ড. মোহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশী এবং ১৬ কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে একটি স্বতন্ত্র নাম । তিনিই প্রথম বাংলাদেশী নাগরিক যিনি বিশ্বখ্যাত নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন । তার এ সম্মানে আমরা বাংলাদেশী প্রতিটি নাগরিকই গর্বিত । পাশাপাশি আমরা বাঙ্গালী হিসেবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অমর্ত সেনের জন্যও গর্বিত । কারণ তারাও নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবং তারাও বাংলাভাষী ।
বাংলাদেশী ও বাঙ্গালী জাতির স্বতন্ত্র নাম হলেও নোবেল বিজয়ীদের নামীয় তালিকায় ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নামটি বিতর্কিত । বিতর্কিত তিনি দেশে ও আন্তর্জাতিক অংগনে। বিগত জোট সরকারের শাসনামলে ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর দলমত নির্বিশেষে গোটা বাঙ্গালী জাতি তাকে শ্রদ্ধা, সম্মান এবং শুভেচ্ছা জানায় ।
কিন্তু পরবর্তীতে তাকে ঘিরে বিভিন্ন বিতর্কের সৃষ্টি হয় । তার বিভিন্ন কর্মকান্ডে বিশেষ একটি দেশ তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায় । এদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি কাজ করছেন বলেও বিভিন্ন মহলে আলোচিত।
পদ্মাসেতু এবং বিবিয়ানা-১ ও বিবিয়ানা-২ বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন না করার পিছনেও ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে বিভিন্ন মহলে গু”ন রয়েছে।
সম্প্রতি গার্মেন্টস সেক্টরের পণ্যসমূহ মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার তথা জিএসপি সুবিধার স্থগিতাদেশটিও ড. মোহাম্মদ ইউনূসের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ বলেও প্রচার রয়েছে। সর্বশেষ সরকারের সাথে গ্রামীণ ফোন কোম্পানীর লাইসেন্স নবায়ন ফি নিয়ে বিতর্ক এবং এসংক্রান্ত আদালতে দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে । তাদের মতে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের এরুপ কর্মকান্ড বিতর্কিত এবং স্বদেশের স্বার্থ পরিপন্থী।
রাজনীতিতেও ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা বরাবরই বিতর্কের সৃষ্টি করছে । তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি না হলেও বিভিন্ন সময়ে তার দেয়া রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ওনার কথা বার্তায়ও স্বচ্ছতা নাই।
একবার বলেন, রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন না Click This Link , আবার বলেন, রাজনীতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত আমাদেরকেই নিতে হবে Click This Link আবার, রাজনীতিতে তরুণদের সক্রিয় হতে উসকে দেন তিনি।
গত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে তাকে ঘিরে সরকার গঠনের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রায় সকল মহলেই আলোচচিত। তার সাথে বিএনপি’র একপেষে সখ্যতার বিষয়টি এখন ওপেনসিক্রেট । প্রতিনিয়ত সংবাদ মাধ্যমে ড. মোহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি নেতাদের বৈঠকের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে । পক্ষান্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির পক্ষ হতে তার নেতিবাচক কর্মকান্ডের সমালোচনাও সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে।
অপ্রিয় হলেও সত্য, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের কর্মকান্ড ও তাকে ঘিরে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা অন্য কোন দেশে অন্য কোন নোবেল বিজয়ীকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে ।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে এ কথাটি কিভাবে লিখব? তিনিও মুসলমান, বিরাট ব্যক্তিত্ব, আমিও মুসলমান কিন্তু ক্ষুদ্র মানুষ। তারপরও কথাটি লিখছি ধর্মীয় আনুভুতি ও মুল্যবোধের কারনে।
মানতে পারিনা, ড. মোহাম্মদ ইউনূস সমকামিতাকে সমর্থন দিয়ে তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।
গত ২১ জুন ২০১৩ তারিখে ইতালি ভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা রবার্ট এফ কেনেডি’তে নোবেল বিজয়ী আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টিটো, প্রফেসর জোডি উইলিয়াম এবং ড. শিরিন ইবাদীর সাথে একই সুরে ড. মোহাম্মদ ইউনূসও লেসাবিয়ান গে, তথা সমকামিতার প্রতি সমর্থন ও সমকামীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন । তার মত ব্যক্তিত্ব কিভাবে এই ঘৃন্য ইসলাম বিরোধী কাজ করলেন, ভাবতেই অবাক লাগছে।
ড. মোহাম্মদ ইউনূসের মত আমিও একজন মুসলমান। মন ও দেহকে আরো পবিত্র করছি আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের জন্য। আর এ সময়ে ড. মোহাম্মদ ইউনুস সমর্থন ও সহমর্মিতা জানালেন ইসলাম বিরোধী সমকামিতাকে।
আর কি লিখব! শুধু ভাবছি, ড. মোহাম্মদ ইউনূস আসলে কি করতে চাচ্ছেন?
তিনি কি সত্যিই দেশের ক্ষতি করে বিদেশী রাষ্ট্র বা সংস্থার স্বার্থ সংরক্ষণ করে চলেছেন?
তিনি কি এ কাজই করবেন, নাকি রাজনীতিতে জড়াবেন?
নাকি অন্য কিছু ......... ?
ডঃ শফিক বেশকিছু লেখা লিখেছেন ওনাকে নিয়ে Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২০