অংশগ্রহণ করে।’ [লাতাইফুল মায়ারিফ]
মুসাফাহা ও মুআনাকা করা
মুসাফাহা ও মুআনাকা করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়। আবু হুরায়রা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘একদা হাসান (রা) নবী কারীম (স) এর কাছে আসলেন, তিনি তখন তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং কোলাকুলি করলেন।’ [শারহুস সুন্নাহ]
ফিতরাহ দেয়া : রমজান মাসে সিয়ামের ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে এবং অভাবগ্রস্তদের খাবার প্রদানের উদ্দেশ্যে ঈদের সালাতের পূর্বে নির্ধারিত পরিমাণের যে খাদ্য সামগ্রী দান করা হয়ে থাকে, শরীয়াতের পরিভাষায় তাকেই যাকাতুল ফিত্র বা ফিতরাহ বলা হয়ে থাকে। হাদিসে বর্ণিত, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাতে যাওয়ার পূর্বে ফিতরাহ আদায় করার আদেশ দিলেন।’ [সহীহ বুখারি : ১৫০৩]
এতিম ও অভাবীকে খাবার খাওয়ানো
একবার রসূল (স) ঈদের নামাজ পড়ানোর জন্যে বের হলেন। রাস্তার পাশে মাঠে কিছু কিশোর খেলাধূলা করছিলো। কিন্তু তাদের একজন মাঠের এককোণে বসে কাঁদছিলো। পরনে তার ছেঁড়া জরাজীর্ণ কাপড়। নবীজি (স) তাকে খেয়াল করলেন। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, সে কাদছে কেন। ছেলেটি বললো, তার মা-বাবা নেই। এমন কোনো আত্মীয়ও নেই যার কাছে সে আশ্রয় নিতে পারে।
নবীজি (স) তার কথা শুনে কষ্ট পেলেন। বললেন, আজ থেকে আমিই তোমার বাবা। আয়েশা তোমার মা, ফাতিমা তোমার বোন। তুমি কি সন্তুষ্ট? ছেলেটি বললো, হে আল্লাহর রসুল (স) এত কিছু পেয়েও আমি কি সন্তুষ্ট না হয়ে পারি। এরপর মহানবী (স) তাকে বাসায় নিয়ে গেলেন, সুন্দর জামা পরালেন এবং তৃপ্তির সাথে খাওয়ালেন।
এরপর ছেলেটি হাসতে হাসতে আবার সেই মাঠে ফিরে গেলো। অন্য ছেলেরা তার এ অবস্থা দেখে অবাক হলো। জিজ্ঞেস করলো, কিছুক্ষণ আগে না তুমি কাঁদছিলে? এর মধ্যে এমন কি হলো যে, তুমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলে? ছেলেটি বললো, আমি অনাহারে ছিলাম, পরিতৃপ্ত হয়েছি। পোশাকহীন ছিলাম, পোশাক পেয়েছি। এতীম ছিলাম, আল্লাহর রাসুলকে পিতারূপে পেয়েছি তাঁর পরিবারের সবাইকে আমার পরিবার হিসেবে পেয়েছি। এখন আমার চেয়ে সুখী আর কে আছে?
আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া
ঈদের সময় বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া ও তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার বিশেষ সুযোগ তৈরি হয়। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে আখেরাতে বিশ্বাস করে, সে যেন আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে।’ [সহীহ বুখারি : ৬১৩৮]
প্রতিবেশীর খোঁজ-খবর নেয়া
ঈদের সময় প্রতিবেশীর হক আদায়ের সুযোগ তৈরি হয়। আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা ইবাদত কর আল্লাহর, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরিক করো না। আর সদ্ব্যবহার কর মাতা-পিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে, ইয়াতীম, মিসকীন, প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সাথে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদেরকে, যারা দাম্ভিক, অহঙ্কারী।’ [সূরা নিসা : ৩৬]
মনোমালিন্য দূর করা
জীবন চলার পথে বিভিন্ন পর্যায়ে কারো কারো সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। ঈদের সময় পারস্পরিক মন-মলিন্য দূর করা ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করার উত্তম সময়। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয় যে তার ভাইকে তিন দিনের বেশি সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে। তাদের অবস্থা এমন যে দেখা সাক্ষাৎ হলে একজন অন্য জনকে এড়িয়ে চলে। এ দুজনের মাঝে ঐ ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে প্রথম সালাম দেয়।’ [সহীহ মুসলিম : ৬৬৯৭]
আনন্দ প্রকাশ করা
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদি আল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন : ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন আমার ঘরে আগমন করলেন, তখন আমার নিকট দু’টি ছোট মেয়ে গান গাইতেছিল, বুয়াস যুদ্ধের বীরদের স্মরণে। তারা পেশাদার গায়িকা ছিল না। ইতোমধ্যে আবু বকর রাদি আল্লাহু আনহু ঘরে প্রবেশ করে এই বলে আমাকে ধমকাতে লাগলেন যে, নবীজির ঘরে শয়তানের বাঁশি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কথা শুনে বললেন, ‘মেয়ে দুটিকে গাইতে দাও হে আবু বকর! প্রত্যেক জাতির ঈদ আছে, আর আজ সকলের আনন্দের দিন । ছহিহ বুখারি ৯৫২ ।


,ঈদ মোবারক
************* পরিবেশ বন্ধু
বাঁকা চাঁদের হাসি নিল আকাশে
ঈদ মোবারক ঈদ আসে ২
মাহে রমজান মুমিনদের
সিয়াম সাধনায় পবিত্রতায়
সকল মুসলমান ঈদগাহে ছুটে যায়
মিলিত হত এক সারিতে আল্লাহর দরবারে
পুন্য পাথেয় করে সঞ্চয়
কাধে কাধ মিশিয়ে মহব্বত সওদা করে
সবে খোদার দরবারে মোনাজাতে বসে ঐ
সবে ব্যবধান ভুলে করে কুলাকুলি
যাকাত দেয় গরিবের তরে
নতুন জামা গায় বাড়ী বাড়ী ছুটে
দোয়া মাগে প্রান ভরে
আল্লাহর জান্নাতি সুঘ্রাণ জগতে আসে
শান্তির সুবাতাস হেথা রয় মিশে ঐ ।
আল্লাহর কালামের কত গুন , বিসমিল্লাহ শরিফ ।
*************************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ ধর্ম ও সংবিধান
ফেরাউন এর প্রাসাদে বহু পূর্ব পুরুষ থেকে একটি রাজ তোরনে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা ছিল ।ফেরাউনের স্ত্রী সতি সাধ্বী বেহেস্তি নারি আছিয়া প্রায়ই সেথা গিয়ে নিরবে আল্লাহর এবাদতে লিপ্ত থাকতেন , ফেরাউন একদিন তা দেখে আছিয়া রা কে বললেন আল্লাহ কে , এই সাম্রাজ্যর আমিই প্রভু আমার নামে সিজদা দাও । আছিয়া রা বললেন কিছুতেই নয় জান থাকতে এক আল্লাহ ছাড়া আর কারও নিকট মাথা নত করবনা ।ফেরাউন তার নিজ শিশু পুত্রদের ফুটন্ত তেলের মধ্য ছেড়ে দিলেন ।তবুও আছিয়া রা ঈমান কে মজবুত রাখলেন এবং বিসমিল্লাহ শরিফ পাঠ করতে থাকলেন ।
ফেরাউন তার সৈন্য দের আদেশ দিলেন যেথা বিসমিল্লাহ শরীফ
সংরক্ষিত সেটা ভেঙ্গে ফেলার জন্য । তারা যথা স্থানে গিয়ে যখন তোরণ ভাঙ্গার কাজে হাত দিতে চাইলেন সেথা হতে এক নূরানি জ্যোতি
এসে সেইসব সৈনিকের চোখ অন্ধ করে দিলেন ।
আল্লাহর কালামের কত গুন । বাংলাদেশ সংবিধান সংরক্ষিত মুল চার নিতির মধ্য বিসমিল্লাহ শরিফ কে বাদ দিয়ে
ইসলামের অবমাননা করা কি উচিৎ ।
ইসলাম কোন দলের নয় ইসলাম সর্বস্তরের সকল জাতীর মুক্তি , সয়ং আল্লাহর মনোনীত ধর্মই ইসলাম । আল্লাহ আমাদের ক্ষমা ও হেদায়েত দিন , আমিন ।


