somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাফল্যের নাম বাংলাদেশ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি পাকিস্তানের চেয়ে বেশি এমন একটি ইতিবাচক তথ্য তুলে ধরেছে লন্ডনের অর্থনীতিভিত্তিক পত্রিকা ইকোনমিস্ট। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তানকে ক্রমান্বয়ে পেছনে ফেলছে এটি এখন একটি বাস্তবতার নাম।

ইকোনমিস্ট সে সত্যটি সামনে এনেছে নতুন অবয়বে। স্মরণ করিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের জিডিপি ছিল পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম। কিন্তু কালক্রমে তা বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত লন্ডনের ইকোনমিস্ট পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারের বিনিময় হার হিসাবে ডলারের মূল্যমানে ৩০ জুন সমাপ্ত গত অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী এখন বাংলাদেশের জিডিপি ১৫৩৮ মার্কিন ডলার। আর একই সময়ে পাকিস্তানের জিডিপি ১৪৭০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ দুই দেশের জিডিপির পার্থক্য ৬৮ ডলার। বাংলাদেশের টাকায় যার পরিমাণ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার চেয়েও বেশি। ইকোনমিস্ট বলেছে, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির গড় ছিল ছয় শতাংশ। আর শেষ দুই বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে সাত শতাংশে পৌঁছেছে। ১৯৭১ সালে এ দেশের জন্মলগ্নে জিডিপিতে শিল্পায়নের অবদান ছিল মাত্র ছয় থেকে সাত শতাংশ। এখন বাংলাদেশের জিডিপিতে শিল্পায়নের অবদান ২৯ শতাংশ। একটা সময় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে সংকট দেখা দিলেও এখন দেশটি ভালো অবস্থান তৈরি করেছে। উল্লেখ্য, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে। পাকিস্তান গত ২৫ আগস্ট যে সর্বশেষ শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়, দেশটির জনসংখ্যা ২০ কোটি ৭৮ লাখের মতো, যা আগের শুমারির চেয়ে ৯০ লাখ বেশি। জনসংখ্যায় পাকিস্তান এখন পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি। জন্মশাসনের কারণে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৭ কোটিতে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে। এ সংখ্যা পাকিস্তানের জনসংখ্যার চেয়ে প্রায় চার কোটি কম। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়। লাখ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। বলা যায় ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এগোতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো সক্ষমতা দেখিয়েছে। ভস্মের মধ্য থেকে উড়াল দেওয়ার কৃতিত্বের অধিকারী বাংলাদেশের মানুষ। যে বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি সে বাংলাদেশের পরিচয় এখন অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে। বাংলাদেশের এ উত্থান সম্ভব হয়েছে এ দেশের পরিশ্রমী মানুষের কারণে। এ দেশের কৃষক শ্রমিক ও কর্মজীবীদের দেশপ্রেমের কাছে হার মেনেছে সব সীমাবদ্ধতা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×