somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংকট নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণ আছে। দেশ ও দেশের বাইরের কেউ কেউ বিষয়টাকে আবার অতি-সরলীকরণ করেও দেখার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ এও মনে করেন- এ সংকট শেষ হবার নয়। কারণ হিসেবে তারা দুটি বড় দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। কিন্তু আমার মনে হয় এই মহলগুলো সংকটের গভীরে যেতে ব্যর্থ। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, এই সংকটের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিপন্ন হতে থাকবে, দেশ তার প্রার্থিত শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হবে এবং সে সুযোগ পরিপূর্ণভাবে লাভ করবে সাম্প্রদায়িক, ধর্মীয় উগ্রবাদী বা জঙ্গি গোষ্ঠী, যারা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি কখনো।
কাজেই পরিস্থিতির মূল্যায়ন জরুরি বৈকি। এই মূল্যায়ন বা উপলব্ধি যত দ্রুত ঘটে ততই মঙ্গল। কারণ সাধারণ মানুষ সংকটের সমাধান চায়, তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। দেশে বহুদলের, বহুমতের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ চায় তারা; যে সংস্কৃতিতে দলীয় যুদ্ধের দামামায় রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব বিপন্ন হবে না, বাংলাদেশ লক্ষচ্যুত হবে না, মুক্তবুদ্ধিচর্চা ও ব্যক্তি- স্বাধীনতা বিপন্ন হবে না। বরং এমন এক ঐতিহ্য স্থাপিত হবে- যা এই ভূখণ্ডের মানুষকে উত্তরোত্তর আধুনিক জাতিতে রূপান্তরিত করবে। অর্থাৎ দেশে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি বহাল থাকবে এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ইচ্ছেতেই রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই যে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এই বিভাজন বা সংকট আরোপিত এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিকল্পিত; যার শুরু রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মধ্য দিয়ে, লাখো শহীদের রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করার মধ্য দিয়ে। কারণ পঁচাত্তরের কুশীলবরা চেয়েছিল এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে জাতীয় গৌরবের ভিত্তিভূমি মুক্তিযুদ্ধকে লক্ষচ্যুত করতে, সদ্য-স্বাধীন রাষ্ট্রের সব অর্জন ধূলিসাৎ করতে। তারা চেয়েছিল মুসলমান প্রধান একটি জনপদে আধুনিক এবং জনগণতান্ত্রিক যে রাষ্ট্রটির পত্তন করার সাফল্য দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই সাফল্যকে গলা টিপে মারতে।
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের ৪১তম শোকাবহ মাস চলছে এখন। অর্থাৎ চার যুগেরও বেশি সময় পেরিয়েছে এরই মধ্যে। একাত্তরের দেশপ্রেমিকরা বৃদ্ধের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন, অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। নতুন নাগরিকরা, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নতুন মানুষরা, সমাজ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছেন। তারা জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও খেলাধুলায় অবাক করা সাফল্য দেখাচ্ছেন। কেবল দেশ নয়, বিদেশের মাটিতেও তারা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে তাদের লক্ষ করতে হচ্ছে যে, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আজো ভঙ্গুর। দলীয় বা গোষ্ঠীগত স্বার্থে মৌল জাতীয় স্বার্থ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আজো উপেক্ষিত। ফলে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গ্রাস করতে উদ্যত স্বাধীনতাবিরোধী ও ধর্মীয় উগ্রপন্থিরা। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে যে, চলতি জঙ্গিবাদী তৎপরতার মূলে মূখ্যত তারাই যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রগঠনের মৌলিক আদর্শের ঘোরতর প্রতিপক্ষ।