: আল্লাহর মানব সৃষ্টি রহস্য এবং আজ্রাইল ভুমিকা
*******************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

আল্লাহর মানব সৃষ্টি রহস্য
********************
কোরআন , ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক । অর্থ পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।আল্লাহ সব ফেরেস্তাদের ডাকলেন এবং বললেন আমি মানব বানাতে
চাই । হে আমাদের রব এবাদত কারী হিসাবে আমরা কি আপনার যথেষ্ট নই ।
মানব সৃষ্টি করলে ওরা আপনাকে ভুলে মারামারি কাটাকটি করবে ।আল্লাহ ধমক দিলেন আমি যা জানি তোমরা তা জাননা ।
ফেরেস্তারা সবিনয়ে মহান প্রভুর সম্মুখে মাথা নত করলেন এবং বললেন। হে আল্লাহ যা কিছু আপনার সবি উত্তম এবং আপনার মহানুভবতা ।

প্রধান ৪ ফেরেস্তা কে বললেন তোমরা মাটি সংগ্রহ কর । আল্লাহর সৃষ্টি ব্রহ্মাণ্ডে কোথাও তারা মাটি দেখতে পেলেন না । অবশেষে
পৃথিবীর বক্ষতল কোটি কোটি আলোক বর্ষ মাইল জলাদার এর
নিচে এক টুকরা মাটির খুজ ফেলেন । ১ম গেল মিকাইল আ যিনি সমস্ত আকাশ ও মেঘমালা পরিচালনা করেন । মাটির নিকট পৌছতেই মাটি করুন সুরে আল্লাহর দোহাই দিল ।
তিনি মাটির করুন কান্না শুনে ফিরে এল প্রভুর নিকট এবং তা শুনে আল্লাহ পাক বললেন হে মিকাইল নিশ্চই তুমি এ কাজের যোগ্য নও । ২য় বার মাটির নিকট পাঠানো হল
ইস্রাফিল আ কে । যিনি শিঙ্গা নিয়ে বসে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছেন । আল্লাহর আদেশ পাওয়া মাত্রই বাশিতে ফুক দিবেন দুনিয়া কেয়ামত হয়ে যাবে আবার ফু দিবেন । সব মৃত মানুষ যেখানে যে অবস্থায় জিন্দা ভেসে
উটবে আবার ফুক দেবেন হাসরের বিচার শুরু হয়ে যাবে । তিনি ও মাটির কান্নায় ফিরে এলেন । এবার জিব্রাইল আ কে পাটানো হল , তিনিও ফিরে এলেন । আল্লাহ ইস্রাফিল এবং জিব্রাইল আ কে বললেন তোমরা ও এ কাজের যোগ্য নও ।
শেষ বেলা গেল আজ্রাইল আ মাটির সন্নিকটে । মাটির কান্না তাকে ভুলাতে পারলনা । আজ্রাইল আ বললেন হে মাটি কান্না বন্ধ কর আমি তার হুকুমে এসেছি যিনি আমাদের প্রভু ।
মাটিকে গভীর জলাদার হতে ছিন্ন করে আল্লাহর দরবারে হাজির করলেন । আল্লাহ আদম আ
কে বানালেন এবং জান দিলেন এবং সব ফেরেস্তাদের ডেকে বললেন তোমরা জেনে রাখ এই আদমের জান কবজ করার ক্ষমতা আজ্রাইল কে দেওয়া হল । কারন তার দয়া মায়া নাই


হামদে এলাহি ও সৃষ্টি রহস্য
***************
স্মরণ কর নামটি মাওলার
যিনি পাক পরুয়ার
সবি তার ক্ষুত্রতি কারবার
যখন ছিল আল্লাহ্ই আল্লাহ্‌ নাই কিছুই আর
করতে প্রকাশ ক্ষুত্রতি নুর ইচ্ছা জাগে তার
শুন্য অন্ধকার হইল ঘুয়াকার
সবি একাকারে হইল জলাকার
ঘূর্ণি উটে জলে
সেথা ডিম্ব ফুটিলে
প্রলয় নাছিয়া ডিম্ভু ফাটিয়া
হইল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তৈয়ার ।
নুর হতে নুর স্রিজিয়া
নুর মোহাম্মাদ প্রকাশিয়া
ত্রিভুবন জুড়ে যত সৃজন ও করে
দূর হইল নবীজীর নুরে সকল অন্ধকার ।
আরশ কুরশি লৌহ কলম
১৮ হাজার সৃষ্টি আলম
সাজাইলা প্রেমের কানন
সবি গাহে প্রশংসা তোমার ।
কবি মাসুদ কহে ওহে মাওলা
সবি তোমার ক্ষুত্রতি লিলা
তুমি কর নিজগুনে দয়া
খেলা বুঝার সাধ্য আছে কার ।





নবীজীর নিকট কবি এবং তার ঈমানি চেতনা
কবি কে নবীজী বুকে টেনে নিয়েছিলেন ।
****************************************
একদা এক কবি ইহুদি অধ্যুষিত অঞ্চলে বাস করতেন এবং আরবের তাৎক্ষণিক বহুল আলোচিত ঘটনা সুন্দর ভাবে কবিতা আকারে জনসমক্ষে পাঠকরতেন । এজন্য সারা আরবে ও অন্যান্য বিদেশী লোকজনের নিকট খুবই সমাদৃত ছিলেন ।একদিন ইহুদিগন কবির মাধ্যমে নবীজীর বিরুদ্ধে কবিতা লেখালেন এবং তা জন সম্মুখে প্রচার করলেন । নবীজীর অনুসারি এবং যারা নবীজীকে ভালবাসতেন তারা এজন্য কবিকে বিদ্রুপ করল। এতে মনে মনে কবি পন করল কে সেই ব্যক্তি যে আমার চাইতেও বেশি সমাদৃত , অবশ্যই খুজ লইব । একদিন নবীজী সুললিত সুরে মদিনায় আবু আইয়ুব আনসারির গৃহে
কোরআন পাট করছিলেন । এদিক দিয়ে কবি আসেন এবং কিছুক্ষন দাড়িয়ে কোরআন শুনেন । একপর্যায়ে নবীজীর সম্মুখে গিয়ে ছালাম দিলেন এবং বললেন , হে আল্লাহর বার্তা বহ এতক্ষন আপনি যা
পাঠ করছিলেন তা এক আল্লাহ ব্যতিত আর কারও বানি হইতে পারেনা । আপনার প্রতি এতদিন আমার যে ভুল ধারনা ছিল । আপনি আমাকে এক্ষনি সুদ্ধ করে নিন । আমিই সেই কবিইহুদিদের কথায় আপনার বিরুদ্ধে লিখেছিলাম ।নবীজী কবিকে বুকে টেনে নিলেন এবং ইসলামের পক্ষে কবিতা লেখার জন্য তাগিদ দিলেন ।কবি এমন কবিতা লিখলেন এবং তা জনসম্মুখে পাঠ করলেন যে , সাথে সাথে ঐ দিন তার কবিতা শুনে ৩০০ মানুষ ইসলামে দিক্ষিত হয়েছিল ।

শুক্রবারে জুমার নামাজে কবিকে নবীজী আল্লাহর ইসলামের বাহু উপাধি দেন এবং নবীজী যেথায় বসে খুতবা দিতেন সেথায় বসিয়ে সম্মানিত করেছিলেন ।

