এসএসসি এবং এইচএসসি তে আমার সাইন্স ছিল। এসএসসি টা ভালমতই পার হয়েছিলাম। বাবা মা দুই একবার ডাক্তার বানাবার স্বপ্নও দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু এইচএসসি তে এসে উপলব্ধি করতে শুরু করলাম ইহা আমার কম্ম নয়। বাই দ্য ওয়ে, বায়োলজি যে আমার চতুর্থ বিষয় না, মূল বিষয় এটা জেনেছিলাম পরীক্ষা শুরু হবার এক সপ্তাহ আগে।
রেজাল্ট হবার আগেই জানতাম, মেডিক্যাল কিংবা বুয়েট আমার গন্তব্য নয়। তবুও বাবা মায়ের স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে ভর্তি কোচিং নামক একটি নাটকে অংশ নিয়েছিলাম। আর সেখানেই ঝিলিক নামের এক পদ্মনেত্র কন্যার সাথে দেখা। কিন্তু অতটুকুই। কোনদিন কথা বলবার সাহস হয়নাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্যে ভর্তি হলাম আমি। আর কন্যা বায়োকেমিস্ট্রি নাকি বায়োটেকনোলজি কিছু একটাতে। কন্যা যখন ল্যাবরেটরিতে টেস্টটিউব আর গাছপালার শেকড়বাকড় নিয়ে ব্যস্ত, আমি তখন গাছতলায় “শেক্সপিয়র সমকামী ছিল কিনা” এই বিষয়ে ভয়ানক তর্কযুদ্ধে লিপ্ত।
কন্যার সাথে একবার বাসের মধ্যে দেখা হয়ে গেল। কন্যা নিজে থেকেই জানতে চাইল, কোন বিষয়ে ভর্তি হয়েছি। অনেক ভাবসাব নিয়ে আমি “ইংলিশ” বললাম। কন্যা পাত্তা দিলনা। অবজ্ঞার হাসি হাসল। সেই হাসি আজও আমার হৃদয়ে রক্তপাতের কারন হয়ে আছে।
সেদিন হঠাৎ ফেসবুকে সার্চ দিলাম। প্রোফাইল দেখে বুঝলাম কন্যা বড় হয়ে আইনস্টাইন বা জগদীশ চন্দ্র বসু কিছুই হয় নাই। নিউটনের বউও হইতে পারেনাই। হয়েছে ব্যাংকার।
আর বউ হয়েছে ইংরেজীর অধ্যাপকের।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