কোন এক হিন্দি সিনেমার একটা কাহিনী ছিল এমন,
পাবলিক ইমোশন কে কাজে লাগিয়ে ভোটের বাজারে নিজের অবস্থা পাকাপোক্ত করার জন্য ব্যাক্তি নিজের মেয়েকে নিজের ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে অপহরন করিয়ে প্রতিপক্ষ বিরোধীদের উপরে চাপ দিয়েছিল। ভোটের ফলাফলে ব্যাক্তি জিতে গিয়েছিল শুধু তার মেয়ে অপহরন হয়েছিল বলে। নায়কও খুজছে মেয়েটিকে। সিনেমার শেষাংশে দেখা গিয়েছিল, অপহৃত মেয়েটিকে যাদেরকে দিয়ে অপহরন করানো হয়েছিল তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক কথা মত প্রেমেন্ট করেনি মেয়েটির বাবা। অবশেষে, মেয়েটিকে অপহরন কারীরা বলে দেয়, শুধু ভোটে জয়লাভ করার জন্যই তার বাবা এই কাজ করিয়েছে। কাজেই অপহরন কারীরা সিদ্ধান্ত নেয়, যেহেতু মেয়েটিকে মারলেও তারা টাকা পাবে না বা ছেড়ে দিলেও টাকা পাবে না, সেহেতু মেয়েটিকে তারা ভোগ করবে। এমন সময় নায়ক হাজির হয়ে ঢিসুম ঢিসুম করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তার পরের কাহিনী কি হিয়েছিল ধারনা করে নিতে পারেন।
যদিও এটা একটা সিনেমার কাহিনী, কিন্তু স্বাভাবিক কারনেই রিজওয়ানা বা তার স্বামী এবি সিদ্দিকীর নানান কর্মকান্ড, ভিবিন্ন ধরনের দোষারোপ, অপরদিকে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের টপ টু জিরো পর্যন্ত থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সিদ্দিকির অপহরণের সমস্ত অভিযোগ। রিজভী তো গতকাল বলেই ফেলেছে, বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল বিএনপি বিশ্বাস করে ইলিয়াস আলীকে যারা অপহরন করেছিল তারাই রিজওয়ানার স্বামীকে অপহরন করেছিল।
এইসব কিছু কে যদি রিজওয়ানার ব্যাক্তি স্বার্থ উদ্ধারের জন্য একটা সিনেমাটিক গল্প বলি, তাহলে কিন্তু খুব বেশি ভুল বলা হবে না ?
প্রশ্ন আসতে পারে মোটিভ কি ?
১। রিজওয়ানা পরিবেশ আইনবিদ হিসেবে কিন্তু বহিঃবিশ্বে বেশ পরিচিত মুখ। কি যেন একটা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারও পেয়েছিল। এখন এই ধরনের একটি অপহরন নাটক কিন্তু রিজওয়ানার দিকেই বহিঃবিশ্বের নজর বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। বহিঃবিশ্বে একটা মেসেজ যেতে পারে পরিবেশ আন্দোলনের মাসুল রিজওয়ানা অনেক ভাবেই দিয়ে চলেছে। উধাহরন তার স্বামী অপহৃত হয়েছিল। যার ফলে খুব শীঘ্রই যদি শোনা যায়, অমুক পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে রিজওয়ানা। তখন অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
২। বেলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯২ সালে ততকালীন বিএনপি সরকারের সময়ে এবং বিএনপির নীতি নির্ধারনীদের চিন্তা-চেতনা থেকেই, যদিও বেলা কে সব সময় অরাজনৈতিক সংস্থা বলা হয় কিন্তু বেলা তার প্রভু আই মিন বিএনপি কে অনেক কিছুই দিয়েছে যা অন্য কোন রাজনৈতিক দলকে দেয়নি। একটা উধাহরন ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন পর্যবেক্ষন এর মাধ্য নির্বাচনে অনেক ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, এটা ছিল বেলার সার্টিফিকেট। অন্য আর কিছু আপাতত বলছি না। এ কারনে উপরল্লেখিত কথা গুলো বললাম, এই অপহরন নাটক প্রায় মৃত বেলা কে প্রান দিয়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আরেকটা কুশিলবের ও রাস্তায় নামার জোগার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অপহরন কারী ঠিক মত প্রেমেন্ট পায়নি বলে ছেড়ে দিয়ে গেছে এবি সিদ্দিকী কে। হিসেব মিলিয়ে নিন এবি সিদ্দিকীর বক্তব্য থেকে।
এমন আরো কিছু অংক আছে। যা আমাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে রিজওয়ানার স্বামী সিদ্দিকী নাটকই আমরা দেখেছি। কাজেই এই বিষয়ে আবেগ দেখিয়ে কথা বলার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কারন দেখছি না।
তবে হা, রহস্য উদ্ঘাটন করা দরকার আছে। এবং সেটা সরকারেরই করতে হবে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে আইনবিদ রিজওয়ানা ও বিএনপি নেতা রিজভী কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য বের হয়ে আসতে পারে।