নুর নবীজীর প্রতি কবির কবিতা
*********
নুর নবীজী এবার জাগে তার স্বরূপ বধন খানি ধরে
তামাম ব্রহ্মাণ্ড নিমিষেই আলোকউজ্জ্বল সুন্দরে
মধু বানী শুনে কবি লুটায় সিজদায় তার মোবারক পায়
মোহাম্মাদই নুর দেখে স্রস্টার আরশি এক মর্ত সাহারায় ।।
হে রাছুল হরে নিয়ে মোর হৃদয় খানি দূর করে অন্ধকার
দিলে জ্বালালে তোমারই মনোহর জ্ঞানের দ্বীপ আধার
যত দেখি শত বাসনা সে দেখার আর মেটেনা আঁশ
খোদার দর্পণ হে নুরের অমিয় সুধা হৃদয় করিলে গ্রাস ।।


পীর মুর্শিদ অলি আউলিয়া দের শানে বেয়াদবি করা মানে আল্লাহ রাছুলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা ।
************************
যারা নুর নবী হজরত সা কে মানেনা , অলি আউলিয়াদের মানেনা তারা মুলত কোরআন না বুঝে আল্লাহকেই মানেনা । আলা আউলিয়া আল্লাহু লা কাউফুন অয়ালাইয়াহযানুন ।অর্থ নিশ্চয় আমার বন্ধু বা অলিদের ভয় নেই দুনিয়া ও আখেরাতে । অলি অর্থ আল্লাহর বন্ধু আর আউলিয়া অর্থ আল্লাহ প্রাপ্ত । কোরআন ।
এখন অলি আউলিয়া কারা তাদের পরিচয় জানি । হজরত বড় পীর শাহসৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদির জিলানী রা , বায়েজিদ বোস্তামি রা , খাজা মাইন উদ্দিন চিশতী রা ,হজরত শাহ জালাল ইয়েমেনি রা , হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি রা , , হজরত নিযাম উদ্দিন আউলিয়া প্রমুখ গন আল্লাহর অলি , আউলিয়া বা আল্লাহর বন্ধু ।নবীজী বর্ণনা করেছেন , আল্লাহ বলেন আমার বন্ধু বা অলি যারা
তারা আমার জোব্বার চাইতেও নিকটে . আল্লাহর ক্ষুত্রত নবীজী ও আউলিয়াদের রূহানী শক্তি মুসলমানদের জন্য মস্তবড় রহমত ।
********************************
আল্লাহর বন্ধুর সাথে শত্রুতায় আল্লাহর যু্দ্ধ ঘোষণা


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]
পীর মুর্শিদ কে কারা অমান্য করে তারা আল্লাহ ও তার রাছুল কে অমান্য
করে এবং তারাই মাঝার বা অলিদের মর্যাদা পূর্ণ পবিত্র সমাধি
ধংশ কারি ।
পীর ফার্সি শব্দ বাংলা অর্থ দিক দেখানো ওয়ালা / মুর্শিদ অর্থ দিক চিনানো ওয়ালা
নবীজী বলেন আল্লাহর বন্ধু বা আউলিয়া গনের মর্যাদা অতি উচ্ছ ,
তারাই আখেরি নবীর ইসলামকে জিন্দা রাখবে তাদের শাশ্বত কল্যানে ।
হাদিস , দুররে ছমিন । ৫১ কথিকা ।
কোরআনের আয়াত
যারা বায়াত হয় বা মুরিদ হয় তাদের হাত রাছুলের হাতের উপর আর রাছুলের হাত আল্লাহর হাতের উপর । নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা শীল । সুরা ফাতহ কোরআনের একটি অক্ষর বা আয়াত কে অস্বীকার কারী আল্লাহকে অস্বীকার কারী , আর যারা আল্লাহকে অস্বীকার করেতারা নাস্তিক , তাদের ধর্ম কর্ম , এবাদত , আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় নয় ।
সয়ং নবীজী ইসলামের মুর্শিদ
*************************
তৌহিদেরও মুর্শিদ আমার মোহাম্মাদের নাম
নাতে রাছুল
সয়ং ইসলাম এল নেমে
সয়ং রহমত এল নেমে
পড় দরুদ রাছুল সাঁ নামে
তার রহমতি খোশবো ফুলে ফুলে
নাম লয়ে পাখিরা মধু বুলে
সারা জাহানে ফুটে তার নুর
আরবের মরু তার চরন চুমে ঐ
তার নুরে রবি শশি গ্রহ তারা
আধারে ফুঁটায় আলোর ফোয়ারা
রহমত ঝরে জগত জুড়ে
চারিদিকে ডানে বামে ঐ
ঝরে রহমত তার অঝর দ্বারায়
মাটির ডালি সাজে সজীবতায়
ভরে মধু রস ফুল ফসলে
আহার করে তাই আদমে ঐ
হুর গিল্মান আর ফেরেস্তা
নবী অলি সাধু আশেকেরা
তার শাফায়াতের নায়ে দিতে পাড়ি
মদিনায় ছালাম জানায় তাজিমে ঐ


: জগত জননী মা ফাতেমা রা হইতে বর্ণিত ।
*************

নুর নবী পাক সা এর নিকট জিব্রাইল আ মানুষের বেশে আসতেন আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি নিয়ে ।

একদিন মা ফাতেমা কে জিব্রাইল আ জিজ্ঞাস করে নবীজীর কথা ।ফাতেমা রা জিব্রাইল আ কে ছুট কাকা ডাকলেন জিব্রাইল আ অখুশি হয়ে জিজ্ঞাসে তোমার আব্বাজান কি আমার চাইতে বয়সে বড় ।
তৎক্ষণাৎ নবীজী উপস্থিত হলে ফাতেমা রা যথার্থ জানতে চাইলে নবীজী জিব্রাইল আ কে প্রশ্ন করলেন হে জিব্রাইল তোমার বয়স কত । জিব্রাইল আ বলল ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমার বয়সের সটিক তথ্য আমি জানিনা তবে পূর্ব আকাশে একটা তারকা উদয় হইত । তারকাটি ৭০ হাজার বছর পর পর একবার দেখা মিলত । ঐ তারকাটিকে এরূপ আমি ৭২ হাজার বার দেখেছি ।নবীজী বললেন এখন কি দেখ ।
জিব্রাইল আ নবীজীর মুখ মোবারক পানে চাইলেন এবং দেখলেন সেই তারকার উজ্জ্বল প্রদিপ্ত নুর জগতের মাঝে চমকিত এবং তার রউশনার সারা জাহান আলোকিত ।জিব্রাইল আ তখন থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বললেন হে আল্লাহর রাছুল বেয়াদবি মাফ হয়
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চই সেই তারকাই আপনি ।

ইয়া রাছুলুল্লাহ ৭০ হাজার বছর পর পর দেখতাম এই বিশাল সময়ের ফাকে আপনি কোথায় থাকতেন । নবীজী বললেন আল্লাহর আরশে মহল্লায় ।জিব্রাইল আ আবার প্রশ্ন করলেন সেথা আপনি কি করতেন । নবীজী বললেন উম্মতের গোনাহ মাফে আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটাইতাম আর উম্মতের নাজাতের বাসনা জানাইতাম , হে আল্লাহ আমার পাপী তাপী উম্মত কে মাফ কর ।
আল্লাহ কি উত্তর দিলেন । নবীজী বললেন মহান আল্লাহ পাক আমাকে শান্ত্রনা দিয়ে বলতেন
হে আমার প্রিয় হাবিব মাথা তুলেন আরশের সিংহাসন আপনার রোধন ব্যথায় কম্পিত ।
আমি অঙ্গীকার নিলাম অবশ্যই সর্ব প্রথম আপনার উম্মত কে
জান্নাতে দাখিল না করে অন্য কোন নবীর উম্মত কে সেথা প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা ।

দুনিয়ায় দয়াল নবীজী কেদেছেন
এখন কাঁদেন শুইয়া মদিনায়
চিননিরে সেই নবীজীকে ওহে মুমিনায় ।



