somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপির হাছা মিছা!

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিএনপি তো কোন আবালদের দল না ............. তা হলে এই দলের সমর্থকরা এত আবাল কেন ??
গ্রেফতার, নিহত ও আহতের পরিসংখ্যানে শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। এসব বিষয়ে দলের দেয়া রিপোর্টের সঙ্গে বাংলানিউজের মাঠ পর্যায় থেকে আসা তথ্যের ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে।
বিএনপি জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে দেশের তিন জেলায় দলটির ৯ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮৫৮ জন। বিভিন্ন জেলায় ৬৪৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৫৬৭ জনের বিরুদ্ধে। আর ৪২টি জেলায় মোট মামলা হয়েছে ৪২৭টি।
তবে বাংলানিউজের অনুসন্ধানে দেখা গেছে- নিহতদের মধ্যে ৯ জন নয়, ৭ জন বিএনপি’র নেতাকর্মী। এছাড়া গ্রেফতার বা আটক হননি এমন নেতাকেও বিএনপির রিপোর্টে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আবার বিএনপি যাদের নিজেদের নেতাকর্মী বলে দাবি করছে তারা মূলত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী বলে প্রমাণ মিলেছে। এমনকি বিএনপি গ্রেফতার বলে দাবি করেছে এমন অনেক নেতার নাম সংশ্লিষ্ট কোন কমিটিতেই পাওয়া যায়নি।
এছাড়া আটক হওয়া অনেক নেতাকর্মীকে বিএনপি ও জামায়াত-ছাত্রশিবির উভয় পক্ষই নিজেদের নেতাকর্মী বলে দাবি করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সব জেলাতেই বিএনপির দেয়া গ্রেফতার, আহত ও মামলার আসামি সংখ্যায় এমন হেরফের দেখা গেছে।
কক্সবাজারে যুবদল নেতা ইমরান, সাহাবুদ্দিন, আকবর, জহুরুল আলম, মোঃ সেলিম ও পারভেজ উদ্দিনসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় বিএনপির তরফে দাবি করা হলেও এসব নামে কোন নেতা থাকার কথা অস্বীকার করেছে জেলা যুবদল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এরা জামায়াত-শিবির কর্মী।
বগুড়ায় ২৫ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে বিএনপির দেয়া তথ্য নিশ্চিত করেনি সেখানকার পুলিশ প্রশাসন। তারা বলেছে, এখানে ২৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় সব মামলাই হয়েছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। কোন মামলাতেই বিএনপি নেতাকর্মীর কথা উল্লেখ করা হয়নি।
জয়পুরহাটে পাঁচবিবি থানায় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা ছাড়া সেখানে দলের আর কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে বিএনপি’র দাবি- এ জেলায় দলের তিন শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া যেসব নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করেছে তাদের মধ্যে আবদুল মতিন ও আরমান ছাড়া মোমিন, সাইদুর, রফিকুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, শহিদুল, আশরাফ, আসাদুল শিবির কর্মী।
ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ জন নিহত হলেও এদের মধ্যে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্য চারজন। বাকি দু’জনের একজন শিবির সদস্য ও অপরজন সাধারণ পথচারী। তবে এই ৬ জনকেই নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।
লক্ষ্মীপুরে দুই ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেফতার হওয়ার কথা বলা হলেও বাংলানিউজের কথা হয় এদের একজন আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর সঙ্গে। তিনি নিজেই এমন গ্রেফতারের খবর অস্বীকার করেন এবং নিশ্চিত করেন চেয়ারম্যান ওমর ফারুককেও গ্রেফতার করা হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাহিন, দুলাল, মনিরসহ ২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলানিউজের তথ্যে মাহিনকে আটক করা হলেও তার জামিন হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ প্রশাসন নিশ্চিত করেছে এ জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার রয়েছে মাত্র চারজন।
