somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডটি একটি হৃদয় বিদারক ও বেদনাবিধুর ঘটনা। প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহূর্ত কৃতজ্ঞ বাঙালীর হৃদয়ে জাতির মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক চির অটুট শপথের প্রতিজ্ঞার বন্ধনে আবদ্ধ করে তোলে। কৃতজ্ঞ জাতি প্রতি বছরই তাদের হৃদয় নিংরানো শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ করে দেয় গোটা দেশের সবুজ শ্যামল ভূখ- ও মানচিত্রকে।

’৭৫-এর ১৫ আগস্টের কলঙ্কিত ঘাতকচক্র ও তাদের সহযোগী, নেপথ্যের কলাকুশলী ষড়যন্ত্রের মূল হোতার দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামটি বাংলাদেশের ইতিহাস, গোটা জাতির স্বাধীনতার চেতনা এবং বিশ্বের ইতিহাসের পাতায় মুদ্রিত অধ্যায়ের পাতা থেকে চিরতরে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে চরম নির্লজ্জভাবে ব্যর্থ ও অকৃতকার্য হয়েছে। উপরন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামটি যেন দিন দিন বাঙালীর হৃদয়ে অধিকতরভাবে মহিমান্বিত হচ্ছে। শেখ মুজিব ও বাংলাদেশ নামটি ঐতিহাসিকভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং অবিনশ্বর। এ নামটি ও মানুষটি যে বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির হৃদয়ে চির অক্ষয় ও চিরস্থায়ী এবং তাকে যে একটি কলমের খোঁচায় ফরমান জারি করে বেতার টিভিতে প্রচার করেই পরিবর্তন করা যায় না বা সম্ভব না সেটা আজ প্রমাণিত।

‘শেখ মজিব’ নামটি শুধু বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের মণিকোঠায় নয়, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম ও তার ঐতিহাসিক সংগ্রামী জীবনের হিমালয় পর্বতসম অবদান আজ চির অম্লান ও চির উজ্জীবিত। জাতির পিতা ছিলেন সৎ নিষ্ঠাবান নিবেদিত সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ আরও ঘনিষ্ঠ করে হৃদয়ের বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য, ভালবাসা ও সম্মানের নিরবচ্ছিন্ন অটুট বন্ধনে আবদ্ধ করেছে এই মহান নেতাকে। মনের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

১৫ আগস্টসহ গোটা মাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে কৃতজ্ঞ জাতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়। দেশ ও জাতির মুক্তির আন্দোলনে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তিনি। জেল জুলুম ও কারাগারের নির্মম পাশবিক অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েও আপোসহীন, নির্লোভ থেকেছেন বঙ্গবন্ধু। নিজের ও পরিবারের সুযোগ-সুবিধাকে তোয়াক্কা না করে পশ্চিম পাকিস্তানের ঘাতক শোষক-শাসকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি সংগ্রামের পথে এগিয়ে গেছেন। বাঙালী জাতিকে স্বাধীন করে একটি স্বনির্ভর আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত করা প্রশ্নে তিনি ছিলেন অকুতোভয়, আপোষহীন। যে কারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন নির্ভরতার প্রতীক।

বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭১-এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতাকারী গোষ্ঠী হত্যা ষড়যন্ত্র করে। যা বাস্তবায়ন করে ৭৫-এ। ’৭১-এর পরাজয়ের লজ্জাকর গ্লানিকে হজম করতে না পেরে প্রতিশোধের জন্যই এ কাজ করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি অবৈধ ক্ষমতা দখলদারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল এবং বাংলাদেশকে পরিণত করেছিল একটি অনিশ্চিত বিভীষিকাময় পাকিস্তানী ধাচের রাষ্ট্রে।

১৯৭১ এ মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন এই ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় চার বছর ওই ষড়যন্ত্রকে লালন পালন করে আরও ব্যাপক আকারে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে, ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করে। এই গভীর ষড়যন্ত্রের মূল ও প্রধান হোতা ছিল, দাউদকান্দির অভিশপ্ত কলঙ্কিত মীরজাফর খন্দকার মোশতাক।

