somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমাবর্তন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কিছু ইতিহাস

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ তম সমাবর্তন আজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় একটি দিন অতিবাহিত করতে যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সময়ের গ্রাজুয়েটগণ। আনন্দ-উল্লাস আর ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক আওযাজে মুখরিত হয়ে উঠবে আজ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।


সমাবর্তনের সেই চিরচেনা পোশাক, কালো গাউন আর কালো হ্যাট পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত-অপরাজেয় বাংলা, কার্জন হল, দোয়েল চত্বর, সায়েন্স লাইব্রেরী, কাজী মোতাহার হোসেন ভবন, সিনেট ভবন, রাজু ভাস্কর্য, শহীদ মিনার, স্বাধীনতা সংগ্রাম, সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর, টিএসসি, হাকিম ও মিলন চত্বর, মধুর ক্যান্টিন সহ প্রতিটি প্রিয় স্থান ডিগ্রিধারী স্নাতকগণ তাদের ক্যামেরার ফ্রেমে বন্ধী করে রাখবেন। দীর্ঘ চার থেকে পাঁচটি বছর প্রিয় এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অতিবাহিত করার পর আজ তাদের এই সর্বোচ্চ স্নাতক ডিগ্রী অর্জন।


প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে দিনটি যেমন একদিকে আনন্দের আর সম্মানের তেমনি একটু বেদনাবিধুরও বটে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করে এক আলোকউজ্জ্বল সম্ভাবনাময় নতুন চ্যালেঞ্জিং জীবনে পদার্পণ করতে যাচ্ছে এইসব নবীন স্নাতকগণ। তাদের সবার জন্য রইল অগ্রিম শুভকামনা। আপনাদের হাতেই তৈরি হবে আগামী দিনের সোনার স্বদেশ প্রিয় বাংলাদেশ। আমরা আপনাদের উপর পূর্ণ আস্থা ও আশা রাখি-যতদিন আপনাদের হাতে দেশ, ততোদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের এই ৪৮ তম সমাবর্তনের প্রধান বক্তা থাকবেন বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান দি ইউরোপিয়ান অরগানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন)-এর মহাপরিচালক ও প্রতিথযশা জার্মান কণা পদার্থবিদ অধ্যাপক রোল্ফ-ডিয়েটার হুয়ের (Professor Rolf-Dieter Heuer)। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক রোল্ফ হুয়েরকে ডক্টর অব সায়েন্স (Doctor of Science) ডিগ্রি দেয়া হবে। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জনাব মো. আবদুল হামিদ।


সমাবর্তন বলতে আমরা সাধারণতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি বলে বুঝে থাকি। সমাবর্তন শব্দটি ইংরেজি কনভোকেশন (Convocation) শব্দের বাংলা অনুবাদ। কনভোকেশন শব্দটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে। এই দিনে শিক্ষা কার্যক্রমের সমাপন শেষে ছাত্রছাত্রীদের সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আমরা যদি প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসে সমাবর্তনের এর দিকে দৃষ্টি দেই তাহলে দেখতে পায় হিন্দু ধর্মীয় স্মৃতিশাস্ত্রে সমগ্র মানব জীবনে ১০ প্রকার সংস্কারের কথা উল্লেখ আছে যেটিকে বলা হয় দশবিধ সংস্কার। যেগুলোর মধ্যে উপনয়ন ও সমাবর্তন হলো শিক্ষা বিষয়ক দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার।
‘উপনয়ন’ শব্দের অর্থ ‘নিকটে নিয়ে যাওয়া’। যে অনুষ্ঠানের পর ছাত্রকে বিদ্যাশিক্ষার জন্য গুরুর নিকটে নিয়ে যাওয়া হত তার নাম ছিল উপনয়ন। বর্তমানে এই উপনয়ন সংস্কারটি এখনো আমাদের সমাজে ভিন্ন রূপে আছে। আগের মত আজকাল আর গুরুগৃহে বিদ্যাশিক্ষার জন্য প্রেরন না করা হলেও শিক্ষা জীবনের শুরুতে হাতেখড়ি বলে একটি অনুষ্ঠান আজও প্রচলিত আছে যেটা কিনা সাধারনত সরস্বতী পুজোর সময় করা হয়ে থাকে।
প্রাচীনকালে শিক্ষার পাঠ শেষে গুরুগৃহ থেকে নিজগৃহে ফিরে আসার সময় যে অনুষ্ঠান হত তাকে ‘সমাবর্তন’ বলা হতো। এটি এখন ধর্মের সংস্কারের গন্ডি পেরিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক এক বৃহৎ রুপ পেয়েছে। আমরা এখন শিক্ষাজীবন তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পাঠ শেষ করে আনুষ্ঠানিক এই বিদায় অনুষ্ঠানকে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় দিন সমাবর্তন বলে থাকি।