পাক পাঞ্জাতন এর পরিচয়
***************
জান্নাতী সওদা লয়ে কাঁদে নিরালায়
নবী রাজ দুলারি জগত জননী মা ফাতেমায়
শিশুপুত্র হাছান হুসাইন চাহে জামা ঈদের দিন
হযরত আলীর ভুলের ও চিন লাল নীল রঙ হয়ে যায় ঐ
মা ফাতেমা খেয়াল করে আসলেন জিব্রাইল ঘরের ভিতরে
ছালাম জানায় ভক্তি ভরে উপহার পাটাইল জামা সয়ং ও আল্লায় ঐ
ছেলেদের হুকুম করে আস অযু গোসল বানায়ে ঘরে
ঈদ গাহে যাবে নতুন জামা পড়ে হায়রে খুশির আমেজ তায় ঐ
লাল নিল জামা গায় হাছান হুসাইন ছুটে যায়
দেখে চমকে উটে নুর নবীজী মদিনার মরু সাহারায় ঐ
মাসুদ কয় বিঁধির বিধান খণ্ডানো নাযায়
আজও সেই শোকের মাতম বহে দাস্ত কারবালায় ঐ




আল্লাহর রাছুল হায়াতুন্নবি বা জিন্দা নবী
***********
বাহ্যিক ভাবে আমরা তার ৬৩ বছরের জিন্দেগিকে দেখি আসলে তা নয় এটাই মানুষের বিবেকের জন্য মহা জিজ্ঞাসা আসলেই তিনি আল্লাহর ক্ষুদ্রতি রহস্য ।হাদিস , আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন । আলামান কানা নাবিয়াও অয়া আদাম বা মায়ে অয়াত্তিন । নবীজী বলেন সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং আদম যখন কাদা মাটি মিশ্রিত মূর্তি তখনি আমি আল্লাহর রাছুল । কোরআন আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাহি ফাত্তাবিউনি ইবিব কুমুল্লা ইয়াগ ফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আমাকে লাভ করতে চাও তাহলে সর্ব প্রথম আমার রাছুলের পায়রবি কর তার অনুসরন কর তবেই আমি তোমাদের মাফ করিয়া দিব ।সুরা ইম্রান ।
ঈশা আ এবং শীষ আ কে আল্লাহ জিন্দা আকাশে উটিয়ে নিয়েছিলেন সেটা আল্লাহর ক্ষুত্রত। আল্লাহর রাছুল মানুষের ন্যায় মানবের বেশে মানবের সাথে মিশে জিন্দেগি কাটায়ে আবার মানুষের ন্যায় পরজগতে বা পর্দার আড়াল হন সেটাও আল্লাহর রহস্য । আসলে তিনি মানুষ নন তিনি আল্লাহর নুর ।আল্লাহর জাতী নুরের জ্যুতি । নবীজীর সহধর্মিণী আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম একদিন হাস্য চ্ছলে নবীজীকে তার ওড়না দিয়ে পেছিয়ে আগলে রাখতে চাইলে ওড়না নবীজীর দেহ মোবারক ভেদ করে মা আয়েশার হাতে চলে আসে । মা আয়েশা রা অবাক হলেন জানতে চাইলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সাঁ এটা কেমনে সম্ভব ।দয়াল নবীজী উত্তর দিলেন , আমি কি তোমাদের মত মানুষ ।নবীজী আধার রাতে কোথাও বের হলে সমস্ত জগত তার নুরে আলোকিত হত । মা আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম বলেন আমি ঘরে সুই বা ক্ষুত্র জিনিস হারিয়ে ফেললে নবীজী ঘরে ফিরে এলেই হারানো জিনিস ত্বরিতে তার নুরের ঝলকে খুজে পাইতাম হাদিস
আয়শা রা হইতে বর্ণীত , নবীজীর ব্যবহৃত রুমাল বা গামছা মাঝে মধ্য ময়লা হয়ে গেলে তিনি তা জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করতেন কিছুক্ষন পর দেখা যেত তা দুধের মত ছাফ হয়ে যেত । ছুবহানাল্লাহ । মানুষ যা ব্যবহার করে আগুনে সেই সব নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে । নবীজী সয়ং আল্লাহর জাতি নুর , আর আল্লাহর নুর আগুনের চাইতে কোটি কোটি গুনে গুনান্নিত ।আল্লাহর রাছুল সা জাগতিক রহস্য কে ঈমানের দ্বারা পুস্পটিতি করা মুমিনদের জন্য মুক্তি ও জান্নাতের সুসংবাদ ।

হযরত আলী কাররামুল্লাহু অয়াযহু বলেন , জানার নাম ঈমান নয় মানার নাম ঈমান । নবীজী বলেন লোক দেখানো এবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহন যোগ্য নয় । হেদায়েত যা আল্লাহর থেকে আসে আর রহমত আসে নবীজীর পক্ষ থেকে ।
হজরত আলি রা হইতে বর্ণীত নবীজী বলেন আখেরি যামানায় আমার উম্মতের মধ্য ৭২ দল হবে এক দল বাদে বাকি সব জাহান্নামি দলের অন্তর্ভুক্ত ।
সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা সেই মুক্তি প্রাপ্ত দল
কোনটি । নবীজী তাৎক্ষণিক বললেন , আহলে ছুন্নাতয়াল জামাত । যারা আমার ছুন্নত কে মানে কোরআন মানে এবং আমার উত্তম সাহাবাদের জীবন অনুস্মরণ করে তারাই
মুক্তি প্রাপ্ত । হাদিস

মুর্শিদী শান
মুর্শিদ আমার অমুল্য চাঁদ চিনে নিও আপনায়
শুদ্ধ হবে দিলের আসন দর্শন দিও তারি পায়
কোথায় খোদা কোথায় রাছুল
কেবলা কাবা মুর্শিদ প্রেম ফুল
ঈমানের অমুল্য ফসল লুকানো তারি চিনায়
মিলে দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি
দূর হয়ে যায় শয়তানের ভ্রান্তি
পর দেশের সঙ্গী হবে যদি মুর্শিদ চেনা যায় ঐ
দিন হতে দিন যায় বিফলে
স্বর্গ নরক কর্মফলে
মাসুদ কয় উছিলা ছাড়া পাবে মুক্তি কিবা উপায় ঐ





হাদিসের ও কোরআনের ব্যাখ্যা ঈদে মিলাদুন্নবি সা আল্লাহর সেরা নেয়ামত ।
******************************************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ


ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.

অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)

হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)

অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।
উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .

অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত



ঈদ অর্থ খুশি আর মিলাদুন্নবি অর্থ নবীজীর জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা । নবীজীর শান মান সম্পর্কে আল্লাহ পাক নিজেই কোরআনে উচ্ছ মর্যাদায় গুমগান গেছেছেন ।
আল্লাহ যার শান মান নিয়ে আলোচনা করেন , এবং তার উপর দরুদ ও ছালাম ভেজে থাকেন । এবং মুমিন গণকে তাগিদ দেন দরুদ ছালাম
পেশ করার জন্য ।
কোরআন , সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ । আল্লাহ বলেন আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেশতাগণকে নিয়ে দরুদ ছালাম ভেজি আমার হাবিদের উপর সব সময় হে ইমানদারগন তোমরাও দরুদ ও ছালাম জানাও
আল্লাহর আদেশ অবশ্যই ফরজ এবং আল্লাহ তার হাবিবের উপর নিজে ছালাম দেন এবং তাগিদ দেন বেশি বেশি দরুদ পড়ার জন্য ।
আল্লাহ সকল প্রকার এবাদত থেকে মুক্ত । নবীজীর উপর দরুদ ভেজে এবং সয়ং তার
হাবিবের উপর আলোচনা রাখেন মিলাদ পড়েন
সেটা ফরজের চাইতে বেশি বললে ভুল হবেনা বরং কম জ্ঞানি আলেম না বুঝে তর্ক করে ।ইসলামের ২য় খলিফা হযরত উমর ফারুক রা হইতে বর্ণিত , সকল প্রকার এবাদত ও দোয়া
চতুর্থ আকাশে ঝুলে থাকে । যে এবাদতের সহিত দরুদ শরীফ নাই তা আল্লাহর নিকট পৌছায় না পক্ষান্তরে দরুদ এর সহিত এবাদত ও দোয়া বিজলীর ন্যায় আল্লাহর দরবারে পৌছায় ।

