মনমিতা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কয়েকজন বন্ধু ক্যাম্পাসের এক কোণায় বসে আড্ডা দিচ্ছে। ভার্সিটির এই জায়গা থেকে সবকিছু দেখা যায় আবার আড্ডাও দেয়া যায়। তখন নাসিম কনককে বলে, ঐ দেখ শীলা। নাসিমের কথা শুনে সবাই সেদিকে তাকায়। মাসুদ বলে, শীলা মনে হয় কনককেই খুঁজছে। তবে এদিকেই আসবে; এটা নিশ্চিত। সে এমন ভাবে কথাগুলো বলে যে কথা শেষ হওয়ার পর সবাই মুখ টিপে হাসতে থাকে। কনক কিছুটা লজ্জা পায়। বলে, আমাকে কেন? শীলা তো তোদেরও খুঁজতে পারে। সে তো সবারই ক্লাসমেট। আফসার একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে- তা ঠিক। তবে ভাইয়া কিঞ্চিৎ ব্যবধান আছে যে! শীতল আগ্রহী হয়ে জানতে চায়- ব্যবধান মানে! বুঝলাম না তো? ততোক্ষণে শীলা এসে গেছে। বসতে বসতে শীতলের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, কি বুঝলি না? শীতল কিছু বলতে যাচ্ছিল কনক তাকে থামিয়ে বলে, আরে শীলা তুইও বুঝিস না। শীতলের দিকে ইশারা করে বলে, ওতো একটা টিউব। সব সময়ই একটু পরে জ্বলে। সবাই কনকের কথা শোনে হেসে উঠে। কনক শীলাকে বলে, তুই কি হেডের সাথে দেখা করেছিস? হেড তো বাত্তি জ্বালাইয়া তোরে খুঁজতেছে। শীলা ঠোঁটে কামড় দিয়ে বলে, ইসরে আমার একদম মনে নেই। আচ্ছা, স্যার কেন খুঁজছে জানিস কিছু। লতাও শীলার মত সিরিয়াস হওয়ার ভান করে কনককে জিজ্ঞেস করে, হ্যাঁ! তুই কিছু জানিস? লতার কথায় শীলা ও কনক ছাড়া বাকীরা সবাই হিঃ হিঃ করে হেসে উঠে। এতে শীলা একটু লজ্জা পায়। তারপর ¯^vfvweK হবার জন্য বলে, মানে তোরা কেউ কিছু জানিস নাকি? নাসিম বলে, আমরা শুধু জানি হেডে তোমারে বুলাইছে। ক্যান বুলাইছে হেউডা হেডেই ভাল বলতে পারবে। তাই না? বলে মাসুমের দিকে তাকায়। মাসুমও মাথা দুলিয়ে সমর্থন জানায়। শীলা একটু চিন্তা করে বলে, স্যার আমাকে নিশ্চিত বকবে। এ কথা শুনে আফজাল বিজ্ঞের মত মন্তব্য করে, স্যার কাউকে ডেকেছেন আর বকেন নি- এমন তো কখনো হয় নি! মাসুমও আফজালকে সমর্থন করে বলে, তুই ঠিকই বলেছিস। কেউ যদি একশতে একশ পায় আর স্যার তাকে ডেকে নেন, তবে নিশ্চিত যে তাকে ধমকিয়ে স্যার বলবেন, তুমি কেমন স্টুডেন্ট বলতো, আরেকটু সিরিয়াস হতে পারলে না? নিজের কথা শেষ করে মাসুম নিজেই হাসে। শীলা দুঃখি দুঃখি হয়ে বলে, আমি বুঝতে পারছি না। কনক, তুই চল না আমার সাথে। প্লিজ! শীলার কথা শোনে কনক অপ্রস্তুতের মত চেয়ে থাকে। তখন লতা বলে, যা না কনক, বেচারী একা একা যেতে ভয় পাচ্ছে। তোর যাওয়া উচিৎ। আফসার সুর মিলিয়ে বলে, শুধু উচিৎ নয় কর্তব্যও বটে! শীলা আবারো উঠতে উঠতে তাড়া দিল কনককে। নাসিম কনকের পিঠ চাপড়ে বলে- যাও মামা, যাও! সবার দিক থেকে চোখ সরিয়ে শীলার দিকে তাকিয়ে কনক বলে, চল। ওরা যখন চলে যাচ্ছিল তখন শীতল চেচিয়ে বলে, ভোল্টেজ ঠিক থাকলে টিউব একদিন ঠিক সময় জ্বলবে। কনক পিছন ফিরে শীতলের দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে চলে যায়।
