হঠাৎ কইরা ঢাকা এখন যানজটমুক্ত নগরী। তাও আবার পিক আওয়ারে। বিশ্বাস না হইলে অফিস থেইকা বাইর হইয়া দেখুন; মতিঝিল, মগবাজার, রামপুরা, গুলশান এলাকায় গত দুই দিন আমি কোন যানজট পাই নাই। ঢাকা এখন বিশ্বের যে কোন বড় শহরের চেয়ে বোধ হয় অনেক বেশি উত্তপ্ত। এই দগ্ধ নগরীতে খুব বেশি ফাপরে না পড়লে এখন কেউ রাস্তায় বাইর হয় না।
আম্গো মন্নান ভাই উঠতে বসতে শেখ হাসিনারে গাইলায়। চক বাজারের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মন্নান ভাই এখন দেউলিয়া প্রায়। ব্যাচারার তিন কন্টেইনার চার্জার লাইট অবিক্রিত অবস্থায় গোডাউনে পইরা আছে। নবাবপুরের নন্টুর অবস্থাও তথৈবচ। তিন পুরুষের জেনারেটর যন্ত্রাংশের ব্যবসা এখন লাডে ওঠার অবস্থা। ব্যবসা চেইঞ্জের জন্য উইঠা পইড়া লাগছে। শেখের বেটি যে আসলেই লোড শেডিংরে ল্যাং মারতে পারবে ওরা বিশ্বাস করতে পারে নায়।
আমার মতন একজন বাউন্ডুলে মানুষ যার মাথা ও শরীর উভয়ই সমান মোটা সে ট্যারপায় এই অসহ্য গরম কতটা যন্ত্রনাময়। অন্যসব হিসাব বাদ দিয়া শুধু একজন মটকু নাগরিক হিসেবে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমার ধন্যবাদ জানবেন!’