বিএনপি দাবি করেছে- সাতক্ষীরায় তাদের সদর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু জেলা বিএনপি’র দেয়া তথ্যেই সদর থানা বিএনপিতে লিয়াকত আলী নামে কোন নেতা নেই। আর শ্যামনগর থানা বিএনপি’র যুগ্মসম্পাদকের নাম লিয়াকত আলী, যার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কোন মামলা নেই। তিনি বহাল তবিয়তে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। জেলা বিএনপি’র দেয়া তথ্যে তাদের ১০/১১ জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তবে সাতক্ষীরায় মোট ৫৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪-১৬ হাজার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে।
আর বাগেরহাটে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার তালিকায় যে ওয়াদুদ শেখের নাম উল্লেখ করেছে তিনি মূলত জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি। এছাড়া ওহিদুল বিশ্বাসও জামায়াত কর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ জেলায় ৬টি মামলা হয়েছে, যেগুলোর আসামিদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী।
বিএনপি’র দেয়া তথ্যে ঢাকা মহানগরে ১৬০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে তাদের মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সে হিসাবে আটক থাকার কথা ১৫৭ নেতা-কর্মীর। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পুলিশের হাতে আটক রয়েছেন ১৫৪ জন।
অন্য অনেক জেলাতেই বিএনপি ঢালাওভাবে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং তাতে আহত হওয়ার কথা বলেছে। গণগ্রেফতার ও গণমামলার দাবি করেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর পুলিশ প্রশাসন এমনকি জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব দাবির সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিএনপির তালিকা অবিকৃতভাবে তুলে ধরা হলো :
ঢাকা : গত ১১ মার্চ গ্রেফতার হন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মোঃ শাহজাহান, রিজভী আহমেদ, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ ও বিএনপির প্রচার স¤পাদক জয়নুল আবদীন ফারুক, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জামাল শরীফ হিরু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা, মাহবুবুল হক নান্নু, ফোরকান-ই-আলম, মুহাম্মদ মুনির হোসেন, ডিএল মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, এ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, তাইফুল ইসলাম টিপু, প্রফেসর আবু তাহের, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক আশরাফ হোসেনসহ ১৬০ জন। এর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে মুক্তি দিয়ে বাকি নেতাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া ওই রাতেই গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের সামনে থেকে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। ঠাকুরগাঁও : গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ, বিজিবি নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যায় এবং চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল দায়মুল নামে একজন বিএনপি কর্মী মৃত্যুবরণ করেন।
ফেনী জেলা : মনির উদ্দিন বাচ্চু, শাহাদৎ হোসেনসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার। ৩৫ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ৫টি মামলা হয়েছে ৮০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : মাহিন, দুলাল, মনিরসহ ২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার। ৭০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ৪টি মামলা হয়েছে ২০০ জন নেতাকর্মীর নামে।
