এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে , প্রথমেই একমত
হতে হবে মুসলমানের সংজ্ঞায়। মুসলমানদের
মাঝে অনেক ভাগ, কেউ সুন্নি , কেউ শিয়া , কেউ
ওয়াহাবী, কেউ আহলে হাদীস, আবার কেউ
লামাযহাবী। এইরুপ বহু গোষ্ঠীতে আজকের
মুসলমানেরা বিভক্ত। একটি মিথ্যা হাদীসের
উদ্ধৃতি দিয়ে সকলেই গর্বের
সাথে বলে মুসলমানেরা ৭২ ভাগে বিভক্ত
এবং শুধুমাত্র ১টি দলই সঠিক পথে আছে।
মজার ব্যপার হলো , প্রত্যেক দলই
আত্মতুষ্টিতে ভুগছে এই ভেবে যে , শুধু তারাই সঠিক
পথে আছে এবং বাকী সকলেই জাহান্নামী।
কোন দলটি আসলেই সঠিক
পথে আছে সেটা না জানতে চাওয়ার একমাত্র
কারন হলো নিজেদের বুদ্ধিবৃত্তির
চর্চা না করা এবং অন্ধভাবে ধর্মীয় নেতাদের
ও পূর্বপুরুষদের অনুসরন করা। ধর্মীয় নেতাদের
সঠিক পথের অনুসন্ধান না করার একটাই কারন ,
সঠিক পথ জানলে বাকি ৭১টি দলের ধর্মীয়
নেতাদের কোন ক্ষমতাই আর
থাকবে না এবং তার অর্থ উপার্জনের
রাস্তাও চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়া।
কোরানকে সকল দলই ঐশীগ্রন্থ মনে করে।
সুতরাং কোরান
থেকে উদ্ধৃতি দিলে কারো আপত্তি থাকার
কথা নয়।
দলবাজী সম্বন্ধে কোরান কি বলে --
৩০: ৩১,৩২ - সবাই তাঁর (আল্লাহ্র)
অভিমুখী হও এবং ভয় কর , নামাজ কায়েম কর
এবং মুশরীকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (মুশরীক
তারাই) যারা তাদের ধর্মে বিভেদ
সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে আমরা ,
যারা নিজেদেরকে সুন্নি , শিয়া , আহলে হাদীস ,
কাদিয়ানী বলে দাবী করে ধর্মে বিভেদ
সৃষ্টি করছি , আমরা প্রত্যেকেই মুশরিক । অর্থাৎ
মূর্তিপূজারী।
জানেন নিশ্চয় , আল্লাহ শিরক্ ছাড়া আর সব
গোনাহ্ মাফ করেন ।
আমরা সুন্নিরা , শিয়ারা কিভাবে আল্লাহ্র
সাথে শিরক্ করছি , তা ভবিষ্যতে লেখার
ইচ্ছা রইল।