ঠিক সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে চিঠিটা পেলাম
হলুদ খামের এক কোনে ছোট্ট করে একটি
ডাক টিকিট এর উপর ডাক বিভাগের কালো সিল
জানিয়ে দিল হপ্তা দুয়েক আগে চিঠিখানি কেউ ছেড়েছিল
গোটা গোটা হাতে লেখা নিজের নামটা দেখে
ঠিক বুঝে যাই এ তোমারি হবে,
যেন বর্ণের গভিরে তোমার আকুতি মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে।
চিঠিটা এখনো খোলা হয়নি
মেহগনি কাঠের মিসমিসে কালো গোল টেবিলের
মাঝখানে বেশ খানিকটা জায়গা জুরে জ্বল জ্বল করছে।
চোখ বুঝে অনুমানে পড়তে চেষ্টা করি
কি লেখা আছে হলুদ খামের গর্ভে।
কখনো মিলে যায় কখনো মেলেনা
কখনোবা ভাবনার বিপরিতে দুর্ভাবনার কালো ছায়া আঁকড়ে ধরে।
রোজ ভাবি কিছু লিখব তোমায়
কাগজ কলম নিয়ে বসেও যাই
একটা একটা দলিত পৃষ্ঠা আমার ঘর
ভরিয়ে দেয়,তবু হয় না লেখা।
মাঝে মাঝে পৃষ্ঠা গুল খুলে খুলে দেখি
কোথাও একটি বাক্য, কিংবা এক খানি বর্ণ
আবার কোথাও লম্বা একটি রেখা নিঃশব্দের প্রতিরূপ হয়ে।
তোমাকে লেখার জন্য বুকের ভেতর যে বিস্তর আকুলতা
তা কাগজের ভাষায় প্রকাশিত হয়না কিছুতেই।
রোজই কলম ঠুকে যাই লেখার টেবিলে,
কোন শব্দ তার অন্ত্র বেয়ে নেমে আসে না।
অজস্র কালো কালো বিন্দু জমে যায় লেখার খাতায়।
চিঠিখানি নিরবে সহস্র ভাষা নিয়ে নিভৃতে
এখনো পরে আছে, ফুঁড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে
খুলে দেখছি না, কি আছে ওতে।
মনে মনে স্বপ্ন জাল বুনে যাই ভালোবাসার
পঙক্তিমালা কল্পনার চাদরে বিছিয়ে যাই।
হয়তো ও চিঠি তোমার নয়, ডাক বিভাগের
নিয়ম মাফিক ভুলের স্বীকার হয়ে আমারি
দরজায় ঠোক্কর খাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