কাজেই মূলে ফিরে যেতে হবে আমাদের। সংকটের সমাধান খুঁজতে হবে নির্মোহভাবে। এক-দুটো নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক বাগাড়ম্বরে এ পরিস্থিতির উত্তরণ সম্ভব হবে না। বুঝতে হবে, অনেক সাফল্যের পরও আমরা উত্তরোত্তর বিভাজিত হয়েছি, মৌলিক জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিমূল থেকে ক্রমশই দূরে সরে গেছি। অথচ সবাই জানি- জাতীয় ভিত্তিমূলে ফিরে যেতে না পারলে সংকট দূর হবার নয়।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্র শাসন করেছে অবৈধ সেনাপতি শাসকেরা, কিংবা তাদের হাতে গড়া হঠাৎ গজানো রাজনীতিবিদেরা। এ সময়ে বাংলাদেশের মাটিতে এক নতুন পূর্ব পাকিস্তান তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হয়েছে। এসব স্বৈরশাসকদের হাতে রাষ্ট্রের স্থপতি চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছেন, উপেক্ষিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, চেতনা ও আদর্শ। ফলে গজিয়েছে নানা পরগাছা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি খুঁটি গেড়ে বসেছে, ধনেজনে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসবই করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে, যাতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়, ব্যর্থ হয় লাখো মানুষের আত্মদানের মুক্তিযুদ্ধ, যে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের দেশীয় অনুচরেরা বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে।
নানা পালাবদলের পর ১৯৯০ থেকে রাষ্ট্রের আশা জাগানিয়া গণতান্ত্রিক নবযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু সে যাত্রাও মসৃণ হতে পারেনি। ফলে গণতান্ত্রিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রধান কারণ এই যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লালনের প্রশ্নে, অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তা সংরক্ষণের প্রশ্নে পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থান গ্রহণ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাষ্ট্রের দুর্ভাগ্য যে, ইতিহাস সংরক্ষণ এবং সত্য ও ন্যায়ের প্রতিপক্ষ হিসেবে এ দেশেরই কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের যুক্ত করেছিল। এরা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধশক্তিকে উৎসাহিত ও পুনর্বাসিত করে। সামরিক শাসকদের ছত্রছায়া ও তাদের ধারাবাহিকতায়, এরা ক্রমাগতভাবে অস্বীকার করে গেছে বঙ্গবন্ধুকে, সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকে; আঘাত হেনেছে সেক্যুলার সমাজশক্তির প্রতিটি স্তরে।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- এই মনোভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র লাভবান হয়নি, বরং কণ্টকাকীর্ণ হয়েছে, জাতি উত্তরোত্তর বিভাজিত হয়েছে, একের পর এক সংকট গ্রাস করেছে রাষ্ট্রকে। অন্যদিকে দুর্ভাগ্যজনক এই প্রক্রিয়ায় দেশের স্বাধীনতার চিহ্নিত প্রতিপক্ষরা শক্তি সঞ্চয় করেছে। সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
এক সময়, নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, হয়তো কেউই ভাবতে পারেন নি যে বাংলাদেশের মাটিতে কখনো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেই ভাবনা সত্য প্রমাণিত হয়নি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনকের হত্যাকাণ্ডের বিচার ঠেকানো সম্ভব হয়নি, এমন কি বিচার ঠেকানো যায়নি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদেরও। দেরিতে হলেও ইতিহাসের অমোঘ সত্যগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ন্যায়বিচারের পথে বাংলাদেশ অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ও তাদের রাজনৈতিক দোসররা নিরন্তর বিষবাষ্প ছড়ালেও নতুন প্রজন্মের বৃৃহৎ অংশ মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের প্রতি আজ আস্থাশীল হয়েছে। আরো লক্ষ করা গেছে যে, নবপ্রজন্মের মানুষ বিকৃত ইতিহাস থেকে বেরিয়ে এসে ন্যায় ও সত্যের পক্ষ নিয়েছে, যা একটি বড় অগ্রগতি রাষ্ট্রের। এই মনোজাগতিক উত্থান ইতিহাসেরই আরেক অমোঘ নবজাগরণ।
অন্যদিকে ক্রমাগত আঘাতে দীর্ঘকাল পর্যুদস্ত থাকলেও আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি আগের যে কোনো সময়ের চাইতে শক্তিশালী হয়েছে। তারা তাদের বিভেদ ও আত্মতুষ্টির প্রতিক্রিয়া ও ব্যর্থতা অনুভব করেছে। কাজেই এ শক্তিকে অদূর ভবিষ্যতে দুর্বল করা যাবে- ভাবা ঠিক হবে না। বরং দিন যত যাবে ততই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, অপ্রতিরোধ্য হবেন- আজ যা তার চাইতেও বেশি।