এই নিকৃষ্ট মোশতাক মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী মুজিবনগর সরকারের বিরুদ্ধে বিভেদ সৃষ্টি করে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ মিশনের অন্তরজালার অসহ্য দহনে দগ্ধ হয়েই বঙ্গবন্ধু তার পরিবার এবং চার জাতীয় নেতৃবৃৃন্দের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণে সমমনা ষড়যন্ত্রকারীদের সমন্বয় গড়ে তোলে একটি ঘাতক সিন্ডিকেট। নিক্সন কিসিঞ্জার প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ইন্ধন ও মদদে, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের তদানীন্তন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ইউজিন বোস্টারের প্রত্যক্ষ পরিচালনা ও তত্ত্বাবধায়নে, খুনী মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে, একদল পাকিপন্থী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী চক্র স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তথাকথিত অতি বিপ্লবী অতি উৎসাহী একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট বঙ্গবন্ধু এবং তার আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী নীল নক্সা অঙ্কিত এক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই দীর্ঘ সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে।

অপরদিকে একটি সম্ভাব্য ঘটনার ওপর অবহিত, অনুমান ও সংশ্লিষ্টদের চলাচল মতিগতি ও চলমান কিছু উচ্ছৃঙ্খল চাকরিচ্যুতদের অবাধ ক্যান্টনমেন্টে আসা-যাওয়া, অবস্থান করার বিরুদ্ধে পাকিস্তান প্রত্যাগত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ করার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানী প্রত্যাগত এই অফিসারগণ, ঘাতক রশীদ ডালিম ফারুক জিয়া মোশতাকের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটে সব কিছু অবলোকন ও পর্যবেক্ষণ করে এবং ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়। বিভিন্ন পদে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ দায়িত্বের অংশ হিসেবে সেনাপ্রধান অথবা রাষ্ট্রপ্রধানকে এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে কিছুই অবহিত করেনি। বরং তারা সর্ন্তপনে সুযোগের সন্ধান করেছে।

’৭৪ ও ৭৫ সালে যখন দেশব্যাপী তথাকথিত অতিবিপ্লবী নামধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, লুটারের দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক কার্যকলাপের অংশ হিসেবে পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণ, ব্যাংক লুট, পাটের গুদামে আগুন, প্রকাশ্যে দিবালোকে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের গুলি করে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, চাল, ডাল আটা লবণ মজুদ অথবা কালো বাজারে বিক্রয় করে দেশে খাদ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেছিল। যার প্রেক্ষিতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার চালায়। লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা। যার চুড়ান্ত বাস্তবায়ন হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পথকে সম্প্রসারিত করতে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল পাকিস্তান প্রত্যাগত সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ৭৫-এর পর এই চক্রটিই পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে মেজর থেকে মেজর জেনারেল ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং এসআই ও ইন্সপেক্টর ডিএসপি থেকে এসপি ডিআইজি, আইজি হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দিনরাত অপরিসীম পরিশ্রম করে দেশগড়ার কাজে। বলা যায় শূন্য হাতে বঙ্গবন্ধু ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশের সর্বাঙ্গীন পুনর্গঠন করার এক দুঃসাহসিক কাজে নিজেকে ও তার সরকারকে নিয়োজিত করেছিলেন। ১৯৭৪-এ ভয়াবহ বন্যায় গোটা দেশ প্লাবিত হওয়ায় ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়, দেশের মধ্যে কালো বাজারের দৌরাত্ম্য ও নকল সঙ্কট, দেশের পরিস্থিতিকে বিশেষ করে খাদ্য সঙ্কটকে আরও ঘনীভূত করেছিল।

এমতাবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী সাহায্য কর্মসূচীর আওতাধীন পিএল-৪৮০ চুক্তি মোতাবেক, মার্কিনী জাহাজে চালের চালানকে ৭৫-এর বঙ্গবন্ধুর হত্যা ও ক্ষমতাচ্যুত করার প্রধান মার্কিন হোতা, বহু দেশের গণহত্যার দায়ে অবিযুক্ত, বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশ, অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টির প্রধান বাড়িঘর, পাপের ভাড়ে ও অভিশাপে অভিশপ্ত ইহুদী সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব, হেনরি কিসিঞ্জারের নির্দেশনায় পিএল-৪৮০ চাল বহনকারী মার্কিনী জাহাজের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়ায়, দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য সঙ্কট ও সরবরাহের অবস্থায় সঙ্কট সৃষ্টি হয়।

