একজন সাধারন জনগন হিসেবে আমার ভাবনা-
১। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি দুই দলেরই সমৃদ্ধ চুরির ইতিহাস আছে।
২। আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তগুলো পুরোপুরি ভারতীয় স্বারথ ঘেষা।একজন স্বাধীন জনগন নিজের দেশের ক্ষতি করে অন্য দেশের স্বারথ রক্ষা করা কখনই মেনে নিতে পারবেনা।উদাহরন-ভারতের সাহারা গ্রুপকে আবাসনখাতে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়া।সয়ংসম্পূনর্ একটা খাতে কোন বুদ্ধিতে কার স্বারথে কাজটা করল আমরা জনগন বুঝি।বাইরের বিনিয়োগ স্বাগত জানাই তবে সেটা আমাদের উপকারে লাগতে হবে,আমাদের দেশ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়।
৩।আওয়ামী লীগ এর একটাই চিন্তা যুদ্ধপরাধীদের বিচার আর বিএনপির কাজ পাবলিকরে ভারতের ভয় দেখানো।
৪। আমি আমার গ্রামের কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বলেছি তারা এই দুইটা বিষয়ের কোনটাই নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামায় না তারমানে আমাদের রাজনীতি সাধারন মানুষ থাকে দুরে শুধু ভোটের সময় মানুষের সব সমস্যা নিয়ে কথা বলে বকি সময় রাজনীতি অন্য বিষয় নিয়ে।
৫। আওয়ামী লীগ যেমন ঘরে ঢুকে সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে পারে না তেমনি বিএনপিও খোলা মাঠে হাজার মানুষের সামনে গ্রেনেড হামলার বিচার করতে পারে না।
6. বিভিন্ন পোষ্টে দেখি আওয়ামী লীগ আর বিনপির সমর্থকরা কার আমলে কত কম কত বেশি চুরি হয়েছে তাই নিয়ে লেজ টানাটানি করছে অথচ দুই দলই যে চুরি করছে দেশকে বাশ দিয়ে এটা বুঝেও চুপ।
৭। আইন শৃংখলা পরিস্হিতি দুই দলের সময়েই ভয়াবহ রকমের খারাপ।
আমার সিদ্ধান্ত-
১। লিখিত আদরশ দুই দলের যাই হোক না কেন পালিত আদরশ একই।কারন কেউ ভারতের কেউ নিজের স্বার্থ দেখে।দেশের স্বার্থতো কেউই দেখছে না আর দেখবে এই গেরান্টি কেউই দিতে পারবেনা।আজকে যারা আওয়ামী লীগ নিয়ে লিখছে পাচ বছর পর বিএনপিকে নিয়েও একই কথা লিখতে হবে।
2। দুই দলই মূলা দেখানোতে ওস্তাদ আর আমরা খাইতে।
3। ব্লগে, কোন দল কে কি করেছে সেটা নিয়ে আলোচনা না করে আমাদের করনীয় কি সেটা নিয়ে আলোচনা করা উচিৎ।
৪। কাজেই অন্তত ব্লগে আপনারা ঠোকরা ঠুকরি বন্ধ করুন।
আমাদের করনীয়-
১। প্রধান সমস্যা দূর্নীতি তাই আন্না হাজারের মত আমাদেরও শান্তিপূর্ন আন্দোলন করা উচিৎ।
২। আমরা পারিনা শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে কোন দলের না হয়ে আমার দেশকে দূর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করতে।
৩। রাজাকারদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার জন্য আন্দোলন করতে।
৪।যুদ্ধপরাধীদের বিচার ১ বছরের মদ্ধ্যে শেষ করার জন্য আন্দোলন করতে।
৫। দূর্নীতির সাজা আরও কঠোর করার জন্য আন্দোলন করতে।
আমার প্রস্তাব-
১। সামুতে দূর্নীতির একটি লিষ্ট প্রস্তুত করে ষ্টিকি করা হোক যাতে সবাই আরও দূর্নীতির কথা যোগ করতে পারে।
২। ব্লগাররা মুভির আড্ডায় যোগ দিতে পারলে দেশের জন্য কেন পারবে না?
৩। দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যপক প্রচারনা চালনা করা হোক সামুতে।
৪। এক বেলার জন্য হলেও অনশনের আয়োজন করাহোক।যদি একজনও উপস্হিত হয় আমার বিশ্বাস একজনই একসময় কোটিতে গিয়ে দাড়াবে।
ইহা কোন রাজনৈতিক পোষ্ট নয়।একান্তই বিবকের তাড়নায় লিখিত পাগলামি ছাড়া কিছু নয় তাছাড়া বাংগালী এত বোকা না যে অন্যের কথায় নাচবে।
কথার সৈনিক হয়ে সারা জীবন বেচে থাকার চেয়ে ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করে একদিন বাচলেও আমি খুশি।কবরে গিয়ে প্রতিবাদ করবেন নাকি? মায়ের সম্পদ চুরি,মায়ের এত অপমান বিশ্বের আর কোন ছেলে সহ্য করেছে কিনা আমার জানা নাই।সবশেষে নিচের সংগীতটি মনে আছে তো-
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রানে বাজায় বাশিঁ।আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।