আমরা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সমাবর্তনের হতিহাসের দিকে দৃষ্টি ফেরায় তাহলে দেখতে পায়, ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ আমলে তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। তখন বাংলার তৎকালীন গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর লর্ড লিটন (রোনাল্ডশে সিআইই) সমাবর্তন ভাষণ দেন। এরপর ১৯২৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই (সর্বমোট ২৪ বার) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ আমলে শেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ২১ নভেম্বর।

পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ। ২৪ মার্চের সেই সমাবর্তনে কার্জন হলে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার দাবীকে নাকচ করে দিয়ে যে জঘন্যতম ভাষণ দিয়েছিলেন তার প্রতিবাদে সমাবর্তন স্থলেই তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং ছাত্ররা দাঁড়িয়ে "নো নো" বলে তীব্র প্রতিবাদ করেন, তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা আন্দোলন আরো বেশী গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। ১৯৫২ সালের সমাবর্তনের তারিখ নির্দিষ্ট ছিল ২৪ ফেব্রয়ারি, কিন্তু মহান ২১ ফেব্রয়ারির ঐ ঘটনায় তা আর হতে পারেনি। সে বছর ১৭ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মোট ১৫ বার সমাবর্তন হয়।
১৯৬৪ সালের সমাবর্তন ছিল এক পন্ডময় সমাবর্তন, তখনকার তৎকালীন উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. এম ওসমান গনি ও চ্যান্সেলর আবদুল মোনায়েম খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সেবারই প্রথম কোন সমাবর্তনে চ্যান্সেলর ও ভাইস চ্যান্সেলর উভয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। কিন্তু, মোনায়েম খানের কাছ থেকে ডিগ্রি নিতে ছাত্র ছাত্রীরা অস্বীকার করলে এই সমাবর্তন পন্ড হয়ে যায়। পাকিস্তান আমলে সর্বশেষ সমাবর্তন হয় ১৯৭০ সালের ৮ মার্চ; সেটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম সমাবর্তন।
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো (৪০তম) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করার কথা ছিল; কিন্তু তার আগেই ভোররাতে ঘটে যায় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড, ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডি ফলে তখন সমাবর্তন স্থগিত করা হয়।

এরপর স্বাধীন বংলাদেশে প্রথম সমাবর্তন(৪০তম) অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর যা ছিল দীর্ঘ ২৯ বছর বিরতির পর। এরপর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে ২০০১, ২০০৪, ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১২ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবথেকে বৃহত্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের মার্চ মাসে (৪৬ তম), প্রধান বক্তা ছিলেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন-এর মহাসচিব প্যাসকেল ল্যামি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ৪ মার্চ ২০১৩ সালে। এটিও সমাবর্তন ইতিহাসের এক অনবদ্য সংযোজন, সমাবর্তনের প্রধান বক্তা ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রথমবারের মত প্রথম সম্পূর্ণ বাংলায় সমাবর্তন ভাষণ দিয়েছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান সৃষ্টি, চর্চা, লালন ও বিতরণকেন্দ্র।আজ সমাবর্তনে যেসব শিক্ষার্থী সনদ ও পদক পাচ্ছে তাদের সকলকে আমি জানায় অভিবাদন।প্রত্যেকে ধনে-মানে-জ্ঞানে সবদিক থেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে, এটাই কামনা করি। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আজ ৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ তম যে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতে আমিও একজন গ্রাজুয়েট হতে যাচ্ছি। যে বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের জন্ম দেয় তার সূর্য সন্তানদের সর্বোচ্চ অাত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে-এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য এবং অবশেষে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হতে পেরে আমি নিজেকে খুবই গর্বিত মনে করছি।
অবশেষে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যার এর একটি কথা দিয়ে শেষ করতে চায়, ৪৬তম সমাবর্তনের সময় তিনি বলেছিলেন, অনেক পরিশ্রম করেই কেবল শিক্ষায় এতদূর পর্যন্ত আসা যায়। অন্যায়ের কাছে তোমরা যেন নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলনা, এক বৃহত্তম কর্মযজ্ঞ তোমাদের সামনে, তোমরা যে নতুন জীবনে পদার্পণ করতে যাচ্ছ যেখানে যা পাবে, তার একটি অংশ ফিরিয়ে দিতে হবে তাদের, যাদের অর্থে পরিচালিত হয় আমাদের এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
সকল স্নাতকদের প্রতি রইল আবারও অভিনন্দন :)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৯
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×