হেডের রুমে দুজন চুপচাপ বসে আছে। স্যার হাতের কাজ শেষ করে জিজ্ঞেস করেন, তা কনক তুমিও ওর সাথে এসেছো। ভাল। কনক বলে, স্যার আমাকে ধরে নিয়ে এসেছে। স্যার হু বলে তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমরা এখন মাস্টার্স এ উঠে গেছ। এখনও যদি নিয়ম কানুন ভাল ভাবে না জানো, তা হলে কিন্তু বিরাট অন্যায়। শীলা বলে, স্যার, কি করেছি স্যার বুঝতে পারছি না। স্যার চেয়ারে হেলান দিয়ে বলেন, তুমি তোমার প্রপোজাল সীটের এক কপি অফিস থেকে নিয়ে গিয়েছিলে, কিন্তু এখনো তা ফেরত দাও নি। আমাকে অফিস থেকে ঘটনাটা জানালো। কারণ ওই বিষয়টা আমার ছিল। শীলা তৎক্ষণাৎ সরি স্যার বলে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতে চাইলো। স্যার তাকে থামিয়ে একটু হেসে বললেন, দেখ ইংরেজরা আমাদের এই শব্দটা দিয়েছে বলে সব সময়ই তার ব্যবহার করতে হবে- তা কিন্তু ঠিক না। শীলা বলে, আমি আসলে স্যার জুনিয়র একটা মেয়েকে দিয়েছিলাম আর বলেছিলাম জমা দিয়ে দেয়ার জন্য। স্যার একটু আশ্চর্য হয়ে বললেন, তাই বলে খবর নিবে না! তারপর কোমল ¯^‡i দু’য়েক দিনের ভেতর দিয়ে দেবার জন্য বলেন। কনক শীলার পক্ষে সাফাই করে বলে, দু'য়েক দিনের মধ্যে দিয়ে দিবে স্যার। আমরা তাহলে যাই স্যার। ওকে আবার এসো বলে স্যার তাদের বিদায় জানান।
কনক ও শীলা একই ডিপার্টমেন্টে মাস্টার্স করছে। অর্নাসও করেছে এক সাথে একই বিষয়ে। অনার্সের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এরা খুবই ভাল বন্ধু। দুজনের আন্ডারস্ট্যান্ডিংও চমৎকার। বন্ধু-বান্ধবরা এদের সম্পর্ক নিয়ে শীলার আড়ালে কনককে আর কনকের আড়ালে শীলাকে ক্ষ্যাপায়। এদের আচরণে ভাল ভাবেই বুঝা যায় যে একে অন্যকে পচন্দ করে। কিন্তু দুজনই এমন চাপা ¯^fv‡ei যে কেউই এই ভাল লাগা প্রকাশ করতে চায় না। বন্ধুরা ব্যাপারটা অনেক দিন থেকেই দেখছে। তাই সবাই মিলে ঠিক করে, কিছু একটা করা দরকার। আর তাই সিদ্ধান্ত হয় সামনের ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে এই একবিংশ শতাব্দির ‘বুক ফাঁটে তো মুখ ফুঁটে না’ জুটির জন্য কিছু একটা করা হবে।
এক বিকেলে লতা আর নাসিম কনকের বাসায় যায়। তারা কনককে জানায় যে, আগামীকাল ভালবাসা দিবস উপলক্ষে সবাই এক হয়ে একটা রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেবে। সে যেন সকাল দশটার মধ্যে সেখানে পৌঁছে যায়। আর শর্ত হচ্ছে সাথে মোবাইল নেয়া যাবে না। শর্ত শোনে কনক কারণ জানতে চাইলে লতা বলে, আমরা চাই একটা দিন অন্ততঃ এই চৌকিদার বিহীন কাটুক আমাদের। অর্থাৎ কিপ সাইলেন্ট আর কি!
