চিরল, পেটকাটা, আগুণ পাখি, চাঁদিয়াল, ঢুপিয়াল, ঘয়লা, চৌরঙ্গী, হুতুম পেঁচা, লক্ষ্মী পেঁচা, পোয়াতায়া, আধাতায়া, একতায়া, পাল তোলা জাহাজ। হরেক রকমের ঘুড়ির নাম। তাকে বললাম, এক-এক ঘুড়ি, এক-এক দুঃখ বয়ে নিয়ে বেড়ায়। দুঃখের ভার বইতে না পেরে সুতো ছিঁড়ে পালিয়ে যায়। বোহেমিয়ান হয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশে বিদেশে। আর সে জেনে যায় পৃথিবীর সব দেশেরই আকাশের রঙ নীল, সব অরণ্যের রঙ সবুজ। পুরো পৃথিবীটাই হয়ে যায় তার ঘর।
আমারও একটা ঘুড়ি আছে। তার একটা নাম দিলাম ... মন পাখি। সে’ও এখন সুতো ছিঁড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
--মন পাখি
-------------------------
(আরো দু’টো)
মহাকালের পথে ট্রেনটা স্টেশন থেকে মাত্রই ছেড়ে গেল। ঝিকঝিক আওয়াজ তুলে দূর থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। রেললাইনের উপরে দাঁড়িয়ে ট্রেনটার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে আছি। ট্রেনটা যতই দূরে যায় ততই বিষন্নতার রঙ গাঢ় হয়। ট্রেনটা যাত্রী করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার ভুবন ডাঙার হাসি।
-ট্রেন
-------------------------
সবাই কতকিছু লেখে। লেখার ফানুস ওড়ায়। সন্ধ্যার আকাশটা উৎসবের রঙে রাঙায়। আমি রঙতুলি হাতে নিই। ক্যানভাসে একটা পাতার রঙে আকাশ আঁকি। পাতার রঙে আকাশ! আমি পাতায় আমার লেখা লিখি। আমার ঘরের চারপাশে অনেকগুলো গাছ। বটগাছ, চালতে গাছ, জলপাই গাছ, লেবু গাছ, আরো অনেক। সময়ে গাছের পাতাগুলি ঝরে যায়। আমার লেখাগুলিও তার সাথে ঝরে পড়ে। আর আমি ভুলি, আমি কী লিখি! এমনি করে ভুলি তোমাকে নিয়ে লেখাগুলি। তবে আপন করে পাই তোমার শরীরের ঘ্রাণ।
পুকুর ধারে লেবু পাতায় এটা তোমার ঘ্রাণ। তুমি তোমার গায়ের গন্ধ লেবুপাতায় মেখে রেখেছো। আটাশটি লেবুগাছ, তোমার আটাশ বছর বসন্ত। তোমাকে মনে পড়লে আমি লেবু পাতার ঘ্রাণ নিই।
-ঘ্রাণ
১০২৮১৪
(লেখালেখি ছুটি নিয়েছে। তাই বই/লেখা পড়ার পাশাপাশি আপাতত আবোল-তাবোল লিখেই সময় কাটছে।)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২২