somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্ভাবনাময় পেশা মোবাইল সার্ভিসিং

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোবাইল যেহেতু একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস এবং এটি ব্যবহার হয় অত্যন্ত বেশি তাই এটির সমস্যাও বেশি। আবার সমস্যা বেশি বলে সমস্যা সমাধান করার প্রবণতাও বেশি। বাংলাদেশে ৭ কোটির উপরে বেশি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। প্রথমদিকে শুধু ধনীদের ব্যবহারের মধ্যে থাকলেও বর্তমানে বিভিনড়ব মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কম মূল্যে সেবাদানের কারণে অতি দ্রুত হারে সবার হাতে পৌঁছে গেছে এই মুঠোফোন।ধনী-গরিব নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী মোবাইল সেট ব্যবহার করেন। মোবাইলফোন সেটটি ব্যবহারজনিত বিভিনড়ব কারণে অথবা সাবধানতার অভাবে নষ্ট হতে পারে। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই। কারণ ঢাকাসহ সারা দেশে হাজার হাজার মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। প্রতিটি সেন্টারে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৩০-৪০টি মোবাইল ফোন মেরামতের জন্য আসে। অবস্থাভেদে সার্ভিসিং সেন্টারগুলো মাসে কমপক্ষে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে। বর্তমানে মোবাইল সার্ভিসিং সেক্টরের বাজার প্রায় হাজার কোটি টাকার। ধীরে ধীরে মোবাইল সার্ভিসিং একটি পৃথক শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।মোবাইল সার্ভিসিংয়ের এই বিশাল সেক্টরের যাত্রা শুরু হয় তারুণ্যের হাত ধরে। এই শিল্পে বর্তমানে যারা দক্ষ টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন তারা সবাই মূলত মোবাইল সার্ভিসিং দেখতে দেখতে শিখেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোন যোগ্যতা না থাকলেও প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষার ওপরে ভিত্তি করে অর্জিত জ্ঞান লাভের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ মোবাইল সার্ভিসিং টেকনিশিয়ান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। চাহিদার কারণে এই শিল্পের বিকাশ ঘটেছে দ্রুত হারে। দ্রুত বর্ধনশীল এই শিল্প শহর ছাড়াও এখন প্রায় সব উপজেলাতেও গড়ে উঠেছে। সাধারণত মোবাইল বিক্রীর মার্কেটগুলোকে কেন্দ্র করে এই মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। এই শিল্পের প্রসারে সাধারণত বিশ্বাসযোগ্যতাই মূলধন হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ একটি মোবাইলের নিখুঁতভাবে সার্ভিসিং করা বা মোবাইলের সমস্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারার মাধ্যমেই একটি মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের গ্রহণযোগ্যতা ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তুলে।শহরজুড়ে মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার থাকলেও মূলত ইস্টার্ন প্লাজা, মোত্তালিব প্লাজা, নাহার প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, স্টেডিয়াম পাতাল মার্কেট, ফার্মগেট, পল্টন, অর্চাড পয়েন্ট ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিকেন্দ্রিক শত শত মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। যে কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট এসব মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে মেরামত করা হয়। বাংলাদেশের মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের প্রথম কেন্দ্র হিসেবে ইস্টার্ন প্লাজার নাম আগে আসে। সব দিক থেকে টেলিকম সেক্টরে ইস্টার্ন প্লাজার গুরুত্ব সর্বাধিক। মূলত প্রথম দিকে গড়ে ওঠা ইস্টার্ন প্লাজার কর্মরত মোবাইল সার্ভিসিং টেকনিশিয়ানরাই এখন ঢাকা শহরে নিজেরা সার্ভিসিং সেন্টার স্থাপন করার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন।বসুন্ধরা সিটির একজন সফল এবং নাম করা মোবাইল সার্ভিসিং টেকনিশিয়ান মিজান বলেন, নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার একটি সফল উপায় হিসেবে স্বীকৃত হওয়ায় বর্তমানে বিভিনড়ব স্থানে মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে। যেহেতু চাকরির বাজার ভাল না সে জন্য অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিও বিভিনড়ব মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ মোবাইল সার্ভিসিং টেকনিশিয়ান হিসেবে গড়ে তুলছেন। এসব ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে দক্ষ প্রশিক্ষক এবং সরাসরি ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে হাতে-কলমে বিভিনড়ব মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে খুব কম সময়ের মধ্যে নিজেদের দক্ষ টেকনিশিয়ান রূপে গড়ে তোলার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। ইনস্টিটিউট এবং প্রশিক্ষণ অনুযায়ী এ কাজে খরচ হয় ৫-১৮ হাজার টাকা। প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলোতে মূলত মোবাইলের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত সব ধরনের সমস্যা এবং সমাধানের উপায় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সগুলোকে শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা এবং হায়ার ডিপ্লোমা রূপে বিভক্ত করে একজন প্রশিক্ষণার্থীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করে। মোবাইলে ব্লুটুথ, রিংটোন আদান-প্রদান, এমপিথ্রি, ভিডিও, ইমেজ ডাউনলোড, সফটওয়্যার ইনস্টলেশন, মেমোরি কার্ড ডাউনলোড, মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ইনস্টলেশন, মোবাইলের আনলক, ডাটা কেবল সমস্যা, হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার, ক্যাপাসিটার, ডায়েড, ট্রান্সফ্রম, বিভিনড়ব ধরনের সার্কিট ও সেগুলোর কানেকশন ডায়াগ্রাম, সিকিউরিটি কোডসহ বিভিনড়ব ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।বাংলাদেশের টেলিকম বাজারের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, পেশা হিসেবে মোবাইল টেকনিশিয়ানের পদটিকে মোটেও খারাপ করে দেখার কিছু নেই। মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে ৪-১০ জন দক্ষ মোবাইল টেকনিশিয়ানের চাকরির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিং নিয়ে যে কেউ স্বাধীন ব্যবসা হিসেবে স্বল্প পুঁজিতে সার্ভিসিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে জীবনে সফলতা আনতে পারে। মাত্র ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা হলেই মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার দেয়া যায়। দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে মোবাইল সার্ভিসিং শিল্পের প্রসার বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মোবাইল সার্ভিসিং শিল্পকে আরও গতিশীল করার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে দেশের অসংখ্য বেকার তরুণ। অনলাইনে এখন এই সংক্রান্ত নানা লিংক পাওয়া এর মধ্যে হল :
মোবাইল সমস্যা সমাধানে ভিজিট করুন
http://mobiletraininginstitute.in/index.php
মোবাইল মেরামতের যন্ত্রপাতি
http://store.masudtelecom.com/
মোবাইল সফটওয়্যার যন্ত্রপাতি
http://www.dhakamobile.net/pro/
নকিয়া মোবাইল সার্ভিসিং
http://repair-mobiles.com/
https://www.facebook.com/mobileservicing.online
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×