আল্লাহ পাক বলেন লাওলাকা মা আফ্লাক
অর্থ যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তবে কিছুই সৃষ্টি করতাম না ।
হাদিসে কুদসি . আল্লামা মাওলানা রুম বিখ্যাত কিতাব মসনবি শরিফে উল্ল্যখ করেন
আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহমাতুল্লিল আলামিন
অর্থ ঈমানের মুল , কোরআনের জান , এবং দিন বা ইসলামের মগজ
সেই যিনি কে আল্লাহ সমগ্র জগতের রহমত হিসাবে পাটিয়েছে।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত ও রহমত দিন আমিন ।
কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন আমাকে পাইতে হলে আগে আমার হাবিব নবীকে বেশি ভালবাস ।সুরা ইমরান
অথচ কম জ্ঞানি আলেম দাবিদার মানতে চায়না আসলে এরা কোরআন পড়ে কিন্তু মানেনা হযরত আলী রা বলেন জানার নাম ঈমান ইসলাম নয় শর্ত মানার নাম
ঈমান ।


লেখক বলেছেন: ইমামে আযম আবু হানিফা বলেন ছাহাবা কেরাম গনের মর্যাদা
এমন যে তাদের ঘোড়ার পায়ের খুঁড়ের ধুলি সমতুল্য আখেরি যামানার
আলেম গন হবেনা । আজ দেখি ঐ কম জ্ঞানি আলেমগন সেই সমস্ত সাহাবীগন ও অলি বুজুরগান দের তারা ভুল ধরতে ছাড়েনা ।
মস্তুফা ছরিত ২য় খণ্ড ।
নবীজী বলেন আখেরি যামানায় আমার ছুন্নত দাফন হয়ে যাবে যারা একটি মাত্র ছুন্নত কেও সেসময় জিন্দা বা চালু রাখবে তারা
১০০ গলা কাটা শহিদের ছওয়াব পাবে এবং তাদের জন্য জান্নাত অবধারিত ।
বোখারি ও মুসলিম শরিফ




দয়াল নবী পাক সা এর মুজেজা ঈমানের শক্ত আকিদা ।
***********************************************
এক বেদীন মদিনায় নিকট বর্তি স্থানে বাস করতেন । লোকটি তার বিবির নিকট একটা বড় মাছ এনে তারাতারি রান্নার তাগদা দিলেন । বিবি মাছ কুটতে বসলে লোকটি গোসলের উদ্দেশ্য নদীতে রওয়ানা হলেন । বিবি ডাক দিয়ে বললেন শুনছ গো আচানক খবর মোহাম্মদ নাকি সাত আসমান পাড়ি দিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা কইরা আইল ।বেঈমান লোকটি কটাক্ষ করে বললেন মোহাম্মদের কথা আর
বলনা এসব মিথ্যা ধুকাবাজি ।প্রকাশ্য কিছু না বললেও মনে মনে স্ত্রী লোকটি নবীজীর প্রতি বিশ্বাসী ছিল /স্বামীর এহেন কথায় বড় মর্মাহত হলেন কিন্তু বদ স্বভাবের জন্য কোণ উচ্ছবাক্য
করলেন না । গোসলের উদ্দেশ্য নদীতে গেল ঐ অবিশ্বাসী লোকটি /আল্লাহর ক্ষুত্রতে ডুব দিয়ে ভাসলে তৎক্ষণাৎ সে সুন্দরি রমণীতে পরিণত হয়ে গেল । মিসরের এক সওদাগর এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন । সুন্দরী রমনিকে দেখে জাহাজে তুলে নিয়ে গেলেন এবং সাদি করে ফেললেন ।ক্রমে সাত সন্তান হল তাদের ঔরসে । বহুদিন পর নদীতে গোসল করার জন্য সদাগরের স্ত্রী গভীরে ডুব দেয় । ডুব থেকে ভাসলে আল্লাহর ক্ষুত্রতে আবার সে পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে যায় ।ঘাটে এসে দেখে তার সাবান তুয়ালে সব টিক জায়গায় আছে ।বাড়ি এসে আরও অবাক হয় অবিশ্বাসী লোকটি । দেখে তার বউ এখনও মাছ কুটতে ব্যস্ত ।লোকটি ধমক লাগাল গিন্নি মাছ কাটতে কি এত বছর সময় লাগে । স্ত্রী অবাক হয়ে বলল কেন , তুমি তো মাত্র ডুব দেয়ার জন্য গেলা এর মধ্য এত বছর হল কই ।লোকটি তার বউয়ের নিকট সবিস্তার বর্ণনা করল । ইমানদার পরহেজগার মহিলা জবাব দিল / ওহে ভণ্ড নবীজীর মেরাজের ঘটনা তোমার নিকট মিথ্যা হয়েছিল / সহজে বিশ্বাস করনাই কিন্তু এখন কেমন হল । লোকটি সাথে সাথে নবীজীর নিকট গিয়ে কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেল । এবং উক্ত মাজেজা প্রকাশ হলে ঐ গোত্রের ৩/৪ শত বেদীন ইসলাম গ্রহন করেছিল ।এজন্য সদা সর্বদা আল্লাহ এবং তার রাছুলের উপর আমাদের ঈমানকে মজবুত রাখা দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তি ।
আল হাদিস থেকে সংকলিত ।




**************
নুর নবী হযরত ঈমানের জ্যোতি

চিনতে হবে ঈমান রত্ন
রাখ দিলে অতি যত্ন
তিনিই খোদার সেরা নেয়ামত
মোহাম্মদ সা নুর নবী হজরত ।
তারি রহমত সকল সৃজন
কুল মাখলুখাত নুরে রৌশন
তিনি খোদার প্রিয় হাবিব
আমরা শ্রেষ্ঠ তার উম্মত ।
ইসলামের সওদা লয়ে
জগত মাঝে দিক চিনায়ে
কোরআনেরও বানী দিল
পাইতে পুন্য পথ ।
এস সবে তারি প্রেমে
জানাই দরুদ ছালাম তাজিমে
ঐ মদিনায় মন ফেরাই
তিনিই সব উম্মতের শাফায়াত ।
হে দয়াময় বারী তায়ালা
দাও সে দয়ার ঈমান নুরেলা
তিনিই আসল কাবা কেবলা
নুরী কালমার জান্নাতি সওগাত ।


কাবার কাবা মুমিনের ঈমান রত্ন নুর নবী হজরত , তার মুজেজা ও রহমত ।
**********************

