অণুগল্প
বৃষ্টির সঙ্গে তুমি
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া
আজ সারাদিন ঝর ঝর বৃষ্টি। ঝরছে তো ঝরছে কিন্তু থামার কোন লক্ষণ নেই। আজ এই বৃষ্টি বৃষ্টি দিনে কি করে কাটানো যায় তা ভাবছে লিয়ন। বাসায় একা একা তো আর বৃষ্টিবিলাস করা যায় না। তাই অন্য প্ল্যান মাথায় আসলো। এমন দিনে যদি অহনার সঙ্গে কাটানো যেতো তাহলে মন্দ হতো না। যেই ভাবা, টেলিফোন বাটনে চেপে অহনার নাম্বারে কল দিলেই অপর প্রান্ত থেকে অহনা’র কন্ঠ। এই বৃষ্টির দিনে তোমারও একই অবস্থা। আমিও ভাবছিলাম তোমাকে কল দেবো নাকি? কিন্তু তোমার অফিসের কথা ভেবে আর দিলাম না। লিয়ন ফটাফট বলতে লাগলো: শোনো প্রথমত আজ তুমি আমি একসঙ্গে কাটাবো একাকী দুজনা, দ্বিতীয়ত তুমি আজ তোমার পছন্দের যত খাবার রাঁধতে পারো তার পরীক্ষা দেবে, আর তৃতীয়ত। অহনা বলে : তৃতীয়ত কী?। তুমি যে রকম ভাবছো সেরকম কিছু না। তৃতীয়ত হলো তুমি আমি আজ সারাদিন বৃষ্টির গান গেয়ে কাটাবো। খাবো, গানের সঙ্গে কাটাবো দু’জনা। আজ পরে থাক কাজ, কর্ম, টেনশন, অফিস সবই। শুধু তুমি আর আমি। আর কোন ড্রেস পরে আসছো?। আজ কিন্তু রোম্যান্টিক ড্রেস চাই। অহনা : রোম্যান্টিক ড্রেস কিনা বলতে পারবো না তবে তোমার দেয়া একটি অসাধারণ ড্রেস পরে আসবো। লিয়ন : ঠিক আছে হারি আপ। দেখা হচ্ছে কিছুক্ষণ পর, রাখি। প্ল্যানের তৃতীয়টা বলা হলো অহনাকে, কিন্তু চতুর্থ, পঞ্চম কিছুই তো বলিনি। তবে মনে মনে ঠিক করে রেখেছি, আজ তার ছবি আঁকবো একটা, যতক্ষণ সে সময় দেবে ততক্ষণে আমার পুরনো অভ্যেস ছবি আঁকার কাজে ব্যয় করবো। আর পঞ্চমটা হলো....এটা প্রকাশ্যে বলা যাবে না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ একসঙ্গে একাকী দুজন দুজনার হলে যা করতে মন চায় তার কিছুটা হয়তো করা হবে। এটা নিশ্চয় দোষের কিছু না।এই রোম্যান্টিক মুহুর্তে রবীঠাকুরের গানটি বার বার মনে পড়ছে খালি লিয়নের...আজি ঝর ঝর মুখর বাদর দিনে, জানি না জানি না.....
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