somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্প: আতশবাজির মতো

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তুলি আপুরা আমাদের বাসায় আসলো প্রায় ৭ মাস পর। তার সাথে দেখি একটা মেয়ে। মায়া কাড়া চেহারা। পিঠ ঘনকালো চুলে ঢাকা। ঠোঁটে হাসির রেশ মাত্র নেই অথচ ভাবসাব দেখলে মনে হয় যেন প্রফুল্লতা বিকিরণ করছে তার চারপাশে। চোখে নিশ্চুপ চঞ্চলতা।
আমার মনে হলো- পুরো ঘর অন্ধকার। কেবল সেই ঝকঝক করছে।

তুলি আপুরা ভেতরে চলে গেলেন। আমি দাঁড়িয়ে থাকলাম দরজার এক কোণঘেঁষে। সে বসে আছে সোফায়। আশ্চর্য, এক মুহূর্তের জন্য চোখ ফিরাতে পারলাম না। অজানা এক উত্তেজনার মতো দূর থেকে উপভোগ করতে লাগলাম তার নীরব উচ্ছলতা।

সে ফ্লোরের টাইলসের দিকে এমন মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে- দেখলে মনে হয় যেন সেখানে কোন চলচ্চিত্র চলছে। আমার সাধারণত যে কোন কিছু খুটিয়ে দেখার অভ্যাস নেই। নিজেই অবাক হয়ে গেলাম প্রথম দেখায় তাকে নিয়ে এত গভীর ভাবে ভাবা নিয়ে। এমন অসাধারণ কি আছে এই সাধারণ মেয়েটার মধ্যে যা আমার আকর্ষণ এভাবে কেড়ে নিল? কিছুতেই বুঝে উঠতে পারলাম না।

কাছে গিয়ে নিতান্তই অপরিচিত সেই মেয়েকে জিজ্ঞাস করলাম, 'ভালো আছো?'
সে মাথা আগের মত নিচু রেখেই চোখ উঁচু করে এমনভাবে তাকালো যেন আমি কি যেন কি অঘটন ঘটিয়ে বসেছি। পরক্ষণেই ঠোটের কোণে মিষ্টি হাসির আভা ফুটিয়ে বলল, ভালই। এবার আপনার খবর টবর বলেন?
বলার ভঙ্গিটা এমন যেন সে আমার সেই মেলায় হারিয়ে যাওয়া ছোট বোন। এখন খুঁজে পেয়েছে মাত্র।

স্বপ্নের মতো বোধ হলো আমার। দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে কথা আগানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারলাম না। মন খারাপ হয়ে যাচ্ছি বারবার, মুড অফ হয়ে যাচ্ছে আপনা আপনি। কোনরকমে নামটাই কেবল জানতে পারলাম। বিন্দু!

সেদিন রাতে ঠিকমত ঘুম হল না। এত সুন্দর একটা মেয়ের সাথে এত কাছ থেকে কথা বলার পর সারারাত বিছানায় ছটফট করা অস্বাভাবিক কিছু না। আমি তার কথা ভাবতে লাগলাম। কল্পনা করতে শুরু করলাম তাকে নিয়ে। আমার তখনকার অবস্থাতে সে হয়ে গেল আমার জগতের সব সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দু।
অথচ সেদিনই প্রথম দেখা।



সকালে নাস্তা করতে যেয়ে দেখি বিন্দু ভাত খাচ্ছে, নিঃশব্দে। মেয়ে এত বড় না, অথচ খাওয়ার ভঙ্গি পুরো বৃদ্ধের মতো গম্ভীর। আমি তার সামনে চেয়ার টেনে বসলাম নাস্তা করতে।

আমাকে নাস্তা দেয়া হয়েছে- দুটো পরোটা, গরুর মাংস আর একটা ডিম। প্লেট থেকে ডিমটা তুলে তার প্লেটে দিলাম। সে আবার সেই কি যেন কি ঘটিয়ে ফেলেছি এমন অভিব্যক্তি করে বললো, আয় হায়, করলেন টা কি!
-ইয়ে মানে.. আমি ডিম খাই না।
-না খেলে আপনাকে দিয়েছে কেন?
-নাহ.. মানে ডিম খেলে পুষ্টি.. তুমি খাও না।
সে কিছু না বলে ফিক করে হেসে দিলো। আর তার হাসির শব্দ, রিনরিন করে বাজতে লাগলো আমার বুকের ভেতর।
তখন সকাল ৮:২০। স্কুলে ক্লাস শুরু ৮:৩০ এ। হাতে আর মাত্র ১০ মিনিট সময়। একদিনও স্কুলে অনুপস্থিত না থাকার মতো ছাত্র হওয়ার পরও তাড়াহুড়া করার কোন তাগিদ নিজের মাঝে খুঁজে পেলাম না। বরং ইচ্ছা করলো, সেখানে তার সামনে বসেই পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিতে। অদ্ভুত এক আকর্ষণ গ্রাস করছে ক্রমশ। তীব্র বেদনাময় ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হয়ে রইলাম আমি।