হে মুমিনগন তোমরা সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামে দাখিল হও সুরা বাকারা ২০৭ /আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিওনা , নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।যখন আদম আ কে সৃষ্টি করলেন ।আল্লাহর হুকুমে সব ফেরেস্তা আদম আ এর সম্মানে সেজদা দিল ,শয়তান বিরুধিতা করল আল্লাহর হুকুম না মানার কারনে আল্লাহু পাক শয়তান কে শাস্তি দিলেন এবং দুযখের আগুনে শ্রিংখলিত করে রাখলেন ।
খালিকিচ্ছামাওয়াতি অয়াল আরদিন । আচ্ছালামু আচ্ছালাতু আলামান খানা নাবিয়াও অয়া আদামু বা মায়ে অয়াত্তিন । অর্থ নবীজীর মুখ নিশ্রিত বাণী / আল্লাহর ক্ষুদ্রতে আদম যখন কাদা মাটি পানি মিশ্রিত তখনই আমি আল্লাহর রাছুল । হাদিস
আল্লাহু বাম পাজর থেকে হাওয়া আ কে সঙ্গিনী বানালেন ।তারা বহু দিন যাবত বেহেস্তে বাস করতে লাগলেন । আল্লাহ আদম আ কে বেহেস্তি সব কিছু জ্ঞান শিক্ষা দিলেন যা ফেরেস্তাগন পর্যন্ত জান তনা । আদম আ কে নিষেধ দিলেন সবস্থানে যাইও কিন্তু নিষিদ্ধ গন্দম ফল ভক্ষন করনা ।বস্তুত শয়তান আদম আ কে প্রলোভনে নিয়ে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ালেন ।সাথে সাথে আল্লাহ পাক আদম আ ও হাওয়া আ কে বেহেস্ত হতে দুনিয়ায় নামিয়ে দিলেন ।শত শত বছর আদম আ ও হাওয়া আ আল্লাহর দরবারে ভুলের জন্য কাদলেন । ৩৬০ বছর পর আরাফাতের ময়দানে তারা মিলিত হলেন এবং মুনাজাত করতে লাগলেন হে আমার সৃষ্টি কর্তা আরশ মহল্লায় তোমার নামের পাশে যার নাম মোহাম্মাদ তার খাতিরে আমাদের ক্ষমা করুণ । আল্লাহ পাক তাদের দোয়া কবুল করলেন বললেন দুনিয়ায় বাস করতে থাক এবং আমাকে সরণ কর নিশ্চয় তোমাদের প্রভু অতি ক্ষমা শীল ।আদম আ এর বংশ বৃদ্ধি হতে লাগল । শয়তান দুনিয়ায় আসার আগে আল্লাহর নিকট তিনটি জিনিস চাইলেন । ১ , সেকেন্ডে সব স্থানে যাতায়াত ।২ , সব জিব জন্তুর আকার ধারন । ৩ , সব মানুষের রগে রগে বিছরন । কিন্তু ওহে শয়তান আমার প্রক্রিত ইমানদার গনের চুল পরিমাণ ক্ষতি করার ক্ষমতা তোর নাই ।যারা তোর পথ অনুসরণ করবে তারাই জাহান্নামী । আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দিন
রাছুল আমাদের রহমত দিন । মদিনায় লক্ষ কোটি দরূদ ছালাম . ছালাতুনিয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম / ছালামুনিয়া হাবিব আল্লা আলাই কুম

আসলে ইমান রুহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহমাতুল্লিল আলামিন ।

অর্থ ইমানের মুল কোরআনের রুহ দিনের মগজ
তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত । আল্লাহর দুস্ত নবী পাক হজরত
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে অয়াচ্ছাল্লাম ।
পিতামাতার শানে
************
মায়ের সাথে নাই তুলনা অন্য কারও দুনিয়ায়
সন্তানের বেহেস্ত মিলে জননীর চরন তলায়
মায়ে দশ মাস দশ দিনের তরে
রাখিল তার উদরে
তব সন্তানের মুখ দর্শনে সব ব্যথা ভুলে যায় ঐ
মায়ে নিজে কত কষ্ট করে
বাচায় তার সন্তানেরে
রাখে সদাই সুনজরে বুক ভরা ভালবাসায় ঐ
বাবা মায়ের দোয়া লইয়া
কত সন্তান বাচে জ্ঞানি গুনি হইয়া
মাসুদ কয় হজের ছওয়াব মিলে তাদের সুনজর দেখায় ঐ

নারীর পর্দা ইসলামে কতটুকু গুরুত্ব
**********ইসলাম ধর্মে মহিলাদের পর্দার হুকুম রয়েছে। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারীরা পর্দা করে থাকেন। অনেকে মুখ ঢেকে পর্দা করেন। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা কিভাবে মহিলাদের পর্দা করতে হবে তা আল-কোরআনে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
১ম আয়াত:
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সুরাহ আহযাব : ৫৯ )

হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) এই আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন "আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে চাদর দ্বারা মস্তক ও চেহারা আবৃত করার নির্দেশ দিয়েছেন " । (তফসীরে ইবনে কাসীর ৩/২৭৪)
২নং আয়াত:
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরাহ আন নুর : ৩১ )

ব্যাখ্যা : আয়াতে মেয়েদের জোরে পদচাড়না করতে নিষেধ করা হয়েছে । অথচ হাটার আওয়াজের মাধ্যমে একজন মেয়ের সৌন্দর্য বা সে বৃদ্ধ না যুবতী কিছুই অনুধাবন করা সম্ভব নয় । সুতরাং চেহারা যাহা ফিৎনার মুল ও সব চেয়ে বেশী আকর্ষনীয় তাহা খোলা রেখে পরপুরুষের সামনে আসা যাওয়া করা কিভাবে জায়েজ হতে পারে ?

৩নং আয়াত:
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।(সুরাহ আন নুর : ৩০ )

[সয়ং ইসলাম সয়ং ঈমান উম্মতের কাণ্ডার নুর নবী
হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লাম
এর বেলাদত শরিফ ১২ই রবিউল আওয়াল উদযাপন
উপলক্ষে তার মহান শানে ]

এম , জি আর , মাসুদ রানা ।
কবি ও ইসলামী গবেষক


ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সা সকল ঈদের সেরা
আনন্দে দরুদ ছালাম ভেজে সকল ফেরেস্তারা
বৃক্ষলতা জীব সমষ্টি যত কুল মাখলুকাত
ভেজে দরুদ ঐ মদিনায় পাইতে রহমত
জিন্দা নবী দয়ার সাগর সয়ং খোদার শান
যার রউশনায় আলোকিত ত্রিভুবন জমিন ও আসমান
পাইতে হলে খোদে খোদা মানব ভালবাস তারে
মুমিনেরই ঈমান রত্ন রাছুলুল্লাহ সাঁ ডাক ভক্তি ভরে
খোদাকে পাওয়া তারি মাঝে চেনা সহজ বানী
এস মুমিন তারে চিনি যিনি রহমতেরই খনি ।
তিনি কত পুন্যময় সব নবী রাছুলগনের সেরা
ছালাম ভেজে সয়ং মাবুদ মদিনা মনোয়ারা ।
ইসলামেরই নিশান ওড়ে তারি আবহায়াতে
জানাই ছালাম পাক রওজায় কবুল কর উম্মতে ।
:


নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা এর সাথে বেয়াদবির ফল ।
************************************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

নুর নবী হযরত মোহাম্মদ মস্তুফা সা আ নবুয়তের স্বর্ণ যুগে বিশ্বের বিভিন্ন রাজা বাদশাহ দের দরবারেও ইসলামের দাওয়াত পৌছাতেন ।তেমনি আরবের পার্শ্ববর্তি ারস্য অধিপতি খসরু মালেকের নিকট দুত মারফত পত্রের মাধ্যমে দাওয়াত পাঠালেন । ইহুদি বাদশাহ রুষ্ট হয়ে দুত কে হত্তা করলেন এবং পত্র ছিড়ে ফেলল এবং নবীজীকে গ্রেফতার করার জন্য তার সেনাপতি কে মদিনায় পাটিয়ে দিলেন ।

নবীজীর দরবারে আদেশ সহ মিশরের সেনাপ্রধান উপস্থিত হলেন । নবীজী সেনাপ্রধান কে দেখেই মুচকি হেসে বললেন যার আদেশ নিয়ে এ পর্যন্ত আসা সেই বাদশাহ তো আর বেচে নেই বরং তার ছেলে খসরু তার পিতাকে হত্তা করে দখল করেছে ক্ষমতা । সত্যতা যাচাই করে পরে আমার নিকট এস ।সেনাপতি মাথা নিছু করে মিশরে গিয়ে দেখেন এবং গিয়ে দেখেন ঘটনা সব সত্য । কিছুদিন পর ঐ সেনা প্রধান নবীজীর চরন মোবারকে এসে খাটি মুসলমান হয়ে যায় ।