ওদিকে শীতল আর আফসার যায় শীলার বাসায়। তারাও শীলাকে একই কথা বলে চলে আসে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে দশটা বাজার আগে নাসিম চলে যায় কনকের বাসায় আর লতা যায় শীলার বাসায়। নাসিম পৌঁছে দেখে কনক মোটামুটি রেডি হয়ে আছে। সে কনককে বলে, দোস্ত ঘটনা তো ঘটে গেছে। যাইহুক, তুই যেহেতু শীলাকে কিছু বলিস নি তাই আর কিছু বলতেও যাস না। কারণ আজ নাকি শীলা তার প্রেমিকের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিবে। শোন, তুই একদম ¯^vfvweK থাকবি। কোন ইমোশনাল কাজ-কারবার করতে যাবি না। কনক অবাক হয়ে বলে, তুই কি বলছিস! নাসিম বলে, আমি যা বলছি তা তুই একটু পরেই দেখতে পাবি। নিজেকে শক্ত রাখিস। আবার কনক বলে, আরে ধূর! আমি আবার ইমোশনাল হতে যাবো কেন? কিন্তু শীলা হঠাৎ... মানে কার সাথে... কনক বিড় বিড় করে। তখন নাসিম বলে, তুমি শালা চুপ করে থাকবা আর সে তোমার অপেক্ষায় বুড়ি হইবো; এইটাই চাইছিলা না? যাই হোক সবাই হয়তো পৌঁছে গেছে। তুইও সেখানে যা, আর শোন, যেহেতু ফুলগুলো কিনেছিস সাথে করে নিয়ে যা। আমি একটু পরে আসছি বলে নাসিম চলে যায়। এদিকে কনক যেন কিছুই বুঝতে পারে না। তবুও ঘোরলাগা মানুষের মত ফুলগুলো নিয়ে বের হয়।
ঠিক একই কাণ্ড ঘটে শীলার সাথেও।
রেস্টুরেন্টে কনক পৌঁছার সাথে সাথেই শীলাও চলে আসে। দুজন এসেই শুকনো হাসি হেসে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করে। দুজনের হাতেই ফুল। কিন্তু কেউ কাউকে দেয় না। শীলা ভাবে কনক ফুলের তোড়া নিশ্চয় তার প্রেমিকার জন্য এনেছে। তাই তাকে দেয় নি। অসুবিধা কি সেও শক্ত মেয়ে। এই ফুলগুলো দিয়েই কনকের প্রেমিকাকে শুভেচ্ছা জানাবে। যতই কষ্ঠ হউক কনককে বুঝতে দিবে না। অপর দিকে কনক ভাবে, দেখ অবস্থা, কি সুন্দর করে সেজে এসেছে! হাতে আবার ফুলও! ভাল। আমিও শক্ত ছেলে ফুল নিয়ে এসেছি তো কি হয়েছে? এই ফুল দিয়ে তোর প্রেমিককে শুভেচ্ছা জানাবো। ভেবেছিস আমি ভেঙ্গে যাব, না ? এসময় দুজনের চোখাচোখি হলে আবারো শুকনো হাসি বিনিময় করে দুজন চুপচাপ বসে কোল্ডড্রিংসের অর্ডার দেয়।
ড্রিংস খেতে খেতে ভার্সিটিতে অতিবাহিত বিগত দিনের স্মৃতি মনে পড়ে দুজনেরই। একবার কনক কি কারণে যেন ক্যাম্পাসে আসছিলনা। মোবাইলও বন্ধ। শীলা তখন অনেক কষ্ঠে ঠিকানা জোগার করে কনকের বাসায় হাজির। সেই সময়ই কনক গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছে। এসে দেখে তার মার পাশে বসে আছে শীলা। কনক অপ্রস্তুত হয়ে মাকে বলে, তোমাদের পরিচয় হয়েছে মা। মা মিটিমিটি হেসে বলেন, হ্যাঁ, ভাল করেই হয়েছে। এখনও শীলার কথা মাঝে মধ্যেই তিনি কনকে জিজ্ঞেস করেন আর বলেন, মেয়েটাকে তো আর নিয়ে এলি না। কনক ভেবেছিল বিয়ে করে নিয়ে যাবে, মা ও খুশিই হবেন। কিন্তু এখন! কোল্ডড্রিংস খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে একে অপরকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে আর দাঁত কটমট করছে। আবার চোখাচোখি হলেই মুখ রক্ষার হাসি দিচ্ছে। শীলার মনে পড়ে, একদিন সে লাইব্রেরী ওয়ার্ক করছিল। তাই মোবাইলও বন্ধ। কিন্তু কি একটা খবর দেয়ার জন্য শীলাকে খুঁজছে কনক। ইউনিভার্সিটির সব জায়গায় খুঁজে অবশেষে লাইব্রেরীতে এসে পেল। সামনে এমন ভাবে বসল যেন শীলা এখানে এসে মস্তবড় অপরাধ করেছে। রাগে কনকের সে কি অবস্থা! তার চেহারার দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। বারবার জিজ্ঞেস করার পরও তাকে খুঁজার কারণ বলছিল না। পরে যখন অনেক অনুরোধ করার পর বলল তা শোনে মুখ বন্ধ করে শীলা হো হো করে হেসে উঠে।