নোয়াখালী : সদর উপজেলা যুবদল কর্মী মোঃ খোকনকে গুলি করে হত্যা করে। বেগমগঞ্জে যুবদল কর্মী শহিদুল্লাহ লিটন, নুরুদ্দিনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। গ্রেফতার হয়েছে ফিরোজ, শাহাবুদ্দিন, শফি, হারুন অর রশিদসহ ২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন। মামলা হয়েছে ৮টি ২৫০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ : আলহাজ আলমগীর কবির চৌধুরীসহ ৩৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
চাঁদপুর জেলা : খলিল গাজী, সজলসহ ৩৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার। আহত হয়েছে ২০ জনের অধিক। ৬টি মামলা হয়েছে ২৫০ জন নেতাকর্মীর নামে।
বান্দরবান জেলা : কামাল উদ্দিনসহ ১৮ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। আহত হয়েছে ২৮ জনের অধিক নেতাকর্মী। ২টি মামলায় ১০০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
কুমিল্লা উত্তর : কবীর হোসেন, আবুল হোসেনসহ ৩ জন গ্রেফতার। আহত হয়েছে ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী। ৭টি মামলা হয়েছে ১৪০ জনের অধিক।
কক্সবাজার জেলা : যুবদল নেতা ইমরান, সাহাবুদ্দিন, আকবর, জহুরুল আলম, মোঃ সেলিম, পারভেজ উদ্দিনসহ ১৭ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার। আহত হয়েছে ৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মী। ১৬টি মামলা হয়েছে ৫০০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে।
সুনামগঞ্জ জেলা : মামলা হয়েছে ৫টি ৫০ জনের নামে। ময়মনসিংহ দ. জেলা : আতিকুজ্জামান, বাপ্পিসহ ২০ জন গ্রেফতার। আহত হয়েছে ৩০ জনের অধিক নেতা-কর্মী। ২০০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মিলন আকন্দ গতকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা : ৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার।
পটুয়াখালী জেলা : যুবদল নেতা সোহেল, ছাত্রদল নেতা ইমরানসহ ৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার।
চট্টগ্রাম মহানগর : ১টি মামলা হয়েছে ১২ জন নেতাকর্মীর নামে।
খাগড়াছড়ি জেলা : রেহমান, নুরুল শফিকসহ ১২ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার। আহত হয়েছে ৪৮ জন এবং ৫টি মামলা হয়েছে ৪০০ জন নেতাকর্মীর নামে।
টাঙ্গাইল জেলা : ৩ জন গ্রেফতার, আহত ২৫ জন। সহস্রাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
জামালপুর জেলা : ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, আহত হয়েছে ১৫/২০ জন।
নরসিংদী জেলা : ৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, আহত হয়েছে ৬ জনের অধিক নেতাকর্মী, ৪৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ : ১২ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, ৭০ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
ঢাকা জেলা : ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, আহত হয়েছে ৭০ জনের অধিক নেতাকর্মী। সহস্রাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ : ৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, আহত ২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী। শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
ফরিদপুর : ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, আহত হয়েছে প্রায় ৪০ জন। মাদারীপুর : ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা হয়েছে ৫০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে। শরিয়তপুর : ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে, আহত হয়েছে ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী। মামলা হয়েছে ১০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে।
লক্ষ্মীপুর জেলা : ওমর ফারুক চেয়ারম্যান, আনোয়ার চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের অধিক গ্রেফতার। মামলা হয়েছে ২৭টি। আহত হয়েছে ২৬ জনের অধিক নেতাকর্মী। পটুয়াখালী জেলা : যুবনেতা সোহেল, ছাত্রনেতা এমরানসহ ৭ জন গ্রেফতার। শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা। বরিশাল মহানগর : জেলা ছাত্রদল নেতা জনি, নগর ছাত্রদল নেতা রনিসহ ১০ জন গ্রেফতার।
