somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্কুল ব্যাগ

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অণুগল্প
স্কুল ব্যাগ

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আজ সম্ভবত অফিসে লেট হতে পারে। কি করা যায়? ভাবতে ভাবতে একটি সিএনজির সামনে। দর কষাকষি করে অগত্যা উঠে পড়ি সিএনজিতে। স্টার্ট দিল সিএনজি। চালকের বয়স ৪০ এর মতো। কিন্তু উনাকে দেখাচ্ছে ৪৫ এর মতো। সিএনজি চালকের নিজের গাড়ি। তাই আমি বললাম ভাড়া একটু কম নিলেই তো পারেন। উনি বললেন না ভাই কম নিতে পারবো না। কারণ কিছুক্ষণ আগে আমি মার্কেটে একটি ব্যাগের দোকানে গিয়েছি। আমার একটি স্কুলের ব্যাগ দরকার। বেন টেন ব্যাগটি আমার পছন্দ হয়েছে। দরকষাকষি করে শেষপর্যন্ত ১২ শো তে দেবে বলেছে। কিন্তু আবার ভাবলাম আমার তো মেয়ে বাচ্চা। বেন টেন তো ছেলেদের ব্যাগ। আবার মোটুপাতলু ব্যাগ আমার ভালো লাগেনা। তো বারবি ব্যাগটা বেশি ভালো লেগেছে। ওটাতে তিন চারটা মেয়ের ছবি। ওটাই কিনবো। সিএনজি চালাই তাতে কি হয়েছে। আমার মেয়েকে আমি সেরা ব্যাগটাই দিতে চাই। আমি আমার মধ্যবিত্ত স্বভাবসুলভ উপদেশের ভঙ্গিতে বললাম মেয়েকে বলুন : ব্যাগ বড় কথা নয়, আসল কথা হলো পড়ালেখা। ভালো মতো পড়ালেখা করলেই আপনার মেয়ের ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে। আবার বললাম আমাদের সময়ে তো ব্যাগের কনসেপ্ট ই ছিল না। খালি পায়ে হাতে বই নিয়ে মরিচ পান্তা খেয়ে এক দৌড়ে গ্রামের স্কুলে গিয়েছি। আমরা তো কিছু একটা করে খাচ্ছি। ভালোই আছি। তখন ড্রাইভার বললো না ভাই এখনকার দুনিয়া একটু অন্যরকম। সবাই বড়লোকের ছেলে মেয়ে একসঙ্গে পড়ে। আমি কমদামি ব্যাগ মেয়েকে দিলে মেয়ে মন খারাপ করবে। আজকে আল্লাহ আমারে যা দেয় তাই দিয়ে আমি আমার মেয়ের জন্য পছন্দের সেই ব্যাগ কিনবোই। যথাস্থানে নেমে গেলাম। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বিশটাকা বেশি দিলাম। সিএনজি স্টার্ট দিল ড্রাইভার। আমি হাঁটছি পথে। দূরে দেখা যাচ্ছে সিএনজি চলে যাচ্ছে। হয়তো আজ সুন্দর ব্যাগটা সিএনজি চালক তার মেয়েকে উপহার দেবে। আহা একটি ব্যাগের মধ্যেই কত মমতা, কত আনন্দ। আর আমরা............


সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×