&&& যুদ্ধ ক্ষেত্রে কিছু সংখ্যাক দুষ্ট মুনাফেক মা আয়েশা সিদ্দিকা রা এর উপর মিথ্যা দুষ রটায় ।এতে নবীজী অত্যান্ত মর্মাহত হন । নবীজীর দরবারে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে জিব্রাইল আ আসেন এবং বলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ যারা মিথ্যা বদনাম রটিয়েছে এবং আপনার উপর বেয়াদবি আচরন করেছে আল্লাহ তাদের কঠিন শাস্তি দেবেন । সাথে সাথে বেয়াদব মুনাফেক ৬ দুষ্ট অপঘাতে , এবং আগুনে পোড়ে ও পক্ষাঘাত আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । হাদিস ।
এত এব আল্লাহর হাবিবের প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান রাখা এবং দুনিয়ার কারও সাথে তুলনা করা থেকে বিরত থাকা প্রকৃত ইমানদারের পরিচয় ।আমরা হাজারও দরুদ ও ছালাম ভেজি দয়াল নবীজীর পাক রওজা মোবারকে ।
বেয়াদবি করিনা নবীজীর দরবারে
রেহাই তোমার মিলিবেনা হাসরে ।







*** ইসলাম নিয়ে ভ্রান্ত ধারনার জবাব এবং নবীজীকে জিন্দা জানা ইমানদারের পরিচয় ।
*************


প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ সা এর মহব্বতই প্রকৃত ঈমান ।কোরআনের আয়াত , হে নবী নিশ্চই আমি আপনাকে প্রেরন করেছি উপস্থিত'' পর্যবেক্ষক '' হাজির নাজির করে , সুসংবাদ দাতা এবং সতর্ক কারী রূপে , এবং আল্লাহর প্রতি তার নির্দেশে আহবান কারী আর আলোকোজ্জ্বল কারী সূর্য রূপে । যে নবুয়তের নুর আল্লাহ পাক তার প্রিয় হাবিব সা কে দান করেছেন তা লক্ষ কোটি সূর্যালোক হইতে উত্তম । এবং আমি আপনাকে সারা জাহানের রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি ।কোরআন ।
রহমত বা অনুগ্রিহ দয়া এমনি এক বস্তু যার অভাবে বৃক্ষের পাতা কেন , সামান্য জীবের পাখা পর্যন্ত নড়েনা ।নূর নবী হযরত মোহাম্মাদ সাঁ বলেন আমি ইমানদার গনের সাহরগের চাইতেও নিকটে । হাদিস ।
এজন্য নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা এর প্রতি সর্ব উত্তম তাজিম বা সম্মান জানানো ঈমানদারের জন্য ফরজের চাইতেও বেশি । আবু হুরাইরা রা হইতে বর্ণিত , একবার দরুদ পড়লে ১০ নেকি , ১০ গোনাহ মাফ হয় , এবং আমল নামায় ১০ সম্মান বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় । হাদিস বোখারি ও মুসলিম শরিফ । আল্লাহর ৯৯ টি পবিত্র নাম কে আস্মাউল হুসনা বলা হ্য় । আল্লাহর তদীয় মাহবুব নুর নবীজীর পবিত্র নাম বহু । যেমন রাহমাতাল্লিল আলামিন , শাফিউল মাঝনেবিন , ছায়িদুল মুরছালিন , খাতেবিন নাবিয়িন , রাহাতিল আশেকিন , গাউছে ছাক্লায়িন । প্রভৃতি ।
তার পবিত্র নাম মধুর সুরে মহব্বতের সহিত পাঠ করাই দরুদ
ছালাতুন ইয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম
ছালামুন ইয়া হাবিব আল্লাহ আলাইকুম ।
আসলে ঈমান রুহে কুরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহমাতাল্লিল আলামিন ।
খোদ খোদানে রেজা জুয়ে মোহাম্মদ
খোদা মিলতা হায় দরবারে মোহাম্মদ । এই ভাবে পড়ব । । হাদিস

আল্লাহ প্রভু , তিনি কোন এবাদত বন্দেগী করেন না , কিন্তু তার প্রিয় মাহবুব দুস্তের প্রতি দরুদ ছালাম ভেজেন ।কোরআন পাকে আল্লাহ পাক বলেন , আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তাগন কে নিয়ে সদাই দরুদ ও ছালাম ভেজি আমার হাবিবের উপর । হে ইমানদার গন তোমরাও দরুদ ছালাম ভেজ । সুরা আহযাব - আয়াত ৫৬ ।
আল্লাহর হুকুম ফরজ ।
আর নিজে খোদা দরুদ ও ছালাম ভেজে থাকেন হাবিবের উপর এবং আদেশ দিয়েছেন পড়ার জন্য । ইমানদারের জন্য নুর নবীজীর সাঁ এর প্রতি তাজিমের সহিত দরুদ ও ছালাম প্রেরন করা সব চাইতে উত্তম এবাদত । কোরআনের আয়াত ঃ যারা তার '' নবীজীর ''উপর ঈমান আনবে , তার তাজিম করবে , তার সাহায্য করবে '' তার অনুসরন করা ;; এবং তার উপর অবতীর্ণ কোরআনের অনুসরন করবে তারাই হবে সফলকাম , সুরা আরাফ , আয়াত ১৫৭ ।
উপমহাদেশের বিশিষ্ট আউলিয়া বায়েজিদ বোস্তাম রা এর একটি কেরামত । তিনি বহু লোক লস্কর লয়ে নিয়মিত খানকাহ বা বৈঠক ঘরে আল্লাহ রাছুল ও দ্বীন ইসলাম নিয়ে আলোচনা করছিলেন । তার মধুর বয়ান শুনে বস্তাম নগরের বহু বেদিন ইসলামে দাখিল হয়েছিল ।তিনি একদিন এমনি বয়ান করছিলেন । এক নালায়েক বেদিন তিনির কথার মধ্য বার বার বাধা দিতে লাগলেন ।এক সময় বায়েজিদ বস্তাম রা এর দৃষ্টি তার উপর পড়ল এবং বলল হে পথিক কি প্রয়োজন কেন এমন আচরন করছ । লোকটি বলল , হুজুর আমি জানতে চাই আল্লাহ যদি কেউ থাকে তবে তাকে দেখা যায় না কেন । যদি দেখাতে পারেন তাহলে আমি মুসলমান হয়ে যাব ।বায়েজিদ রা চিন্তা করলেন এবং সঙ্গীদের চুপ থাকার নির্দেশ দিয়ে লোকটিকে ডাকলেন । হে আগন্তুক তুমি ঐ যে পাহাড় দেখা যায় সেখানে অবস্থান কর । লোকটি পাহাড়ে গেলেন এবং দেখতে ফেলেন , পাহাড়ের এক বৃক্ষ শাখায় মস্ত বড় এক আজদাহা সাপ তার দিকে ফনা তুলে তাকিয়ে আছে ভয়ংকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ।ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে লোকটি দরবারে ফিরে আসল এবং বলল হুজুর আর বাচমুনা । কেন কি দেখেছ ।হুজুর সাপ ভয়ংকর আমাকে গিলে খাবে এক্ষুনি ।ভয় পেয়েছ , ঐ সাপের মালিক হল আল্লাহ ।হুজুর তবু আমি আল্লাহ কে দেখতে চাই ।টিক আছে এবার ঐ পাহাড়ে অবস্থান নাও । লোকটি সেথা গেল এবং এক ভয়ংকর বাঘ দেখতে ফেল ।লোকটি ভয় পেয়ে চোখ বুঝে ফিরে আসল দৌড়ে ।বায়েজিদ রা বললেন এবার কি দেখেছ । হুজুর ভয়ংকর এক বাঘ । আমাকে গিলে খাবে ।হে আগুন্তুক সেই বাঘের মালিক আল্লাহ ।না হুজুর আল্লাহকেই দেখতে চাই ।বায়েজিদ বস্তাম রা এবার ইশারায় দেখাল দেখ তো তিনি কে ? সবাই দেখল , এক বৃদ্ধ দরবেশ বাঘের উপর সওয়ার হয়ে এগিয়ে আসছে , তার হাতে একটি সাপ লাটির মত চাবুকের ন্যায় এদিক ওদিক খেলছে ।লোকটি বেহুস হয়ে গেলেন ।
কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরলে লোকটি বায়েজিদ রা কে জিজ্ঞাসে হুজুর ঐ লোকটিই কি আল্লাহ বায়েজিদ রা বললেন না তিনি আল্লাহর খাস বান্দা । যাকে বাঘ ও সাপের মত হিংস্র জন্তু ও ভয় পায় ।এবার লোকটি খাটি মনে কলমা পাট করে মুসলমান হয়ে যায় ।
একজন আউলিয়া কেরামের মাধ্যমে যদি এমন কেরামত বা রহমতের নুর প্রজ্জলিত থাকে ।তাহলে যিনি আল্লাহর হাবিব যাকে পয়দা না করলে আল্লাহ সৃষ্টি জগতের কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন না । তিনি নুরে খোদা নুরে বা আল্লাহর নুর । তার সাথে এক আল্লাহ ব্যতিত আর কোন তুলনা নাই ।
আয়াত যদি তোমরা আমি আল্লাহকে লাভ করতে চাও তাহলে সর্বপ্রথম আমার হাবিব কে ভালবাস এবং তার অনুসরন কর , তবেই আমি তোমাদের
ক্ষমা করিয়া দেব । সুরা ইমরান । ।