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশকে যখন একটি গতিশীল অবস্থায় সফল অবকাঠামো গঠন করে, দেশকে স্থিতিশীল ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে একটি স্বাধীন দেশের মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ই বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারের সদস্য, এমনকি ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে বেয়নেট চার্জ করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

জাতির পিতাকে তার গোটা পরিবারসহ হত্যা করায় দেশ ও জাতির কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে, শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, গোটা পরিবারকে হত্যা করে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করে ৭১-এর নির্লজ্জ পরাজয়ের প্রতিশোধের মাধ্যমে ৭১-এর গণহত্যাকারী পাকিপন্থীদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে অপর একটি পাকিস্তান সৃষ্টি করা।

১৯৭৪-৭৫ সালে ষড়যন্ত্রকারীরা যখন বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক মিথ্যা, বানোয়াট প্রচারণা করে দেশের গোটা জনসংখ্যাকে মুজিব বিরোধী করে তার সরকারের পতনের পথকে প্রসারিত করছিল, তখন দেশ পুন:গঠনে বঙ্গবন্ধু সরকারের নজীরবিহীন প্রচেষ্টা ও পদক্ষেপসমূহ যথাযথভাবে প্রচারণা না করে, দেশের জনগণকে সজাগ ও সতর্ক থাকার করণীয় ব্যবস্থা সম্বলিত নির্দেশাবলী প্রচার না করে, তখনকার তথ্য মন্ত্রণালয় ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকদের পোষ্য একটি মন্ত্রণালয় হিসেবে কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিল খুনী মোশতাকের শিষ্য ও ঘাতক ষড়যন্ত্রের সদস্য তাহের উদ্দিন ঠাকুর। তাহের উদ্দিন ঠাকুর নিজেকে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত ও যোগ্য দাবি করে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে থেকে ঘাতক হিসেবে কাজ করেছে। সে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনার পাল্টা প্রচারণার ব্যবস্থা না করে, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রচারণাকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার সকল ব্যবস্থা করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবারের হত্যাকা-ে সে সকল ষড়যন্ত্রকারী জড়িত ছিল এবং হত্যাকা-ে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের অধিকাংশই আজ পাপের অভিশাপে জর্জরিত ও দংশিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে অথবা অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে দ-িত হয়ে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছে। প্রধান ষড়যন্ত্রকারী, বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান, খন্দকার মোশতাকও এক ধরনের বন্দী জীবনে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বাসঘাতক ও মোনাফেক, জিয়াউর রহমান, যাকে বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

এই বিশ্বাসঘাতকও নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। তৃতীয় ষড়যন্ত্রকারী ঘাতক পাকিস্তানী অনুচর, মাহবুবুল আলম চাষী, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়ির ভিতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচ খুনীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়। এরা হলো কর্নেল (অব.) ফারুক, কর্নেল (অব.) শাহরিয়ার রশীদ, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন (ল্যান্সার), মেজর (অব.) বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)। খুনীদের একজন আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুইয়েতে মারা যায়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে ছয় খুনী এখনও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরা হলো লে. কর্নেল (বরখাস্ত) আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন।

জানা যায়, লে. কর্নেল রশিদ অবস্থান করছেন লিবিয়ার বেনগাজি শহর ও পাকিস্তানে। মেজর ডালিম ব্যবসাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কেনিয়া, লিবিয়া ও পাকিস্তানে আসা-যাওয়া করে। ক্যাপ্টেন মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম বর্তমানে পাকিস্তান ও লিবিয়ায় রয়েছে। লে. কর্নেল রাশেদ যুক্তরাষ্ট্রে এবং মেজর নূর চৌধুরী পালিয়ে আছেন কানাডায়। নিজেদের রক্ষা করতে বারবার এরা বিভিন্ন দেশ বদল করছে। চলবে…
সুত্র
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×