তুলি আপুরা নাকি আর বেশিদিন থাকবে না। এই অল্প সময়ে সে কোথাও বেড়াতে যেতে চায়। সবাই মিলে ঠিক করলাম, রাতে বিচে যাবো।
বিকাল-সন্ধ্যা পার হয়ে রাত এল চারিদিক আধার করে। আমরা রেডি হতে শুরু করলাম। আমি রুমে গেলাম সার্ট খুঁজতে। তুলি আপু এমন ভাবে সাজগোজ করছে যেন আমরা কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। আর বিন্দু মন খারাপ করে বসে আছে জানালার পাশে। যার মাঝে এই কয়েকদিন হতাশার ছিটেফোঁটাও দেখিনি, তার মাঝে, বসার ভঙ্গিতে, অভিমানী মুখে বিষণ্ণতায় ভরে গিয়ে আশেপাশেও ছিটেফোঁটা উতলে পড়ছে।
তুলি আপু থেকে বিন্দু আমাদের সাথে বিচে যাবে কিনা জিজ্ঞাস করতেই সে বলল,
'পানিতে নামবে, হইচই করবে। আমি এতসব কিছু সামলাতে পারবো না।'
বিন্দু যাবে না শুনে আমার কি যেন মন্ত্রের মতো হয়ে গেল। তারা পরশু চলে যাবে। মাঝখানে আর মাত্র একদিন। আমি লজ্জার মাথা খেয়ে বলে ফেললাম,
'আপনি না পারলে আমরা দেখবো ওকে। নিয়ে চলেন না। আবার কবে কক্সবাজার আসবেন তার তো কোন ঠিক ঠিকানা নেই।'
-না থাক, কারন ছাড়া দল ভারি করে লাভ কি? ঠিকমতো মজাও করা যাবে না।
-ওকে বোঝা ভাবলেন আপনি! প্লিজ নিয়ে চলেন। এখানে এসে একটুও না বেড়িয়ে চলে যাবে?
-তুই বুঝবি না। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
-নাহ, বিন্দু না গেলে আমিও যাব না
তুলি আপু এবার হেসে দিল। বিন্দু এতক্ষণ চোখ বড় করে দেখছিল সব। এখন সেই অপূর্ব দুই চোখে অশ্রু জমাট বাধছে। ছলছল করে টলছে কিন্তু পড়ছে না। সে বোধ হয় বিশ্বাস করতে পারছে না, কেবল অপরিচিত একজন তার জন্য এমন করছে। সে ঝাপসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি তার দিকে তাকাতেই ঝাপসা চোখ দুটো ফিরিয়ে জানালার দিকে তাকালো। আমার বুকের ভেতরটা ধ্বক করে উঠলো হঠাৎ। কি অপরূপ সৌন্দর্য! সেই দৃশ্য, সেই থেকে আমার হৃদয়ে একটি স্থায়ী ছবি হয়ে গেঁথে গেল। আজ, এতদিন পরও স্পষ্ট দেখতে পাই।



টমটম ঠিক করে আনা হলো বাসার সামনে। আমরা সবাই টমটমে উঠলাম। বীন্দু আসতে একটু দেরী হতেই, তুলি আপা বলল, দেখছিস এবার কেন নিতে চাইনি? তোর দরদ উতলে পড়ছিল, এবার বোঝ।
-এত চেঁচামেচি করছো কেন আপু? ওইতো দেখো এসে পড়েছে।
বিন্দুর জন্য তুলি আপুর পাশে একটা সিট খালি ছিল। ভাগ্যক্রমে সেই সিট আমার সিটের ঠিক সামনে। সে বসলো।