জাতীয় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে, সে কারণেই, একটি গুণগত পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়। পুরনো ব্যর্থতা ও কলঙ্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুনের উপলব্ধিতে সিক্ত হওয়া সে কারণেই বর্তমান সময়ের দাবি। পরিবর্তনের এ প্রার্থিত ধারা জাতীয় রাজনীতিতে সমূহ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে, জাতীয় ঐক্যের পথে বড় বাধাটি দূর করতে পারে। এ পরিবর্তনের মূল শর্ত- অতীতের কলঙ্ক ঝেড়ে ফেলে নিঃশর্তভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রের জনক হিসেবে তার ঐতিহাসিক মহিমায় গ্রহণ করা, তার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জ্ঞাপন করা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাসকে পরিপূর্ণ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের ঐতিহাসিক বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দান করা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যে বা যারা এই অতি ন্যায্য কাজগুলো করতে ব্যর্থ হবেন, তিনি বা তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রে বিশ্বাসী হতে পারেন না।
রাজনীতিতে সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতা অপরাধ কিছু নয়, বরং তা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার রক্ষিত না হলে রাষ্ট্র আধুনিক হয় না, গণতান্ত্রিক হয় না। অপরাধ হচ্ছে, সরকার বিরোধিতার নামে জাতির জনককে অবজ্ঞা করা, তারই মুখ্য নেতৃত্বে সংগঠিত জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে উপেক্ষা করা, বিতর্কিত করা এবং রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও রক্তস্নাত ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।
আমি জানি না, বর্তমানের সরকারবিরোধী দলগোষ্ঠীগুলো তাদের দীর্ঘকালের ব্যর্থ উপলব্ধি ও অবস্থান পাল্টাবে কিনা, স্বাধীনতাবিরোধী ও রাষ্ট্রের মৌল চেতনাবিরোধী ধর্মীয় মৌলবাদীদের সঙ্গ ছাড়বে কিনা। যদি তা করে তা হবে বড় লাভ। অন্যথায় বাংলাদেশকে আরো অনেককাল এ সংকট বইতে হবে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, জাতীয় ঐক্য বা জাতীয় সমঝোতার প্রধান শর্ত হচ্ছে- নিঃশর্ত এবং পরিপূর্ণ আবেগ ও শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রহণ করা এবং সেই সঙ্গে জাতীয় গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকে বুকে ধারণ ও লালন করা। এই দুই শর্তের পূরণ ছাড়া জাতীয় ঐক্যের আহ্বান নিছকই রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বলে বিবেচিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম হত্যাদিবস পালনের কর্মসূচি চলছে দেশে। সমাজের প্রায় সব মত পথ থেকে ‘জাতীয় শোক দিবস’-এর অনুষ্ঠানমালা পালিত হচ্ছে। কিন্তু পঁচাত্তরের রক্তপাতের সমর্থকরা জাতীয় রাজনীতির সঠিক উপলব্ধিতে আজো আসতে পারেনি। পারলে রাজনৈতিক সংকটের বড় বাধাটি সরানো হয়তো সম্ভব হতো। সবাইকে পূর্ণ উপিলব্ধিতেই বুঝতে হবে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ কোনো দলের নেতা নন, ইতিহাস পরিক্রমায় তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপিতা, জাতির জনক। কাজেই জনককে উপেক্ষা করে জাতীয় ঐক্য গঠন বা সামনে এগুনো সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মানার প্রধানতম শর্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার স্বমহিমায় বরণ করা, মুক্তিযুদ্ধকে তার অবিকৃত ইতিহাসে ধারণ করা- কোনো সন্দেহ নেই এই উচ্চারণে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে আমরা কেবল উত্তরোত্তর সংকটেই জর্জরিত হবো। বঙ্গবন্ধুর যারা দলগত অনুসারী, তাদেরও উচিত হবে জাতির জনককে গণ্ডিবদ্ধ না করে, সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ এই শুদ্ধতম জাতীয়তাবাদী ও শ্রেষ্ঠতম নেতাকে সর্বজনীন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। তার আদর্শকে সত্যিকার মর্মে উপলব্ধি ও বেগবান করা।
আমার বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়ার কবরে শায়িত থেকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ ও আগামীকালের জাতিবিরুদ্ধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যবিরুদ্ধ সব আন্দোলনের সর্বাধিনায়ক, যেমনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থেকেও তিনি সর্বাধিনায়ক ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের।
সুত্র
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×