রিনিঝিনি কাঁচের চুড়িতে
যে হাত তুলেছিল সুর
খুশি রঙে এঁকেছিল মনখাতা
সেই হাতে যদি
হৃদয়ের ফল্গুধারায় পাথর চাপা দিতে পারো
তবে , পুরুষ তোমায় উপহার দেবো
একগোছা কাঁচের চুড়ি!
মনমোহিনী জ্যোৎস্না রাতে
রংবাহারী চুড়ির সিঙ্গার রসে ভিজে
স্বপ্ন মেখেছিল যে হাত
চেয়েছিল উষ্ণ আশ্রয়
বীভৎসরসের প্রবল ঝড়ে
স্বপ্ন-ছাউনি ভাসলেও
সেই হাতেই রাতের কালো রঙ ধুয়ে
নিত্যদিনের আলোর স্রোতে
যদি আবার ভাসতে পারো
তবে , পুরুষ তোমায় উপহার দেবো
একগোছা কাঁচের চুড়ি!
টুংটাং চুড়ির মুখরতায়
যদি ঢাকতে পারো আর্ত-ধ্বনি
ছাই করতে পারো
ইচ্ছেকে আগুণ জ্বালিয়ে
আর -
নেই জেনেও , আছে ভেবে
প্রেমকে সাজিয়ে রাখতে পারো
দু-হাতের চুড়িতে
তবে , শুধু তবেই পুরুষ তোমায় উপহার দেবো
একগোছা কাঁচের চুড়ি!
বিঃদ্র--
কিছু কিছু কবিতা পড়ে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয় । চুপচাপ শুনতে হয় সেই কবিতার অনুরনণ । কবি জাহিদ অনিক
এর কবিতা পড়লে পাঠকের তেমনঅবস্থা হয় । আমি কবিতার গ্রামার কিছু বুঝি না । ওনার কবিতা পড়লে মনে হয় ডায়কোপ বা পলিপটোটোন-এর পার্থক্য না বুঝলেও কিছু যায় আসে না । শুধু কবিতা পড়ে তার অনুভবে ভেসে যেতে পারলেও হোলো । শুধু একটা কারণেই দুঃখ হয় একটু । কারণ , একেই আমার লেখার এই হাল । তারমধ্যে সব সাবজেক্টেই লিখে দেন । আমার জন্য কিছু ছাড়েন নাহ । আর এতো ভালো লেখার পাশে ,একই সাবজেক্টে লেখার সাহস তো আমার নেই । তাই , আমি আমি মেঘের সাথেই বা কথাবার্তা চালাই । সেদিন তাঁর অসাধারণ আরেকটা কবিতাভুল যত পাঠ পড়লাম । আর তাতে কবির একটা আক্ষেপের সুর শুনলাম । সেই সুরটাই আমার এই লেখার অনুপ্রেরণা ।