কিয়ামত তথ্য ভবিষ্যৎ বানী
*****************
আল্লামা ডঃ মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া
গবেষক আরবি বিশ্ব বিদ্যালয় , শতর শ্রী / নেত্রকোনা ।
সূরা কাহফ্ ১৮:৫৬ আয়াতঃ
وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنذِرُوا هُزُوًا
অর্থঃ আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে ।
আশ্চর্য এমন কিছু দৈব ঘটবে মানুষ শংকিত হবে ।পাপাচার বৃদ্ধি পাবে , পৃথিবীর বক্ষ থেকে ধন সম্পদ রত্নাদি বেরিয়ে আসবে এবং লোভ চাঙ্গা হবে তা নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু করবে । বস্তুত দুনিয়াবি মোহে ঈমানকে বিকিয়ে পরস্পর ধ্বংসের দিকে লিপ্ত হবে । হাদিস ।
আলেম আলেম কে পারস্পারিক তর্কে হারাবে , নারিরা সমাজে প্রাধান্য পাবে সব ক্ষেত্রে । যিনা ব্যাভিচার বৃদ্ধি পাবে , মুলত আল্লাহুকে ভুলে গোমরাহির দিকে ছুটবে ।জানিও সেই সময় টুকু অতিত জাহেল বা অন্ধকার যুগের চাইতেওনিকৃষ্ট , ঐ সময় ইমানদারের সংখ্যা হবে খুব কম ।
এহুদি নাছারাদের বক্ষ হইতে দাজ্জালের জন্ম হইবে ।এবং আচানক ক্ষমতার অধিকারি হইবে । পৃথিবীর বহুলাংশ মানুষ তার অনুসারি হইবে । বস্তুত এক হাতে চন্ত্র আর অন্য হাতে সূর্য উদিত হইবে এবং তার আকৃতি হইবে এক চক্ষু বিশিষ্ট মুলত তার দিকে যারা অগ্রসর হইবে তারাই জাহান্নামি ।তার অত্যাচার যুলুমে তামাম দুনিয়ায় বিশ্রিংখলা ও হত্তা কাণ্ড ঘটবে । এত লাছ পচবে বাতাস বিষাক্ত হয়ে পশু পাখি নিশ্চিহ্ন হতে থাকবে । আল্লাহর নির্দেশিত মহা মানব ইমাম মেহেদির আগমন হবে , তিনি এদন পাহাড়ে অবস্থান নিবে ঐ সময় তার সংবাদ শুনে পাহাড় বা বরফের চাইয়ের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যদি যেতে হয় তার হাত ধরবে । নিশ্চয় তিনি আল্লাহর প্রতিনিধি তার ছুরত হবে গৌড় বর্ণ ইউছুফ আ এর মত সুন্দর , সাথে থাকবে মুসা আ,এর লাটি , ইশা আ, এর কেশ আদম আ,এর নমুনা এবং হজরত মোহাম্মদ সা এর আদর্শ । পাহাড়ে উদয় হয়ে এমন এক তাজাল্লা চাওয়া দিবে সাথে সাথে দুনিয়াবি বিজ্ঞানিকের মারনাস্র সব ধংশ হয়ে যাবে । মক্কার কানায়ে কাবার
পশ্চাদ দেশ হতে ইশা আ, চতুর্থ আকাশ থেকে নেমে আসবে এবং বহুসংখ্যক মুসলিম নিয়ে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে । ইমাম মেহেদির আদেশে ইশা আ দাজ্জাল কে ধরে এক আছাড়ে পাথরের মধ্য ফেলে ধংশ করে দেবে । তামাম দুনিয়ার যারা থাকবে সবাই ইমাম মেহেদি ও ইশা আ এর নিকট তওবা করে নিবে । ইশা আ ৪০ বছর রাজত্ত করবে এবং স্বাভাবিক মৃত্যু বরন
করবে । নবীজীর রওজা মোবারকের পার্শে তাকে দাফন করা হবে । ইমাম মেহেদি আ এর সময়ে আবার জগতে শান্তি নেমে আসবে । আল হাদিস । সূরা আশ-শুরা ৪২:৭আয়াতঃ
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃএমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে,


আসবে কিয়ামতের লক্ষন
আবার মানুষ আল্লহ কে এবং ইসলামকে বুলে শয়তানের অনুসারী হবে ।
জিব্রাইল আঃ রহমত উটিয়ে নিবে । ঘনঘন ভূমিকম্প হবে । পাহাড় ফেটে দাব্বাতুল আরদ নামে একটি ভয়ঙ্কর জীব উদয় হবে । তার হাতে থাকবে ছুলাইমান আঃ এর আংটি এবং মুসা আঃ লাটি । লাটি যাদের মাথায় বা কপালে লাগাবে তারা হবে মুমিন আর যাদের আংটি লাগাবে তারা হবে জাহান্নামী । জীবটি সারাদুনিয়া পলকে বিচরন করে মুমিন এবং কমিনদের আলাদা করে ফেলবে । ইয়াজুজ মাজুজ এর পদার্পণ হবে ।
উত্তরা বাতাসে গাইভি দুযখের আগুনের শিখা মুহূর্তে জগত আচ্ছন্ন করে নেবে । পৃথিবীর সব মানুষ ভয়ে সিরিয়ায় পাহাড়ে লুকাবে । যারা বেদিন তাদের বুকে আগুনের ক্ষুত হবে মুমিনদের পিষ্টে সামান্য দাগ হবে । কোরআনের অক্ষর মুছে যাবে । সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদয় হতে আবার পশ্চিমে ডুববে ।
আল্লাহর আদেশে ইসরাফিল আঃ শিঙ্গায় ফুঁৎকার দিবে । জগত ধংশ হয়ে যাবে ।
কোরআন , হাদিস এবং তরজমার আলোকে ।

শেষ বিচার


সয়ং ইসলাম নুর নবী হযরত
সয়ং ইমান নুর নবী হজরত
তার মাধ্যমে মহান প্রভুর পরিচয়
আমরা তারি শ্রেষ্ঠ উম্মত

যত নবী রাছুল তারি উম্মত হওয়ার
দোয়া চাহে দরাবারে আল্লাহর
আমরা তারি রহমতের দরিয়ায়
পথের দিশা পাই অজানার

কবর , হাসর , মিজান পুলছিরাতে
তিনি শাফায়াত হবে উম্মতে
কর্ম ফলের আমলনামায় যা
সয়ং খোদা টানিবে সঠিক সঠিক বিচার ।



সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:১০
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×