সে বসে আছে আমার সামনেই! আমার খুব ইচ্ছা করলো তার দিকে তাকিয়ে থাকতে। কিন্তু পারলাম কই? অবশ্য এদিক থেকে ওদিক ফিরতে কয়েক সেকেন্ডে দেখার সুযোগ করে নেয়া যায়। কিন্তু এত অল্প সময়ে কি আর দেখার তৃষ্ণা মিঠে। কিছুতেই তার দিকে তাকিয়ে থাকার ইচ্ছেটা দমন করতে পারলাম না। ইচ্ছা হলো, সবার চোখ কালো ফিতা দিয়ে বেধে, আমি মনভরে তাকে দেখি। সে মিটমিট করে হাসছে। তবে সে কি বুঝতে পারছে আমার মনের অবস্থা? কার থেকে যেন শুনেছিলাম এক্ষেত্রে নাকি মেয়েদের সিক্সথ সেন্স বেশি কাজ করে।
বিচে পৌছুলাম। মানুষজন খুব একটা নেই। স্নিগ্ধ জোছনার আলো চারপাশে। মৃদু বাতাস। তারা ভরা আকাশ। কি অসাধারণ ঢেউর ধেয়ে আসা! বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই, অথচ হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। সব মিলিয় কাব্যিক পরিবেশ। বিন্দু বসে আছে বালিতে। কি যেন করছে। হঠাৎ পেছন ফিরে তাকালো আমার দিকে। সেই দৃষ্টিত স্পষ্ট তার পাশে যেয়ে বসার আমন্ত্রণ দেখতে পেলাম। আসলেই কি তাই? নাকি শুধুই আমার কল্পনা?

আমার বড় ইচ্ছে হল তার পাশে যেয়ে বসতে। কিন্তু সম্ভব না। এই ইচ্ছে নিয়ে আর পারা গেল না। মানুষের বেশির ভাগ ইচ্ছা হয় তা ইচ্ছা থেকেই মুছে যাবার জন্য, পূর্ণ হওয়ার জন্য নয়। কিন্তু এমন এক মেয়ে, যার সাথে ২ দিন পর থেকে আর দেখা হওয়ার কোন সুযোগ নেই, তাকে কেন্দ্র করে কেন এমন সব অনুভূতি হচ্ছে? একেই কি লোকে প্রেম বলে!



কালকে তুলি আপুরা চলে যাবে। রাতে ছাদে সবাই পিঠা বানাতে ব্যস্ত। একজন বানাচ্ছে, আরেকজন ভাজছে। আম্মা, তুলি আপুরা সবাই বসেছে পাটি বিছিয়ে। গল্পস্বল্প করছেন। একধরণের উৎসব উৎসব ভাব থাকলেও পরিবেশ খুব একটা সুখের মনে হল না, কেমন যেন একটা মন খারাপ করা ভাব। বিন্দুই কি আমার এমন মনে হওয়ার কারন? কালকের পর থেকে আর কখনো বিন্দুর দেখা পাবো না- ভাবতেও বুকের ভেতরটা মুচড়ে উঠছে।
মাথার উপর বেশ বড় চাঁদ মামা। তারারা টিপটিপ করে জ্বলছে রাতের অন্ধকার আকাশে। আর বিন্দু নিঃশব্দে পিঠা বানাচ্ছে।
আমি ছাদের এক কোণে বসে। দেখছি সোডিয়াম বাতির হলদে আলোয় ধুয়োর স্পষ্ট হওয়া। আবার মিলিয়ে যাওয়া। কল্পনায় সেই ধুয়াতে বিন্দুর চেহারা ভাসানোর চেষ্টা করলাম। পাশে ছোট করে আমাকেও। শুধু আমরা দুজন। আর কোথাও কেউ নেই। বাস্তবে তো কখনো সম্ভব না। কল্পনায় অসম্ভবকে সম্ভব করে কিছুটা তৃপ্তি পেলেও ক্ষতি কি। দুধের স্বাদ ঘোলে মেঠানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা ঠিক ঠিক ব্যর্থই হল। এক টুকরো এবস্ট্রাক্ট কালো মেঘ এসে ভর করলো মাথার উপর। যেন তার মায়া বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ছে।
রাত ক্রমে ক্রমে গভীরতর হচ্ছে। কালকে থেকে আর দেখতে পাবো না তাকে। আমি হাত বাড়িয়ে সময়কে ধরে রাখার চেষ্টা করলাম। সময় পানির মতো আঙ্গুলের ফাক দিয়ে গলে চলে গেল।



সে চলে গেল তুলি আপুদের সাথে, জীবনে সুখের সময় দীর্ঘ কাল থাকে না বলে। হয়তো সে একদিন সময়ের চাপে ভুলেও যাবে আমার কথা। কি বিপদ! আমি মনে রাখার পর্যায়ে গেলাম কেন? মনে রাখার মত কিছু হওয়া তো দূরের কথা, ১ টা সপ্তাহ সময় পাবার পরও তার জীবনের একটু কাছে যেতেও সক্ষম হয়নি আমি। আমার চোখে সে জীবনের একমাত্র লাল টকটকে গড়িয়ে পড়া রক্তের মতো গোলাপ হলেও, তার চোখে আমি একটি সাধারণ ছেলের বেশি কিছু না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×