ঝালকাঠি : বদরুল, হালিম, কামাল, বাহার, শন্তু পালসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার।
লালমনিরহাট : দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে মোট ৩টি, আসামি সংখ্যা-৪০ জন। জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ মিঠু গ্রেফতার। বাকি সবাই পলাতক।
সাতক্ষীরা : মামলা সংখ্যা ১৪০টি। আসামি সংখ্যা ২০ হাজারের অধিক। মৃত্যের সংখ্যা-১১ জন(১৮দলীয় জোটের)। বিএনপির ১ জন। সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক স¤পাদক লিয়াকত আলী গ্রেফতার। বাকি সবাই পলাতক।
রাজশাহী জেলা : মামলা সংখ্যা ৫টি, দ্রুত বিচারে মামলা হয়েছে ৩টি, আসামি সংখ্যা-২৪৫ জন। অজ্ঞাত কয়েক শত। আবু সাঈদ চান, বিকুল, ডিএম জিয়া, আবদুর রাজ্জক, আবু হেনাসহ ৯ জনের অধিক গ্রেফতার। রাজশাহী মহানগরী : মোট মামলা সংখ্যা-৬টি, আসামি সংখ্যা ২৫০ জন, অজ্ঞাত কয়েক হাজার। শফিকুল ইসলাম, আসলাম সরকার, নাজির, শাকিল, জহুরুল, আক্কাস, ছামিসহ ১১ জনের অধিক গ্রেফতার।
খুলনা জেলা : মামলা সংখ্যা-১১টি, আসামি সংখ্যা ৫ শতাধিক, অজ্ঞাত কয়েক হাজার।
খুলনা মহানগর : মোট মামলা সংখ্যা ৫টি, আসামি সংখ্যা ৯০ জন, গ্রেফতার ৭ জনের অধিক।
বাগেরহাট : মামলা সংখ্যা ৭টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ২টি, আসামি কয়েক হাজার, এছাড়াও জেলাধীন বিভিন্ন থানা ইউনিয়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর যুবলীগ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলায় বিএনপি নেতা কামাল, মাহবুব, আজিজ শেখ, মোজাম শেখ, ওয়াদুদ শেখ, আমানুর মেম্বার, মামুন, মাহমুদ, ওয়াহিদুল বিশ্বাসসহ ১৫০ জনের অধিক গুরুতর আহত হয়েছেন এবং এদের বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
কুষ্টিয়া : মোট মামলা সংখ্যা ৭টি, আসামি সংখ্যা ৫০০ জন, অজ্ঞাত কয়েক শত। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ হলেন-মঞ্জুরুল হাসান পুটি, সুমন, রাকিবুল ইসলাম রাব্বি, কল্লোল বাবুসহ ৩৫ জনের অধিক।
মাগুরা : মোট মামলা সংখ্যা ২০টি, দ্রুত বিচার আইনে ৪টি মামলা, আসামি সংখ্যা ১৬০ জনের অধিক, অজ্ঞাত কয়েক শত।
নাটোর : মোট মামলা সংখ্যা ৫টি, দ্রুত বিচারে মামলা হয়েছে ৩টি, আসামি সংখ্যা ৩ শতাধিক, অজ্ঞাত আরও কয়েক শত।
দিনাজপুর : মামলা সংখ্যা ১০টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ২টি, আসামি সংখ্যা ৬৫ জনের অধিক। অজ্ঞাত ৫ শত জন। গ্রেফতারকৃত হলেন-নয়ন চেয়ারম্যান, জাফহুল ইসলামসহ ১৩ জন। মেহেরপুর : মামলা সংখ্যা ৭টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ৩টি, আসামি সংখ্যা ২৫০জন, অজ্ঞাত কয়েক শত। কামরুজ্জামান ডাবু, আসাদুজ্জামান বাবলুসহ ৭ জনের অধিক গ্রেফতার। বাকি সবাই পলাতক।
বগুড়া জেলা : মামলা সংখ্যা ২২টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা ১২টি, আসামি সংখ্যা ২৫ হাজার। আসামিরা সবাই বাড়িছাড়া।
জয়পুরহাট : মামলা সংখ্যা ৪৮টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ৩টি, আসামি সংখ্যা সাড়ে ৩শ, অজ্ঞাত আসামি কয়েক হাজার। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ হলেন-আবদুল মতিন, আরমান, মোমিন, সাইদুর, রফিকুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, শহিদুল, আশরাফ, আসাদুলসহ ২০ জনের অধিক।
রংপুর : মোট মামলা সংখ্যা ৭টি, দ্রুত বিচারে মামলা হয়েছে ২টি, আসামি সংখ্যা ১০০ জনের অধিক, অজ্ঞাত আসামি কয়েক শত।
পাবনা জেলা : মামলা সংখ্যা ৩টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ১টি, আসামি সংখ্যা ৭০ জনের অধিক, অজ্ঞাত আসামি কয়েকশত, সবাই পলাতক।
পিরোজপুর : ১টি মামলায় ৩০০ জনের অধিক নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম, নজিবুল, নজরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা মাসুদ, কামরুলসহ ১১ জনের অধিক। এছাড়া গতকাল পর্যন্ত আওয়ামী যুবলীগ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলায় ২০/২৫ জন আহত হয়েছে।
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×