শীলা কনকের দিকে তাকিয়ে ভাবে, এই গাধাটা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভালবাসতে পারলো! তার চোখ টলমল করে উঠে। তাই সে বুঝতে পারে, এখানে বেশীক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। সে হয়তো নিজেকে সামলাতে পারবে না। তার চেয়ে কনককে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে চলে যাওয়াই ভাল। ওদিকে কনক ভাবে কাউকে যদি তার ভাল লেগে থাকে তবে সে হচ্ছে শীলা। আর এই শীলাকে অন্যের সাথে দেখে কখনোই সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারবে না। তাই যা হবার হউক শীলাকে যে ভালবাসতো একথা বলে চলে যাবে। এমন সময় শীলা উঠে দাঁড়ায়, কনকও উঠে দাঁড়ায়। শীলা কনকের দিকে চেয়ে বলে, তোকে আমি কিছু বলতে চাই। কনক থামিয়ে বলে, তুই কিছু বলার আগে আমার কথা শোন। টলটল চোখে বলতে থাকে, এই জীবনে আমি এক জনের সাথেই মিশেছি, খুব আপন বলে জেনেছি। তাই ঠিক করেছি যা আছে কপালে হবে, তাকে আমি আমার ভাল লাগার কথা বলেই ফেলবো। হয়তো দেরী হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও । এতদিন না বলে যে ঠকা ঠকেছি আজ না বললে আর কখনোই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। একথা বলে ফুলের তোড়াটা হাতে নিয়ে শীলার ফুলসহ দুহাত চেপে ধরে মাথা নিচু করে আবারো বলতে থাকে, শীলা তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস। আমি তোকেই ভালবাসতাম, ভালবাসি, ভালবাসবো। তারপর জলমগ্ন চোখ তুলে শীলার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, তোর মনের মানুষকে এই ফুলগুলো দিয়ে শুভেচ্ছা দিস। তখন অবাক হয়ে শীলা কনকের হাতে ঝাঁকি দিয়ে বলে, এসব তুই কি বলছিস? আমার মনের মানে? আমার মনের মানুষ তো তুই? তুই এসব কি বলছিস পাগলের মত?
এরকম একটা আবেগময় মুহূর্তে হাততালি দিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে তাদের বন্ধুরা। নাসিম চেচিয়ে বলে, সব কিছুর মানে আমাদের কাছ থেকে শোনো। তারপর বসতে বসতে আফসার জানায়, সবই ছিল আমাদের প্ল্যান! শীতল কনককে উদ্দেশ্য করে বলে, খুব তো আমাকে টিউব বলতি, আমার নাকি ভোল্টেজের ঘাটতি তাই দেরীতে জ্বলি। তোর তো পুরা ভোল্টেজ ছিল। তাহলে এত দেরী হল কেন জ্বলতে? শীতলের কথা শোনে সবাই হেসে উঠে। মাসুদ বলে, আর এই প্ল্যানটা না করলে তোমরা কোন দিনও প্রকাশ করতে না। আফসার তার সাথে যোগ করে, যে চাপা ¯^fv‡ei দুজন! কনক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলে- তোরা না! কনকের একেবারে ঘনিষ্ট হয়ে চোখ মুছে হাসি হাসি মুখে শীলা বলে, থ্যাংকস, থ্যাংকস ফর অল। বন্ধুরা কনক ও শীলার উদ্দেশ্যে উচ্চ স্বরে বলে, হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
গল্পটির পিডিএফ সংগ্রহে রাখতে এখানে ক্লিক করুন।
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!
বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন